সপ্তম পরিচ্ছেদ
খাকি মূর্তিটার হাত থেকে রেহাই পেয়ে সুদীপ্ত তাঁদের আবাসিক এলাকায় ঢুকলেন। ঠিক যন্ত্রচালিতের মতো। ঢুকেই অনুভব করলেন সেই ক্লান্তিটাকে। যেন সদ্য সাত ক্রোশ অতিক্রম ক’রে এখানে এসে পৌঁছলেন। পা পড়ে না, হৃৎপিণ্ড যেন অবশ হয়ে আসছে—পাশের পাঁচিলে হেলান দিয়ে দাঁড়ালেন। এই তাঁদের সেই আবাসিক এলাকা যেন তিনি মধ্যযুগীয় কোনো দুর্গে প্রবেশ করেছেন। মাত্র একদিনেই সারা এলাকা হয়ে গেছে শত্রু-বিধ্বস্ত পরিত্যক্ত দুর্গ। সুদীপ্ত যেন। এক রজনীর নিদ্রা-শেষে দুশো বছর পরের পৃথিবীতে জেগে উঠেছেন। আসহাব কাহাফের অভিজ্ঞতার প্রান্ত ছুঁয়ে চারপাশে একবার তাকালেন। একটিও মানুষ নেই। যেখানে মানুষ থাকে না সেখানে কি আসতে আছে? এ তুমি করেছ কি সুদীপ্ত? স্ত্রী, নিষেধ করেছিলেন। সুদীপ্ত শোনেন নি। এমনিতেই মেয়েরা যথেষ্ট বুদ্ধিচালিত নয়, তদুপরি বিপদের দিনে? পুরোপুরি তখন তারা হৃদয়বৃত্তির নির্দেশে চলে। তখন তাদের কথায় গুরুত্ব নেই। সুদীপ্তর এই ধারণা আজ সকালেও বেশ সজীব ছিল। এবং নিজের বুদ্ধিবৃত্তির স্বাস্থ্য সম্পর্কে কোন সন্দেহই মনের মধ্যে ছিল না। কিন্তু এখন? মনে হচ্ছে, বুদ্ধি যেন ঠিকমতো কাজ করছে না, কোন জীবাণু প্রবেশ ক’রে তাকে ধূলিশায়ী করতে চাইছে। মনে হচ্ছে, স্ত্রীর কথায় কান দিলেই তিনি ভালো করতেন। এখন কি আর কান দেবার সময় আছে? এখনো যেন সুদীপ্ত শুনতে পাচ্ছে…
‘না, বাইরে যেতে হবে না। তুমি যেতে পারবে না।’
‘তুমি কিছু ভেবো না। কোনো ভয় নেই। এই যাব আর আসব। ফিরোজ তো গেল বাইরে। ভাবী তো কই বাধা দিল না।’
ভাবী অর্থাৎ ফিরোজের স্ত্রী। মীনাক্ষী নাজমা। মীনাক্ষী বাধা দেয় নি।
আমিনা কি তার চেয়ে কোন অংশে খাটো যে বাধা দিতে যাবে। একটা ক্ষেত্রে হতো আমিনার পরাজয় হয়েই আছে। সেটা নামে। তার নাম সুদীপ্তর পছন্দ নয়। কিন্তু কবি সুদীপ্ত খুবই পছন্দ করেন মীনাক্ষী শব্দটাকে। নাম কি কারো গায়ে লেগে থাকে নাকি—এই বলে স্বামীর পছন্দটাকে একটা থাপ্পড় কষে দিয়ে নিজেও মনে মনে সান্ত্বনা পেতে চেয়েছিলেন আমিনা। আজ অতএব মীনাক্ষী প্রসঙ্গ উঠতেই আমিনাকে তাঁর ফণা একটু গুটাতেই হ’ল–
‘কোথায় যাবে?’
