প্রথম খণ্ড
- প্রথম খণ্ড
- প্রথম কল্প
- দ্বিতীয় কল্প
- তৃতীয় কল্প
- চতুর্থ কল্প
- পঞ্চম কল্প
- অষ্টম কল্প
- নবম কল্প
- দশম কল্প
- একাদশ কল্প
- দ্বাদশ কল্প
- ত্রয়োদশ কল্প
- চতুর্দ্দশ কল্প
- পঞ্চদশ কল্প
- ষোড়শ কল্প
- সপ্তদশ কল্প
- অষ্টাদশ কল্প
- উনবিংশ কল্প
- বিংশ কল্প
- একবিংশ কল্প
- দ্বাবিংশ কল্প
- ত্রয়োবিংশ কল্প
- চতুর্ব্বিংশ কল্প
- পঞ্চবিংশ কল্প
- ষড়্বিংশ কল্প
- সপ্তবিংশ কল্প
- অষ্টাবিংশ কল্প
- ঊনত্রিংশ কল্প
ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়
হরিদাসের গুপ্তকথা
প্রকাশকের নিবেদন
“……কিন্তু কাব্যের সঙ্গে দ্বিতীয়বার পরিচয় ঘটলো এবং বেশ মনে পড়ে এইবারে পেলাম তার প্রথম সত্য পরিচয়। এরপরে এ বাড়ির উকীল হবার কঠোর নিয়ম-সংযম আর ধাতে সইলো না; আবার ফিরতে হলো আমাদের সেই পুরোনো পল্লী-ভবনে। কিন্তু এবার বোধোদয় নয়, বাবার ভাঙ্গা দেরাজ থেকে খুঁজে বের করলাম ‘হরিদাসের গুপ্তকথা’। গুরুজনদের দোষ দিতে পারিনে, স্কুলের পাঠ্য ত নয়, ওগুলো বদ্-ছেলের অ-পাঠ্য পুস্তক। তাই পড়বার ঠাঁই কোরে নিতে হোলো আমার বাড়ির গোয়াল ঘরে। সেখানে আমি পড়ি, তারা শোনে। এখন আর পড়িনে, লিখি।……”
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
(১৩৩৮)
প্রকাশক হিসেবে ভুবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের (১৮৪২-১৯১৬) এই গ্রন্থটি পড়বার পর ঠাকুমার যৌবনকালের আতর মেশানো পুরোনো বেনারসী শাড়ির গন্ধ পাই। অনেক দিন সেই আতরের গন্ধ আমার নাকে লেগেছিল। গন্ধটা ফিকে হয়ে যাবার মুখেই নতুন করে মনে করিয়ে দিল বিমল করের ‘বালিকা বধূ’-র ছায়াচিত্রের নায়ক-নায়িকারা। এরপর বইটি বহু খুঁজেছি। পরে সেই বইটি পড়ার সুযোগ করে দিলেন বঙ্গীয়-সাহিত্য পরিষৎ-এর কর্মী সাহিত্যিক-গবেষক শ্রীবিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায়। বইটি পড়ে মনে হলো প্রায় পঞ্চাশখানি বইয়ের লেখক সেকালের স্বনামধন্য বহু বিতর্কিত সাহিত্যিক ভুবনচন্দ্রের এই গ্রন্থটি—আজ যাঁরা সাহিত্যচর্চায় ব্যাপৃত, আধুনিক পাঠক-পাঠিকা, আমাদের মতো প্রকাশক—সকলেরই বইটি পড়া উচিত। যাচাই করে দেখে নেওয়া উচিত ১৩০৪ বঙ্গাব্দে চলিত ভাষায় লেখা সমাজ-চিত্রের অপূর্ব ইতিহাস এই উপন্যাস থেকে আমরা কতটা এগোতে পেরেছি। প্রখ্যাত সাহিত্যিক-সাংবাদিক পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায় একসময় তাঁর ‘নায়ক’ পত্রিকায় ভুবনচন্দ্র সম্বন্ধে লিখেছিলেন : ‘আলালের সময় হইতে যিনি বাঙ্গালার গদ্য-পদ্য লেখক, মাইকেলের সহচর, যাঁহার লিখিত পুস্তকরাশির সংখ্যা করা যায় না, যাঁহার পাঠকগণেরও সংখ্যা হয় না—সেই সরল, সোজা দেশী বাঙ্গলা গদ্যের লেখক ভুবনচন্দ্রের মতন অনুবাদক আর বাঙ্গালায় ছিল না—বোধহয় আর হইবে না।’ পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের সত্যতা প্রকৃতই ‘হরিদাসের গুপ্তকথা’ পাঠে উপলব্ধ হয়। পাঠকসমাজের হাতে তাই তুলে দিলাম বহু দুষ্প্রাপ্য এই গ্রন্থটি। সকলের ভালো লাগলে আমার এই পরিশ্রম সার্থক বলে মনে করবো।