কণিকাড়া চৌধুরী পরিবার

আমার মায়ের নাম হাজেরা খান। তিনি কণিকাড়া চৌধুরী পরিবারের মেয়ে। রসুল্লাবাদ খাঁ বাড়ির মতো কণিকাড়া চৌধুরী পরিবারও নবীনগর উপজেলার আদিবাসী নয়। এই পরিবার এসেছে কুমিল্লার বিষ্ণুপুর গ্রাম থেকে। বিষ্ণুপুর গ্রামে চৌধুরী পরিবার নামে একটি পরিবার রয়েছে। এই পরিবারের সন্তান চারু চৌধুরী আগরতলায় ত্রিপুরার মহারাজের রাজস্ব বিভাগে কাজ করতেন। বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে আগরতলার মহারাজের অর্থাভাব দেখা দেয়। একদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কতগুলো জমিদারির খাজনা দেওয়ার তারিখ নির্ধারিত ছিল। ওই দিন রাজকোষে ব্রিটিশ সরকারের খাজনা দেওয়ার মতো যথেষ্ট অর্থ তার ছিল না। জমিদারি রক্ষা করার জন্য রাজা এই জমিদারিগুলোর তালুকদারি বিক্রি করতে রাজি হন। কিন্তু এত তাড়াতাড়ি খরিদ্দার কোথায় পাওয়া যাবে? চারু চৌধুরী বললেন, তিনি অর্থ জোগাড় করে মহারাজার পক্ষে খাজনা শোধ করবেন। কিন্তু চারু চৌধুরীর সব অর্থ যোগ দিয়ে দেখা গেল সম্পূর্ণ খাজনা দেওয়ার সামর্থ্য তার নেই। তাঁর অধীনে ভগবান দাস নামে একজন হিন্দু কর্মচারী ছিল। ভগবান দাস জানতেন চারু চৌধুরী এই অর্থ দিয়ে কী করবেন। তাই তিনি দাবি করলেন, তালুকদারির ১০ আনা যদি তার নামে দেওয়া হয়, তাহলে যে অর্থের ঘাটতি রয়েছে, সে অর্থ তিনি বিনিয়োগ করবেন। যদি এই শর্তে চারু চৌধুরী রাজি না হন, তাহলে তিনি কোনো অর্থ দেবেন না। অন্য কোনো উপায় না থাকায় চারু চৌধুরী মৌখিকভাবে এ শর্ত মেনে নেন এবং শেষ পর্যন্ত মহারাজের পক্ষে খাজনা জমা দিয়ে তালুকদারি লাভ করেন। এই তালুকদারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নূরনগর পরগনার তালুকদারি ছিল। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর থেকে নবীনগর থানার নারায়ণপুর, ইব্রাহিমপুর ইত্যাদি গ্রাম পর্যন্ত এই তালুকদারি বিস্তৃত ছিল। দুষ্টু লোকেরা বলে, তালুকদারি পাওয়ার পর চারু চৌধুরী প্রতিশ্রুত দশ ভাগ শরিকানা ভগবান দাসকে দেননি। তিনি নিজে তালুকদারির ১০ আনা মালিকানা গ্রহণ করেন এবং ৬ আনা অংশ ভগবান দাসকে প্রদান করেন। এতে ভগবান দাসের সঙ্গে তার মনোমালিন্য হয়। চারু চৌধুরী এবং ভগবান দাস উভয়েই আগরতলা মহারাজের চাকরি ছেড়ে দিয়ে কণিকাড়া গ্রামে তালুকদার হিসেবে বসতি স্থাপন করেন। ভগবান দাস কণিকাড়া গ্রামেই মারা যান। তাঁর চিতার ওপরে কণিকাড়ার তিতাস নদীর তীরে বিরাট মঠ নির্মাণ করা হয়েছিল। এই মঠের পাশে তার আরেক আত্মীয়েরও মঠ রয়েছে। ভগবান দাসের উত্তরাধিকারীরা এই তালুকদারি বিক্রি করে অন্যত্র চলে যান।

কণিকাড়ায় চৌধুরী বাড়ির প্রতিষ্ঠা করেন চারু চৌধুরী। চারু চৌধুরীর ছিল তিন ছেলে। আফসার উদ্দিন চৌধুরী, গাজীউদ্দিন চৌধুরী (তিনি গাজী চৌধুরী নামে পরিচিত) ও রেহানউদ্দিন চৌধুরী। তার এক মেয়ে ছিল। তার নাম ছিল অজিবেন্নেছা চৌধুরী। তিনি অজিবেন্নছা চৌধুরীকে বিষ্ণুপুর গ্রামে বসবাসরত তাঁর ভ্রাতুষ্পুত্র আক্তার জমান চৌধুরীর (সম্ভববত আক্তার জামান চৌধুরী) সঙ্গে বিয়ে দেন। আক্তার জমান চৌধুরী কণিকাড়ায় বসতি স্থাপন করার এক দশকের মধ্যেই মারা যান।