‘আমাদের ফ্ল্যাটে।’
কোনো কথা না বলে আমিনা স্বামীর চোখের দিকে তাকালেন। সুদীপ্ত সুস্পষ্টভাবে বুঝলেন, উপযুক্ত কৈফিয়ৎ না দিয়ে বেরুনো যাবে না। প্রায় অনুনয়ের সুরে তাঁকে বলতে হ’ল…
‘দেখ, খাতা-কলম কিছু আনা হয় নি। দু-একটা লাইন কিছু লিখলে মনের অবস্থাটা অন্ততঃ রক্ষা পাবে।’
স্ত্রী গম্ভীর হয়ে গেলেন। ভাবখানা এই—তোমার যা খুশি করো গে, আমি কিচ্ছু জানি নে। সুদীপ্তও আর কিছু জানানোর দরকার মনে করলেন না। নীরবে জামা-জুতো পরে বেরিয়ে গেলেন। কিন্তু বেরিয়ে তিনি ভুল করেছেন বৈ কি। এক শো বার ভুল করেছেন। তা হ’লেও বাসার এত কাছে এসে আর ফিরে যেতেও চান না। এতে শুরু করলেন।
এই ফ্ল্যাটগুলোতে থাকতেন কারা? তারা সেই দুশতাব্দীর পূর্বের ফেলে-আসা পৃথিবীর মানুষ। তারা এখন ইতিহাস। এইখানে থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়-অফিসের একজন হিন্দু কর্মচারি, বাড়ি নোয়াখালি। আর তাঁর সামনেই ঐ ফ্ল্যাটে যিনি ছিলেন তাঁর আদি নিবাস বিহার। নোয়াখালিতে ছেচল্লিশের দাঙ্গায় শ্রীগোপালচন্দ্র ভৌমিক তাঁর বাবাকে হারিয়েছিলেন। নিজে তিনি তখন মায়ের সঙ্গে ছিলেন মামা বাড়িতে, চাঁদপুর। অতএব নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে তিনি ও তাঁর মা সেবার বেঁচে গেছেন। তারপর মামা বাড়িতে থেকেই বি. এ. পাস ক’রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি পেয়েছেন। ভারতে যান নি। মুসলমান বন্ধুদের সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। ক্রমেই তিনি ভুলে গেছেন, তিনি হিন্দু না মুসলমান। তাঁর সহকর্মী বন্ধু হুমায়ুন তাঁকে হিন্দুত্ব ভুলিয়ে ছেড়েছে। হাঁ, ছোঁয়াছুঁয়ির ব্যাপরাটা গোপালদের বাড়িতে ছিল বৈ কি। কিন্তু হুমায়ুনটাকে বাগ মানানো যায় না কিছুতেই। তুমি মুসলমান, তোমার না হয় ছোঁয়াছুয়িতে জাত যায় না। আমাদের ব্যাপারটা একটু ভাববে তো! না। তা ভাবতে রাজি নয় হুমায়ুন। কোনো যুক্তিই তাঁকে স্পর্শ ক’রে না। তাঁর যুক্তি একটাই—ধর্মভেদ জাতিভেদ বর্ণভেদ সব ঝুটা হ্যায়। বাবা, মানুষ হতে শেখো। নইলে সবাই মরবে। শেষ পর্যন্ত বৌদিকে অর্থাৎ গোপালের স্ত্রীকেও নেমন্তন্ন রক্ষা করতে হয়েছে হুমায়ুনদের বাড়িতে—একেবারে ভাত খাওয়ার নেমন্তন্ন। কিন্তু কৈ, কিছু তো মনে হয় নি। বরং হিন্দুর বাড়ি মুসলমানের বাড়ি ব’লে যে ভেদটাকে তিনি নিজের মধ্যে এতকাল লালন করে এসেছেন সেটাকে তাঁর মনে হয়েছে কৃত্রিম।
অত্যন্ত কৃত্রিম ছিল সেই সম্পর্ক যাকে সত্য বলে মনে ক’রে অবাঙালি মুসলমানকে একটা আত্মীয় বলে বুকে আলিঙ্গন করতে চেয়েছিলেন বাঙালি মুসলমান। এই তো এই ফ্ল্যাটে আলি ইমাম জৌনপুরিকে দেখ না। বাংলাদেশে এসেছেন বিশ বছর আগে। দাঙ্গায় আত্মীয়-স্বজন সকলকে হারিয়ে কোনো মতে নিজের প্রাণ নিয়ে পালিয়ে এসেছেন। কিন্তু বেছে বেছে মিশেছেন অবাঙালি মুসলমানের সঙ্গে এবং আজো সেই ট্র্যাডিশন বজায় রেখেছেন।
