কর্নেল সমগ্র

» সোনার ডমরু

এক ডমরুনাথ নেপাল সীমান্তে একটি প্রাচীন তীর্থক্ষেত্র। কিন্তু জনসমাগম বছরে সেই একবার-বৈশাখ মাসে বাবা ডমরুনাথের পুজো উপলক্ষে। বাকি এগারো মাস খাঁ খাঁ নিঃঝুম অবস্থা। আড়াইহাজার ফুট পাহাড়ের মাথায় বাবার মন্দির। ঘোরালো একফালি রাস্তা পাহাড় ঘুরেContinue Reading

দূরবীন

» একষট্টি থেকে সত্তর পরিচ্ছেদ

“ভাই হেমকান্ত, তোমার পত্রখানি ঠিক তিন দিন আগে পাইয়াছি। তাহার পর হইতে কেবলই ভাবিতেছি, তোমাকে কী লিখিব। ভাবিয়া দেখিলাম, দুইটি পন্থা আছে। তোমার মানসিক বৈকল্যে এলেপ দিতে দু-একটা সান্ত্বনার কথা, স্তোকবাক্য অথবা এই বৈকল্যকে তোমারContinue Reading

কর্নেল সমগ্র

» জিরো জিরো জিরো

আমার বৃদ্ধ বন্ধু প্রকৃতিবিজ্ঞানী কর্নেল নীলাদ্রি সরকারের ঘরে ঢুকেই আমি হতবাক। তিনি চাঁদের হাট বসিয়ে মৌজ করছেন। এ যে  জলে শিলা ভেসে যায়, বানরে সঙ্গীত গায়, দেখিলেও না হয় প্রত্যয়! না, কর্নেল মোটেও বদমেজাজী মানুষContinue Reading

কর্নেল সমগ্র

» ফাঁদ

এ সমুদ্রে অ্যাল্‌বাট্রস পাখি নেই। তবু একটা রেস্তোঁরা-কাম-বারের নাম অ্যাল্‌বাট্রস। ভারতের পূর্ব-উপকূলে এমন চমৎকার মিষ্টি স্বভাবের টাউনশিপই বা কটা আছে? সমুদ্রও এখানে বেশ শান্ত। মার্চের দক্ষিণবায়ু দুপুরেরর দিকে দাপাদাপি করলেও বিকেলে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। ঢেউগুলোContinue Reading

কর্নেল সমগ্র

» পরগাছা

: প্রথম স্তর কর্নেল নীলাদ্রি সরকারের সঙ্গে অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসের মঞ্চে গ্রুপ থিয়েটারের একটা নাটক দেখতে গিয়েছিলাম। নাটকের নাম পরগাছা। পরগাছার প্রতি আমার খেয়ালি প্রকৃতিবিদ বন্ধুর আসক্তিকে প্রায় পাগলামি বলা চলে। এই বৃদ্ধ বয়সেওContinue Reading

কর্নেল সমগ্র

» কর্নেল সমগ্র

প্রসঙ্গত শুরুটা ছিল আকস্মিক এবং চটজলদি। সত্তরের দশকের গোড়ার দিকের কথা। শ্রদ্ধেয় কবি মণীন্দ্র রায় তখন সাপ্তাহিক অমৃত পত্রিকার সম্পাদক। একদিন ডাক দিয়ে বললেন, শিগগির একটা উপন্যাস চাই। ধারাবাহিক বেরুবে। ফিরে গিয়েই লিখতে বসো। তৎকালেContinue Reading

উপমহাদেশ

» উপমহাদেশ

গ্রন্থকথা ‘উপমহাদেশ’ কবি আল মাহমুদ রচিত মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক উপন্যাস। মুক্তিযুদ্ধের সময়কার জীবনচিত্রকে আশ্রয় করে লেখা উপন্যাসটিকে ঐতিহাসিক উপন্যাস বলা না গেলেও যুদ্ধের ভয়াবহতা, হিংস্রতা, যুদ্ধের মাঝে প্রেম, দেশপ্রেম সব কিছুরই প্রতিচ্ছবি সত্যনিষ্ঠ ভাবে তুলে ধরারContinue Reading