চারু চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ ছেলে আফসার উদ্দিন চৌধুরীর দুই পুত্র ছিল। সাদত উদ্দিন চৌধুরী ও রেয়াজউদ্দিন চৌধুরী। এঁরা তালুকদারির আয়কে বিলাসের জন্য ব্যয় করতেন। এঁদের বিলাসিতার ফলে এরা ১৯৪০-এর দিকেই দেউলিয়া হয়ে যান। রেহানউদ্দিন চৌধুরী অল্প বয়সে মারা যান। তিনি সিরাজউদ্দিন চৌধুরী নামে এক ছেলে রেখে যান। সিরাজউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে ছিল শামসুদ্দিন চৌধুরী।

গাজী চৌধুরী তিন বিয়ে করেন। বরিকান্দি দেওয়ান বাড়ির প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তিনি সরাইলে শাহবাজপুর গ্রামে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তিনি নারায়ণপুর গ্রামে পীর বংশে তৃতীয় বিয়ে করেন। তাঁর ছিল মোট এক পুত্র ও সাত কন্যা।

আর্থিক সচ্ছলতা থাকা সত্ত্বেও কণিকাড়া চৌধুরী পরিবারে লেখাপড়ার প্রচলন হয়নি। শুধু আমিনুল ইসলাম চৌধুরী নামে রেহানউদ্দিন চৌধুরীর একজন বংশধর ১৯৪০-এর দশকে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে বিএসসি পাস করেন। গাজী চৌধুরীর একমাত্র ছেলে অলি আহমদ চৌধুরী তাঁর দ্বিতীয় সন্তানের নাম রাখেন আমিনুল ইসলাম চৌধুরী। ১৯৬১ সালে তিনি কণিকাড়া চৌধুরী বাড়ির দ্বিতীয় স্নাতক হন। ১৯৭০-এর দশক পর্যন্ত চৌধুরী বাড়িতে আর কেউ কোনো ডিগ্রি লাভ করেননি। আনুষ্ঠানিক ডিগ্রি না করায় এঁদের শহরে অভিবাসন সম্ভব হয়নি। এর ফলে চৌধুরী পরিবারের প্রায় শতকরা ৯৫ ভাগ সন্তানই কণিকাড়া গ্রামে পিতৃপুরুষের ভিটা আঁকড়ে পড়ে আছেন। এদের অনেকেই আর্থিক দিক থেকে দুস্থ। একসময় যেসব পরিবার চৌধুরী বংশে দাস হিসেবে কাজ করত, বর্তমানে বিদেশে অভিবাসনের ফলে সেসব বংশের অনেকেই চৌধুরী বাড়ির সন্তানদের চেয়ে অনেক বেশি সচ্ছল।

গাজী চৌধুরী ১৩২২ বঙ্গাব্দের ৪ আশ্বিন (আনুমানিক ১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দ) মারা যান। গাজী চৌধুরীর একমাত্র ছেলে অলি আহমদ চৌধুরী তাঁর পিতার মৃত্যুর পর তালুকদারি দেখাশোনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি কুমিল্লায় বাজগড়া গ্রামে জমিদার বংশে বিয়ে করেন। দুষ্টু লোকেরা বলে যে তার শ্বশুর তাঁকে পরামর্শ দেন, যদি সাত বোনকে তাদের ন্যায্য অংশ দেওয়া হয়, তাহলে তালুকদারির মাত্র ২২ দশমিক ২২ শতাংশ আয় অলি আহমদ পাবেন। এই আয়ে ঠাটবাট রেখে তার পক্ষে সংসার চালানো সম্ভব হবে না। তাই তাকে পরামর্শ দেওয়া হলো তালুকদারির খাজনা যথাসময়ে পরিশোধ না করে তালুকদারিকে নিলামে তুলতে হবে এবং নিলাম থেকে তিনি পুরো তালুকদারি নিজের নামে ক্রয় করবেন। এ ব্যাপারে কুমিল্লার একজন অবসরপ্রাপ্ত জজের (সম্ভবত ইব্রাহিম মিয়া) কাছ থেকে তিনি পরামর্শ নিচ্ছিলেন। তালুকদারি নিলামে ওঠার পর ইব্রাহিম মিয়া দেখলেন যে তিনি নিজেই এই তালুকদারি ক্রয় করার সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন। তিনি অলি আহমদ চৌধুরীকে তালুকদারি না কিনে দিয়ে নিজেই ওই তালুকের মালিক হয়ে যান। এই অবস্থায় অলি আহমদ চৌধুরী নিঃস্ব হয়ে যান। তাঁর আয়ের একমাত্র উৎস হয়ে দাঁড়ায় তাঁর পিতার মালিকানাধীন চাষের জমিসমূহ। এর ফলে তিনি তাঁর তিন ছেলের মধ্যে দুই ছেলেকে মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্তও পড়াতে পারেননি। তার একমাত্র ছেলে আমিনুল ইসলাম চৌধুরী তার ফুফুদের ও মামার সহায়তা নিয়ে বিএ পাস করেন। তাঁর চার কন্যার কেউই লেখাপড়ার সুযোগ পাননি।

