» » জানালার নীচে একটা লোক

বর্ণাকার

সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ

কর্নেল সমগ্র

জানালার নীচে একটা লোক

এক

ধীরে বও, ধীরে

সুবচনী হে বাতাস, এ সন্ধ্যায় আজ

বিষাদের সুর বাজে, মৃত্যু অনুগামী।

উজ্জ্বলতাগুলি নিল কঠিন শামুক

গোরস্থানে সংহত কফিনে…

শ্রীদিগন্ত সেন থামল। এবং তখন সন্ধ্যা ও সবরকম শব্দ খুব বিষাদগ্রস্ত নরমতায় গলে পড়ছে, এমনকি আকাশে কিছু জলহাঁসকেও ‘আঁক আঁক’ ধ্বনিপুঞ্জ নখের আঁচড় দিয়ে ঝেড়ে ফেলতে দেখছি আমরা–ঠিক ওইভাবেই গাছের পাতা থেকে শিশির ঝরে যায়, হয়তো চারজনের মধ্যে আমিই একা বুকে ও মস্তিষ্কে হিমবাহ চলনশীল টের পাচ্ছি, এ একটা অদ্ভুত সন্ধ্যা চিকনডিহির বাংলোয়।

শুধু শ্ৰীঅমর্ত্য (৩৪), আমাদের দ্বান্দ্বিক তত্ত্ববাদী বন্ধু এবং হার্বার্ট মারকুইসের ভক্ত অমর্ত্য রায় বলে উঠল, বড় সেকেলে–কিন্তু আমরা কেউ-ই বাক্যটা নিলুম না।

কবি দিগন্তের (৩৬) খুনীদের মতো চৌকো চোয়াল, একরাশ চুল পেঁয়াজের শেকড়ের মতো, তামাটে রঙ, ক্ষুদে কুতকুতে চোখে পুরু কাচের চশমা। টকটকে লাল শার্টের নিচে ডোরাকাটা ঢিলে পাতলুন, পায়ে বেঢপ পেতলের বকলেসলাগা চটি। সেই পেতলটা থেকে আলো, চিকনডিহির মাঠে বালির পাহাড়ের চূড়া থেকে যে আলো আসছিল, মুছে যেতে দেখলুম। এবং আমার মনে হল, সত্যি কি ও ত্রিশদশকী বিষাদবায়ুগ্রস্ত প্রেমিক? রাত্রি আমাদের হোস্টও মাননীয় বন্ধু জেলাশাসক শ্রীবিহ্বল মজুমদারের (৪২) বউ শ্ৰীমতী রাত্রি (২৬) দরজার ধারে দাঁড়িয়ে কী দেখতে দেখতে হঠাৎ ঘুম পাচ্ছে বলে চলে গেলেন পর্দার আড়ালে।

মনে হল, কারো কথা বলতে ইচ্ছে করছে না কিছুক্ষণ। এটা কি দিগুর ওই ত্রিশদশকী কবিতা আবৃত্তির দরুণ, নাকি নির্জন চিকনডিহির মাঠের এই প্রাকৃতিক ঘটনাবলী? ঠিক বোঝা গেল না।

এই সময় চাপা স্বরে অমু বলল বিহ্বলকে (ডি এমকে বিহুটিহু বলতে পারা যায় না), লুম্বিনীতে কিছু হল না তো এক কাজ করলে পারতেন–ডক্টর বাগচীর কাছে, মানে এস কে বাগচী, নার্ভ স্পেশালিস্ট যিনি… ।

