১ বারেবারে যথা কালবৈশাখী ব্যর্থ হল রে পুব-হাওয়ায়, দধীচি-হাড়ের বজ্র-বহ্নি বারেবারে যথা নিভিয়া যায়, কে পাগল সেথা যাস হাঁকি– ‘বৈশাখী কালবৈশাখী!’ হেথা বৈশাখী-জ্বালা আছে শুধু, নাই বৈশাখী-ঝড় হেথায়। সে জ্বালায় শুধু নিজে পুড়ে মরি, পোড়াতেContinue Reading

দেখিনু সেদিন রেলে, কুলি বলে এক বাবুসাব তারে ঠেলে দিলে নীচে ফেলে! চোখ ফেটে এল জল, এমনি করে কি জগৎ জুড়িয়া মার খাবে দুর্বল? যে দধীচিদের হাড় দিয়ে ঐ বাষ্প-শকট চলে, বাবু সাব এসে চড়িলContinue Reading

তোমরা আমায় দেখতে কি পাও আমার গানের নদী-পারে? নিত্য কথার কুহেলিকায় আড়াল করি আপনারে। সবাই যখন মত্ত হেথায় পান করে মোর সুরের সুরা, সব-চেয়ে মোর আপন যে জন সে-ই কাঁদে গো তৃষ্ণাতুরা। আমার বাদল-মেঘের জলেContinue Reading

ওরে হত্যা নয় আজ ‘সত্যাগ্রহ’ শক্তির উদ্বোধন! দুর্বল! ভীরু! চুপ রহো, ওহো খামখা ক্ষুব্ধ মন! ধ্বনি উঠে রণি’ দূর বাণীর, – আজিকার এ খুন কোরবানীর! দুম্বা-শির রুম্-বাসীর শহীদের শির সেরা আজি!- রহমান কি রুদ্র নন? ব্যাস!Continue Reading

অ মা! তোমার বাবার নাকে কে মেরেছে ল্যাং? খ্যাঁদা নাকে নাচছে ন্যাদা – নাক ডেঙাডেং ড্যাং! ওঁর নাকটাকে কে করল খ্যাঁদা র‍্যাঁদা বুলিয়ে? চামচিকে-ছা বসে যেন ন্যাজুড় ঝুলিয়ে! বুড়ো গোরুর টিকে যেন শুয়ে কোলা ব্যাং!Continue Reading

খালেদ! খালেদ! শুনিতেছে নাকি সাহারার আহা-জারি? কত ‘ওয়েসিস’ রচিল তাহার মরু-নয়নের বারি। মরীচিকা তার সন্ধানী-আলো দিকে দিকে ফেরে খুঁজি কোন নিরালায় ক্লান্ত সেনানী ডেরা গাড়িয়াছ বুঝি! বালু-বোররাকে সওয়ার হইয়া ডাক দিয়া ফেরে ‘লু’, তব তরেContinue Reading

কাঠবেড়ালি! কাঠবেড়ালি! পেয়ারা তুমি খাও? গুড়-মুড়ি খাও? দুধ-ভাত খাও? বাতাবি-নেবু? লাউ? বেড়াল-বাচ্চা? কুকুর-ছানা? তাও— ডাইনি তুমি হোঁৎকা পেটুক, খাও একা পাও যেথায় যেটুক! বাতাবি-নেবু সকলগুলো একলা খেলে ডুবিয়ে নুলো! তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুসContinue Reading

যাত্রীরা রাত্তিরে হ’তে এল খেয়া পার, বজ্রেরি তুর্যে এ গর্জেছে কে আবার? প্রলয়েরি আহ্বান ধ্বনিল কে বিষাণে ঝঞ্ঝা ও ঘন দেয়া স্বনিল রে ঈশানে! নাচে পাপ-সিন্ধুতে তুঙ্গ তরঙ্গ! মৃত্যুর মহানিশা রুদ্র উলঙ্গ! নিঃশেষে নিশাচর গ্রাসেContinue Reading

কী যে ছাই ধানাই-পানাই – সারাদিন বাজছে সানাই, এদিকে কারুর গা নাই আজই না মামার বিয়ে! বিবাহ! বাস, কী মজা! সারাদিন মণ্ডা গজা গপাগপ খাও না সোজা দেয়ালে ঠেসান দিয়ে। তবু বর হচ্ছিনে ভাই, বরেরContinue Reading

মা ডেকে কন, ‘খোকন-মণি! গপ্‌প তুমি জানো? কও তো দেখি বাপ!’ কাঁথার বাহির হয়ে তখন জোর দিয়ে এক লাফ বললে খোকন, ‘গপপ জানি, জানি আমি গানও!’ বলেই খুদে তানসেন সে তান জুড়ে জোর দিল –Continue Reading

