প্রথম পরিচ্ছেদ

বাংলাদেশে নামল ভোর। ভোরেই ঘুম ভাঙ্গে সুদীপ্তর। আজো তার ব্যতিক্রম হ’ল না। হ’তে পারতো। কতো রাত অবধি ঘুম হয় নি। আজো তো সারারাতেই মাঝে মাঝেই গুলির আওয়াজ শোনা গেছে। আর ভয় হয়েছে। মৃত্যুভয় নয়। মৃত্যুকে ভয় আর লাগে না। তবে যদি বেঁচে থাকতে হয় তখন? এমনি আগুন আর গুলি-গোলা নিয়ে কি মানুষ বাঁচে। অতএব এলোমেলো নানা চিন্তা হয়েছিলো মনে, ঘুম এসেছিলো অনেক দেরিতে। ঘুমের আর দোষ কি? শুধুই আগুন আর গুলি-গোলা আর আতঙ্ক? এর কোনোটা না থাকলেও তো নতুন জায়গায় সহসা ঘুম আসার কথা নয়। তবু সুদীপ্তর ঘুমের ব্যাঘাত যেটুকু হয়েছিলো তা ঐ গুলি-গোলার জন্যই। নতুন জায়গার কথা মনেই ছিলো না। সে কথা মনে হ’ল এখন, ঘুম ভাঙ্গার পর। তেইশ নম্বরের সেই পরিচিত মুখ চোখে পড়ল না। সেই সাজানো বইয়ের শেলফগুলি, সেই টেবিল-চেয়ার আলনা—কেউ একটি নতুন দিনের সূচনায় সুদীপ্তকে অভ্যর্থনা জানাল না। অবশ্যই তাদের মুখ মনে পড়ল সুদীপ্তর। এবং মনে পড়ল ফিরোজের কথা। তিনি এখন বন্ধু ফিরোজের বাড়িতে। মহীউদ্দিন ফিরোজ। এককালে পত্র পত্রিকার পৃষ্ঠায় নামটি চালু ছিল। কবিতা লিখতেন।

এই প্রথম রাত্রি তাঁর কাটল বন্ধুর বাড়িতে। উনিশ শো একাত্তর খৃষ্টাব্দের সাতাশে মার্চের দিনগত রাত্রি পার হয়ে আটাশে মার্চের ভোরে এসে পৌঁছলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুদীপ্ত শাহিন। ঠিক এর আগের দুটো রাত? পঁচিশ ও ছাব্বিশ তারিখের দিন পেরিয়ে যে-দুই রাতের সূচনা হয়েছিলো তাদের কথা সুদীপ্ত স্মরণ করলেন। সে কি মাত্র দুটো রাত। দুটো যুগ যেন। পাকিস্তানের দুই যুগের সারমর্ম। বাংলাদেশ সম্পর্কে পাকিস্তানীদের বিগত দুই যুগের মনোভাবের সংহত প্রকাশমূর্তি। শাসন ও শোষণ। যে কোন প্রকারে বাংলাকে শাসনে রাখ, শোষণ কর। শোষণে অসুবিধা হলে? শাসন তীব্র কর। আরো তীব্র শাসন। আইনের শাসন যদি না চলে? চালাও রাইফেলের শাসন, কামান-মেশিনগানের শাসন। কামান-মেশিনগানের সেই প্রচণ্ড শাসনের রাতেও তিনি বেঁচে ছিলেন।

আশ্চর্য, এখনো তিনি বেঁচে আছেন। কিন্তু মরে যেতে পারতেন।

অনেকেই অনেক কাজ আমরা পারি নে। যেমন ইচ্ছে করলেই সুদীপ্ত সি. এস, পি, হতে পারতেন না। ব্যবসায়ে নেমে বড়ো লোক হতেই কি পারতেন? না। অনেকে এমন কি একটা বিয়ে করতেও পারে না। তবে ঐ একটা ব্যাপার আছে যা সকলের জন্যই নিশ্চিত—সকলেই মরে। তাই সুদীপ্ত ভাবতেন— একটা কাজ সকলেই পারে, সকলেই মরে। একটুও চেষ্টা করতে হয় না— দিব্যি খেয়ে দেয়ে ফূর্তি ক’রে বেড়াও, একবারও কিছু ভাববার দরকার পর্যন্ত নেই, অথচ সেই কাজটি এক সময় নির্ঘাৎ সম্পন্ন ক’রে ফেলবে তুমি! কেমন দিব্যি তুমি ম’রে যাবে। তোমার আত্মীয় বন্ধুদের সামনে তখন অনেকগুলো কাজ এসে পড়বে। কাফন-দাফন, ফাতেয়াখানি, শোক-প্রকাশ, গুণকীর্তন, শেষাবধি তোমার পরিত্যক্ত বিষয় সম্পদের হিসেব-নিকেশ—কতো কাজ। কিছুদিন অন্ততঃ তোমার প্রিয়জনদের কাজ নেই ব’লে আফসোস করার কিছুই থাকবে না। তুমি একাই অনেক কটি চিত্তকে কয়েকটা দিন আচ্ছন্ন করে থাকবে। এতো সব তোমার দ্বারা সম্ভব হবে সেরেফ বিনা চেষ্টায়।

