» » প্রতিবেশিনী

বর্ণাকার

প্রতিবেশিনী

আমার ঘরের পাশ দিয়ে সে চলত নিতুই সকাল-সাঁঝে।

আর এ পথে চলবে না সে সেই ব্যথা হায় বক্ষে বাজে॥

আমার দ্বারের কাছটিতে তার ফুটত লালী গালের টোলে,

টলত চরণ, চাউনি বিবশ কাঁপত নয়ন-পাতার কোলে –

কুঁড়ি যেমন প্রথম খোলো গো!

কেউ কখনও কইনি কথা,

কেবল নিবিড় নীরবতা

সুর বাজাত অনাহতা

গোপন মরম-বীণার মাঝে॥

মূক পথের আজ বুক ফেটে যায় স্মরি তারই পায়ের পরশ

বুক-খসা তার আঁচর-চুমু,

রঙিন ধুলো পাংশু হল, ঘাস শুকাল যেচে বাচাল

জোড়-পায়েলার রুমঝুমু!

আজও আমার কাটবে গো দিন রোজই যেমন কাটত বেলা,

একলা বসে শূন্য ঘরে – তেমনি ঘাটে ভাসবে ভেলা –

অবহেলা হেলাফেলায় গো!

শুধু সে আর তেমন করে

মন রবে না নেশায় ভরে

আসার আশায় সে কার তরে

সজাগ হয়ে সকল কাজে।

ডুকরে কাঁদে মন-কপোতী–

‘কোথায় সাথির কূজন বাজে?

সে পা-র ভাষা কোথায় রাজে?’

দেওঘর

মাঘ ১৩২৭