» » ভেগোলজি ও অর্থনীতি

৩. ভেগোলজি ও অর্থনীতি

ভেগোলজির দুটি প্রধান দুর্বলতা রয়েছে। প্রথমত, ভেগোলজিতে রয়েছে অস্পষ্টতা, যা আমাদের সুনির্ধারিত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে দেয় না। দ্বিতীয়ত, ভেগোলজি সত্য ও মিথ্যার প্রভেদ নিয়ে মাথা ঘামায় না। তাই ভেগোলজি সত্যের অনুসন্ধানে একটি বড় প্রতিবন্ধক। ভেগোলজির দুটি দুর্বলতাই কমবেশি অর্থনীতির রয়েছে।

প্রথমত, অর্থনীতির অস্পষ্টতা নিয়ে প্রায়ই অভিযোগ শোনা যায়। এর একটি কারণ হলো, প্রায় প্রতিটি প্রশ্নেই অর্থনীতিবিদদের মধ্যে প্রচণ্ড মতবিরোধ রয়েছে। তাই বলা হয়ে থাকে, যেখানে দুজন অর্থনীতিবিদ রয়েছেন সেখানে দুটি নয়, তিনটি অভিমত দেখা যায়। এমনকি একই অর্থনীতিবিদ একই বিষয়ে ভিন্ন সময়ে ভিন্ন মত দিয়ে থাকেন। অর্থনীতিবিদদের সম্পর্কে তাই নিম্নরূপ দুটি সূত্র প্রচলিত আছে :

The First Law of Economists: For every economist, there exists an equal and opposite economist (অর্থনীতিবিদ সম্পর্কে প্রথম সূত্র : প্রতিটি অর্থনীতিবিদের বিপরীতে একজন সমকক্ষ ও বিপরীত মতাবলম্বী অর্থনীতিবিদ রয়েছেন)।

The second law of economists: they’re both wrong (অর্থনীতিবিদ সম্পর্কে দ্বিতীয় সূত্র : এঁরা দুজনই ভ্রান্ত)।

অর্থনীতিবিদেরা অবশ্য মনে করেন যে অর্থনীতিবিদদের মতানৈক্যকে প্রায়ই অতিরঞ্জিত করা হয়ে থাকে। অর্থনীতিবিদদের মতানৈক্যের যুক্তিসংগত কারণ রয়েছে। এ সম্পর্কে একটি মজার কাহিনি প্রচলিত আছে। কথিত আছে যে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের একজন প্রাক্তন ছাত্র বিপুল অর্থ কামাই করেন। অর্থনীতি বিভাগে তাঁর সবচেয়ে প্রিয় অধ্যাপকের সম্মানে তিনি একটি গবেষণা-প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য ১০ কোটি ডলার দান করেন। প্রতিষ্ঠানটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রাক্তন ছাত্রটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এলেন। সবাই তাকে বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখাল। উপাচার্য তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন যে তিনি আর কিছু দেখতে চান কি না। প্রাক্তন ছাত্র বললেন, তিনি তাঁর প্রিয় শিক্ষকের সর্বশেষ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দেখতে চান। যখন সর্বশেষ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রাক্তন ছাত্রকে দেখানো হলো, তিনি বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেলেন। ৪০ বছর আগে যেসব প্রশ্ন তার পরীক্ষায় এসেছিল হুবহু একই প্রশ্ন। কোনো পরিবর্তন নেই। প্রাক্তন ছাত্র শিক্ষকের কাছে। জানতে চাইলেন, এটা কী করে সম্ভব? শিক্ষক জবাব দিলেন, বৎস, অর্থনীতিতে প্রশ্ন পরিবর্তিত হয় না। কোনো অর্থনৈতিক সমস্যারই সমাধান হয় না। প্রতিবছর তাই একই প্রশ্ন থাকে। তবে প্রতিবছরই উত্তর বদলে যায়। অর্থনীতিবিদেরা নতুন নতুন সমাধান নিয়ে আসেন।

অর্থনীতিতে মতবিরোধের একটি বড় কারণ হলো অর্থনীতিবিদেরা নিজেরাই অনেক প্রশ্নের জবাব জানেন না। একে ভেগোলজি বলা যাবে না। প্রধানত, দুটি কারণে ভেগোলজি ব্যবহৃত হয়। একটি নির্মল আনন্দের জন্য। অন্যটি বিশেষ মতলব নিয়ে। অর্থনীতিতে মতানৈক্যের ক্ষেত্রে এর কোনোটিই খাটে না।