কিন্তু না। সুদীপ্তর এতো সব ধারণা সেদিন মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছিলো। মৃত্যু অত্যন্ত সহজ এবং স্পর্শযোগ্য ছিল, তা হ’লেও সেদিন তাঁর মৃত্যু হয় নি। কেন তিনি মরলেন না, তিনি জানেন না। অমন সহজ মৃত্যুটি তাঁর ভাগ্যে ছিল না বোধ হয়। কত হাজার হাজার লোক সেদিন কত সহজে কাজটি করতে পারল–পারলেন না সুদীপ্ত। তিনি মরতে পারলেন না। অতএব সুদীপ্তকে এখন ভাবতেই হচ্ছে—মরে যাওয়াটা অত সহজ নয়।

সহজ নয়? সুফিয়া ম’রে নি? তোমার হাজার হাজার ভাই বন্ধু সেদিন কেমন ক’রে ম’রে গেল তুমি দেখ নি? হাঁ, তিনি দেখেছেন। কিন্তু নিজের জীবনে তো এটাও তিনি দেখলেন যে, ম’রে যাওয়া অত সোজা নয়। মেরে ফেলা তো আরো কঠিন। তুমি কাকে মারবে? বিশ্বাসকে কখনো মারা যায় না। হ্যাঁ তো, সহস্র প্রাণের সেই দীপ্ত পাপড়ি—সেই প্রেম—ভালোবাসা—বিশ্বাস এক চুলও মরেনি।

এবং মরেন নি সুদীপ্ত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক সুদীপ্ত শাহিন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে ঐ নামের কোনো অধ্যাপক আছেন নাকি! কখনো ছিলেন না।

হাঁ ছিলেন না। এবং নেই, তাও ঠিক। তবে এ-ও ঠিক যে, সুদীপ্ত শাহিন নামে যে ভদ্রলোক বন্ধু মহলে পরিচিত তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই অধ্যাপক এবং ইংরেজি বিভাগেই। কিন্তু অন্য নামে। কেননা পাক ওয়াতানে ওই নাম চলে না। সুদীপ্ত শাহিন!—এই নাম নিয়ে বহাল তবিয়তে বিরাজিত থাকবেন পাক ওয়াতানে? এই জন্যেই পাকিস্তান বানানো হয়েছিলো নাকি! ও সব চলবে না।

সুদীপ্ত শাহিন নাম পাকিস্তানে চলবে না। পাকিস্তানে পা দিয়ে কিছু দিনের মধ্যেই সুদীপ্ত কথাটা বুঝেছিলেন। পঞ্চাশের দাঙ্গার পর পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে ঢাকায় এসেছিলেন সুদীপ্ত। প্রধানমন্ত্রী নূরুল আমীন এবং তাঁর দল মুসলিম লীগ তখন বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাচ্ছিলেন।

