সপ্তম অধ্যায়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিভিল সার্ভিস ১৯৬১–১৯৬৭

সলিমুল্লাহ মুসলিম হল

কলেজ পাস করার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হবে। প্রথম প্রশ্ন হলো বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন বিষয় নিয়ে পড়ব। আমার মুরব্বিরা উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান শাখায় না পড়ে কলা শাখায় পড়ায় আমার ওপর অসন্তুষ্ট ছিলেন। এবার উচ্চমাধ্যমিকের পর সবাই একবাক্যে উপদেশ দিলেন যে আমি যেন অর্থনীতি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স পড়ি। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় আমি তর্কশাস্ত্র, ইতিহাস, অর্থনীতি এবং বাংলা সাহিত্যে সর্বোচ্চ নম্বর পাই। এই চারটি বিষয়ের মধ্যে আমি ইতিহাসকে বেছে নিই। এর কারণ হলো আমি বই পড়তে ভালোবাসতাম। সব ধরনের বই-ই আমি পড়তাম। অর্থনীতির গণ্ডি সীমিত, এখানে ছোট ছোট সমস্যা নিয়ে চিন্তা করতে হয়। শুধু তা-ই নয়, বেশির ভাগ সমস্যাই বর্তমান কালের। ইতিহাস শুধু বর্তমানে সীমাবদ্ধ নয়, মানবসভ্যতার দীর্ঘ ইতিহাসে শুধু রাজনৈতিক পরিবর্তনই পড়ানো হয় না। এখানে অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনও পড়তে হয়। মুরব্বিদের উপদেশ অগ্রাহ্য করে আমি প্রায় জোর করে ইতিহাস বিভাগে ভর্তি হই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার আগে বিলাতের আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় অক্সফোর্ড বা কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আগে একটি হলে ভর্তি হতে হতো। হল নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা ছিল না। তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের সবচেয়ে সুন্দর হল ছিল সলিমুল্লাহ মুসলিম হল। বিরাট এলাকাজুড়ে মুসলিম স্থাপত্যকে অনুকরণ করে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল নির্মাণ করা হয়। তখনকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের সব ভালো ছাত্র সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ভর্তি হতো। অবশ্য যারা বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করত, তারা ফজলুল হক হল ও ঢাকা হলকে পছন্দ করত। কারণ এ দুটি হল ছিল কার্জন হলের পাশে। কার্জন হলে বিজ্ঞান বিভাগসমূহের ক্লাস হতো, তাদের গবেষণাগারও ছিল কার্জন হলে। তাই এ দুটি হলে বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্ররা থাকতে পছন্দ করত। আমি যখন সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই, তখন এলিফ্যান্ট রোডের আনুদার বাসায় শহীদদার স্ত্রী বীথি ভাবি বেড়াতে আসেন। আমি সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ভর্তি হব শুনে তিনি বলেন, ‘শুনেছি এই হলে দারুণ আড্ডা হয়। যারা নতুন ভর্তি হয়, তারা চারজন এক রুমে থাকে। চারজন রুমমেট গল্প-গুজব করেই সময় কাটায়, পড়াশোনা হয় না।’ তারপর তিনি বললেন, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রভোস্ট তাঁর পিতার বন্ধু। তিনি তাঁকে অনুরোধ করবেন, যাতে প্রথম বর্ষেই আমাকে এক শয্যাবিশিষ্ট কক্ষ বরাদ্দ করা হয়।

সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে তিন ধরনের কক্ষ ছিল। এক শয্যাবিশিষ্ট কক্ষ, দুই শয্যাবিশিষ্ট কক্ষ ও চার শয্যাবিশিষ্ট কক্ষ। সলিমুল্লাহ মুসলিম হল যখন প্রথম চালু হয়, তখন হলে যথেষ্টসংখ্যক ছাত্র ছিল না। তাই অনেক ছাত্র চার শয্যাবিশিষ্ট কক্ষে একা থাকত। পরে যখন ছাত্রসংখ্যা বেড়ে যায়, তখন বাধ্য হয়ে চার শয্যাবিশিষ্ট কক্ষে চারজন এবং দুই শয্যাবিশিষ্ট কক্ষে দুজন ছাত্রকে বরাদ্দ দেওয়া হতো। কিন্তু অনেক উচ্ছল ছাত্র ছিল যারা হল কর্তৃপক্ষের আদেশ অমান্য করে চার শয্যাবিশিষ্ট কক্ষকে এক শয্যাবিশিষ্ট কক্ষে পরিণত করে একা থাকত। এ সম্পর্কে আমাদের প্রভোস্ট মজহারুল হক সম্পর্কেও গুজব ছিল। মজহারুল হক সাহেব চার শয্যাবিশিষ্ট কক্ষে একা থাকতেন। তার কক্ষে যখনই কোনো নতুন ছাত্রকে বরাদ্দ দেওয়া হতো, তখন তিনি ছাত্রকে ভয় দেখাতেন, যাতে ছাত্র নিজেই দেনদরবার করে অন্য কক্ষে চলে যায়। কথিত আছে একবার এক ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মজহারুল হকের কক্ষে বরাদ্দ দিয়ে পাঠায় এবং তাকে বলে সে যেন মজহারুল হককে ভয় না করে। মজহারুল হকের বন্ধুরা এই বার্তা তার কাছে পৌঁছে দেন। মজহারুল হক তৎক্ষণিক প্রস্তুতি নেন। তিনি রুমের একটি চৌকির ওপরে আরেকটি চৌকি তুলে দেন। নতুন বরাদ্দ পাওয়া ছাত্র এসে দরজায় ধাক্কা দিলে মজহারুল হক দরজা খুলে এক চৌকির ওপর রাখা আরেক চৌকি দেখিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কি একতলায় থাকবেন, না দোতলায় থাকবেন? এমনভাবে কথা বলছিলেন যেন তিনি মাতাল। ছাত্রটি ভয় পেয়ে যায়। সে আর কক্ষে ঢোকেনি। পরে তদবির করে অন্য কক্ষে বরাদ্দ নেয়।

ভর্তির জন্য সাক্ষাৎকার দিতে গেলাম হলের প্রভোস্ট ড. মজহারুল হকের কক্ষে। একজন দীর্ঘদেহী ব্যক্তিত্ব। চলনে-বলনে সাহেবিয়ানার ছাপ। তিনি আমাকে বললেন, ‘তুমি উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছ। আমি বললাম, হ্যাঁ।’ তিনি বললেন, তোমাকে একটি এক শয্যাবিশিষ্ট কক্ষ বরাদ্দ দেওয়ার জন্য আমার বন্ধু ব্যারীর মেয়ে ফোন করেছিল (বীথি ভাবির আব্বা আবদুল বারী মালিক তখন রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। তার বন্ধুরা বারীকে ব্যারী বলে ডাকত)। সাধারণত আমরা প্রথম বর্ষের ছেলেদের এক শয্যাবিশিষ্ট কক্ষ দিই না। তবে তোমাকে দেওয়া যায় কি না, সেটা পরীক্ষা করার জন্য আমি পশ্চিম হাউসের হাউস টিউটর আবদুল মান্নান ভূঁইয়াকে অনুরোধ করেছি। তুমি কাল সকালে তাঁর সঙ্গে দেখা করো।

এরপর তিনি বেল বাজান। বেলের শব্দ শুনে পিয়ন এলে তাকে তিনি বলেন, ‘হেড ক্লার্ককে আসতে বলো।’ হেড ক্লার্ক আসার পর তিনি বললেন, ‘এই ছেলেকে ওয়েস্ট হাউসের হাউস টিউটরের অফিস কক্ষ কোথায় তা দেখিয়ে দিন।’

আমি মইজুদ্দিন সাহেবের সঙ্গে তার কক্ষে এলাম। মইজুদ্দিন বললেন, ‘তোমার বাড়ি তো রসুল্লাবাদ।’ আমি উত্তর দিলাম, ‘জি’। তিনি বললেন, ‘তোমার ছোট চাচা মাহবুব আলী খাঁ আর আমি একই ক্লাসে পড়তাম। তিনি মারা গেছেন, তুমি আমাকে চাচা বলে ডাকবে।’