হরিদাসের গুপ্তকথা

» » তৃতীয় কল্প : আর এক আবর্তন

ভারতবর্ষের উত্তরে গিরিরাজ হিমালয়; পুরাণে পাওয়া যায়, হিমালয়ের উপর দিয়ে স্বর্গে যাবার পথ। আমি মাণিকগঞ্জের উত্তরে এসেছি; এখানে স্বর্গের পথ নাই; এখানে যদি আমি অমরকুমারীর সন্ধান পাই, এখানে যদি আমি অমরকুমারীর দর্শন পাই, তা হোলেContinue Reading

হরিদাসের গুপ্তকথা

» » দ্বিতীয় কল্প : কুমারী-অন্বেষণ

আমি মাণিকগঞ্জে যাব। হেতু কি, দীনবন্ধুবাবুকে আর পশুপতিবাবুকে সেটি জানালেম; নিশ্চয় অমরকুমারীকে সেখানে পাওয়া যাবে, সে বিষয়ে তাঁদের প্রতীতি জন্মিল না, তথাপি অন্বেষণ করা কর্ত্তব্য, এই বিবেচনায় তাঁরা আমারে অনুমতি দিলেন। মণিভূষণকে সংবাদ দেওয়া গেল,Continue Reading

হরিদাসের গুপ্তকথা

» » প্রথম কল্প : বঙ্গে প্রত্যাগমন

পথে কোন বিঘ্ন উপস্থিত হলো না, যথাযোগ্য যানবাহনে আমরা যথাসময়ে মুর্শিদাবাদে উপস্থিত হোলেম। বাড়ীর কর্ত্তার অদর্শনে সকলেই উদ্বিগ্ন ছিলেন, যদিও মধ্যে মধ্যে ডাকবাহকেরা উদ্বেগশান্তির দৌত্যকার্য্য কোরেছিল, তথাপি প্রভু সশরীরে উপস্থিত না থাকলে পরিবারবর্গের আকাঙ্ক্ষিত শান্তিContinue Reading

হরিদাসের গুপ্তকথা

» » দ্বিতীয় খণ্ড

গ্রন্থপরিচয় ‘হরিদাসের গুপ্তকথা’ নামের বইটি বেশ দুষ্প্রাপ্য। বইটি সম্পর্কে অনেকের ধারণা যে এটি বোধহয় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য আপাত নিষিদ্ধ ধরনের কোন বই। কিন্তু বইটি এককালে বেশ জনপ্রিয় ছিল। বইটির লেখক শ্রীভুবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়Continue Reading

হরিদাসের গুপ্তকথা

» » ঊনত্রিংশ কল্প : রহস্য প্রকাশ

রাজপুত্রের নিকেতনে আমি উপস্থিত। যে ঘরে গিয়ে আমি প্রবেশ কোল্লেম, কুমার বাহাদুর তখন সে ঘরে ছিলেন না। দেখলেম, একটি নূতন লোক। সেই লোক আমারে অভ্যর্থনা কোরে সেইখানে বসালেন। আমি হরিদাস, আমার অসাক্ষাতে সে কথা তিনিContinue Reading

হরিদাসের গুপ্তকথা

» » অষ্টাবিংশ কল্প : গ্রহ সুপ্রসন্ন

গভীর নিশীথকালেও বনবাসী শৃগালেরা রব করে। নিশাকালে প্রহরে প্রহরে শৃগালের রব শুনা যায়। আমাদের সঙ্গীত-শাস্ত্রের গুরুমহাশয়েরা দিবা-রজনীর কালভেদে ভিন্ন ভিন্ন রাগরাগিণীর ভেদ নির্দ্ধারণ কোরে রেখেছেন, শৃগালের রবেও সেইরূপ কালভেদ স্বরভেদ বুঝা যায়; কিঞ্চিৎ অভিনিবেশ পূর্ব্বকContinue Reading

হরিদাসের গুপ্তকথা

» » সপ্তবিংশ কল্প : এ সকল কি ব্যাপার?