একটা পাকিস্তানের জন্ম হয়েছিল বটে উনিশ শো সাত-চল্লিশের চৌদ্দই আগষ্ট। সেটা পাকিস্তানের রাজনৈতিক সত্তা, সেটা দেহ। রাষ্ট্রের প্রাণ হচ্ছে তার অর্থনীতি, এবং তাঁর চিন্ময় সত্তার অভিব্যক্তি সাংস্কৃতিক বিকাশের মধ্যে। ঐখানেই ছিল গণ্ডগোল। হাজার মাইলের ব্যবধানে বিরাজিত দুটো অংশের মধ্যে একটা অর্থনীতি গ’ড়ে উঠলে তাতে একটা অংশের দ্বারা অন্য অংশের শোষিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবেই, অর্থনীতির ক্ষেত্রে একাংশের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হবে অন্য অংশের উপর। মুসলিম লীগ প্রাণপণে সেই অর্থনীতিক প্রাধান্য দেশের পশ্চিমাংশে প্রতিষ্ঠা করার জন্যে উঠে-পড়ে লেগেছিল। মুসলমান হিসেবে সেইটেই কর্তব্য বলে বিবেচিত হয়েছিল তাঁদের কাছে। কেননা মুসলমানের দৃষ্টি সব সময়ে হতে হবে কেবলাহ্‌মুখি, আমাদের কেবলাহ্‌ পশ্চিমদিকে। অতএব দেশের পশ্চিমাংশ অধিকতর পবিত্র অংশ। সেটা যে কা’বাশরীফের নিকটতর এটা তো অস্বীকার করতে পারে না। মুসলিম লীগ বাংলার নাদান মুসলমানদের দৃষ্টি পশ্চিমমুখি করার জন্যে দেশের আর্থনীতিক প্রাণকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন পশ্চিম পাকিস্তানে। আর বাঙলার গঞ্জে, রেল স্টেশনে সর্বত্র তারা একটা করে দিকনির্দেশক খুঁটি পুঁতে দেয়, তার তীরের মতো ছুঁচলো মুখটা থাকে পশ্চিম দিকে—তাতে উর্দু ও বাংলা হরফে লেখা কেবলাহ্। তোমরা কেবলামুখি হও। কেবল অর্থনীতি ক্ষেত্রেই নয়, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও এতো বিশাল ব্যবধানে অবস্থিত ভৌগোলিক দিক থেকে বিচ্ছিন্ন দুটি দেশের একই সংস্কৃতি কোনো বাতুলেও চিন্তা করবে না। কিন্তু, একই সংস্কৃতির উত্তরাধিকারী আমরা—এ কথা সত্য না হ’লে পাকিস্তানের চিন্ময় সত্তার অস্তিত্ব থাকে কোথায়? লোকে শুনলে বলবে কী? অতএব বল, আমাদের সাংস্কৃতিক সত্তা অভিন্ন। এক ধম, এক ধ্যান, এক প্রাণ, এক ভাষা। এ সব না হ’লে একটা আধুনিক শক্তিশালী রাষ্ট্র হয় কী করে? অপূর্ব সব কাণ্ড সুদীপ্ত দেখেছিলেন প্রথম পাকিস্তানে এসে। হাজার মাইলের ব্যবধানে দুটি দেশকে সর্বাংশে এক করে তোলার জন্য একটা দেশের অর্থনীতিক ও সাংস্কৃতিক জীবনকে মুছে ফেলার চক্রান্ত তখন সবে শুরু করেছে মুসলিম লীগ সরকার, সেই তখনি সুদীপ্ত এসেছেন পাকিস্তান। হ’য়ে গেল একুশ বছর। সেদিনের সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুরা আজ অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে সুদীপ্তর ছাত্র।

ছাত্র অবস্থায় সুদীপ্তর অসুবিধা খুব একটা হয় নি। হ’তে পারত। তখনি কথাটা উঠতে পারত—সুদীপ্ত শাহিন নাম মুসলিম সমাজে চলবে না। কিন্তু সে সময় ইংরেজি বিভাগের দায়িত্ব ন্যস্ত ছিল একজন ইংরেজ অধ্যাপিকার উপর। ইংরেজ অধ্যাপিকা পাকিস্তানের রহস্য ঠিক জানতেন না। অতএব সুদীপ্ত ইংরেজি বিভাগের ছাত্র হ’তে পেরেছিলেন। এবং এম. এ. ফাইনাল পরীক্ষা দিয়ে কিছুকাল একটা ইংরেজি পত্রিকায় চাকরিও করেছিলেন। তার পরেই শুরু হয়েছিল সেই কাণ্ডটা। পাস করে সুদীপ্ত কলেজে চাকরির চেষ্টা করলে তখনি উঠেছিল কথাটা—

‘আপনি সুদীপ্ত শাহিন? এমন নাম তো শুনি নি।’

না শুনে থাকলে এখন শোন—বলতে ইচ্ছে করেছিল সুদীপ্তর। কিন্তু বলেন নি। কারণ চাকরিটার দরকার ছিল তাঁর। অতএব ঐ বেয়াড়া প্রশ্নটাকে তিনি হজম করেছিলেন। তবু রেহাই মেলে নি। আবার একটা প্রশ্ন হয়েছিল—

‘কি জাতের মানুষ? হিন্দু? না ক্রিশ্চান?’

‘আমার দরখাস্তেই সে কথার উল্লেখ আছে।’

খুব ছোট করে একটা উত্তর দিয়ে সুদীপ্ত থেমেছিলেন। কিন্তু সে কথায় প্রতিক্রিয়া হয়েছিলো অনেকখানি—

‘মনে তো লয় যে, দরখাস্তে আপনি মিছা কথা বানাইছেন। সুদীপ্ত কি কখনো মুসলমানের নাম হয়?’

