বেদনা-অভিমান
ওরে আমার বুকের বেদনা!
ঝঞ্ঝা-কাতর নিশীথ রাতের কপোত সম রে
আকুল এমন কাঁদন কেঁদো না।
কখন সে কার ভুবনভরা ভালোবাসা হেলায় হারালি,
তাইতো রে আজ এড়িয়ে চলে সকল স্নেহে পথে দাঁড়ালি!
ভিজে ওঠে চোখের পাতা তোর,
একটি কথায় – অভিমানী মোর!
ডুকরে কাঁদিস বাঁধনহারা, ‘ওগো, আমায় বাঁধন বেঁধো না’।
বাঁধন গৃহের সইল না তোর,
তাই বলে কি মায়াও ঘরের ডাক দেবে না তোকে?
অভিমানী গৃহহারা রে!
চললে একা মরুর পথেও
সাঁঝের আকাশ মায়ের মতন ডাকবে নত চোখে,
ডাকবে বধূ সন্ধ্যাতারা যে!
জানি ওরে, এড়িয়ে যারে চলিস তারেই পেতে চলিস পথে।
জোর করে কেউ বাঁধে না তাই বুক ফুলিয়ে চলিস বিজয়-রথে।
ওরে কঠিন! শিরীষকোমল তুই!
মর্মর তোর মর্মে ছাপা বেল কামিনী জুঁই!
বুকপোরা তোর ভালবাসা, মুখে মিছে বলিস ‘সেধো না’।
আমার বুকের বেদনা।
দৌলতপুর, কুমিল্লা
জ্যৈষ্ঠ ১৩২৮