এ অনুমান মোটেও ঠিক নয় যে অর্থনীতিবিদরা সবকিছু নিয়ে ঝগড়া করেন। স্যামুয়েলসন ও নর্ডহাউস (১৯৯২) ঠিকই বলেছেন, অর্থনীতিবিদদের মধ্যে অর্থনৈতিক সমস্যা নিয়ে মতৈক্য রয়েছে। সবাই একই প্রশ্নের জবাব খুঁজছেন। মতবিরোধ দেখা দিচ্ছে শুধু সমাধান নিয়ে। এঁদের মতে, অর্থনীতিবিদদের মধ্যে বিতর্ক অর্থনীতির দুর্বলতার লক্ষণ নয়, এর সবলতার চিহ্ন। এ প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রম্যানের একটি মন্তব্য স্মরণ করা যেতে পারে। ট্রম্যান সাদাসিধা লোক ছিলেন। অর্থনীতিবিদদের বিতর্ক তাঁর পছন্দ ছিল না। তাই তিনি বলতেন যে তিনি দুই হাতওয়ালা অর্থনীতিবিদ চান না; এক হাতওয়ালা অর্থনীতিবিদ চান। দুই হাতওয়ালা অর্থনীতিবিদকে প্রশ্ন করলে তিনি উত্তর দেন এক দিকে (on the one hand) এ রকম ঘটতে পারে, আবার অন্যদিকে (on the other hand) ভিন্ন কিছু ঘটবে। এ অবস্থাতে তাদের কাছ থেকে কোনো সুস্পষ্ট পরামর্শ পাওয়া যায় না। তাই ট্রম্যান বললেন এক হাতওয়ালা অর্থনীতিবিদই সর্বোত্তম। প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ স্যামুয়েলসনকে এ গল্পটি বলা হলে তিনি বললেন, ট্রুম্যানের পরামর্শ অত্যন্ত বিপজ্জনক। তাঁর মতে, এক হাতওয়ালার যদি ডান হাত থাকে, তবে সে ডানপন্থী হবে এবং সব ক্ষেত্রেই চরম রক্ষণশীল পরামর্শ দেবে। আর যদি শুধু তাঁর বাম হাত থাকে তবে সে বামপন্থী হবে ও সব বৈপ্লবিক দাওয়াই দেবে। দুহাত থাকলে ডান ও বামের সমন্বয় হবে। কাজেই দুই হাতওয়ালা অর্থনীতিবিদেরাই নীতিনির্ধারকদের জন্য শ্রেয়।

অর্থনীতির অস্পষ্টতার আরেকটি বড় কারণ হলো এর পদ্ধতি। অনেক। সময় সহজ প্রশ্নের জবাব খোঁজার জন্য অর্থনীতিবিদেরা গাণিতিক ও সংখ্যাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণের নামে সহজ বক্তব্যকে এমন দুরূহ করে তোলেন। যে সে বক্তব্য সাধারণ পাঠকদের বোধগম্য থাকে না। এ জন্য অনেক সময়। ঠাট্টা করে বলা হয়, Economics is the painful elaborations of the obvious’ (অর্থনীতি হচ্ছে সোজা বিষয়ের বেদনাদায়ক সম্প্রসারণ)। অনেক অর্থনীতিবিদের নিজেদের মনেই প্রশ্ন আছে, অর্থনীতিবিদেরা যেভাবে সব বিষয়ের বিশ্লেষণ করতে চান তার আদৌ প্রয়োজন আছে কি না। এ সম্পর্কে অর্থনীতিবিদ কেনেথ বোল্ডিং একটি সুন্দর ছড়া লিখেছেন যা নিচে উদ্ধৃত হলো :

If you do some acrobatics

With a little mathematics

It will take you far along

If your idea’s not defensible

do not make it comprehensible

your folks will find you out,

and your work will draw attention

if you fail to mention

what the whole thing is about.

You must talk of GNP’

And of elasticity

Of rates of substitution

And undeterminate solution

And oligonopopsony

(সামান্য অঙ্ক মিশিয়ে কিছু কসরত করো, দেখবে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। যদি তোমার ধারণাগুলি টেকানো সম্ভব না হয়, তবে তা বোধগম্য করে তুলো না, তাহলে ধরা পড়ে যাবে। তোমার বক্তব্য অনেক বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করবে যতক্ষণ পুরো বিষয়টি কী তুমি না বলো। তুমি জিএনপির (স্কুল জাতীয় উৎপাদ) কথা বলবে; স্থিতিস্থাপকতার কথা বলবে, পরিবর্তের হারের কথা বলবে এবং সব ধরনের একচেটিয়া বা অপ্রতিযোগী ব্যবসার কথা বলবে।)

