বিলাসী
কৃত: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
গ্রন্থ:

বিলাসী গল্পটি ১৩২৫ বঙ্গাব্দের (১৯১৮ খৃষ্টাব্দ) বৈশাখ সংখ্যা “ভারতী” পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয় এবং প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় মাঘ, ১৩২৬ বঙ্গাব্দে (১৫ই জানুয়ারি, ১৯২০)। গ্রন্থের নাম “ছবি”, প্রকাশক ‘গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স’, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা।Continue Reading

বিষকন্যা

বিষকন্যা
কৃত: শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়
গ্রন্থ:

১ যে কালের উপর চিরবিস্মরণের পর্দা পড়িয়া গিয়াছে, সেকাল মিলনোৎকণ্ঠিতা নবযৌবনা নাগরী যখন সন্ধ্যাসমাগমে ভবনশীর্ষে উঠিয়া কেশপ্রসাধনে প্রবৃত্ত হইতেন, তখন তাঁহার স্বর্ণমুকুরে যে উৎফুল্ল-উৎসুক স্মিত-সলজ্জ মুখের প্রতিবিম্ব পড়িত, তাহা এ কালেও আমরা সহজে অনুমান করিতেContinue Reading

অবিশ্বাস্য তারাপ্রণব ব্রহ্মচারী

বৃদ্ধ পরিব্রাজক ও চন্দ্রশেখর
কৃত: তারাপ্রণব ব্রহ্মচারী
গ্রন্থ:

প্রাসাদপুরীর আনাচে কানাচে থেকে শুরু করে রাস্তা অবধি লোকে লোকারণ্য। এত লোকের চোখের সামনে দিয়েই কাউকে ভ্রুক্ষেপ না করে চলে গেল চন্দ্রশেখর। অগন্তুক বৃদ্ধের দু’চোখে যেন কি ছিল। বৃদ্ধের চোখে চোখ রেখেই খানিক দাঁড়িয়ে ছিলContinue Reading

বোঝা
কৃত: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
গ্রন্থ:

বোঝা গল্পটি ১৩১৯ বঙ্গাব্দের কার্তিক-পৌষ সংখ্যা “যমুনা” পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয় এবং প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় ভাদ্র, ১৩২৪ বঙ্গাব্দে (১লা সেপ্টেম্বর, ১৯১৭)। গ্রন্থের নাম “কাশীনাথ”, প্রকাশক ‘গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স’, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা।Continue Reading

ব্যথার দান (গল্প)
কৃত: কাজী নজরুল ইসলাম
গ্রন্থ:

দারার কথা গোলেস্তান গোলেস্তান! অনেক দিন পরে তোমার বুকে ফিরে এসেছি। আঃ মাটির মা আমার, কত ঠান্ডা তোমার কোল! আজ শূন্য আঙিনায় দাঁড়িয়ে প্রথমেই আমার মনে পড়ছে জননীর সেই স্নেহবিজড়িত চুম্বন আর অফুরন্ত অমূলক আশঙ্কা,Continue Reading

ভদ্রলোক
কৃত: সুকান্ত ভট্টাচার্য
গ্রন্থ:

“শিয়ালদা-জোড়া-মন্দির-শিয়ালদা” তীব্র কণ্ঠে বার কয়েক চিৎকার করেই সুরেন ঘণ্টি দিল ‘ঠন ঠন’ করে। বাইরে এবং ভেতরে, ঝুলন্ত এবং অনন্ত যাত্রী নিয়ে বাসখানা সুরেনের ‘যা-ও, ঠিক হ্যায়’ চিৎকার শুনেই অনিচ্ছুক ও অসুস্থ নারীর মতো গোঙাতে গোঙাতেContinue Reading

ঊনপঞ্চাশী

ভবপারের নৌকা
কৃত: উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
গ্রন্থ:

গোপাল দাদার গুরুঠাকুর এসেছেন শুনে পণ্ডিত হৃষীকেশের হঠাৎ কি রকম ভক্তির উদ্রেক হোলো; তিনি তাড়াতাড়ি কোঁচার খুঁট গায়ে দিয়েই এই শীতকালের সন্ধ্যেবেলা গুরুজীকে দর্শন করতে বেরিয়ে পড়লেন। আমি ভাবলুম— হবেও বা, পণ্ডিতজীর বয়স ত প্রায়Continue Reading