কিন্তু কথা তো খালি ঐটুকু নয়। এক ভাষার মানুষ অন্য ভাষার মানুষের সাথে সহজে মিশতে পারে না। সেটা কি অপরাধ? কিন্তু অপরাধ ঐখানে যেখানে তারা পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে হাত মিলিয়ে বাঙালিদের স্বার্থের বিরোধি চক্রান্তকে সফল হতে দিচ্ছে। বাধা তো দূরের কথা, বরং তারা বাঙালি শোষণের কাজে সহায়তা করেছে পশ্চিম পাকিস্তানিদেরকে। ঐখানে বাঙালিরা কাউকে ক্ষমা করতে রাজি নয়। কাউকে না, আপন আত্মীয় হলেও না।
একটা ভাবনার মধ্যে সুদীপ্ত ক্ষণিক আনমনা হয়েছিলেন। এবং আনমনা হয়েই একে একে অতিক্রম করেন বাকি পথটুকু, পৌঁছলেন শেষ প্রান্তের তেইশ নম্বর বিল্ডিংয়ে। সারা এলাকায় কোনো একটি মানুষের সাথে দেখা হল না। এতো নির্জনতা। প্রথম দিবালোকে এই এলাকায় এতো নির্জনতা অনন্ত কালের ইতিহাসে কখনো বোধহয় নামেনি। রাতের নির্জনতা নিয়ে কথা ওঠে না। সবাই জানে, মানুষ তখন ঘুমোয়। ঘরে ঘরে ঘুমন্ত মানুষগুলিও এক ধরণের সঙ্গ দিতে পারে মনকে। একটা অনুভূতি—ওরা আছে। হাঁ, ঘুমিয়ে আছে। তবু আছে। কিন্তু প্রাক-মধ্যাহ্নের উজ্জ্বল রৌদ্রালোকে একটি মানুষেরও দেখা যদি না মেলে? না, রাত্রির জনহীনতার সঙ্গে এর তুলনা হয় না। কেউ না থাকলে তখন নিশাচর প্রাণীরা থাকে। আর এখন? আশ্চর্য, পথে আজ সেই কুকুরটাও নেই। নীলক্ষেত এলাকার সেই লাওয়ারিশ কুকুরটা। কেউই ওটাকে পোষেনি। আস্তাকুঁড়ের এটোকাঁটা খেয়ে বড়ো হয়েছিল। মিউনিসিপ্যালিটির কুকুর নিধন অভিযানের সময় রক্ষা পেয়েছিল নিছক নিজের বুদ্ধিতেই। কোনো মানুষের সহায়তা সে পায় নি। তবু সে মানুষকে মেনে নিয়েছিল বন্ধু বলে। সে ছিল নীলক্ষেত এলাকার সকল মানুষের। এই আবাসিক এলাকার প্রত্যেকটি মানুষকে সে চিনত, কিন্তু রাত্রে চোরের মতো অচেনা কেউ আসুক দেখি! প্রবল ঘেউ ঘেউ চীৎকারে পাড়া মুখর ক’রে তুলত। ঐ রাতেও একবার তার ঘেউ ঘেউ চীৎকার সুদীপ্ত শুনেছেন। তারপরই চুপ। বীর পুরুষেরা ঠিক ওটাকে গুলি ক’রে মেরেছে। আর মেরেছে এ দেশের মানুষ। মানুষ-কুকুরে পার্থক্য নেই! আছে। কিন্তু তা আছে মানুষের দৃষ্টিতে। জানোয়ারের কাছে নেই। মানুষের চামড়া গায়ে সবাই কি মানুষ?
তেইশ নম্বরে প্রবেশ করলেন সুদীপ্ত। অভ্যাস মত সারি সারি চিঠির বাক্সগুলির দিকে তাকালেন। কোনো চিঠি আছে? থাকে যদি? না, থাকবে না। “কে আর লিখবে চিঠি”—এই দীর্ঘশ্বাস অবশ্য সুদীপ্তর জীবনে নেই। তাঁকে চিঠি লেখার মানুষ অনেক—আত্মীয়-স্বজন সামান্যই, কিন্তু বন্ধু-বান্ধব বিস্তর। অতএব চিঠি তাঁর থাকতেই হবে। কিন্তু চিঠি আসার পথ কৈ? সেই আগুনে কতো বাড়িঘর পুড়েছে, কতো মানুষ পুড়েছে, আর চিঠির কাগজ পুড়বে না? অতএব তিনি আর চিঠির বাক্স খুললেন না।
কিন্তু এগোতেও পারলেন না। সিঁড়িতে রক্তের দাগ। হাঁ, এ দাগ তো থাকারই কথা। এতোক্ষণ যেন কথাটা ভুলে ছিলেন সুদীপ্ত। তাঁর ঘরে যেতে হলে এই রক্ত মাড়িয়ে যেতে হবে। মানুষের রক্ত মাড়াতে হবে! আরেকটা মানুষের গায়ে পা ঠেকালে মানুষ কতো অপ্রস্তুত হয়। সালাম দিয়ে ক্ষমা চেয়ে তবে স্বস্তি পায়। আর এ তো রক্ত। শরীরের অভ্যন্তরে তা আরো পবিত্র, আরো অন্তরতম। তাকে পা দিয়ে মাড়িয়ে যাওয়া! হাঁ, এই রক্তই গতকাল পা দিয়ে মাড়িয়েছেন। না মাড়িয়ে উপায় কি ছিল? ঘর থেকে বেরুতে হলে রক্ত না