পদ্ধতির দুর্বলতার জন্যও অর্থনীতিকে ভেগোলজি বলা যাবে না। অর্থনীতি নিয়ে যতই ঠাট্টা করা হোক না কেন, অর্থনীতিবিদদের মনে কোনো সন্দেহ। নেই যে অর্থনীতি হচ্ছে একটি বিজ্ঞান। তাদের বক্তব্য হচ্ছে, অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ মানুষের যুক্তিশীল আচরণ সম্পর্কে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য অল্প কয়েকটি পূর্ব-অনুমানের ভিত্তিতে করা হয়ে থাকে। অর্থনীতির বক্তব্যে কোনো অস্পষ্টতা নেই। প্রতিটি বক্তব্য এত স্পষ্ট যে তার গ্রহণযোগ্যতা উপাত্তের ভিত্তিতে পরীক্ষা করা সম্ভব। লিপসি, স্টেইনার ও পারভিস (১৯৮৪) তাই মনে করেন যে অর্থনীতিবিদদের মধ্যে বিতর্ক নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই; কেননা, প্রাকৃতিক বিজ্ঞানেও আমরা সব প্রশ্নের সঠিক জবাব জানি না। তবে আশার কথা হচ্ছে যে অর্থনীতি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করে ভ্রান্ত বক্তব্য চিহ্নিত করতে পারছে। তাই যতক্ষণ পর্যন্ত অর্থনীতি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি মেনে চলবে ততক্ষণ পর্যন্ত এখানে অস্পষ্টতার অবকাশ থাকবে না।

অস্পষ্টতার দায়ে অর্থনীতিকে ভেগোলজি বলা যায় না। তবে ভেগোলজির একটি বড় দুর্বলতা অর্থনীতিতে অনেক সময়ই দেখা যায়। ভেগোলজির মতো অর্থনীতিতে অনেক সময় সত্য ও মিথ্যার প্রভেদ গুলিয়ে ফেলা হয়। মোটা দাগে দুই ধরনের অর্থনীতিবিদ আছেন। একধরনের অর্থনীতিবিদেরা মনে করেন যে অর্থনীতির মূল প্রশ্নগুলি পরিবর্তিত হয় না; পরিস্থিতিভেদে উত্তরের পরিবর্তন হয়। আরেক ঘরানার অর্থনীতিবিদেরা মনে করেন যে অর্থনীতিতে প্রশ্নের পরিবর্তন হলেও উত্তরের কোনো পরিবর্তন হয় না। এ প্রসঙ্গে ডানপন্থী অর্থনীতিবিদ মিল্টন ফ্রিডম্যান সম্পর্কে একটি গল্প স্মরণ করা যেতে পারে। তিনি একদিন শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াচ্ছেন। তিনি দেখতে পেলেন যে ক্লাসে একজন ছাত্র ঘুমাচ্ছে। খুব বিরক্ত হয়ে তিনি ছাত্রটির কাছে গেলেন এবং তাকে প্রশ্ন করলেন, বাপু, তুমি ঘুমোচ্ছ কেন?’ ছাত্রটি ভয় পেয়ে জবাব দিল যে সে ঘুমাচ্ছে না, শুধু চোখ বন্ধ করে অধ্যাপক ফ্রিডম্যানের বক্তব্য শোনার চেষ্টা করছে। ফ্রিডম্যন এবার তাকে বললেন, তা-ই যদি হয়, তবে আমি যে প্রশ্নটি নিয়ে আলোচনা করছিলাম, বলো তো তার সঠিক জবাব কী? ছাত্রটি ঘুমিয়ে ছিল, তাই সে প্রশ্ন শোনেনি। সে চটপট জবাব দিল, ‘স্যার, প্রশ্নটা কী আমি জানি না, তবে আমি উত্তর জানি। ফ্রিডম্যান বললেন, উত্তর বলো।’ ছাত্রটি জানত যে ফ্রিডম্যানের সব প্রশ্নের জবাব হলো, পরিস্থিতিভেদে হয় মুদ্রার জোগান বাড়াও অথবা কমাও। ছাত্রটি ঘুমিয়ে ছিল। তাই সে জানে না মুদ্রার জোগান বাড়াতে হবে না কমাতে হবে। ছাত্রটি তাই জবাব দিল, ‘মুদ্রার জোগান পরিবর্তন করতে হবে।’