অলি আহমদ চৌধুরী তার বোনদের ফাঁকি দিলেও তার বোনদের প্রায় সবারই ভালো ঘরে বিয়ে হয়েছিল। অলি আহমদ চৌধুরীর তিনজন বড় বোন ছিল। জ্যেষ্ঠতম বোনের নাম ছিল জাহেরা খাতুন চৌধুরী। তাঁকে কুমিল্লা শহরে আমীর আহমদ চৌধুরী নামে একজন জমিদারের ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। জাহেরা খাতুনের চার ছেলে ছিল। এঁদের একজন কুমিল্লায় প্রথিতযশা চিকিৎসক ছিলেন। এক পুত্র শিল্প ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ছিলেন। আরেক পুত্র অধ্যাপক এবং অন্য এক পুত্র যুক্তরাজ্যে সিএ হিসেবে কর্মরত।

গাজী চৌধুরীর দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠ কন্যার নাম ছিল তাহেরা খাতুন। কসবা থানার ছতরা গ্রামে মৌলানা আবদুল খালেকের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। মৌলানা আবদুল খালেক কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণিতে আরবি বিভাগ থেকে প্রথম স্থান অধিকার করেন। তিনি কলকাতায় লেডি ব্রেবোর্ন কলেজ ও ইসলামিয়া কলেজের অধ্যাপক ছিলেন। তিনি ফুরফুরার পীর সাহেবের খলিফা ছিলেন এবং খাজা নাজিমউদ্দিনসহ বাংলাদেশের মুসলিম লীগের অনেক নেতাই তাঁর মুরিদ ছিলেন। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের ইসলামিক অ্যাডভাইজারি কাউন্সিলের সদস্য মনোনীত হন। ১৯৫৪ সালে তিনি মুসলিম লীগের টিকিটে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। কিন্তু নির্বাচনের কিছুদিন পরেই তিনি মারা যান। তাঁর দুই ছেলের মধ্যে প্রথম ছেলে ব্রিগেডিয়ার কুদুস পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সামরিক ইএমই (তড়িৎ কৌশল, যান্ত্রিক এবং বৈদ্যুতিন বিভাগ) বিভাগের প্রধান ছিলেন এবং বাংলাদেশেও তিনি গাজীপুর সমরাস্ত্র কারখানার প্রধান ছিলেন। তাঁর এক ছেলে (জাহেদ কুদুস) সম্প্রতি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এয়ারভাইস মার্শাল পদ থেকে অবসর নিয়েছেন। খালেক সাহেবের দ্বিতীয় ছেলে কাউসার পিতার ঘরানার পীর ছিলেন।

গাজী চৌধুরীর তৃতীয় জ্যেষ্ঠ কন্যার নাম ছিল মাহমুদা খাতুন। তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয় কণিকাড়া চৌধুরী বাড়ির অলি আহমদ চৌধুরীর। অলি আহমদ চৌধুরী ছিলেন গাজী চৌধুরীর একমাত্র বোনের ছেলে। তাঁর পিতা ছিলেন চারু চৌধুরীর ভ্রাতুষ্পুত্র। এই পরিবারের দুই ছেলে যদিও লেখাপড়ায় তেমন সাফল্য অর্জন করতে পারেননি কিন্তু এরা ব্যবসায় ও বিনিয়োগে অর্থ কামাই করেছেন বলে উভয়েই ঢাকায় স্থায়ীভাবে আবাস গড়ে তুলেছেন। এঁদের এক ভাইয়ের তিন ছেলের মধ্যে দুজনই আয়ারল্যান্ডে বসতি স্থাপন করেছেন।

