চোখের চাতক

» আজি বাদল ঝরে

৬ ভৈরবী-আশাবরি–আদ্ধা কাওয়ালি আজি বাদল ঝরে মোর একেলা ঘরে হায় কী মনে পড়ে মন এমন করে॥ হায় এমন দিনে কে নীড়হারা পাখি যাও কাঁদিয়া কোথায় কোন্ সাথিরে ডাকি। তোর ভেঙেছে পাখা কোন্ আকুল ঝড়ে॥ আয়Continue Reading

চোখের চাতক

» মোর ঘুম ঘোরে এলে

৭ ভৈরবী-গজল–দাদরা মোর ঘুমঘোরে এলে মনোহর নমো নম, নমো নম, নমো নম। শ্রাবণ-মেঘে নাচে নটবর ঝমঝম ঝমঝম ঝমঝম॥ শিয়রে বসি চুপি চুপি চুমিলে নয়ন মোর বিকশিল আবেশে তনু নীপসম নিরুপম মনোরম॥ মোর ফুলবনে ছিল যতContinue Reading

চোখের চাতক

» কেউ ভোলে না কেউ ভোলে

৮ মান্দ–কাহারবা কেউ ভোলে না কেউ ভোলে অতীত দিনের স্মৃতি। কেউ দুখ লয়ে কাঁদে, কেউ   ভুলিতে গায় গীতি॥ কেউ শীতল জলদে হেরে   অশনির জ্বালা, কেউ মঞ্জুরিয়া তোলে তার   শুষ্ক কুঞ্জ-বীথি॥ হেরে কমল-মৃণালেContinue Reading

চোখের চাতক

» যাও যাও তুমি ফিরে

৯ ভৈরবী–দাদরা যাও যাও তুমি ফিরে এই   মুছিনু আঁখি। কে বাঁধিবে তোমারে হায়   বনের পাখি॥ মোর এত প্রেম আশা মোর এত ভালোবাসা আজ সকলই দুরাশা আর   কী দিয়ে রাখি॥ এই অভিমান-জ্বালা মোরContinue Reading

চোখের চাতক

» ফাগুন-রাতের ফুলের নেশায়

১০ পিলু–কাহারবা ফাগুন-রাতের ফুলের নেশায় আগুন-জ্বালায় জ্বলিতে আসে। যে দীপশিখায় পুড়িয়া মরে পতঙ্গ ঘোরে তাহারি পাশে॥ অথই দুখের পাথার-জলে সুখের রাঙা কমল-দোলে, কূলের পথিক হারায় দিশা দিবস নিশা তাহারি বাসে॥ সুখের আশায় মেশায় ওরা বুকেরContinue Reading

চোখের চাতক

» নিশীথ-স্বপন তোর ভুলে যা

১১ ভৈরবী–দাদরা নিশীথ-স্বপন তোর ভুলে যা এ নিশি-শেষে বাদল-অবসানে আকাশ উঠেছে হেসে॥ চখার পাশে আসে বিরহ-রাতের চখি। আঁধার লুকাল ঐ দূর বনে এলোকেশে॥ শরম-রাঙা গালে জাগিল কুমারী উষা, তরুণ অরুণ ঐ এল রাঙা বর-বেশে॥Continue Reading

চোখের চাতক

» ঘোর তিমির ছাইল রবি শশী

১২ বাগেশ্রী–কাওয়ালি ঘোর তিমির ছাইল রবি শশী গ্রহ তারা। কাঁপে তরাসে ভীতা ধরণী অসীম আঁধারে হারা॥ প্রলয়েশ মহাকাল এলায়েছে জটাজাল, নাচিছে ঝড়ের বেগে সুরধুনী-জলধারা॥ চমকি চমকি ওঠে চপলা চপল-ফণা, লুকাইল শিশুশশী, মুরছিতা দিগঙ্গনা। চাতকী চাতক-বুকেContinue Reading

চোখের চাতক

» দারুণ পিপাসায় মায়া-মরীচিকায়

১৩ জয়জয়ন্তী–একতালা দারুণ পিপাসায় মায়া-মরীচিকায় চাহিতে এলি জল বনের হরিণী। দগ্ধ মরুতল কে তোরে দেবে জল ঝরিবে আঁখি-নীর তোরই নিশিদিনি॥ নিবায়ে গৃহদীপ আপন নিশাসে আলেয়ার পিছে এলি সুখ-আশে, সে সুখ অবসান সমুখেতে শ্মশান পিছনে অন্ধকারContinue Reading

চোখের চাতক

» এত কথা কি গো কহিতে জানে

১৪ খাম্বাজ-দেশ–দাদরা এত কথা কি গো কহিতে জানে চঞ্চল ওই আঁখি। নীরব ভাষায় কী যে কহে যায় মনের বনের পাখি– চঞ্চল ওই আঁখি॥ মুদিত কমলে ভ্রমরেরই প্রায় বন্দি হইয়া কাঁদিয়া বেড়ায়, চাহিয়া চাহিয়া মিনতি জানায়Continue Reading

চোখের চাতক

» মন কেন উদাসে

১৫ (শুদ্ধ) সারং–একতালা    মন কেন উদাসে। (এই)   ফাগুন-বাতাসে॥  যাহারে না পাইনু কভু এ জীবনে,  সে কেন গো কাঁদাতে আসে নিতি স্মরণে। কুসুমের গন্ধে গো তারই সুবাস ভাসে॥ কেন এ সমীরে  সে আসে ফিরে ফিরে,Continue Reading

