১ বর্তমানের কবি আমি ভাই, ভবিষ্যতের নই ‘নবী’, কবি ও অকবি যাহা বলো মোরে মুখ বুঁজে তাই সই সবি! কেহ বলে, ‘তুমি ভবিষ্যতে যে ঠাঁই পাবে কবি ভবীর সাথে হে! যেমন বেরোয় রবির হাতে সেContinue Reading

আমি গাই তারি গান– দৃপ্ত-দম্ভে যে-যৌবন আজ ধরি অসি খরশান হইল বাহির অসম্ভবের অভিযানে দিকে দিকে। লক্ষ যুগের প্রাচীন মমির পিরামিডে গেল লিখে তাদের ভাঙার ইতিহাস-লেখা। যাহাদের নিশ্বাসে জীর্ণ পুথির শুষ্ক পত্র উড়ে গেল একContinue Reading

আয় বেহেশ‍্‍তে কে যাবি, আয় প্রাণের বুলন্দ দরওয়াজায়, ‘তাজা-ব-তাজা’-র গাহিয়া গান চির-তরুণের চির-মেলায়! আয় বেহেশ‍্‍তে কে যাবি আয়॥ যুবা-যুবতির সে দেশে ভিড়, সেথা যেতে নারে বুঢ‍্‍ঢা পীর, শাস্ত্র-শকুন জ্ঞান-মজুর যেতে নারে সেই হুরি-পরির শারাব সাকিরContinue Reading

আয় রে আবার আমার চির-তিক্ত প্রাণ! গাইবি আবার কণ্ঠছেঁড়া বিষ-অভিশাপ-সিক্ত গান। আয় রে চির-তিক্ত প্রাণ!    আয় রে আমার বাঁধন-ভাঙার তীব্র সুখ জড়িয়ে হাতে কালকেউটে গোখরো নাগের পীত চাবুক! হাতের সুখে জ্বালিয়ে দে তোর সুখেরContinue Reading

আমি শ্রান্ত হয়ে আসব যখন পড়ব দোরে টলে, আমার লুটিয়ে-পড়া দেহ তখন ধরবে কি ওই কোলে?          বাড়িয়ে বাহু আসবে ছুটে?          ধরবে চেপে পরানপুটে?          বুকে রেখে চুমবে কি মুখ                নয়নজলে গলে? আমিContinue Reading

মহান তুমি প্রিয় এই কথাটির গৌরবে মোর চিত্ত ভরে দিয়ো॥ অনেক আশায় বসে আছি যাত্রা-শেষের পর তোমায় নিয়েই পথের পারে বাঁধব আমার ঘর– হে চির-সুন্দর! পথ শেষ সেই তোমায় যেন করতে পারি ক্ষমা, হে মোরContinue Reading

আবার কখন আসবে ফিরে সেই আশাতে জাগবে রাত, হয়তো সে কোন নিশুত রাতে ডাকবে এসে অকস্মাৎ সেই আশাতে জাগব রাত। যতই কেন বেড়াও ঘুরে বরণ-বনের গহন জুড়ে দূর সুদূরে, কাঁদলে আমি আসবে ছুটে, রইতে তুমিContinue Reading

কল্যাণীয়া শামসুন নাহার খাতুন জয়যুক্তাসু শত নিষেধের সিন্ধুর মাঝে অন্তরালের অন্তরীপ তারই বুকে নারী বসে আছে জ্বালি বিপদ-বাতির সিন্ধু-দীপ। শাশ্বত সেই দীপান্বিতার দীপ হতে আঁখি-দীপ ভরি আসিয়াছ তুমি অরুণিমা-আলো প্রভাতি তারার টিপ পরি। আপনার তুমিContinue Reading

[কবি শরদিন্দু রায়ের অকালমৃত্যু উপলক্ষ্যে] বাঁশির দেবতা! লভিয়াছ তুমি হাসির অমর-লোক, হেথা মর-লোকে দুঃখী মানব করিতেছি মোরা শোক! অমৃত-পাথারে ডুব দিলে তুমি ক্ষীরোদ-শয়ন লভি, অনৃতের শিশু মোরা কেঁদে বলি, মরিয়াছ তুমি কবি! হাসির ঝঞ্ঝা লুটায়েContinue Reading

তখনও অস্ত যায়নি সূর্য, সহসা হইল শুরু অম্বরে ঘন ডম্বরু-ধ্বনি গুরুগুরুগুরু গুরু। আকাশে আকাশে বাজিছে এ কোন্ ইন্দ্রের আগমনি? শুনি, অম্বুদ-কম্বু-নিনাদে ঘন বৃংহিত-ধ্বনি। বাজে চিক্কুর-হ্রেষা-হর্ষণ মেঘ-মন্দুরা-মাঝে, সাজিল প্রথম আষাঢ় আজিকে প্রলংকর সাজে! ঘনায় অশ্রু-বাষ্প-কুহেলি ঈশান-দিগঙ্গনে,Continue Reading