গাজী চৌধুরীর চতুর্থ কন্যা আয়শা খাতুন অলি আহমদের ছোট বোন। তাঁর বিয়ে হয় হোমনা থানায় দৌলতপুর গ্রামের এ এস এম লুৎফুল হকের সঙ্গে। হক সাহেব বিত্তবান ছিলেন এবং তাঁদের ছেলেরা লেখাপড়া শিখেছেন। বর্তমানে সবাই ঢাকার স্থায়ী বাসিন্দা।

গাজী চৌধুরী দ্বিতীয় বিয়ে করেন সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের খুরশেদা বেগম চৌধুরানীকে। তিনি দুই কন্যা রেখে মারা যান। প্রথম কন্যার নাম হাজেরা খান। তিনি আমার মা এবং রসুল্লাবাদ খাঁ বাড়ির আমীর আলী খাঁর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। দ্বিতীয় কন্যার নাম ছিল সুফিয়া খাতুন। তিনি অপরূপ সুন্দরী ছিলেন। গাজী চৌধুরীর দ্বিতীয় মেয়ের জামাই মৌলানা আবদুল খালেকের কনিষ্ঠ ভ্রাতা মো. ইব্রাহিমের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তিনি অল্প বয়সে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে নিঃসন্তান অবস্থায় মারা যান।

দ্বিতীয় স্ত্রী মারা যাওয়ার পর গাজী চৌধুরী নারায়ণপুর গ্রামে পীর বংশের এক মহিলাকে বিয়ে করেন। তাঁর একটিমাত্র কন্যাসন্তান হয়, যার নাম ছিল অজিফা খাতুন। তাঁর সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৈরতলার জিল্লুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হয়। জনাব রহমান রাজনৈতিক নেতা ছিলেন এবং তার অনেক বিষয়সম্পত্তি ছিল। তাদের পাঁচ ছেলের মধ্যে দুই ছেলে প্রকৌশলে স্নাতক এবং উঁচু সরকারি পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন। চার কন্যার মধ্যে দুই কন্যাই স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

রসুল্লাবাদ খাঁ বাড়ি এবং কণিকাড়া চৌধুরী বাড়ি ও তাঁদের সঙ্গে আত্মীয়তার সূত্রে যেসব মুসলমান শরিফ পরিবারের নাম পাওয়া যাচ্ছে, তাঁদের সবাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চলে বহিরাগত ছিলেন। একমাত্র খাঁ বাড়ি ছাড়া আর বাকি সব শরিফ পরিবার তাদের বংশ উত্তর ভারত কিংবা পশ্চিম এশিয়া থেকে আগত বলে দাবি করে থাকেন। শুধু খাঁ বাড়ির সদস্যরা তাদের উৎপত্তি বাংলাদেশেই বলে স্বীকার করেন। কিন্তু বাংলাদেশে উচ্চ শ্রেণির ব্রাহ্মণ থেকে তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন বলে দাবি করেন। তাই নিম্ন শ্রেণির হিন্দু থেকে যারা ইসলাম গ্রহণ করেছেন, তাদের চেয়ে উচ্চতর মর্যাদার দাবিদার খাঁ বাড়ির লোকেরা। দ্বিতীয়ত, এ শরিফ পরিবারগুলোর বর্তমান আর্থিক অবস্থা নির্ভর করে তাঁরা কে কত আগে তাঁদের সন্তানদের ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত করেন। খাঁ বাড়ি তার সন্তানদের ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য প্রচুর বিনিয়োগ করেন এবং বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকেই তারা ঢাকায় তাদের ছেলেদের উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করেন। এর ফলে আর্থিক দিক থেকে এঁরা অপেক্ষাকৃত সফল। আর্থিক সচ্ছলতাই তাঁদের বিদেশের দিকে টেনে নিয়ে গেছে। খাঁ বাড়ি তাই বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়েছে কিন্তু দেশে তার অস্তিত্ব আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে। অন্য শরিফ পরিবারগুলোর বেশির ভাগ সদস্য এখনো বাংলাদেশে রয়ে গেছেন। কিন্তু বিশ্বায়নের আহ্বান সম্ভবত তারাও প্রত্যাখ্যান করতে পারবেন না। ফলে এসব পরিবারের সদস্যরাও পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়বেন।