ডাকাতের আড্ডায় একটি দয়াময় সাধপুরষ। তিনি ডাকাত নন, সে কথা ঠিক। ডাকাতের চেহারা ভয়ঙ্কর হয়, ডাকাতেরা কালো হয়, এটা যেন একরকম বাঁধাকথার মধ্যেই গণ্য। যে সকল মূর্ত্তি আমরা দেখতে পাই না, অথচ যাদের নাম শুনলে,Continue Reading

হরিদাসের গুপ্তকথা

» » ষড়্‌বিংশ কল্প : নূতন বিপত্তি!

বরদায় জঙ্গল অনেক। বুদ্ধির ভ্রমে একদিন আমি একাকী সন্ধ্যার পূর্ব্বে ভ্রমণে বহির্গত হই, পথেই সন্ধ্যা হয়, পথ ভুলে আমি বনের দিকে গিয়ে পড়ি। বরদা বাস্তবিক তীর্থস্থান নয়, কিন্তু অনেক দেশের অনেক লোক নানা কার্য্যে এইContinue Reading

হরিদাসের গুপ্তকথা

» » পঞ্চবিংশ কল্প : নূতন তীর্থ

বহরমপুরের আদালতে মোকদ্দমা। কতদিনে সে মোকদ্দমা শেষ হবে, কতদিনে অমরকুমারীকে পাওয়া যাবে, কতদিনে আমি আবার অমরকুমারীর দর্শন পাবো, দর্শনের আশা কতদিনে আমারে শান্তি দান কোরবে, সমস্তই ভবিষ্যতের গর্ভগত। নিষ্কর্ম্মা হয়ে বহরমপুরে বোসে থাকা আমি আরContinue Reading

হরিদাসের গুপ্তকথা

» » চতুর্ব্বিংশ কল্প : নূতন আনন্দ;—নূতন ভয়।

ঘর থেকে বেরিয়ে ছোটবাবুর সম্মুখে গিয়ে আমি দাঁড়ালেম। যে ঘরখানি আমার শয়নের জন্য নির্দ্দিষ্ট হয়েছিল, সে ঘরে প্রবেশ না কোরে, মণিভূষণের সঙ্গে তিনি আর একটী ঘরে গিয়ে বোসলেন, আমিও তাদের সঙ্গে সঙ্গে সেই ঘরে গেলেম।Continue Reading

হরিদাসের গুপ্তকথা

» » ত্রয়োবিংশ কল্প : আমার ভূতের ভয়

কার্ত্তিকমাসে দুর্গাপূজা হয়ে গিয়েছে, সুতরাং অগ্রহায়ণমাসে রাসযাত্রা। মাঝের রাসের দিন বৈকালে পশুপতিবাবু আমারে বোল্লেন, “হরিদাস, রাস দেখতে যাবে?” রাস কখনো আমি দেখি নাই; কি রকম রাস, রাসে কি কি দেখা যায়, কেহ কখনো আমারে সেContinue Reading

হরিদাসের গুপ্তকথা

» » দ্বাবিংশ কল্প : কৃষ্ণকামিনী

পুজার মঙ্গলাচরণে পুজার পূর্ব্বে আগমনীগীত হয়; পূজাবাড়ীতেও আগমনী আনন্দ বর্দ্ধিত হয়ে থাকে; সম্পর্কীয় নানাস্থান থেকে কুটম্বসাক্ষাতের আগমন হয়। সচরাচর নারী-কুটুম্বিকাই অধিক। দীনবন্দুবাবুর বাড়ীতে প্রায় ২০/২৫টী কুটুম্বিকা এসেছিলেন, পুর্ণিমার পূর্ব্বেই কতকগুলি বিদায় হয়ে গিয়েছেন, কতকগুলি আছেন,Continue Reading

হরিদাসের গুপ্তকথা

» » একবিংশ কল্প : নূতন চাকরী

বাবু দীনবন্ধু চট্টোপাধ্যায়ের নিবাস মুর্শিদাবাদ, এ কথা পূর্ব্বেই উল্লেখ করা গিয়াছে, যথাসময়ে আমরা মুর্শিদাবাদে উপনীত হোলেম। রক্তদন্তের ভয়ে এ অঞ্চলে শীঘ্র ফিরে আসবার ইচ্ছা ছিল না, কিন্তু বিধাতার ইচ্ছায়, দীনবন্ধবাবুর যত্নে, অনুগ্রহে, অনুরোধে কাজে কাজেইContinue Reading