চুন করে মুখ প্রাচীর পরে বসে শ্রীযুত খোকা, কেননা তার মা বলেছেন সে এক নিরেট বোকা। ডানপিটে সে খোকা এখন মস্ত একটা বীর, হুংকারে তাঁর হাঁস মুরগির ছানার চক্ষুস্থির! সাত লাঠিতে ফড়িং মারেন এমনই পালোয়ান!Continue Reading

আসিলে কে গো অতিথি উড়ায়ে নিশান সোনালী। ও চরণ ছুঁই কেমন হাতে মোর মাখা যে কালি॥ দখিনের হালকা হাওয়ায় আসলে ভেসে সুদূর বরাতি শবে-রাত আজ উজালা গো আঙিনায় জ্বলল দীপালি॥ তালিবান ঝুমকি বাজায়, গায় মোবারক-বাদContinue Reading

তোমার কণ্ঠে রাখিয়া এসেছি মোর কণ্ঠের গান– এইটুকু শুধু রবে পরিচয়? আর সব অবসান? অন্তর-তলে অন্তরতর যে ব্যথা লুকায়ে রয়, গানের আড়ালে পাও নাই তার কোনদিন পরিচয়? হয়ত কেবলই গাহিয়াছি গান, হয়ত কহিনি কথা, গানেরContinue Reading

না ফুরাতে শরতের বিদায়-শেফালি, না নিবিতে আশ্বিনের কমল-দীপালি, তুমি শুনেছিলে বন্ধু পাতা-ঝরা গান ফুলে ফুলে হেমন্তের বিদায়-আহবান! অতন্দ্র নয়নে তব লেগেছিল চুম ঝর-ঝর কামিনীর, এল চোখে ঘুম রাত্রিময়ী রহস্যের; ছিন্ন শতদল হ’ল তব পথ-সাথী; হিমানী-সজলContinue Reading

পাইনি বলে আজো তোমায় বাসছি ভাল, রাণী, মধ্যে সাগর, এ-পার ও-পার করছি কানাকানি! আমি এ-পার, তুমি ও-পার, মধ্যে কাঁদে বাধার পাথার ও-পার হ’তে ছায়া-তরু দাও তুমি হাতছানি, আমি মরু, পাইনে তোমার ছায়ার ছোঁওয়াখানি। নাম-শোনা দুইContinue Reading

এপার ওপার জুড়িয়া অন্ধকার মধ্যে অকূল রহস্য-পারাবার, তারি এই কূলে নিশি নিশি কাঁদে জাগি চক্রবাক সে চক্রবাকীর লাগি। ভুলে যাওয়া কোন জন্মান্তর পারে কোন সুখ-দিনে এই সে নদীর ধারে পেয়েছিল তারে সারা দিবসের সাথী, তারপরContinue Reading

প্রিয়! সামলে ফেলে চলো এবার চপল তোমার চরণ! তোমার ওই চলাতে জড়িয়ে গেছে আমার জীবন-মরণ।      কোথায় দূরে নূপুর বাজে তোমার পায়ে,   হেথায় রোদন আমার ওঠে উথলায়ে,   তোমার উদাসীন ওই বিষম চলারContinue Reading

কোদালে মেঘের মউজ উঠেছে গগনের নীল গাঙে, হাবুডুবু খায় তারা-বুদ্‌বুদ, জোছনা সোনায় রাঙে। তৃতীয় চাঁদের ‘শাম্পানে’ চড়ি চলিছে আকাশ-প্রিয়া, আকাশ দরিয়া উতলা হল গো পুতলায় বুকে নিয়া। তৃতীয়া চাঁদের বাকি ‘তেরো কলা’ আবছা কালোতে আঁকা,Continue Reading

[ছন্দ :- “এই পথটা কা-ট্‌ব পাথর ফেলে মা-র্‌ব”] ছোট্ট বোন্‌টি লক্ষ্মী ভো ‘জটায়ু পক্ষী’! য়্যাব্বড়ো তিন ছত্র পেয়েছি তোর পত্র। দিইনি চিঠি আগে, তাইতে কি বোন্ রাগে? হচ্ছে যে তোর কষ্ট বুঝতেছি খুব পষ্ট। তাইতেContinue Reading

প্রাচী’র দুয়ারে শুনি কলরোল সহসা তিমির-রাতে, মেসেরের শের, শির, শমশের–সব গেল এক সাথে! সিন্ধুর গলা জড়ায়ে কাঁদিতে–দু’ তীরে ললাট হানি ছুটিয়া চলেছে মরু-বকৌলি ‘নীল’ দরিয়ার পানি! আঁচলের তার ঝিনুক মাণিক কাদায় ছিটায়ে পড়ে, সোঁতের শ্যাওলাContinue Reading