কথা হচ্ছিল ইন্টারভিউয়ের সময়। ইন্টারভিউ বোর্ডের অন্য এক সদস্য দাড়িতে হাত বুলিয়ে বললেন—

‘সুদীপ্ত কথাডার মানে কি?’

ততক্ষণে সুদীপ্ত বুঝে ফেলেছেন তার চাকরিটা হচ্ছে না। তিনি বললেন—

‘উত্তমরূপে দীপ্যমান যাহা।’

‘এ তো তবে বাংলা কথা হৈল সাব। আপনি তবে হিন্দু হইবার চান?’

‘কেন? হিন্দু হব কেন?’

‘তা নয়ত কি হইবেন? বাংলা হৈলে তো সব হিন্দু হৈয়া গেল। আর হিন্দু হৈলে দ্যাশও তো হিন্দুস্তান হৈয়া যাইব। আপনারা পাকিস্তানে সব হিন্দুস্তানের চর আইছেন।’

‘ঠিক কইছ হাওলাদার বাই। এই যে ভাষা-আন্দোলন হৈল, এ সব তো এনাদের জন্যই। এনারাই আমাগো ছাওয়ালদের মাথা বিগরাইয়া দিছে।’

মাথা বিগড়ে গিয়েছিল সুদীপ্তরও। পর পর তিনবার ইন্টারভিউ দেবার সময় প্রতিবারই নামের জন্য নিন্দা হ’ল তাঁর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত একটা চাকরি তিনি পেলেন। ঢাকা থেকে বহু দূরের একটি মফঃস্বল কলেজে কোনো ইংরেজির অধ্যাপক পাওয়া যায় না। সেখানেই সুদীপ্তর অধ্যাপক জীবনের সূত্রপাত। সেই কবে ১৯৫৩-র কথা সেটা। আজ সুদীপ্ত সুদীর্ঘ আঠারো বছরের অভিজ্ঞ অধ্যাপক। ধাপে ধাপে উন্নতিও অনেক হয়েছে তাঁর। সেই মফঃস্বল। কলেজ থেকে ঢাকা শহরের জগন্নাথ কলেজ। তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ে।

একটা যেন নেশায় পেয়ে বসেছিল সুদীপ্তকে। উপরে উঠার নেশা। আরো উপরে। আরো উপরের নেশা সংক্রামক। ঐ সংক্রামক নেশাটা ক্রমে ক্রমে তখন সারা পাকিস্তানকে আচ্ছন্ন ক’রে ফেলেছে। সদ্য তখন হিন্দু মধ্যবিত্তের একটা বিপুল অংশ দেশ ত্যাগ ক’রে চলে গেছেন। মাঠ ফাঁকা। ফাঁকা মাঠে গোল দিতে পারলে কে আর কষ্ট করে খেলা শেখে? এবং কোন খেলা না শিখেই খেলায় জয়লাভ চাইলে চরিত্র হারাতে হয়। চরিত্রহীনের সম্বল তোষামোদ, আর দালালি। পাকিস্তানে এখন দালালির জয়জয়াকার, প্রচণ্ড নির্লজ্জ দালালি—তোষামোদ আর উৎকোচ। সুদীপ্তর এখন প্রবল আফসোস হয়। তিনি কেবলি কবিতা লিখতে শিখেছিলেন। গল্প লিখতে পারলে? তোষামোদ ও দালালির যতো বিচিত্র চেহারা তিনি দেখেছেন তা সব যদি তিনি গল্পে লিখতে পারতেন। বিশ্ব সাহিত্যে তাঁর দ্বিতীয় মেলা ভার হ’ত। বেশি দূরে যাবার দরকার তাঁর ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর কয়েক জন সহকর্মীর জীবনবৃত্ত নিছক ইতিহাসের মতো ব’লে গেলেও বিস্ময়কর উপন্যাসের কাহিনী হ’য়ে যাবে। সবি জানেন সুদীপ্ত। কিন্তু উপায় নেই। তিনি গল্প কিংবা উপন্যাস লিখতে পারেন না।

দালালিও পারেন না। তবে একটি কাজ তিনি করেছিলেন। তা করেছিলেন ঐ উন্নতির নেশাতেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিতে ঢোকার জন্য এফিডেভিট করে নাম পালটিয়েছিলেন। কিন্তু তা কেবল ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের খাতাপত্রের জন্যেই। অন্য সর্বত্রই তিনি এখনো সুদীপ্ত শাহিনই আছেন। ঐ নামেই এখনো কবিতা লেখেন।