গান।
“ওরে আকাশের পাখী—
কেন চাস্ জল?
আশে পাশে জলধর (তোর)
করে ঢল ঢল;
শুনিয়াছি তুই নব—
ঘন বারি বিনা।
আর কোন বারি তুই
পান করিবি না;
তবে কেন বার বার
চাস্ তুই জল?
হিয়াতে বাজে রে, হই
পরাণে বিকল;
মরা মানুষের কথা
মনে পড়ে পাখী,
বিঁধ না হৃদয়ে আর
বার বার ডাকি;
তোর কি জলের দুখ
ও ফটীক জল!
আশে পাশে জলধর
(তোর) করে ঢল ঢল।”
পাহাড়ির ঢালু গায়ে
চরে গাভী পাল;
ভাগাভাগি দুই দল
হইল রাখাল।
একদল কাছে থাকি,
দেখিবে গোধন,
পাহাড়ে বেড়াতে চলে
আর কয় জন।
হাতেতে মারিয়া তালি
দৌড়িল উধাও,
আঁকা বাঁকা পথ ধরি
করেছে চড়াও;
ছোট ছোট ঝোপ গুলি
ডিঙি ডিঙি যায়,
চোখ বুজি শশ-শিশু
ঝোপেতে লুকায়;
দৌড়িতে দৌড়িতে পদ
অবশ হইল,
সমুখের গোপ যুবা
হঠাৎ থামিল;
একে একে সবে আসি
দাঁড়ায় তখন,
ফিরিয়া দেখিল হোথা
চরিছে গোধন;
ছাতিম ছায়ায় আছে
কয় জন বসি,
ঝরণার ধারে তাছে—
‘হলা’, ‘রাকা’ ‘শশী’;
‘হলারে’ বলিয়া ডাক
ছাড়িল যুগল,
চাহিয়া দেখিল হেথা
রাখালের দল।