শত যোজনের কত মরুভূমি পারায়ে গা, কত বালুচরে কত আঁখি-ধারা ঝরায়ে গো, বরষের পরে আসিলে ঈদ! ভুখারীর দ্বারে সওগাত বয়ে রিজওয়ানের, কণ্টক-বনে আশ্বাস এনে গুল-বাগের, সাকিরে ‘জামের’ দিলে তাগিদ! খুশির পাপিয়া পিউ পিউ গাহে দিগ‍্‍বিদিক,Continue Reading

কে তুমি খুঁজিছ জগদীশ ভাই আকাশ পাতাল জুড়ে’ কে তুমি ফিরিছ বনে-জঙ্গলে, কে তুমি পাহাড়-চূড়ে? হায় ঋষি দরবেশ, বুকের মানিকে বুকে ধরে তুমি খোঁজ তারে দেশ-দেশ। সৃষ্টি রয়েছে তোমা পানে চেয়ে তুমি আছ চোখ বুঁজে,Continue Reading

বাংলার অগ্নি-নাগিনি মেয়ে মুসলিম-মহিলা-কুল-গৌরব আমার জগজ্জননী-স্বরূপা মা মিসেস এম. রহমান সাহেবার পবিত্র চরণারবিন্দে – এমনই প্লাবন-দুন্দুভি-বাজা ব্যাকুল শ্রাবণ মাস– সর্বনাশের ঝান্ডা দুলায়ে বিদ্রোহ-রাঙা-বাস ছুটিতে আছিনু মাভৈঃ-মন্ত্র ঘোষি অভয়কর, রণ-বিপ্লব-রক্ত-অশ্ব কশাঘাত-জর্জর! সহসা থমকি দাঁড়ানু আমার সর্পিল-পথ-বাঁকে,Continue Reading

বিরাট-প্রাণ, কবি দরদী– প্রিন্সিপাল শ্রীযুক্ত সুরেন্দ্রনাথ মৈত্র শ্রীচরণারবিন্দেষু দেখিয়াছি হিমালয়, করিনি প্রণাম, দেবতা দেখিনি, দেখিয়াছি স্বর্গধাম।… সেদিন প্রথম যবে দেখিনু তোমারে, হে বিরাট মহাপ্রাণ, কেন বারেবারে মনে হল এত দিনে দেখিনু দেবতা! চোখ পুরে এলContinue Reading

কান্না-হাসির খেলার মোহে অনেক আমার কাটল বেলা, কখন তুমি ডাক দেবে মা, কখন আমি ভাঙব খেলা? অজানাকে আনতে জিনে, জগৎটাকে ফেলনু চিনে, চাই যারে মা তায় দেখি নে ফিরে এনু তাই একেলা পরাজয়ের লজ্জা নিয়েContinue Reading

তিমির রাত্রি –‘এশা’র আজান শুনি দূর মসজিদে, প্রিয়হারা কার কান্নার মত এ-বুকে আসিয়া বিঁধে! আমির-উল-মুমেনীন, তোমার স্মৃতি যে আজানের ধ্বনি–জানে না মুয়াজ্জিন! তকবির শুনি শয্যা ছাড়িয়া চকিতে উঠিয়া বসি, বাতায়নে চাই–উঠিয়াছে কি রে গগনে মরুরContinue Reading

নাই বা পেলাম আমার গলায় তোমার গলার হার, তোমায় আমি করব সৃজন, এ মোর অহঙ্কার! এমনি চোখের দৃষ্টি দিয়া তোমায় যারা দেখল প্রিয়া, তাদের কাছে তুমি তুমিই। আমার স্বপনে তুমি নিখিল রূপের রাণী মানস-আসনে!– সবাইContinue Reading

তুমি আমায় ভালোবাসো তাই তো আমি কবি। আমার এ রূপ-সে যে তোমায় ভালোবাসার ছবি॥ আপন জেনে হাত বাড়ালো- আকাশ বাতাস প্রভাত-আলো, বিদায়-বেলার সন্ধ্যা-তারা পুবের অরুণ রবি,— তুমি ভালোবাস ব’লে ভালোবাসে সবি?    আমার আমি লুকিয়েছিলContinue Reading

ওগো ও কর্ণফুলী, উজাড় করিয়া দিনু তব জলে আমার অশ্রুগুলি। যে লোনা জলের সিন্ধু-সিকতে নিতি তব আনাগোনা, আমার অশ্রু লাগিবে না সখী তার চেয়ে বেশি লোনা! তুমি শুধু জল করো টলমল; নাই তব প্রয়োজন আমারContinue Reading

[তখন শরৎ-সন্ধ্যা। আশমানের আঙিনা তখন কারবালা ময়দানের মতো খুনখারাবির রঙে রঙিন। সেদিনকার মহা-আহবে গ্রিক-সৈন্য সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হইয়া গিয়াছে। তাহাদের অধিকাংশ সৈন্যই রণস্থলে হত অবস্থায় পড়িয়া রহিয়াছে। বাকি সব প্রাণপণে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করিতেছে। তুরস্কের জাতীয় সৈন্যদলের কাণ্ডারীContinue Reading