সমস্যা হলো মিল্টন ফ্রিডম্যানের মতো দ্বিতীয় ঘরানার অর্থনীতিবিদদের নিয়ে। এঁরা তর্ক-বিতর্ক না করে বিশেষ মতবাদ বা আদর্শবাদকে অভ্রান্ত সত্য বলে ধরে নেন। এঁদের কাছে সত্য ও মিথ্যা বড় কথা নয়। এঁরা কোনো অবস্থাতেই তাদের মতবাদ পরিবর্তন করতে রাজি নন। এ ধরনের অর্থনীতিবিদদের সর্বশেষ ভরসা হলো ‘বুলশিট’ বা ‘হামবাগ’। যেখানে যুক্তির শেষ, সেখানেই ভেগোলজির শুরু।

সামগ্রিক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, সব অর্থনীতিই ভেগোলজি নয়। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে অর্থনীতি ভেগোলজি দোষে দুষ্ট হয়। দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো বাস্তব জীবনে অর্থনীতির লেবাসধারী ভেগোলজিকে অগ্রাহ্য করার জো নেই; কেননা এ ধরনের অর্থনীতির চাহিদাই বেশি। এলান এস ব্লাইন্ডার যথার্থই বলেছেন, ‘Economists have the least influence on policy where they know the most and are most agreed; they have the most influence on policy where they know the least and disagree most vehemently (যেসব বিষয়ে অর্থনীতিবিদেরা সবচেয়ে ভালো জানেন এবং একমত, সেসব নীতির ক্ষেত্রে অর্থনীতিবিদদের প্রভাব সবচেয়ে কম এবং যেসব বিষয়ে তাঁরা সবচেয়ে কম জানেন এবং প্রবলভাবে ভিন্নমত পোষণ করেন, সেসব ক্ষেত্রে অর্থনীতিবিদদের প্রভাব সবচেয়ে বেশি দেখা যায়)। এর একটি বড় কারণ হলো, যারা অর্থনীতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেন তারা অর্থনীতিবিদদের বিশ্লেষণের আলোকে নয়, নিজেদের ধ্যানধারণার আলোকে সিদ্ধান্ত নেন। এ সব ধ্যানধারণা অনেক সময় অল্প বয়সে (কেইনসের মতে, ২৫-৩০ বছর বয়সের আগে) তারা যা শিখেছেন তার ভিত্তিতে গড়ে ওঠে। পরবর্তীকালে এসব তত্ত্ব বাতিল হলেও তারা নতুন মতবাদ মেনে নেন না। লর্ড কেইনস (১৯৬৪, ৩৮৩) যথার্থই লিখেছেন, ‘Practical men, who believe themselves to be quite exempt from any intellectual influences, are usually the slaves of some defunct economist. Madman in authority, who hear voices in the air, are distilling their frenzy from some academic scribbler of a few years back. I am sure that the power of vested interest is vastly exaggerated compared with gradual encroachment of ideas.’ (718TTIntande, যারা নিজেদের বুদ্ধিবৃত্তিক প্রভাবের উর্ধ্বে বলে মনে করেন, তারা সাধারণত কোনো পরলোকগত অর্থনীতিবিদের দাস। কয়েক বছরের পুরোনো একাডেমিক জগতের কতিপয় বাজে লেখকের ধ্যানধারণা ক্ষমতাসীন উন্মাদরা তাদের উন্মত্ততায় বাতাসে ছড়িয়ে দেয়। আমি নিশ্চিত যে ভাবের ক্রম অনধিকার প্রবেশের (ক্ষতির) তুলনায় কায়েমি স্বার্থবাদীদের ভূমিকা অনেক বেশি অতিরঞ্জিত করা হয়েছে।)।

ভেগোলজি নয় বুদ্ধিবৃত্তিক দাসত্বই হচ্ছে অর্থনীতির সবচেয়ে বড় সমস্যা। অর্থনীতিবিদদের একই উত্তর নিয়ে সন্তুষ্ট থাকলে চলবে না। ভেগোলজি থেকে মুক্তি পেতে হলে তাকে পুরোনো প্রশ্নের নতুন নতুন জবাব খুঁজতে হবে এবং নতুন নতুন প্রশ্ন তুলে ধরতে হবে। তবে একা অর্থনীতিবিদেরা ভেগোলজির জন্য দায়ী নন। অর্থনীতিতে ভেগোলজির প্রধান পৃষ্ঠপোষক হলেন নীতিনির্ধারকেরা, যারা তাদের প্রথম জীবনের বস্তাপচা ধ্যানধারণাকে আঁকড়ে ধরে থাকেন। যতক্ষণ অর্থনীতিতে ভেগোলজির চাহিদা থাকবে ততক্ষণ এর জোগানে কোনো ঘাটতি দেখা দেবে না।