রসুল্লাবাদ খাঁ বাড়ির কুশীলব

ঊনবিংশ শতাব্দীতে রসুল্লাবাদ খাঁ বাড়ি তাদের আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য এলাকায় সুপরিচিত ছিল। তাদের তালুকদারি ছিল, চাষের অনেক জমি ছিল এবং একসময় সুদের ব্যবসা করে তারা প্রচুর অর্থ কামাই করেছিল। কিন্তু বিংশ শতাব্দীতে রসুল্লাবাদ খাঁ বাড়ির পরিচিতি আরও ব্যাপক হয়। এই পরিচিতি শুধু অর্থের ওপরে নির্ভরশীল ছিল না, রসুল্লাবাদ খাঁ বাড়ির পরিচয় তিনভাবে গড়ে ওঠে। প্রথমত, রসুল্লাবাদ খাঁ বাড়ির কোনো কোনো সদস্য রাজনীতিতে যোগ দেন। তাঁদের অনেকেই ত্রিপুরা জেলায় রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত হন। দ্বিতীয়ত, রসুল্লাবাদ খাঁ বাড়ির অনেক সদস্য তাঁদের পেশাগত স্বীকৃতি লাভ করেন। এঁদের কেউ উকিল ছিলেন, কেউ ডাক্তার ছিলেন, কেউ অধ্যাপক ছিলেন, আবার কেউবা ব্যাংকার ছিলেন। তৃতীয়ত, রসুল্লাবাদ খাঁ বাড়ির সদস্যরা সরকারি চাকরিতে সাফল্যের জন্য পরিচিতি লাভ করেন। তাঁদের অনেকেই সরকারের উচ্চ পদে কাজ করেছেন। কাজেই রসুল্লাবাদ খাঁ বাড়ির সত্যিকারের অবদান বুঝতে হলে এঁদের মধ্যে যারা বিখ্যাত ছিলেন, তাঁদের জীবনকথা বিশ্লেষণের প্রয়োজন রয়েছে। এঁদের মধ্যে কয়েকজন বিখ্যাত ব্যক্তির জীবনী নিচে তুলে ধরা হলো।[১]

সূত্রনির্দেশ ও টীকা

  1. আদিতে রসুল্লাবাদ খাঁ বাড়ির সদস্যরা ‘ঁ’ দিয়ে খাঁ শব্দটি লিখত। ষষ্ঠ প্রজন্ম হতে অনেকে ‘ঁ ‘ দিয়ে খাঁ শব্দ লেখার পরিবর্তে খান লিখে থাকেন। এই রচনায় সপ্তম প্রজন্মের সদস্যদের খান লেখা হয়েছে এবং এর পূর্বের প্রজন্মের সদস্যদের ক্ষেত্রে খাঁ লেখা হয়েছে।