অপ্রকাশিত খণ্ডরচনা
এক১
- বিদ্যা বা লেখাপড়া শেখার ফলে Standard of living-এর standard বাড়বেই এবং economic condition ভালো না হলে পারিবারিক অসন্তোষ বাড়বেই।
- Economic অবস্থা বাড়াবার উপায় একমাত্র শিক্ষিত পুরুষদের industry গড়ে তোলা, ছোট দোকান করবার শিক্ষা ছেলেবেলা থেকে শিখতে হয়। B. A. পাস করার পরে ও জিনিস চলে না, ওখানে অশিক্ষাই বরং কাজের।
- জাতের ছোট-বড় ভাঙ্গার চেষ্টা করতে হবে।
- মুষ্টিমেয় সমাজের মধ্যে থেকে মুষ্টিমেয় বাঙালী ভদ্রসন্তানের অপরিসীম sacrifice কাজে লাগে না। এই মুষ্টিমেয় লোকগুলি যদি সমাজের সর্বস্তরের মধ্যে থেকে আসতো, সমস্ত সমাজের সঙ্গে তার নাড়ীর যোগ থাকতো।
- Permanent Settlement-এর জন্যেই জমিদার, তালুকদার ও অসংখ্য মধ্যবিত্ত middlemen সমস্ত সমাজের economic অবস্থাকে বাড়তে দেয়নি—কেবলমাত্র জমি আঁকড়ে থেকে শুধু কৃষকেরাই যা-কিছু দেশের wealth সৃষ্টি করছে। বোম্বাই প্রভৃতি অঞ্চলে Permanent Settlement না থাকার জন্যই ওদেশে industry-র উন্নতি হচ্ছে। জমি কেনা ও বেশী সুদে লগ্নি কারবার করা এই হচ্ছে বাঙালার ধনী হবার একমাত্র পন্থা।
- কলেজের মেয়ে,—বই মুখস্থ করে, আর পরীক্ষা পাস করার চেষ্টায় ক্রমাগত রাত্রি জাগরণে শরীর-স্বাস্থ্য একেবারে ভেঙ্গে যায়—আর সব লোকসানই পূরণ হতে পারে কিন্তু যে সন্তান এদের জন্মাবে সে চিররুগ্ন হয়েই থাকবে।
দুই২
- সহজ বুদ্ধিই দুনিয়ায় সবচেয়ে অ-সহজ।
- বিশেষ কাজের বিশেষ ধারা পৌনঃপুনিক ব্যবহারে দাঁড়ায় মানুষের অভ্যাসে। সেই ব্যষ্টির অভ্যস্ত কাজ ব্যাপ্ত হয়ে যখন সমষ্টিতে ছড়িয়ে পড়ে তখনই সে হয় আচার।
- আমাদের পূর্বপুরুষেরও পূর্বে যাঁরা, তাঁরা চিন্তা এবং বুদ্ধি দিয়ে দেখিয়েছিলেন বহু ক্লেশসাধ্য কাজের পরিণাম মঙ্গলময়।
- আচার-বিচার কথাটা এক নিঃশ্বাসেই বলি বটে, কিন্তু আচার জিনিসটা বুদ্ধি দিয়ে প্রবর্তিত হয়নি, তাই যুক্তি দিয়েও এর পরিবর্তন হয় না।
- অদৃষ্ট জিনিসটাই চিরদিন জীবনসংগ্রাম ও ধর্মের মাঝে অচ্ছেদ্য ও অফুরন্ত সেতুর শিকলের মতো জুড়ে আছে।
- দৃশ্যমান সকল বস্তুরই আরম্ভটা অজ্ঞেয়তত্ত্বে অদৃশ্য হয়েছে।
- ধর্মনিষ্ঠা অক্ষুণ্ণ রাখতে হলে ধর্মের বই কত পড়তে হয়। সমাজের উন্নতি করতে হলে, সমাজ সম্বন্ধে কত অভিজ্ঞতা দরকার। তার সমস্ত খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা করতে নেই।
সমাপ্ত