বর্ষ-বাণী[১]

বৈশাখী

(গান)

—আহ্বান—

এসো এসো এসো হে নবীন

এসো এসো হে বৈশাখ,

এসো আলো এসো হে প্রাণ।

ডাকো কালবৈশাখীর ডাক।

বাতাসে আনো ঝড়ের সুর

যুক্ত করো নিকট-দূর।

মুক্ত করো শতাব্দীরে দিনের প্রতিদানে,

ঝঞ্ঝা আনো বজ্র হানো বিজলী জ্বাল প্রাণে।

পুরানো দিন তপ্ত বায়ে আজকে ঝ’রে যাক॥

বসন্তেরই শান্ত বায়ে পল্লবিনী-লতা

তরুর কোলে দোলনরত লজ্জা-অবনতা।

প্রভাতী-ডাকে তাহারে ডাকো

একেলা কানে কানে

প্রলয় সুরে নাট্যশালা ভরিয়া তোল গানে।

মেঘের বুকে কাজল আঁকো,

জাগাও ঘূর্ণিপাক॥

নিঃস্ব করে বিশ্ব ভুবন দুঃখ-দহন-তাপে

শুষ্ক করো রুক্ষ করো কঠিন অভিশাপে।

সে সন্ন্যাসী একেলা আসি

রিক্ত-ঝুলি হতে

দিলে যে দান জ্বলিল প্রাণ

পুড়িল আরও ওতে।

তৃষ্ণাময়ী ধরণী আজি করুণা মাগে তব

নবীনপ্রাণ, নবীনদান আনো হে নব নব।

পিছনে তাই বৈশাখী ঝড় আশাসে তুলে হাঁক

সূত্রনির্দেশ ও টীকা

  1. গানটির রচনাকাল আনুমানিক ১৯৪০। এটি ‘সূর্য-প্রণাম’-এর সমকালীন একটি অসম্পূর্ণ গীতিকাব্যের প্রথমাংশ বলে মনে হয়।