ভাঙ্গাচোরা
কৃত: জহির রায়হান
গ্রন্থ:

টুনুর স্বামীকে দেখে এমনভাবে চমকাতে হবে তা কে জানতো। তবু চমকেছিলাম, ভীষণভাবেই চমকে উঠেছিলাম হয়তো।   কাল রাতে যখন ট্রেন থেকে নেমেছিলাম তখন বাইরে শীত পড়ছিলো ভীষণ। কনকনে ঠাণ্ডা বাতাস। বাতাসের বরফ ঝরছিল যেন। কোটেরContinue Reading

ভালমন্দ
কৃত: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
গ্রন্থ:

অবিনাশ ঘোষাল আরও বছর-কয়েক চাকরি করতে পারতেন কিন্তু তা সম্ভব হোলো না। খবর এলো এবারেও তাঁকে ডিঙিয়ে কে একজন জুনিয়ার মুনসেফ সব-জজ হয়ে গেল। অন্যান্য বারের মতো এবারেও অবিনাশ নীরব হয়ে রইলেন, শুধু প্রভেদ রইলোContinue Reading

ভূত তাড়ুয়া
কৃত: প্রচেত গুপ্ত
গ্রন্থ:

আমরা দুই ভাই বোন পর্দার আড়ালে যেন বরফের মতো জমে গেছি! নড়তে পারছি না। এসব কী কথা! মতিলালকে দেখে কারা পালায়? কেন পালায়? কীসের মন্ত্র জানার কথা বলছেন বড় মামা? চোরডাকাত আবার তাড়াতে মন্ত্র লাগেContinue Reading

মন্দির
কৃত: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
গ্রন্থ:

মন্দির গল্পটি ১৩০৯ বঙ্গাব্দে একটি সাহিত্য স্মরণিকা “কুন্তলীন পুস্তিকামালা”-য় প্রথম প্রকাশিত হয়। গল্পটি ১৩০৯ বঙ্গাব্দে (১৯০৩ খৃষ্টাব্দে) “কুন্তলীন পুরষ্কার” প্রাপ্ত। গল্পটি তাঁর সম্পর্কীয় মাতুল (মামা) ও বাল্যবন্ধু শ্রীসুরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে প্রকাশিত। “বসুমতী” পত্রিকার সম্পাদক দেড়শ’টি গল্পের মধ্যে মন্দির গল্পটিকে শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচনা করেন। গল্পের বিষয়বস্তু হচ্ছে,— অমরনাথ অপর্ণাকে বিবাহ করেও দাম্পত্য জীবনে শান্তিলাভ করতে পারেনি। অপর্ণা পিতৃগৃহে স্থাপিত রাধাকৃষ্ণের চরণে নিজেকে উৎসর্গীকৃত করেছেন অনেক আগে। গল্পটি প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় ভাদ্র, ১৩২৪ বঙ্গাব্দে (১লা সেপ্টেম্বর, ১৯১৭)। গ্রন্থের নাম “কাশীনাথ”, প্রকাশক ‘গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স’, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা।Continue Reading

ঐতিহাসিক সমগ্র

মরণ বিজয়ীর দল
কৃত: হেমেন্দ্রকুমার রায়
গ্রন্থ:

রবীন্দ্রনাথের মুখে তোমরা বন্দিবীর বান্দার অপূর্ব কাহিনি শ্রবণ করেছ। চিত্তোত্তেজক গল্পের দিক দিয়ে ধরলে, ও গাথাটির তুলনা নেই। কিন্তু এখানে সাধারণ পাঠকের কথা ছেড়ে দিচ্ছি। কারণ আমরা বলব ইতিহাসের কথা এবং রবীন্দ্রনাথের ওই কবিতাটি পাঠContinue Reading

ঐতিহাসিক কাহিনী সমগ্র

মরু ও সঙ্ঘ
কৃত: শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়
গ্রন্থ:

মধ্য-এশিয়ার দিক্‌সীমাহীন মরুভূমির মাঝখানে বালু ও বাতাসের খেলা। বিরামহীন অস্থির চঞ্চল খেলা। রাত্রি নাই, দিন নাই, সমগ্র মরুপ্রান্তর ব্যাপিয়া এই খেলা চলিতেছে। খেলা বটে, কিন্তু নিষ্ঠুর খেলা; অবোধ শিশুর খেলার মতো প্রাণের প্রতি মমতাহীন ক্রূরContinue Reading

