তিন
চিকনডিহির এই বাংলোয় চারদিকে কয়েক কিমির মধ্যে কোনও বসতি নেই। শুধু পোড়ো শুকনো বালির ঢেউখেলানো মাঠ, বমিং টলা, কেয়াঝাড় ক্যাকটাস, আর মাঝে মাঝে ঝাউবন। বাংলোটা বিলিতী আমলের-যখন এই সব মাঠে শস্য ও শল্প ছিল। একটা গ্রামও ছিল গোরা সৈনিকদের গোরস্থানের পাশে। এখন ধু ধু শূন্য বালিয়াড়ি সেখানে। সব গেছে, বাংলোটা যায়নি। কদাচিৎ কোনও খেয়ালী আমলা এসে থেকে যায়–নির্জনে ফুর্তির জন্যে। দিগুর ভাষায় রাণ্ডীবাজী করতে। বিহ্বল মজুমদার কবিতা অথবা পদ্য লিখতেন। তিনি নির্জনতা ও বন্ধু বান্ধব (রাত্রিকে ছেড়ে থাকা তার পক্ষে মুশকিল) আর মদ্যপান সমেত সাহিত্যালোচনা চেয়েছিলেন। আমন্ত্রণ তাঁরই। রাতটাও হবে জ্যোৎস্নার। বালিয়াড়ি ঝাউবন চাঁদ নগ্ননির্জনতা ওপেন মাইণ্ডের ওপেন টকস অ্যাণ্ড রিল্যাকসেশান অফ টেনশানস! এই ছিল হতভাগ্য কবি ডি এম এর প্রোগ্রাম। আমরা তিনজন পরস্পর বন্ধু–তবু নিজ নিজ সময় এবং ইচ্ছায় একে একে জুটেছিলুম। আমি ২-১৫ মি: বিকেলে–পায়ে হেঁটে। ডি এমএর জীপগাড়ির ড্রাইভার আমাকে চিনতে পারেনি–আমিও কন্টডিহিতে বাস থেকে নেমে নাক বরাবর চার কিমি দিব্যি হেঁটে এসেছিলুম। দিগন্ত জীপে পৌঁছয় আমার মাত্র পাঁচ মিনিট আগে ২-১০ এ। অমুও আসে জীপে, জীপটা তার জন্যে ফিরে গিয়েছিল কডিহি, তখন বিকেল ৩-৩০মিঃ। আর হোস্ট এসেছিলেন সকাল দশটায়।
সেই জীপটাই কর্নেল সরকারের জন্যে পাঠানো হয়েছিল এবং আটকে পড়েছিল। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত সামরিক অফিসার, দারুণ খামখেয়ালিই বলব–কারণ পথে বালিয়াড়িতে দুতিন ঘণ্টা কাটিয়ে এসেছেন। তার গলায় ঝুলছে ছোট্ট বাইনোকুলার। ওই দিয়ে তিনি এক বিরল জাতের পাখি আবিষ্কার করে আটকে পড়েন। কর্নেল কি অর্নিথোলিজিস্ট? নো, নেভার মাই ইয়ং ফ্রেণ্ডস! বরং ন্যাচারালিস্ট বলতে পারেন–অফ কোর্স, দ্যাটস এ হবি। বার্ডওয়াচিং!
