দেখতে-না-দেখতে হীরনের বিয়ের দিনটা ঘনিয়ে এলো।
একমাত্র মেয়ের বিয়ে, তাই আয়োজনের কোনো কার্পণ্য করেনি বুড়ো মকবুল।
সাড়ে আট টাকা দাম দিয়ে একটা ছাগল কিনেছে সে। হাট থেকে চিকন চাল কিনে এনেছে আর অধসের ঘি।
মিয়া-বাড়ি থেকে কয়েকটা চিনেমাটির পেয়ালা আর বরতন ধার নিয়ে এলো আমেনা। বরপক্ষের লোকদের মাটির বাসনে খেতে দিলে ফিরে গিয়ে হয়তো বদনাম করবে ওরা, তাই।
বুড়ো মকবুলের শরীরটা ভালো নেই। চারিদিকে ছুটোছুটি করবে সে শক্তি পাচ্ছে না। সে। তাই বাড়ির অন্য সবার ওপরে বিভিন্ন কাজের ভার দিয়েছে। সুরত আলী, রশীদ, আবুল, মন্তু সবাই ব্যস্ত। বুড়ো শুধু দাওয়ায় একখানা পিড়ির উপর বসে তদারক করছে সব। খোঁজখবর নিচ্ছে। ভূঁইয়া-বাড়ির ঘরের পাশের বড় মেহেদি গাছ থেকে মেহেদি তুলতে গেছে সালেহা আর ফকিরের মা।
আমেনা আর ফাতেমা, ঘরদোরগুলো লেপে মুছে ঠিক করে নিচ্ছে। পুরো উঠোনটাকে ঝাড় দিয়ে পরিষ্কার ঝকঝকে তকতকে করে তুলছে ওরা। টুনি পুকুরঘাটে, বাসনপত্রগুলো মাজছে।
যায় বিয়ে, সেই হীরন। রসুইঘরের দাওয়ার চুপটি করে বসে রয়েছে আর অবাক হয়ে বারবার মুখের দিকে তাকাচ্ছে সবার।
দুপুর রাতে পাড়াপড়শির অনেকে এলো। এলো বাচ্চাকাচ্চা মেয়েছেলের দল। দুখানা বড় বড় চাটাই বিছিয়ে নিয়ে উঠোনে বসলো ওয়া। তারপর সবাই একসঙ্গে সুর করে গান ধরলোঃ
মেহেদি তোমরা লাগো কোন কাজে
আমরা লাগি দুলহা কইন্যার সাজে।।
ঢেঁকির উপরে তখন আম্বিয়াও গান ধরেছে। বিয়ের ধান ভানতে এসেছে সে। সন্ধে থেকে ঢেঁকির উপর উঠেছে ও আর টুনি! তখন থেকে একমুহূর্তের বিরাম নেই। উঠোনে মেয়েরা গান গাইছলো। তাদের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার জন্য টুনি আর আম্বিয়া দুজনে গলা ছেড়ে গান ধরলোঃ
ভার্টুইয়ে না দিয়ো কলা
ভাটুইর হইবে লম্বা গলা।
সব লইক্ষণ কাম চিক্কণ পঞ্চ রঙের ভাটুইরে।
সহসা শব্দ করে হেসে উঠল। বুড়ো মকবুল। ওর মনটা খুশিতে ভরে উঠেছে আজ। জোরে জোর হুঁকো টানছে, আর চারপাশে চেয়ে চেয়ে দেখছে সে।
হীরনকে মাঝখানে বসিয়ে ওর হাতে মেহেদি দিচ্ছে সবাই। মুখখানা নামিয়ে নিয়ে চুপ করে বসে আছে মেয়োটা।
সুরতের ছেলেমেয়ে— কুদ্দুছ, পুটি, বিস্তি—ওরা হাতে মেহেদি দেবার জন্যে কাঁদাকাটি শুরু করে দিয়েছে। ওদের ধমকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দিলো সালেহা। মকবুল বললো, আহা তাড়াও ক্যান বউ; একটুখানি মেহেদি ওগোও দাও না। হঠাৎ ফকিরের মা নাচতে শুরু করলো। আঁচল দুলিয়ে, কোমর ঘুরিয়ে ঘুরেঘুরে নাচতে লাগলো সে।
কই গেলা সুরক্তের বিবি আমার কথা শোন।
আবের পাঙ্খা হাতে করি আউলাইয়া বাতাস কর।
ফুলের পাখা হাতে নিয়া জোরে বাতাস কর।
ওর নাচ দেখে ছেলে বুড়ো সবাই শব্দ করে হেসে উঠলো একসঙ্গে। ধান ভানা বন্ধ করে টুনি আর আম্বিয়াও বাইরে বেরিয়ে এলো। আম্বিয়াকে আসতে দেখে নাচ থামিয়ে তার দিকে দৌড়ে এলো ফকিরের মা, হাত ধরে তাকে টেনে নিয়ে গেলো দলের মাঝখানে। তারপর ওকে লক্ষ করে ফকিরের মা গাইলোঃ
কেমন তোমার মাও ব্যাপারে, কেমন ওরে হিয়া।
এত বড় মাইয়া অইছ না করাইছে বিয়া।
ওর গানটা শেষ না-হতেই আম্বিয়া নেচে উঠে। গানের সুরে জবাব দিলোঃ
কেমন ওরে মাও ব্যাপারে, কেমন ওরে হিয়া
তোমার মতো কাঞ্চন পাইলে এখন করি বিয়া।
দূর পোড়া কপাইল্যা, দূর দূর বলে ওকে তাড়া করলো ফকিরের মা। দৌড়ে গিয়ে মন্তুর ঘরের মধ্যে ঢুকে দুয়ারে খিল দিলো আম্বিয়া! বাইরে ছেলে-বুড়োদের রোল পড়েছে তখন।
সালেহা হেসে বললো, কিরে আম্বিয়া, এত ঘর থাইকতে শেষে আমাগো মন্তু মিয়ার ঘরে ঢুইকা খিল দিলি?