চোখের চাতক

» আমার গহীন জলের নদী

১৬ ভাটিয়ালী–কাহারবা আমার গহীন জলের নদী। আমি তোমার জলে রইলাম ভেসে জনম অবধি॥ তোমার বানে ভেসে গেল আমার বাঁধা ঘর চরে এসে বসলাম রে ভাই ভাসালে সে চর। এখন সব হারায়ে তোমার জলে রে আমিContinue Reading

চোখের চাতক

» তোমায় কূলে তুলে বন্ধু

১৭ ভাটিয়ালি–কার্ফা তোমায় কূলে তুলে বন্ধু আমি নামলাম জলে। আমি কাঁটা হয়ে রই নাই বন্ধু তোমার পথের তলে॥ আমি তোমায় ফুল দিয়েছি কন্যা তোমার বন্ধুর লাগি যদি আমার শ্বাসে শুকায় সে ফুল তাই হলাম বিবাগি।Continue Reading

চোখের চাতক

» আমার সাম্পান যাত্রী না লয়

১৮ ভাটিয়ালি–কার্ফা আমার সাম্পান যাত্রী না লয় ভাঙা আমার তরী। আমি আপনারে লয়ে রে ভাই এপার ওপার করি॥ আমায় দেউলিয়া করেছে রে ভাই যে নদীর জল আমি ডুবে দেখতে এসেছি ভাই সেই জলেরই তল। আমিContinue Reading

চোখের চাতক

» ওরে মাঝি ভাই

১৯ ভাটিয়ালি–কাহারবা ওরে মাঝি ভাই। তুই কী দুখ পেয়ে কূল হারালি অকূল দরিয়ায়॥ তোর ঘরের রশি ছিঁড়ে রে গেল– ঘাটের কড়ি নাই, তুই মাঝদরিয়ায় ভেসে চলিস ভাসিয়ে তরি তাই। ও ভাই দরিয়ায় আসে জোয়ার-ভাটি রেContinue Reading

চোখের চাতক

» কেন প্রাণ ওঠে কাঁদিয়া

২০ কীর্তন কেন প্রাণ ওঠে কাঁদিয়া কাঁদিয়া কাঁদিয়া কাঁদিয়া গো॥ আমি যত ভুলি ভুলি করি তত আঁকড়িয়া ধরি তত মরি সাধিয়া সাধিয়া সাধিয়া সাধিয়া গো॥ শ্যামের সে রূপ ভোলা কি যায় নিখিল শ্যামল যার শোভায়।Continue Reading

চোখের চাতক

» আঁধার রাতে কে গো একেলা

২১ দেশ-পিলু–দাদরা আঁধার রাতে কে গো একেলা নয়ন-সলিলে ভাসালে ভেলা। কাঁদিয়া কারে খোঁজো ওপারে আজও যে তোমার প্রভাতবেলা॥ কী দুখে আজি যোগিনী সাজি আপনারে লয়ে এ হেলাফেলা॥ সোনার কাঁকন ও দুটি করে হেরো গো জড়ায়েContinue Reading

চোখের চাতক

» কী হবে লাল পাল তুলে

২২ ভাটিয়ালি–কার্ফা কী হবে লাল পাল তুলে ভাই সাম্পানের উপর। তোর পালে যত লাগবে হাওয়া রে ও ভাই  ঘর হবে তোর ততই পর॥ তোর কী দুঃখ হায় ভুলতে চাস ভাই, ছেঁড়া পাল রাঙিয়ে, এবার পরানContinue Reading

» সুকান্তের অপ্রচলিত রচনা

: পরিচিতি সুকান্ত ভট্টাচার্যের অগ্রন্থিত ও প্রচলিত রচনাসমূহের সঙ্কলন। ‘ক্ষুধা’ গল্পটি ২রা এপ্রিল ১৯৪৩-এর অরণি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। অরুণাচলকে লেখা ২৭শে চৈত্র ১৩৪৯ তারিখের চিঠিতে এই গল্পটির উল্লেখ করেছেন সুকান্ত। ‘দুর্বোধ্য’ গল্পটি ২৮শে মে ১৯৪৩-এরContinue Reading

» আজিকার দিন কেটে যায়

আজিকার দিন কেটে যায়,— অনলস মধ্যাহ্ন বেলায় যাহায় অক্ষয় মূর্তি পেয়েছিনু খুঁজে তারি পানে আছি চক্ষু বুজে। আমি সেই ধনুর্ধর যার শরাসনে অস্ত্র নাই, দীপ্তি মনে মনে, দিগন্তের স্তিমিত আলোকে পূজা চলে অনিত্যের বহ্নিময় স্রোতে।Continue Reading

» চৈত্রদিনের গান

চৈতীরাতের হঠাৎ হাওয়া আমায় ডেকে বলে, “বনানী আজ সজীব হ’ল নতুন ফুলে ফুলে। এখনও কি ঘুম-বিভোল? পাতায় পাতায় জানায় দোল বসন্তেরই হাওয়া। তোমার নবীন প্রাণে প্রাণে, কে সে আলোর জোয়ার আনে? নিরুদ্দেশের পানে আজি তোমারContinue Reading