সুকান্তের অপ্রচলিত রচনা : পরিচিতি
সুকান্ত ভট্টাচার্যের অগ্রন্থিত ও প্রচলিত রচনাসমূহের সঙ্কলন।
- ‘ক্ষুধা’ গল্পটি ২রা এপ্রিল ১৯৪৩-এর অরণি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। অরুণাচলকে লেখা ২৭শে চৈত্র ১৩৪৯ তারিখের চিঠিতে এই গল্পটির উল্লেখ করেছেন সুকান্ত।
- ‘দুর্বোধ্য’ গল্পটি ২৮শে মে ১৯৪৩-এর অরণি পত্রিকায় চিত্র-গল্প হিসাবে প্রকাশিত হয়েছে।
- ‘ভদ্রলোক’ গল্পটিও অরণিতে ১৪ই ফ্রেব্রুয়ারী ১৯৪৭ সালে প্রকাশিত হয়েছে।
- ‘দরদী কিশোর’ গল্পটি সাপ্তাহিক জনযুদ্ধ পত্রিকায় কিশোর বিভাগে ২৮শে এপ্রিল ১৯৪৩ সালে প্রকাশিত হয়।
- ‘কিশোরের স্বপ্ন’ গল্পটি জনযুদ্ধের কিশোর বিভাগে ৬ই অক্টোবর ১৯৪৩ সালে প্রকাশিত হয়। জনযুদ্ধে প্রকাশিত গল্প দুটি শ্রীসুধী প্রধানের সহায়তায় সংগৃহীত।
- ‘ছন্দ ও আবৃত্তি’ প্রবন্ধটি ২৫শে ফেব্রুয়ারী ১৯৪৪-এর অরণিতে প্রকাশিত হয়েছে।
- গানটির রচনাকাল আনুমানিক ১৯৪০। এটি ‘সূর্য-প্রণাম’-এর সমকালীন একটি অসম্পূর্ণ গীতিকাব্যের প্রথমাংশ বলে মনে হয়।
- এই গানটি শ্রীবিমল ভট্টাচার্য তাঁর স্মৃতি থেকে উদ্ধার করে দিয়েছেন। গানটি গীতিগুচ্ছের গানগুলির সমকালীন বলে মনে হয়।
- সেপ্টেম্বর ১৯৪২-এ প্রকাশিত ‘জনযুদ্ধের গান’ সংকলন গ্রন্থটি থেকে এই গানটি সংগৃহীত।
- গানটি মাসিক বসুমতী, আশ্বিন ১৩৬৩-তে প্রকাশিত হয়েছে। পাণ্ডুলিপিও পাওয়া গেছে। রচনাকাল আনুমানিক ১৯৪৩-৪৪ সাল।
- গানটির রচনাকাল ১৯শে জুলাই ১৯৪৪ সাল।
- ১২-১৩। ‘ভবিষ্যতে’ ও ‘সুচিকিৎসা’—এই ছড়া দুটি শ্রীভূপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের লেখা সুকান্ত-প্রসঙ্গ’, ‘শারদীয়া বসুমতী’, ১৩৫৪-থেকে সংগৃহীত। পাণ্ডুলিপি পাওয়া যায় নি! এগুলি ১৯৪০-এর আগের লেখা বলে অনুমিত।
- পরিচয় ছড়াটির রচনাকাল ১৩৩৯-৪০ সাল বলে মনে হয়।
- এই কবিতাটিও ভূপেন্দ্রনাথের ‘সুকান্ত-প্রসঙ্গ’ প্রবন্ধ থেকে সংগৃহীত। পাণ্ডুলিপি পাওয়া যায়নি, এটি ১৯৪০-এর আগের রচনা।
- ‘চৈত্রদিনের গান’ কবিতাটি শ্রীবিজনকুমার গঙ্গোপাধ্যায় সম্পাদিত ছোটদের ‘শিখা’ পত্রিকার জন্য রচিত। রচনাকাল আনুমানিক ১৯৪০।
- এই কবিতাটি অরুণাচলকে সুকান্ত পত্রাকারে লিখেছিলেন। রচনার তারিখ ১৩ই কার্তিক ১৩৪৮।
- ‘পটভূমি’ কবিতাটির রচনাকাল আনুমানিক ১৯৪২-৪৩।
- ‘ভারতীয় জীবনত্রাণ-সমাজের মহাপ্রয়াণ উপলক্ষে শোকোচ্ছ্বাস (শচীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য-কে)’ — এই শিরোনামায় কবিতাটি লেখা হয়েছিল। দক্ষিণ কলকাতার লেক অঞ্চলের ‘ইণ্ডিয়ান লাইফ সেভিং সোসাইটি’র সদস্য ছিলেন শ্রীশচীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। লেকে যুদ্ধকালীন মিলিটারী ক্যাম্প হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে গেলে সুকান্ত এই কবিতাটি লিখেছিলেন।
- “নব জ্যামিতি”র ছড়া সাপ্তাহিক জনযুদ্ধের কিশোর বিভাগে প্রকাশের উদ্দেশ্যে রচিত হয়েছিল। রচনাকাল আনুমানিক ১৯৪৩।
- ‘জবাব’ কবিতাটি কার্তিক ১৩৫০-এর পরিচয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। কবিতাটি শ্রীঅমিয়ভূষণ চক্রবর্তীর সৌজন্যে প্রাপ্ত।
- ‘চরমপত্র’ কবিতাটির রচনাকাল আনুমানিক ১৯৪৪।
- ১৯৪৪ সালে সুকান্তর মেজদা শ্রীরাখাল ভট্টাচার্য গ্রেফতার হন। তাঁর মুক্তি উপলক্ষে সুকান্ত এই কবিতাটি লেখেন।
- ১৯৪৫ সালে সুকান্ত মেজবৌদি রেণু দেবীর সঙ্গে কাশী বেড়াতে যান। সুকান্ত ফিরে এসে শ্যামবাজারের বাড়ি থেকে এই চিঠিটি তাঁকে লিখেছিলেন। চিঠিটি শ্রীরাখাল ভট্টাচার্য স্মৃতি থেকে উদ্ধার করে দিয়েছেন।
- ‘মার্শাল তিতোর প্রতি’ কবিতাটির রচনাকাল আনুমানিক ১৯৪৬।
- ‘ব্যর্থতা’ কবিতাটি আষাঢ় ১৩৫৩-এর কবিতা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। কবিতাটি ‘মীমাংসা’ কবিতার প্রথম খসড়া বলে মনে হয়।
- ১৯৪৬ সালে রচিত এই কবিতাটি খুলনা ‘সপ্তর্ষি’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। শয্যাশায়ী সুকান্ত ‘রেড-এড কিওর হোম’ হাসপাতালের রাইটিং প্যাডে লিখে এটি পাঠান। কবিতাটি শ্রীমনীশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে প্রাপ্ত।