বিহ্বল একটু হেসে বললেন, সেও হয়ে গেছে। ও কিছু হবার নয়।

আমরা ফের দুতিন মিনিট চুপ করে থাকলুম। হুঁ, কবিতায় কিংবা চিকনডিহির মাঠে কিংবা সন্ধ্যাবেলায় কী ছিল বা কী থাকে, সব সুবচনীকে ধীরে বইতে হয়। আর কী হিম মস্তিষ্কে! কিছু ভাবতে ভালো লাগে না, কিছু ভালো লাগে না! ঘুলিয়ে যায় যুক্তি ও বিবেক, মরিয়া হতে ইচ্ছা করে অনিবার্যের বিরুদ্ধে। আমি হতভাগিনী রাত্রির কথা ভাবতে চেষ্টা করলুম। রাত্রি আমার নতুনতম আবিষ্কার–এখানে চিকনডিহির বাংলোয় জেলা শাসকের ঘরণী! মুখ তুলে ঘাড় উঁচু করে কষ্টে তাকাতে হচ্ছে তার দিকে। আর ওই রাত্রিকে একদা মাথা নিচু করলেই দেখতে পেতুম–এবং বুকের নিচে। হায়, সে এখন মাথার ওপর কতদূরে! চেনা যায় না, চেনা যায় না!

সেই রহস্যময় রুদ্ধবাক যেন জড়ভরত, ভারত বেয়ারা (আমার নাম-অ ভারত অ-অছি) দুটো সাদা জীনের বোতল রেখে গেল আর পাঁচটা গ্লাস। তিনজনে তাকাতাকি করলুম। রাত্রিও বসবে নাকি? কিন্তু লনে চেয়ার রয়েছে ছটা–একটায় রাত্রি এসে একবার বসেছিল তিন-চার মিনিট। তারপর জানালার ধারে যাই বাবা, এসব পোষায় না, বলে উঠে গিয়েছিল। ডি এম বেচারা সত্যি বড্ড বিব্রত বোধ করছেন স্ত্রীকে নিয়ে। পাগল হলে বেঁধে রাখা যায়, কিংবা রাঁচিটাচিতে রাত্রির অসুখ দুর্বোধ্য। কতকটা হ্যালুসিনেশান আর সিজোফ্রেনিয়ার মাঝামাঝি। তা এতক্ষণে আমাদের যেন চমক লাগল। চেয়ার ছ’টা কেন? গ্লাসই বা পাঁচটা কেন?

বিহ্বল মৃদু উচ্চারণ করলেন, ভারত, বরফ। ভারত-অ চলে গেল শূন্য ট্রে নিয়ে। তখন উনি ঘড়ি দেখলেন কবজির, তারপর ঘাড় ঘুরিয়ে সম্ভবত চাঁদ উঠছে– কি না দেখলেন, তারপর রাস্তার দিকে তাকিয়ে বললেন, কেউ গাড়ির শব্দ পাচ্ছেন?

আমরা ব্যস্ত হয়ে কানগুলোতে মন রাখলুম এবং চোখগুলো দিলুম ঢালু হয়ে যাওয়া ধূসর রহস্যময় রাস্তায়। চারদিকে শুধু বালি আর বালি। হরেক জাতের ক্যাকটাস আর কেয়াঝাড়। আর সরকারী প্রযত্নে খচিত ঝাউবন। বিশ সাল আগে দশ মাইল দূরের সমুদ্রে এসে এতখানি ভূগোল বদলে দিয়েছিল নাকি। সব মাটি ঢেকে বালিয়াড়ি আর টিলা গড়ে উঠেছিল। সরকারী যোজনা তাদের আরও শোভন করেছে। কখনও কখনোও রাষ্ট্রীয় এবং প্রাকৃতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে সৌন্দর্য প্রয়োজনকে খুন করে। কারণ আমরা তিনজন আসবার সময় পথের গ্রামে প্রচুর পাঁজরের হাড় গুণে এসেছি মানুষ ও জন্তুদের!

কিন্তু তেমন কোনও শব্দ কি শুনলুম? শুধু মৃদুগামী সান্ধ্য বাতাস, দূরের ঝাউবনে, অস্পষ্ট কী স্বর, উড়ন্ত জলহাঁস, ধূসরতা, বালিয়াড়ি জুড়ে বিষাদের নরম শিশির–সেই কবিতাটি ফিরে এল।

ধীরে বও, ধীরে

সুবচনী হে বাতাস, এ সন্ধ্যায় আজ

বিষাদের সুর বাজে–মৃত্যু অনুগামী….