সৌখিন গোয়েন্দা নাকি ভদ্রলোক। বিহ্বল বলেছিলেন। কিন্তু মহিন্দর আর ভারত না ফেরা অব্দি বাংলোর বারান্দায় আমাদের নিয়ে, আশ্চর্য, নির্বিকার গল্পগুজব আর ফাঁকে ফাঁকে ওটা সেটা প্রশ্নও করেছিলেন। কে কী করি, কোথায় থাকি, কখন পৌঁছেছি জেনেও নিলেন। তখন হতভাগিনী রাত্রি হ্যাঁলুসিনেশানের, ঘোরে, মাঝে মাঝে ভুল বকতে বকতে ঘুমিয়ে পড়েছে। কর্নেল কী কায়দায় ওকে ব্রোমাইড জাতীয় ওষুধ খাইয়ে দিলেন–আমরা লক্ষ্য করেছি। কর্নেল বলেছেন– ও ঘুমোক। সকালে দেখা যাবে কী করা যায় ওকে নিয়ে। তাই রাত্রি নিস্তব্ধ এবং গাঢ় ঘুমে ডুবেছে তার বিছানায়।
সোফাগুলো টেনে আমরা বারান্দায় বের করে বসেছিলুম। কর্নেলই কথা বলছিলেন আসলে। আমরা তিনজন ফ্রিজের ঠাণ্ডায় রাখা তিনটি কালো বোতলের মতো। অন্তত নিজের কথা বলতে পারি। বিহ্বল মজুমদারের মৃত্যুটা যদি খুনই হয়, তাহলে–মাই গুডনেস! আমরা তিনজন–আমরা তিনজনই….।
আর ভাবা যায় না। যতবারই এগোচ্ছি, সামনে দেখছি–একটা অতল গভীর খাদ। চুল শক্ত হয়ে উঠছে। হা–ওই খাদটা মারাত্মক। মানে আমরা তিনজন ছাড়া আর কেউ দায়ী কি না–তা নির্ভর করছে জানালার নিচের লোকটার ওপর অর্থাৎ রাত্রির ওপর। রাত্রি আমাদের এখন কম্পাস। কিন্তু কী ছিল সব ইচ্ছে আর কল্পনা–চাঁদ, ঝাউবন, বালিয়াড়ি, নির্জনতা, মদ্যপান! আর কী ঘটে গেল নিয়তির অনিবার্তার মতো! আড়চোখে লনে খোলামেলায় ঘাসে বিহ্বল মজুমদারের মড়াটা দেখছি জ্যোৎস্নায় হুমড়ি খেয়ে পড়ে আছে। অবিশ্বাস্য! এও রাত্রির মতো একটা হ্যালুসিনেশান।
এমন সময় অমু একটু কেসে বলল, কর্নেল, আপনি তো গোয়েন্দা?
বেখাপ্পা হাসলেন কর্নেল।…নাহ্। এও একটা হবি। তা যা বলছিলুম, প্রচণ্ড ব্যক্তিত্বসম্পন্ন কোনও লোককে হত্যা করার সঠিক সময় খুনী বেছে নেয় কখন জানেন? যখন সেই লোকটি অবচেতন ভাবে তোক কিংবা সচেতন ভাবে–নৈতিক দুর্বল অবস্থায় থাকে। তখনই আঘাত হানলে কাজ সফল হয়। সেজন্যেই দেখবেন– সমাজের ওই স্তরের ওই ধরনের লোক অধিকাংশ সময়ে রক্ষিতা বা প্রেমিকার কাছে। থাকার সময় খুন হয়। বাট হিয়ার ইজ এ কোয়াইট ডিফারেন্ট কেস।…..
অমু সোজা হয়ে বলল, মিঃ মজুমদারের খুনী আমাদের তিনজনের একজন। তাই তো কর্ণেল সরকার? ইট অ্যাপিয়ার্স সো। কিন্তু জানালার নিচে সত্যি সত্যি যদি কাকেও দেখে থাকেন রাত্রি?