মাড়িয়ে উপায় ছিল না। পাকিস্তানি জল্লাদদের খুন করার কায়দাটা ভারি চমৎকার। ঠিক ঘর থেকে বেরুবার মুখে দাঁড় করিয়ে গুলি করেছে। যেন তার রক্ত অন্যদের শুধু নয়, আত্মীয়দেরও পায়ে পায়ে দলিত হয়। বুক ফেটে কান্না এল সুদীপ্তর। না, আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারছেন না। দুহাতে চোখ ঢেকে সিঁড়িতেই বসে পড়লেন অধ্যাপক সুদীপ্ত শাহিন। কয়েক বছরই তো এই সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামা করেছেন, কখনো এর উপর বসার কথাটা সুদীপ্তর মনে হয়নি। সম্পর্কটা ছিল কেবল পায়ের সঙ্গে।
সুদীপ্ত প্রায় শিশুর মতো কিছুক্ষণ কাঁদলেন। শিশুর মতই দুচোখ দিয়ে পানি ঝরল, কেবল কণ্ঠ দিয়ে কোনো চিৎকার বেরুল না। বেরুলেই বোধ হয় তিনি বাঁচতেন। একটিও কষ্ঠের কোনো শব্দ যেখানে নেই সেখানে মানুষ বাঁচে? মনে হচ্ছিল, একটা প্রবল নিঃশব্দতা বিশাল দৈত্যের মতো বাহু বিস্তার ক’রে সুদীপ্তর গলা টিপে ধরেছে। আঙ্গুলের চাপ ক্রমেই তীব্র হচ্ছে তাঁর গলার উপর। নিশ্বাস রুদ্ধ হয়ে আসছে। আর কি তবে বাঁচবেন না? না, বাঁচতেই হবে। সব গেলেও বাঁচার ইচ্ছেটা এখনো যায় নি।
অবশেষে শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে গা ঝাড়া দিয়ে উঠে দাঁড়ালো সুদীপ্ত, এবং সঙ্গে সঙ্গেই বেড়িয়ে পড়লেন তেইশ নম্বর বিল্ডিং থেকে। এই তো সবে। গতকাল এই দালান ছেড়ে বেরিয়ে গেছেন তারা। তখন কি মনে হয়েছিল আর কখনোই এখানে ঢুকতে পারবেন না! কখনোই ঢোকা যাবে না এখানে? তাই তো মনে হচ্ছে এখন সুদীপ্তর। তাঁর জীবনের বেশ কয়েকটি বছরের স্মৃতি এই বাড়িটার সাথে জড়িত। কতো ক্লান্তির কতো আনন্দের কতো ইচ্ছা ও আশায় পাখিরা এর রেলিঙে বসেছে, কার্নিশ ছুঁয়ে আকাশে উধাও হয়ে গেছে, রক্তের শস্যকণায় ফিরে এসেছে বার বার। মানুষ এমনি করেই বাঁচে।
কিন্তু এ কেমন বাঁচা! আকাশে পাখি ওড়ে না, পথে কোন প্রাণীর পদসঞ্চার নেই, বাতাসে কোন কণ্ঠস্বর ধ্বনিত হয় না কেবল একটা শূন্যতার, একটা ভয়ংকর অনিশ্চয়তার দ্বীপে তারা বন্দী। এর নাম বেঁচে থাকা? প্রাণপণ শক্তিতে একবার বলতে চেষ্টা করলেন–
যে করেই হোক, আমাকে বাঁচতে হবে-বাঁচতেই হবে।
তোমাকে বাঁচতে হবে? তোমার জীবন খুব মূল্যবান? যাঁরা ম’রে গেলেন তাঁদের চেয়ে তোমার নিজের জীবনটাকে বেশি মূল্যবান মনে করছ কেন অধ্যাপক?
অধ্যাপক সুদীপ্ত শাহিন দার্শনিক নন। কবি। জীবন নিয়ে কোনো। দার্শনিকতা তিনি জানেন না। জীবনকে কেবলই ভালোবাসতে ইচ্ছে ক’রে তাঁর। ঠিক মায়ের মতো। সুদীপ্তর কাছে জীবনকে তাঁর সন্তানের মতো মনে হয়। সন্তানের কাছে বাপ-মায়ের কোনো প্রত্যাশা থাকে? অন্ততঃ সজ্ঞানে থাকে না। তাকে সাজাতে ইচ্ছে করে, ভালোবাসতে ইচ্ছে করে। পরম অভাজন সন্তানও কি মায়ের স্নেহ উদ্ৰিক্ত ক’রে নি। নাহ্, জীবনের কোনো অর্থ আছে কি নেই—এমন প্রশ্ন অর্থহীন। ঐ সব প্রশ্ন তাঁর মনে জাগে না, ও নিয়ে কিছু ভাবতেও ভালো লাগে না। কিন্তু কোনো সকালে নিজের বাগানের এক গুচ্ছ ফুল এনে টেবিলে সাজিয়ে দিতে পারলে? সারাদিন সেই ফুলের হাসির কাছে বার বার ফিরে যেতে ইচ্ছে করে।