ছায়ানট প্রচ্ছদ

ছায়ানট

‘কাজী নজরুল ইসলাম’ রচিত কাব্যগ্রন্থ ‘ছায়ানট’ আশ্বিন ১৩৩২ বঙ্গাব্দ, মুতাবিক সেপ্টেম্বর ১৯২৫ খৃষ্টাব্দে প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। এই কাব্যে কবিতা ও গান মিলিয়ে রয়েছে পঞ্চাশটি। গ্রন্থটি ‘ব্রজবিহারী বর্ম্মণ রায়’ কর্তৃক ‘বর্ম্মণ পাবলিশিং হাউস’, ১৯৩ কর্ণওয়ালিশContinue Reading

ছায়ানট প্রচ্ছদ

বিজয়িনী

হে মোর রাণী! তোমার কাছে হার মানি আজ শেষে। আমার বিজয়-কেতন লুটায় তোমার চরণ-তলে এসে। আমার সমর-জয়ী অমর তরবারী দিনে দিনে ক্লান্তি আনে, হয়ে ওঠে ভারী, এখন এ ভার আমার তোমায় দিয়ে হারি, এই হার-মানা-হারContinue Reading

ছায়ানট প্রচ্ছদ

কমল-কাঁটা

আজকে দেখি হিংসামদের মত্ত-বারণ-রণে জাগ্‌ছে শুধু মৃণালকাঁটা আমার কমলবনে। উঠল কখন ভীম কোলাহল, আমার বুকের রক্তকমল কে ছিঁড়িল-বাঁধ-ভরা জল শুধায় ক্ষণে ক্ষণে। ঢেউয়ের দোলায় মরাল-তরী নাচ্‌বে না আনমনে॥ কাঁটাও আমার যায় না কেন, কমল গেলContinue Reading

ছায়ানট প্রচ্ছদ

চৈতি হাওয়া

১ হারিয়ে গেছ অন্ধকারে-পাইনি খুঁজে আর আজকে তোমার আমার মাঝে সপ্ত পারাবার! আজকে তোমার জন্মদিন – স্মরণবেলায় নিদ্রাহীন হাত্‌ড়ে ফিরি হারিয়ে-যাওয়ার অকূল অন্ধকার! এই-সে হেথাই হারিয়ে গেছে কুড়িয়ে-পাওয়া হার! ২ শূন্য ছিল নিতল দীঘির শীতলContinue Reading

ছায়ানট প্রচ্ছদ

বেদনা-অভিমান

ওরে আমার বুকের বেদনা! ঝঞ্ঝা-কাতর নিশীথ রাতের কপোত সম রে আকুল এমন কাঁদন কেঁদো না। কখন সে কার ভুবনভরা ভালোবাসা হেলায় হারালি, তাইতো রে আজ এড়িয়ে চলে সকল স্নেহে পথে দাঁড়ালি! ভিজে ওঠে চোখের পাতাContinue Reading

ছায়ানট প্রচ্ছদ

নিশীথ-প্রীতম্

হে মোর প্রিয়, হে মোর নিশীথ-রাতের গোপন সাথি! মোদের দুইজনারেই জনম ভরে কাঁদতে হবে গো – শুধু এমনি করে সুদূর থেকে, একলা জেগে রাতি॥ যখন ভুবন-ছাওয়া আঁচল পেতে নিশীথ যাবে ঘুম, আকাশ বাতাস থমথমাবে সবContinue Reading

ছায়ানট প্রচ্ছদ

অ-বেলায়

বৃথাই ওগো কেঁদে আমার কাটল যামিনী। অবেলাতেই পড়ল ঝরে কোলের কামিনী– ও সে শিথিল কামিনী॥ খেলার জীবন কাটিয়ে হেলায় দিন না যেতেই সন্ধেবেলায় মলিন হেসে চড়ল ভেলায় মরণ-গামিনী। আহা একটু আগে তোমার দ্বারে কেন নামিনি।Continue Reading

ছায়ানট প্রচ্ছদ

হার-মানা-হার

তোরা কোথা হতে কেমনে এসে মণি-মালার মতো আমার কণ্ঠে জড়ালি। আমার পথিক-জীবন এমন করে ঘরের মায়ায় মুগ্ধ করে বাঁধন পরালি॥ আমায় বাঁধতে যারা এসেছিল গরব করে হেসে তারা হার মেনে হায় বিদায় নিল কেঁদে, তোরাContinue Reading

ছায়ানট প্রচ্ছদ

লক্ষ্মীছাড়া

আমি নিজেই নিজের ব্যথা করি সৃজন। শেষে সে-ই আমারে কাঁদায়, যারে করি আপ্‌নারই জন॥ দূর হতে মোর বাঁশির সুরে পথিক-বালার নয়ন ঝুরে তার ব্যথায়-ভরাট ভালোবাসায় হৃদয় পুরে গো! তারে যেমনি টানি পরান-পুটে অমনি সে হায়Continue Reading

ছায়ানট প্রচ্ছদ

শেষের গান

আমার বিদায়-রথের চাকার ধ্বনি ঐ গো এবার কানে আসে। পুবের হাওয়া তাই কেঁদে যায় ঝাউয়ের বনে দিঘল শ্বাসে॥ ব্যথায় বিবশ গুলঞ্চ ফুল মালঞ্চে আজ তাই শোকাকুল, মাটির মায়ের কোলের মায়া ওগো আমার প্রাণ উদাসে॥ অঙ্গContinue Reading