কর্নেল হাত তুলে বললেন, সেকথা পরে হবে। অফিসারদের আসতে দিন।
অমু কঁপা গলায় বলে উঠল, দেখুন কর্নেল, আমার দৃঢ় ধারণা–মিঃ মজুমদারের গ্লাসে নিশ্চয় কেউ বিষ মিশিয়েছিল–সে বাইরের লোক। আর মিসেস মজুমদারের ওটা হ্যালুসিনেশান নয়। সত্যি কেউ এসেছিল–যখন আমরা ওঁর চিৎকার শুনে দৌড়ে ঘরে আসি তখন সে
ওর কথাটা যুক্তিসিদ্ধ মনে হলো। কেড়ে নিয়ে বললুম–সেটাই খুব সম্ভব। আমরা কী উদ্দেশ্যে মিঃ মজুমদারকে খুন করব? তাই না অমু? এই তো সব বালির ঢিবি, ঝোপঝাঁপ রয়েছে। কেউ নিশ্চয় লুকিয়ে থাকতে পারে।
অমু ঘোঁত ঘোঁত করে বলল, আলবত পারে। আমরা মিঃ মজুমদারের শত্রু। ছিলুম নাবন্ধু। আর খুন করতে হলেই বা বোকার মতো এভাবে করব কেন বলুন। কর্নেল? এ তো সুইসাইডাল ব্যাপার। মোডাস অপারেণ্ডিটা.. ।
কর্নেল ফের হাত তুলে বললেন, প্লীজ, প্লীজ। এবং সেই সময় ফের রাত্রির কণ্ঠস্বর শোনা গেল–দিগুর কবিতাটি আবৃত্তি করেছে। কিন্তু দুটো লাইন বারবার ফিরে আসছে তখনকার মতো : উজ্জ্বলতাগুলি নিল কঠিন শামুক/গোরস্থানে সংহত কফিনে…। আমার কান গরম হয়ে উঠছে ক্রমশ। ওই কবিতাটি কেন লিখল দিগু? তখন সত্যি কি নিয়তি তার কল্পনাকে ভর করেছিল? না আকস্মিক যোগাযোগ?
কর্নেল শুনে বললেন, দেখি কী ব্যাপার? বলে দ্রুত উঠে ঘরে ঢুকলেন।
আমরা পরস্পরের দিকে তাকালুম। কিন্তু কিছু বললুম– না। তিন জোড়া নীল জ্বলজ্বলে চোখ শুধু। আমার গা শিউরে উঠল বারবার। জানালার নিচে একটা লোক–দিগুর মতো পোশাক!
রাত্রি বলেছিল। কিন্তু দিগু তো আমাদের সঙ্গেই ছিল তখন। রাত্রি ভুল করেছে, মস্ত ভুল করেছে।
কর্নেল ফিরে এসে বললেন, ঘুমের ঘোরে বলছে। কবিতাটি ভারি অদ্ভুত তো?
দিগন্ত বলল, ওটা আমার লেখা।
তাই বুঝি? আইডিয়াটা বেশ পরিবেশের সঙ্গে খাপ খেয়ে যায়। ঝাউবনের শব্দ শুনেছেন তো? সেই রকম কীসব ইমেজ আসে। বলে কর্নেল দূরের দিকে তাকালেন। তারপর বললেন–ওরা আসছে এতক্ষণে। কিপ কোয়ায়েট। ভয় পাবার কিছু নেই।…
একটু পরেই দুটো জীপ এসে গেল। তারপর বালির ওপর টর্চের আলো পড়ল ঝলকে ঝলকে। একটা জ্বলন্ত হ্যাঁজাকও বের করা হচ্ছিল গাড়ির ভিতর থেকে। দেখলুম, সাত-আটজন পুলিশ অফিসার আর রাইফেলধারী কনেস্টবল আর গলায় স্টেথো-ঝোলানো ডাক্তার এগিয়ে আসছে। এতক্ষণে প্রচণ্ড ভয়ে সিঁটিয়ে গেলুম। … সেই উজ্জ্বল আলোয় স্লেটে আঁকা খড়ির স্কেচের মতো দেখাল আমাদের।
কর্নেল লাফ দিয়ে লনে নামলেন। আমরা নড়তেও ভয় পাচ্ছিলুম। লাশটার ওপর কুকুর ও শকুন পড়ল বলা যায়। এগোনো পিছন হাঁটু ভাঁজ, ফিতে মাপজোক। সেই খুটিনাটি ব্যাপারগুলোর দিকে আমার একটুও মন নেই। আমার মন রাত্রির দিকে। এখন একবার রাত্রিকে দেখে আসতে কী যে ইচ্ছে করেছে!