শিউরে উঠলুম। এই কি মৃত্যুর স্বাদ? অনুগামী মৃত্যু কি পা টিপে টিপে সত্যি সত্যি আসছে–ধীর অনুসরণে, বালিয়াড়িতে দীর্ঘ ছায়া ফেলে, তার পায়ের শব্দ ফুটে উঠছে ক্রমশঃ, এই নির্জন সন্ধ্যার বাংলোয়? অথচ মস্তিষ্কে এ কীরকম হিমবাহ স্বপ্নের মধ্যে বিপদ আসার মতো অসহয়তা, এবং যখন শরীর জড়বস্তু ছাড়া কিছু নয়।

কিছুতেই এই ভাবটা ঘুচল না। জিনের গ্লাসটা হোস্টের আগেই তুলে নিলুম অভদ্রতা নিশ্চয় হল কিন্তু যুদ্ধের গোলাগুলির মধ্যেও আত্মরক্ষার উপায় বালায় যে সনাতন বোধ, সে যেন খুঁচিয়ে দিল–তৈরি থাকো, তৈরি হয়ে পড়ো, ঝটপট! আসন্ন যা-যা অনিবার্য, তার জন্যে।

আর কেউ আসবেন নাকি? অমু প্রশ্ন করল।

হোস্ট জেলাশাসকটি বললেন, হু। কর্নেল।

দিগন্ত চেয়ার ছেড়ে সোজা হল।…..কর্নেল! কে তিনি?

কর্নেল নীলাদ্রি সরকার। এলে দেখবেন, এক অসাধারণ পারসোনালিটি! যে কোনও বয়সের লেডি অর জেন্টলম্যান হোক না, অ্যাটওয়ান্স সে টের পাবে, কর্নেল ইজ এ ভেরি ভেরি গুড কমপানিয়ান! সো চারমিং, সো ইনটেলিজেন্ট, সো মাইটি সেন্স অফ ডিডাকশান ফ্রম দা ফ্যাকটস, সো এলাবোরেট নলেজ অফ ডিটেকশন…..,

মলোচ্ছাই! বাংরেজি ঝাড়ছে দেখি! এ যে মাল না টানতেই গন্ধে বেহেড হয়ে গেল! বিকেলে লোকটা তার মানসিক রুগী বউ (আহা, আমার রাত্রি! আমার রহস্যময়ী রাত্রি!) আর তার এই চাকরি প্রসঙ্গে একটা শব্দ বারবার ব্যবহার করছিল : হামড্রাম একজিস্টেন্স। লালচে চুলওয়ালা লম্বা নাকবিশিষ্ট এই লম্বু ফর্সাগুলো বরাবর ব… নির্বোধ হয় দেখেছি। রাত্রি, হায়, রাত্রির মতো আত্মসচেতন সহস্রচক্ষু সেনসেটিভ মেয়ে তো কম দুঃখে পাগল হয়নি!

কিসের ডিডাকশন-ডিটেকশন বুঝলুম না। অমু স্পষ্টভাষী স্বভাবে আস্তে বলল।

হি ইজ অ্যাকচুয়ালি এ প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর।

অফ?

ক্রাইম। বলে খুক খুক করে হেসে বিহ্বল গেলাস তুলে বললেন–চিয়ার্স!

আবার আমার মাথার ভিতর একটুকরো বরফ ধসল। ক্রাইম! স্বপ্নের মতো চেঁচানোর চেষ্টা করে বললুম–কী ক্রাইম?

জেলাশাসক ঠোঁটে হাসি রেখে জবাব দিলেন–মার্ডার! অমনি আরর এই দন্ত জিহ্বা কম্পনকারী ধ্বনিটি বিস্তৃত হতে হতে কোথাও দূরে আরও ভয়ঙ্কর হতে থাকল এবং বালিয়াড়ির মাথায় ঝাউবনে যেন আগুন লাগল। তখন বিহ্বল মজুমদার খিকখিক করে হেসে বললেন, আসছেন। কর্নেল ইজ কামিং!

