অ-বেলায়

বৃথাই ওগো কেঁদে আমার কাটল যামিনী।
অবেলাতেই পড়ল ঝরে কোলের কামিনী–
ও সে শিথিল কামিনী॥
খেলার জীবন কাটিয়ে হেলায়
দিন না যেতেই সন্ধেবেলায়
মলিন হেসে চড়ল ভেলায়
মরণ-গামিনী।
আহা
একটু আগে তোমার দ্বারে কেন নামিনি।
আমার অভিমানিনী॥
ঝরার আগে যে কুসুমে দেখেও দেখি নাই
ও যে
বৃথাই হাওয়ায় ছড়িয়ে গেল, ছোট্ট বুকের একটু সুরভি
আজ তারই সেই শুকনো কাঁটা বিঁধচে বুকে ভাই –
আহা
সেই সুরভি আকাশ কাঁদায় ব্যথায় যেন সাঁঝের পূরবী।
জানলে না সে ব্যথাহতা
পাষাণ-হিয়ার গোপন কথা,
বাজের বুকেও কত ব্যথা
কত দামিনী!
আমার
বুকের তলায় রইল জমা গো –
না-কওয়া সে অনেক দিনের অনেক কাহিনি।
আহা
ডাক দিলি তুই যখন, তখন কেন থামিনি!
আমার অভিমানিনী॥

দৌলতপুর, কুমিল্লা

বৈশাখ ১৩২৮