ওঁরা মজুমদারের ভাঙা গ্লাসটা নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত। বারান্দার নিচে সশস্ত্র সেপাইরা সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে। আমি আর থাকতে পারলুম না। উঠলুম। অমু চাপা গলায় জিগ্যেস করল, কোথায় যাবি? যাসনে। আমরা খুনের আসামী।
গ্রাহ্য করলুম না। রাত্রি আমাকে টানছিল। নেশার ঝোঁকে ঘরে ঢুকে গেলুম। এত বড় দুর্যোগে রাত্রির পাশে দাঁড়ানো দরকার। তাকে সাহস দেওয়া জরুরী কাজ। রাত্রির ঘরে আলো থাকার কথা–নেই কেন? ছেঁড়া পর্দা তুলতেই চমকে উঠলুম।
জানালা দিয়ে যথেষ্ট আলো পড়েছে চাঁদের। রাত্রির বিছানা খালি–কেউ নেই।
দৌড়ে বেরিয়ে ডাকলুম কর্নেল! কর্নেল। মিসেস মজুমদার বিছানায় নেই।
সবাই একসঙ্গে আমার দিকে তাকাল। তারপর কর্নেল আর একজন অফিসার টর্চ হাতে দৌড়ে এলেন। ঘরে ঢুকে ব্যাপারটা দেখে নিলেন। অফিসারটি কাদের ডেরেক বললেন, চাকলাদার! এক্ষুণি দুজন সেপাই নিয়ে খুঁজুন। ভদ্রমহিলা লুনাটিক–আই মিন ডি এম-এর স্ত্রী কুইক!
চাকলাদার আর সেপাই দুজনের সঙ্গে আমিও বেঁকের বশে দৌড়লুম। কেউ বারণ করল না। কিন্তু রাত্রির জন্যে আর কিছু সইতে পারছিলুম না। আমার অবচেতনে লুকানো ডিনামাইট প্রেমের পিণ্ড ফেটে আগুন ও আওয়াজ দিচ্ছে। বালিয়াড়িতে উঠে ভাঙা গলায় চিৎকার করলুম, রাত্রি! রাত্রি! ওরা চারিদিকে আলো ফেলতে লাগল টর্চের। কিন্তু কখন আমি একা হয়ে পড়েছি দল থেকে। সামনে জ্যোৎস্নায় নির্জন বালিয়াড়ি ঘুমের দেশের মতো পড়ে রয়েছে। তারপর দেখলুম গোরা গোরস্থানের সেই ভাঙাচোরা মনুমেন্টটা। ওখানেই গোরস্থান। কয়েকপা এগোতেই চোখে পড়ল–কে যেন টলতে টলতে হেঁটে যাচ্ছে! হ্যাঁ– রাত্রি! বালির ওপর এগোতে তার কষ্ট হচ্ছে নিশ্চয়। কয়েকটি লাফে গিয়ে তার সামনে দাঁড়ালুম।
কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে হাঁফাতে হাঁফাতে বলে উঠল–না, না! দোহাই তোমার-আমাকে মেরো না। খুন করো না আমাকে!