ছায়ানট প্রচ্ছদ

নিরুদ্দেশের যাত্রী

নিরুদ্দেশের পথে যেদিন প্রথম আমার যাত্রা হল শুরু। নিবিড় সে-কোন্ বেদনাতে ভয়-আতুর এ বুক কাঁপল দুরু-দুরু॥ মিটল না ভাই চেনার দেনা, অমনি মু্হুর্মুহু ঘরছাড়া ডাক করলে শুরু অথির বিদায়-কুহু উহু উহু উহু! হাতছানি দেয় রাতেরContinue Reading

ছায়ানট প্রচ্ছদ

চিরন্তনী প্রিয়া

এসো এসো এসো আমার চির-পুরানো! বুক জুড়ে আজ বসবে এসো হৃদয়-জুড়ানো! আমার   চির-পুরানো! পথ বিপথে কতই আমার নিত্য নূতন বাঁধন এসে যাচে, কাছে এসেই অমনি তারা পুড়ে মরে আমার আগুন আঁচে।  তারা এসে ভালোবাসার আশায়Continue Reading

ছায়ানট প্রচ্ছদ

বেদনা-মণি

একটি শুধু বেদনা মাণিক আমার মনের মণিকোঠায় সেই তো আমার বিজন ঘরে দুঃখ রাতের আঁধার টুটায়॥ সেই মাণিকের রক্ত-আলো ভুলাল মোর মন ভুলাল গো। সেই মাণিকের করুণ কিরণ আমার বুকে মুখে লুটায়। আজ রিক্ত আমিContinue Reading

ছায়ানট প্রচ্ছদ

পরশ পূজা

আমি এদেশ হতে বিদায় যেদিন নেব প্রিয়তম, আর কাঁদবে এ বুক সঙ্গীহারা কপোতিনী সম, তখন   মুকুর পাশে একলা গেহে    আমারই এই সকল দেহে চুমব আমি চুমব নিজেই অসীম স্নেহে গো, আহা পরশ তোমারContinue Reading

ছায়ানট প্রচ্ছদ

অনাদৃতা

ওরে অভিমানিনী! এমন করে বিদায় নিবি ভুলেও জানিনি। পথ ভুলে তুই আমার ঘরে দু-দিন এসেছিলি, সকল সহা! সকল সয়ে কেবল হেসেছিলি। হেলায় বিদায় দিনু যারে ভেবেছিনু ভুলব তারে হায়! ভোলা কি তা যায়? ওরে হারা-মণি! এখনContinue Reading

ছায়ানট প্রচ্ছদ

শায়ক-বেঁধা পাখী

রে নীড়-হারা, কচি বুকে শায়ক-বেঁধা পাখী! কেমন করে কোথায় তোরে আড়াল দিয়ে রাখি? কোথায় রে তোর কোথায় ব্যথা বাজে? চোখের জলে অন্ধ আঁখি কিছুই দেখি না যে? ওরে মাণিক! এ অভিমান আমায় নাহি সাজে— তোরContinue Reading

ছায়ানট প্রচ্ছদ

হারামণি

এমন করে অঙ্গনে মোর ডাক দিলি কে স্নেহের কাঙালি! কে রে ও তুই কে রে? আহা ব্যথার সুরে রে, এমন চেনা স্বরে রে, আমার   ভাঙা ঘরের শূন্যতারই বুকের পরে রে। এ কোন পাগল স্নেহ-সুরধুনীরContinue Reading

ছায়ানট প্রচ্ছদ

নীল পরী

ঐ সর্ষে ফুলে লুটাল কার হলুদ-রাঙা উত্তরী। উত্তরী-বায় গো– ঐ আকাশ-গাঙে পাল তুলে যায় নীল সে পরীর দূর তরী॥ তার অবুঝ বীণার সবুজ সুরে মাঠের নাটে পুলক পুরে, ঐ গহন বনের পথটি ঘুরে আসছে দূরে কচিপাতাContinue Reading

ছায়ানট প্রচ্ছদ

স্নেহ-ভীতু

ওরে এ কোন্ স্নেহ-সুরধুনী নামল আমার সাহারায়? বক্ষে কাঁদার বান ডেকেছে, আজ হিয়া কূল না হারায়! কণ্ঠে চেপে শুষ্ক তৃষা মরুর সে পথ তপ্ত সিসা, চলতে একা পাইনি দিশা ভাই; বন্ধ নিশাস–একটু বাতাস! এক ফোঁটাContinue Reading

ছায়ানট প্রচ্ছদ

পলাতকা

কোন্‌ সুদূরের চেনা বাঁশীর ডাক শুনেছিস্‌ ওরে চখা? ওরে আমার পলাতকা! তোর পড়লো মনে কোন্‌ হারা-ঘর, স্বপন-পারের কোন অলকা? ওরে আমার পলাতকা! তোর   জল ভরেচে চপল চোখে, বল   কোন হারা-মা ডাকলো তোকে রে?Continue Reading