হরিদাসের গুপ্তকথা

দ্বিতীয় খণ্ড

গ্রন্থপরিচয় ‘হরিদাসের গুপ্তকথা’ নামের বইটি বেশ দুষ্প্রাপ্য। বইটি সম্পর্কে অনেকের ধারণা যে এটি বোধহয় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য আপাত নিষিদ্ধ ধরনের কোন বই। কিন্তু বইটি এককালে বেশ জনপ্রিয় ছিল। বইটির লেখক শ্রীভুবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়Continue Reading

হরিদাসের গুপ্তকথা

প্রথম কল্প : বঙ্গে প্রত্যাগমন

পথে কোন বিঘ্ন উপস্থিত হলো না, যথাযোগ্য যানবাহনে আমরা যথাসময়ে মুর্শিদাবাদে উপস্থিত হোলেম। বাড়ীর কর্ত্তার অদর্শনে সকলেই উদ্বিগ্ন ছিলেন, যদিও মধ্যে মধ্যে ডাকবাহকেরা উদ্বেগশান্তির দৌত্যকার্য্য কোরেছিল, তথাপি প্রভু সশরীরে উপস্থিত না থাকলে পরিবারবর্গের আকাঙ্ক্ষিত শান্তিContinue Reading

হরিদাসের গুপ্তকথা

দ্বিতীয় কল্প : কুমারী-অন্বেষণ

আমি মাণিকগঞ্জে যাব। হেতু কি, দীনবন্ধুবাবুকে আর পশুপতিবাবুকে সেটি জানালেম; নিশ্চয় অমরকুমারীকে সেখানে পাওয়া যাবে, সে বিষয়ে তাঁদের প্রতীতি জন্মিল না, তথাপি অন্বেষণ করা কর্ত্তব্য, এই বিবেচনায় তাঁরা আমারে অনুমতি দিলেন। মণিভূষণকে সংবাদ দেওয়া গেল,Continue Reading

হরিদাসের গুপ্তকথা

তৃতীয় কল্প : আর এক আবর্তন

ভারতবর্ষের উত্তরে গিরিরাজ হিমালয়; পুরাণে পাওয়া যায়, হিমালয়ের উপর দিয়ে স্বর্গে যাবার পথ। আমি মাণিকগঞ্জের উত্তরে এসেছি; এখানে স্বর্গের পথ নাই; এখানে যদি আমি অমরকুমারীর সন্ধান পাই, এখানে যদি আমি অমরকুমারীর দর্শন পাই, তা হোলেContinue Reading

হরিদাসের গুপ্তকথা

চতুর্থ কল্প : চণ্ডেশ্বর

আমি চোলেছি;—কি সন্ধান কোরে এলেম, লক্ষ্য বস্তু পেলেম কি না, ভাবতে ভাবতে চোলেছি। অমরকুমারীর নাম এখনো ব্রজকিশোরী। আমার মুখে অবগুণ্ঠন না থাকলে ব্রজকিশোরী আমারে চিনতেন; অবগুণ্ঠন রেখে আমি এক প্রকার ভালই কোরেছিলেম; আমার চেনাই দরকারContinue Reading

হরিদাসের গুপ্তকথা

পঞ্চম কল্প : পদ্মায় প্রাণ যায়

যে বজরায় ঢাকায় আসা হয়েছিল, সেই বজরায় আরোহণ কোরে আমরা মাণিকগঞ্জে চোল্লেম। আমরা ছয় জন;—আমি, মণিভূষণ, অমরকুমারী, হরিহরবাবুর সরকার, হরিহরবাবুর চাপরাসী আর ঢাকার পুলিশ-প্রহরী। মনে আনন্দ আছে, অথচ আসামীরা ধরা পোড়ছে না, গুপ্তভাবে কোথায় কিContinue Reading