ধমক দিয়ে বললুম–আঃ কী হচ্ছে! রাত্রি, রাত্রি, শোনো
তার হাত ধরামাত্র সে চেঁচিয়ে ওঠার চেষ্টা করল–কিন্তু গোঁ গোঁ শব্দ হল শুধু–আর তখনই চাকলাদারের জোরালো আলো এসে পড়ল আমাদের ওপর।
অচৈতন্য রাত্রিকে ধরাধরি করে বয়ে আনলুম আমরা।
এসে দেখি রীতিমতো কনফারেন্স বসেছে ভিতরের বড় ঘরটায়। বাইরে অমু বসে রয়েছে। বারান্দায় সেপাইরা, ভারত আর ড্রাইভার দুজন ফিসফিস করে কথা বলছে। অমু চাপা স্বরে বলল, দিগুর স্টেটমেন্ট নিচ্ছে। আমাদেরও নেবে।
আমি ক্লান্ত। রাত্রিকে তার ঘরে নিয়ে গেল চাকলাদাররা। আমি রাত্রির কথা ভাবতে থাকলুম। কেন রাত্রি আমাকে দেখে চমকাল? কী উদ্দেশ্যে সে গোরস্থানে। যাচ্ছিল? আর আমাকে দেখামাত্র কেন অমন করল? কী ছিল আমার চোখে মুখে? সেই অবচেতন ডিনামাইট ফেটে যাবার পরের চিহ্নগুলো বা ভাজ, পোড়া পাথর, উষ্ণতা?
অমুর ডাক এল। সে মার্চ করে ঢুকল যেন। সেই মুহূর্তে মনে পড়ে গেল লনে টেবিল সাজানোর সময় যখন বারান্দায় দাঁড়িয়ে দৃশ্য দেখছিলুম, অমু তখন একবার বেরিয়েছিল। বালির ঢিপির আড়ালে তাকে হারাতে দেখেছিলুম। মাই গুডনেস! ওই ঢিবির ওদিকেই তো কবরখানাটা! তবে কি
না, আর ভাবব না। ভাববার কিছু থাকলে, রাত্রির কথা। রাত্রির বড় দুঃখের দিন এল, নাকি রাত্রির বড় সুখের দিন এল! অনেক টাকা পাবে রাত্রি। ইনসিওরেন্সের টাকা, সরকারী সহায়তাবাবদ টাকা।
কিন্তু হঠাৎ আমার গা ঘুলিয়ে হাসি ঘৃণা রাগ বিরক্তি অস্বস্তির হুটোপুটি বেধে গেল–মুরগির ঘরে শেয়াল ঢোকার মতো অবস্থা। কলকাতার হরকান্ত সেন লেনের তেলেভাজাওয়ালা ভুজঙ্গের সেই পিলেওঠা সুন্দর মেয়েটা যুবক ও কিশোররা বাগে পেলেই যার নতুন স্তনের নরমতার খবর নিত, তার নাম কী ছিল? নিশ্চয় রাত্রি নয়–অন্য কিছু। গোপালী? –গোপালী। গোপালীকে ভুজঙ্গ কলেজ অব্দি পড়িয়েছিল। তারপর গোপালী হলো রাত্রি। থিয়েটারে নেমেছিল কিছুকাল। ফিলমেও অল্পস্বল্প। খুব উঁট হয়েছিল কয়েকটা বছর। ভুজঙ্গ মারা গেছে। ভুজঙ্গের বউ তো গোপালীর দেড় বছর বয়সে মারা যায়। তারপর রাত্রি হিন্দুস্থান পার্কে সঁটের সঙ্গে বাস করত কোন এক মিলন গাঙ্গুলির বউ হয়ে। তারপর সে এক লম্বা কাহিনী। ডি এম কী বেকায়দায় পড়ে ওকে বিয়ে করে ফেলেছিলেন, জানিনে। তারপর মিলন গাঙ্গুলির অবস্থা বোঝা যায়। মাই! মাই! তবে কি সবটাই
না। জানলার নিচের লোকটা স্রেফ হ্যাঁলুসিনেশন। মার্লো পোঁতি লিখেছেন।
ঘৃণা-ঘৃণা জীবনকে থুঃ, থুঃ! রাত্রিকে–থুঃ থুঃ! ছেনাল খানকি বেশ্যাকে থুঃ থুঃ! তার উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে–থুঃ থুঃ।
সেপাইটা পিছন থেকে বলল, বমিবমি লাগছে স্যার? আমি ঘাড় ঘুরিয়ে তাকে। দেখলুম। লোকটার চোখে সন্দিগ্ধতা! তারপর আমার ডাক এল।…