পরদিন হাউস টিউটরের সঙ্গে দেখা করলে তিনি আমাকে ওয়েস্ট হাউসের নিচতলায় বাথরুমের পাশে একতলায় একটি এক শয্যাবিশিষ্ট কক্ষ বরাদ্দ করেন। এই কক্ষে আমি দুই বছর ছিলাম। অনার্স পরীক্ষার বছর সব ছাত্রকেই এক শয্যাবিশিষ্ট কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেই সূত্রে আমি তৃতীয় বছর পশ্চিম হাউসের দুইতলার সর্ব পশ্চিম এক শয্যাবিশিষ্ট কক্ষ বরাদ্দ পাই। যারা অনার্সে প্রথম শ্রেণি পেত, তাদের এমএ পড়ার বছরটিতে এক শয্যাবিশিষ্ট কক্ষ দেওয়া হতো। আমি তাই একই কক্ষে দ্বিতীয় বছর অবস্থান করি। সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে আমি মাত্র তিন মাস সময় ছাড়া বাকি সময় এক শয্যাবিশিষ্ট কক্ষে থেকেছি। আমি যখন হলের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র, তখন আমাকে তিন মাস একটি দুই শয্যাবিশিষ্ট কক্ষে থাকতে হয়েছিল। যারা অনার্স পরীক্ষা দিত, তাদের কমপক্ষে তিন মাসের জন্য এক শয্যাবিশিষ্ট কক্ষ বরাদ্দ দিতে হতো। একজন তৃতীয় বর্ষের অনার্স ক্লাসের ছাত্রের জন্য আমাকে তিন মাস দুই শয্যাবিশিষ্ট কক্ষে থাকতে হয়েছিল। এক শয্যাবিশিষ্ট কক্ষে আমার অবাধ স্বাধীনতা ছিল। বিছানা অগোছালো থাকত, বইপত্র যেখানে-সেখানে পড়ে থাকত। আমার কক্ষে সাধারণত আড্ডা বসত না। রাতে আমি অনেক রাত পর্যন্ত পড়াশোনা করতে পারতাম। তবে দুই শয্যা কিংবা চার শয্যাবিশিষ্ট কক্ষে বেশি রাতে পড়াশোনা করলে সহপাঠীদের। ঘুমের ব্যাঘাত ঘটত।

সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ছাত্র থাকাকালে আমি সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টায় ঘুম থেকে উঠতাম। ঘুম থেকে উঠে হাত-মুখ ধুয়ে চলে যেতাম ক্যানটিনে। সেখানে চা-নাশতা খেয়ে রুমে ফিরে এসে গোসল করতাম। তারপর সাড়ে ১০টা-১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যেতাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে তখন ক্লাস থাকত। ক্লাসের শেষে বের হয়ে মধুর ক্যানটিনে চা-শিঙাড়া ইত্যাদি খেতাম এবং বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে তখন আড্ডা দিতাম। দুপুরের ক্লাস শেষ হয়ে গেলে আমি হলে ফিরে আসতাম। তখন হলের ডাইনিং রুমে অনেক রাতে সব সময় খাবার থাকত না। হলের ডাইনিং রুম সকাল সাড়ে ৯টায় খোলা হতো। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যে শতকরা ৯০ ভাগ ছাত্র তাদের খাবার খেত। আমি সাধারণত দেড়টা থেকে আড়াইটার মধ্যে খেতে আসতাম। তখন অনেক সময় মাছ অথবা গোশত, যা ছিল প্রধান। খাবার, তা শেষ হয়ে যেত। আমাদের তখন দুটি ডিম ভাজি করে দেওয়া হতো। খাওয়ার পর ঘণ্টাখানেক বিশ্রাম নেওয়ার পর আমি আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতাম পাঠাগারে পড়ার জন্য।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠাগার তখন একটি সমৃদ্ধ পাঠাগার। ওই পাঠাগারে বিভিন্ন বই আমি পড়তাম। পাঠ্যবই সবই পাওয়া যেত কিন্তু অনেক গুরুত্বপূর্ণ বইয়ের সব পাতা পাওয়া যেত না। অনেক ছাত্র নোট করার জন্য বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো ব্লেড দিয়ে কেটে নিয়ে যেত। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের রেকর্ড অনুসারে বইটি পাঠাগারে রয়েছে, সেহেতু বইটির কোনো নতুন কপি সংগ্রহ করা হতো না। ব্লেডে কাটা পাতা উদ্ধার করার জন্য আমরা আগের বছরের ছাত্রদের ওই বিষয়ের ওপরে নোট খুঁজতাম। অনেক নোটে হারিয়ে যাওয়া পাতাগুলোর অনেক তথ্য পাওয়া যেত। মধ্যযুগের ইতিহাস সম্বন্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ বই চুরি হয়ে যায়। একজন শিক্ষকের ব্যক্তিগত সংগ্রহে বইটি ছিল। আমি তার কাছ থেকে বইটি এক সপ্তাহের জন্য ধার নিয়ে পুরো বইটি একটি খাতার মধ্যে কপি করে রাখি।