যেন মহানন্দে পরপর দুটানে গেলাস শেষ করে এবং ফের ভরে ও শেষ করে জ্বলজ্বলে চোখে সেইদিকে তাকালেন। চাউনি দেখে ভয় লাগল। কী নীল, কী জাম্ব!

মার্ডার! বাবার শিউরে উঠলুম। অথচ সবই স্বপ্নের মধ্যে এত অসহায়, কিছু করা যায় না, কারণ উজ্জ্বলতাগুলি বুকে নিল কঠিন শামুক গোরস্থানে সংহত কফিনে।…..

এবং ঠিক সেই সময় ঘর থেকে রাত্রির আর্ত চিৎকার শোনা গেল–তোমরা এস, তোমরা এস! জানালার নিচে সেই লোকটা এসেছে। জানালার নিচে সেই লোকটা?

মুহূর্তে একটা হতচকিত হুলুস্থুল ঘটে গেল এবং তাই স্বাভাবিক ছিল।

আমার ডাইনে, যেখানে দিগু ছিল–তার মাথার ওপর দিয়ে ঝাউবনের কালো বাসায় তখন লাল চাঁদটা পাখির ডিম ভেঙে যাওয়া ব্যাপার, হলফ করে বলছি ঠিক তাই এবং না হলে সেই লাল থলথলে গোটাটার মধ্যে প্রথমে আমার চোখদুটো তারপর মগজসমেত আমি নিজে আঠালো চ্যাটচ্যাটে বস্তুতে আটকে পড়তুম না অন্তত আধমিনিটের জন্যে! দুদ্দাড় ধুপধাপ অস্পষ্ট শব্দগুলো পরিস্থিতিকে মুচড়ে ভয়ের বস্তায় ভরে ফেলছিল। দিগুর চেয়ারটা পড়ে যেতে দেখলুম, কিংবা আমারটাই–(পরে দেখেছিলুম সবকটা চেয়ারই পড়ে গিয়েছিল টেবিলটা বাদে) অমুর কথা শুনলুম–কী ব্যাপার এবং লম্বা নির্বোধ ভদ্রলোকটি, আমাদের মাননীয় বন্ধু ও হোস্ট, কুসুমগলা লালচে, ব্যাপারটার মধ্যে অদ্ভুত ভঙ্গিতে পিছলে যেতে যেতে চেঁচিয়ে উঠলেন–রাত্রি! রাত্রি! ভয় নেই–ভয় নেই! আর আমার তখনও স্বপ্নের মধ্যে আটকে পড়া মাকড়সার মতো হয়েছে। কিন্তু তাহলে তো চলবে না। আমাকে শক্ত হতে হবে। রাত্রি–আমার রাত্রির ডাক! দ্বিতীয়বার রাত্রি বুক ফেটে চেঁচাল–সেই লোকটা এসেছে। জানালার নিচে সেই লোকটা! বাঁচাও, বাঁচাও! একটু পরে দেখলুম, আমি দিগু আর অমুকে ঠেলে বারান্দা থেকে ঘরে ঢোকার চেষ্টা করতে গিয়ে ভারি পর্দাটা ফরফর করে ছিঁড়ে ফেলেছি। কখন লনের ছইঞ্চি খাপি দলদলে ঘাসে সেই আঠালো রঙীন ব্যাপারটা মুছে ফেলে এসেছি, হুঁশ নেই। মুছে ফেলেছি বলার কারণ, এখন আমার শরীর ভীষণ খসখসে শুকনো লাগছিল। আর ডাইনে দুতিন মিটার দূরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখছিলুম ব্যাটাছেলে ভারত-অমুকে-খাকি হাফপ্যান্ট হাফশার্ট থাকায় দুর থেকে বিষাদময় আজকের সন্ধ্যা ও লাল আঠাটার মধ্যে তাকে সনাক্ত করা। কঠিন যে সে একটি সজীব পদার্থ।

ভিতরে কিছু ঘটছিল। নির্বোধ ভদ্রলোকের রাত্রি রাত্রি চিৎকার, দুমদাম শব্দ, রাত্রির চেরাগলায়–বাঁচাও বাঁচাওকরুণ কান্না। দিগু বিকট গৰ্জাল–অ্যাই ভারত, জানালার নিচেটা দেখে এস শীগগির!

