সুহৃদ্‌বরেষু

কাব্যকে জানিতে হয়, দৃষ্টিদোষে নতুবা পণ্ডিত

শব্দের ঝঙ্কার শুধু যাহা ক্ষীণ জ্ঞানের অতীত।

রাতকানা দেখে শুধু দিবসের আলোকপ্রকাশ,

তার কাছে অর্থহীন রাত্রিকার গভীর আকাশ।

মানুষ কাব্যের শ্রষ্টা, কাব্য কবি করে না সৃজন,

কাব্যের নতুন জন্ম, যেই পথ যখনই বিজন।

প্রগতির কথা শুনে হাসি মোর করুণ পর্যায়

নেমে এল, (স্বেচ্ছাচার বুঝি বা গর্জায়)

যখন নতুন ধারা এনে দেয় দুরন্ত প্লাবন

স্বেচ্ছাচার মনে করে নেমে আসে তখনি শ্রাবণ;

কাব্যের প্রগতি-রথ? (কারে কহে বুঝিতে অক্ষম,

অশ্বগুলি ইচ্ছামতো চরে খায়, খুঁজিতে মোক্ষম!)

সুজীর্ণ প্রগতি-রথ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উইয়ের জ্বালায়

সারথি-বাহন ফেলি’ ইতস্তত বিপথে পালায়।

নতুন রথের পথে মৃতপ্রায় প্রবীণ ঘোটক,

মাথা নেড়ে বুঝে, ইহা অ-রাজযোটক॥

সূত্রনির্দেশ ও টীকা

  1. এই কবিতাটি অরুণাচলকে সুকান্ত পত্রাকারে লিখেছিলেন। রচনার তারিখ ১৩ই কার্তিক ১৩৪৮।