মহামৃত্যু
কৃত: জহির রায়হান
গ্রন্থ:

লাশটাকে ধরাধরি করে উঠোন থেকে ঘরে নিয়ে এলো ওরা। তারপর আস্তে শুইয়ে দিলো মেঝের উপর।   বাইরে তখন সন্ধ্যার আস্তরণে কালো রাত নেমে এসেছে ঘন হয়ে। শিয়রে দুটো মোমবাতি জ্বেলে দিয়ে চক্রাকারে বসলো ওরা, লাশটাকেContinue Reading

মহেশ
কৃত: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
গ্রন্থ:

মহেশ গল্পটি ১৩২৯ বঙ্গাব্দের আশ্বিন সংখ্যা ‘বঙ্গবাণী’ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়। ১৩ই মার্চ, ১৯২৬—চৈত্র, ১৩৩২ বঙ্গাব্দে হরিলক্ষ্মী ও অভাগীর স্বর্গ গল্পের সাথে হরিলক্ষ্মী গল্পগ্রন্থে সঙ্কলিত হয়। প্রকাশক, গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা।Continue Reading

ডানাওলা মানুষ – বিনোদ ঘোষাল

মানুষীর কথা
কৃত: বিনোদ ঘোষাল
গ্রন্থ:

প্রথম দিকে অতটা কেউ খেয়াল করেনি। মণিই প্রথম দেখাল। ‘দেখ দেখ, ঢলানি দুটোকে দেখ একবার।’ সঙ্গে সঙ্গে তাস ফেলে চার দু-গুণে আট আর মণির নিজের দুটো মিলিয়ে মোট দশটা চোখ ঘুরে গেলে ছেলে-মেয়ে দুটোর দিকে।Continue Reading

মামলার ফল
কৃত: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
গ্রন্থ:

মামলার ফল গল্পটি ১৩২৫ বঙ্গাব্দের (১৯১৮ খৃষ্টাব্দ) আশ্বিন মাসে ঠাকুরবাড়ির জামাতা সাহিত্যিক শ্রীনগেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় সম্পাদিত পূজা-বার্ষিকী শারদ সংখ্যা “পার্বণী” পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয় এবং প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় মাঘ, ১৩২৬ বঙ্গাব্দে (১৫ই জানুয়ারি, ১৯২০)। গ্রন্থের নাম “ছবি”, প্রকাশক ‘গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স’, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা।Continue Reading

মামা বাড়ির খাওয়া
কৃত: প্রচেত গুপ্ত
গ্রন্থ:

আমাদের ক্লাসের মনোজের মামার একটা অদ্ভুত নেশা আছে। এমন নেশার কথা কেউ কখনও শোনেনি। নেশাটা হল, লোককে বেজায় খাওয়ানো। দিনে অন্তত একজনকে মনের মত খাওয়াতে না পারলে ওঁর রাতে ঘুম হয় না। বিছানায় শুয়ে ছটফটContinue Reading

অবিশ্বাস্য তারাপ্রণব ব্রহ্মচারী

মিলিণ্ডা
কৃত: তারাপ্রণব ব্রহ্মচারী
গ্রন্থ:

মিলিণ্ডা! মিলিণ্ডা! মিলিণ্ডা! মিলিণ্ডা! একসঙ্গে নামটা মুখ থেকে মুখে কান থেকে কানে ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছে। অনেকগুলো চাপা গলার ফিস ফিস আওয়াজ সাপের মতো হিসহিস গর্জন করে উঠছে যেন। শুনছি আমরা। আমরা বলতে আমি আর ডেভিডContinue Reading

mritprodeep

মৃৎপ্রদীপ
কৃত: শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়
গ্রন্থ:

প্রাণিতত্ত্ববিৎ পণ্ডিতেরা মাটি খুঁড়িয়া অধুনালুপ্ত প্রাগৈতিহাসিক জীবের যে সকল অস্থি-কঙ্কাল বাহির করেন, তাহাতে রক্তমাংস সংযোগ করিয়া তাহার জীবিতকালের বাস্তব মূর্তিটি তৈয়ারি করিতে গিয়া অনেক সময় তাঁহাদিগকে নিছক কল্পনার আশ্রয় লইতে হয়। ফলে যে মূর্তি সৃষ্টিContinue Reading