অমু বলল, টর্চ! টর্চ নিয়ে যাও!

আমি বললুম– লাঠি! লাঠি!

ভারত করুণ কেঁদে বলল, মুই একা পারিবু না সার! আপুনি আসুন।

তখন অমু, দ্বান্দ্বিক জড়বাদী ও অমর্তে অবিশ্বাসী অমর্ত্য তার বলিষ্ঠ বেঁটে দেহ নিয়ে তার হাত ধরে বারান্দা থেকে ঝাঁপ দিল পূর্বদিক। ঘুরে পেছনে চলে গেল বাংলোটার। তার যাওয়ার মধ্যে খুনে স্বভাবের লক্ষণ ছিল। যেন বিপ্লব এলে এরকম মরণাপ সে দেবে পরিখায় এবং জানালার নীচের লোকটার মতো শ্রেণীশত্রুর চুল খামচে ধরবে। ফের শিউরে উঠলুম।

ঢুকে দেখি সুদৃশ্য হারিকেন ল্যাম্প জ্বলছে এবং এটা বসার ঘর। আমরা দুজনে দুদিকে দৌড়ে গেলুম। সৌভাগ্যবশত, আমি আরেকটা পর্দা ছিঁড়ে (পরে দেখেছি এত ভয় পেয়েছিলুম, কিংবা রাত্রির অসুখের বিরুদ্ধে এত বেশি অবচেতন হিংসা ছিল যে দুটো পর্দা ফেড়ে ফেলেছি) আরেক ঘরে ঢুকে আরেকটা ছোট্ট আলোর গম্বুজ হাতে নিয়ে জেলাশাসককে দেখলুম, অচেতন স্ত্রীর মুখের দিকে ঝুঁকে রয়েছেন। আমার শব্দ পেয়ে বললেন, অজ্ঞান হয়ে গেছে!

সামনে বিছানার ওধারে খোলা পর্দা ওঠানো জানালা। তার নিচে অমু ভারতকে দেখতে পেলুম। অমু বলল, কই, কেউ তো নেই! এখানটায় ঘাস বড্ড, বালি থাকলে পায়ের দাগ পাওয়া যেত!

বিহ্বল বললেন, ও কিছু না চলে আসুন! ওর হ্যাঁলুসিনেশা!

অমু জানালায় নাক ঠেকিয়ে বাইরে থেকে নিস্তব্ধ রাত্রিকে দেখছিল। চমকে উঠলুম ওর চোখ দেখে। কী নীল, কী জান্তব! অমু বলেছিল, রাত্রি তার চেনা মেয়ে। আমি কাকেও বলিনি কিছু। তবে দিগুও ইশারা দিয়েছিল, রাত্রিকে সে চিনত। এই চেনাচেনির ব্যাপারটা এইসময় মাথায় এসে মনে হল, আমরা সবাই আজ এক ভয়ঙ্কর নাটকের পাত্রপাত্রী যেন।

হ্যালুসিনেশান! ভুল ঘরে ধাক্কা খেয়ে দিও চলে এসেছিল। এখন সবিস্ময়ে বলল।

হ্যাঁ আজ দুপুর থেকেই এই হচ্ছে। এ নিয়ে চারবার হল। জেলাশাসক বললেন।

আমি বললুম– সেন্ট্রি গার্ড রাখলে ভাল হতো মিঃ মজুমদার।

জেলাশাসক হাসলেন। নাঃ। স্রেফ হ্যালুসিনেশান! এক্ষুণি ঠিক হয়ে যাবে। তারপর সম্ভবত স্মেলিং সল্টের শিশি নিয়ে এলেন হোয়াটনটের মাথা থেকে।…