পাঠাগার থেকে রাত সাড়ে ৮টা-৯টায় হলে ফিরে আসতাম এবং খাওয়ার জন্য ডাইনিং হলে যেতাম। রাতের বেলায়ও অনেক সময় খাবার পাওয়া যেত না। হলের বাবুর্চিরা দুটি ডিম ভাজি করে খাওয়াত। হলে অনিয়মিত খাওয়াদাওয়ার জন্য আমার পেটের অসুখ লেগে ছিল। অনেকে হলের নিয়মিত খাবার খেয়েও পেটের সমস্যায় ভুগত। তাদের জন্য রোগীর পথ্য বা সিককাপ রান্না করা হতো। বেশির ভাগ সময়ে এই সিককাপে শিং অথবা মাগুর মাছ এবং কাঁচকলা থাকত। আমার পেট খারাপ হলেও আমি সিককাপ খেতাম না। যারা নিয়মিত সিককাপ খেত, তাদের নিয়ে আমরা ঠাট্টা করতাম।

সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের রান্নার মান ছিল ভালো। সমস্যার মধ্যে ছিল দুটি। একটি হলো তেল বেশি করে দেওয়া হতো। দ্বিতীয়টি হলো ঝালও বেশি হতো। তবে এ ধরনের খাবার আমরা তখন পছন্দ করতাম। প্রতি সপ্তাহে একটি উন্নত মানের ডিনার দেওয়া হতো। মাসে একটি বড় ডিনার দেওয়া হতো। এই ডিনারে অনেক সময় প্রভোস্ট অথবা হাউস টিউটররা থাকতেন। একটি বার্ষিক ডিনার অনুষ্ঠিত হতো। এখানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনেক সময়ে আসতেন ছোট লাট, উপাচার্য অথবা রাষ্ট্রের গুরুদায়িত্বে নিয়োজিত কোনো বিশেষ কর্মকর্তা। আমরা যখন ছাত্র ছিলাম, তখন একবার বার্ষিক ডিনারে প্রধান অতিথি হয়ে এসেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ফেডারেল পাবলিক সার্ভিস কমিশনের তৎকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাহমুদ হাসান। তিনি অত্যন্ত হাস্যরসিক ছিলেন এবং তাঁর বক্তৃতার সময় পুরো ডাইনিং হলে হাসির রোল পড়ে গিয়েছিল।

হলে ডিনার খাওয়ার পর রাত ১০টার দিকে বন্ধুবান্ধবের খোঁজখবর নিতাম। কয়েকজন বন্ধু একত্র হলে গান শোনার জন্য চলে যেতাম হলের রেডিও রুমে। গান শোনা শেষ হলে পাঁচ-সাতজন বন্ধু মিলে হল থেকে বেরিয়ে যেতাম চা খাওয়ার জন্য। ঢাকেশ্বরী মন্দিরের পাশে আজাদ পত্রিকার অফিস ছিল। আজাদ পত্রিকার আশপাশে অনেক চায়ের দোকান ছিল। আমরা গিয়ে একটি চায়ের দোকানে বসে চা খেতাম এবং গল্পসল্প করতাম। রাত ১২টা সাড়ে ১২টার দিকে আমরা হলে ফিরে আসতাম। হলে ঢুকতে হতো প্রধান দরজা দিয়ে। এই দরজায় একজন দারোয়ান থাকত। হলে ঢুকে আমরা যে যার কক্ষে চলে যেতাম। কক্ষে ফেরার পর আমার পড়াশোনা শুরু হতো। প্রায় রাত তিনটা থেকে চারটা পর্যন্ত পড়াশোনা করতাম। এরপর ঘুমাতে যেতাম।