আরেক প্রস্থ হেসে উঠলো সবাই।
মন্তু তখন উঠোনের মাঝখানে এসে দাঁড়িয়েছে।
ওকে দেখে গ্রামের রসুন নানি তার ফোকলা দাঁত বের করে একহাল হেসে বললো, কি মিয়া, ডুইবা ডুইবা পানি খাও। ঘরে গিয়া দেহো কইন্যা তোমার ঘরে গিয়া খিল দিছে।
মন্তু কী বলবে ভেবে পাচ্ছিলো না। হঠাৎ টুনির কণ্ঠস্বরে চমকে উঠলো সবাই। তীব্র গলায় সে বললো, কী অইতাছে অ্যাঁ? কী অইতাছে। কামকাজ ফালায়া কী শুরু করছ তোমরা। অ্যাঁ?
সহসা সবাই চুপ করে গেলো। একে অন্যের মুখের দিকে তাকাতে লাগলো ওরা। টুনি ততক্ষণে রসুইঘরের দিকে চলে গেছে। মন্তু নিৰ্বাক। দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে এসেছে আম্বিয়া। তার চোখমুখ পাকা লঙ্কার মতো লাল। চিবুক আর গলা বেয়ে ঘাম ঝরছে ওর। কিছুক্ষণের জন্য সবাই যেন কেমন একটু স্তব্ধ হয়ে গেলো। একটু আগেকার সেই আনন্দ-উচ্ছল পরিবেশটা আর এখন নেই। ফকিরের মা বিড়বিড় করে বললো, এমন কী কইরছি যে রাগ দেহান লাগছে। বিয়াবাড়ির মইধ্যে হৈচৈ না কইরা কি কান্দাকাটি করমু?
সালেহা বললো, আমরা নাহয় মন্তু মিয়া আর আম্বিয়ারে নিয়া একটুখানি ঠাট্টামস্করা কইরতাছিলাম, তাতে টুনি বিবির এত জ্বলন লাগে ক্যান।
ওর কথা শেষ না-হতে ঝড়ের বেগে রসুইঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে এলো টুনি। কী কইল্যা অ্যাঁ? চুলগুলো বাতাসে উড়ছে ওর। চোখজোড়া জ্বলছে।
সালেহা সঙ্গে সঙ্গে বললো, যা কইবার তা কইছি, তোমার এত পোড়া লাগে ক্যান। বলে মুখ ভ্যাংচালো সে।
পরক্ষণে একটা অবাক কাণ্ড করে বসলো টুনি। সালেহার চুলের গোছাটা ধরে হ্যাঁচকা টানে ওকে মাটিতে ফেলে দিলো। তারপর চোখেমুখে কয়েকটা এলোপাতাড়ি কিলঘুসি মেরে দৌড়ে সেখান থেকে পালিয়ে গেলো টুনি ৷ ঘটনার আকস্মিকতা কেটে যেতে চিৎকার করে কেঁদে উঠলো সালেহা। মনে হলো এ মুহূর্তে ওর মা মারা গেছে। কান্না শুনে এঘর-ওঘর থেকে বেরিয়ে এলো অনেকে।
মকবুল দাওয়া থেকে চিৎকার করে উঠলো, কিরে কী আইলো অ্যাঁ। কী অইলো।
রশীদ, সুরুত সবাই ছুটে এলো সেখানে।
রশীদ বললো, কি, কান্দবি না কইবি কিছু, কী অইছে?
সালেহা কোনো জবাব দিলো না।
ফকিরের মা বুঝিয়ে বললো সব। সালেহার কোনো দোষ নাই। আম্বিয়া আর মান্তুকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করছিলো ওরা। টুনি বেরিয়ে এসে হঠাৎ সালেহাকে মেরেছে।
মাইরছে। মাইরছে ক্যান? রশীদ খেপে উঠলো।
ওকে, রাগতে দেখে আরো জোরে কন্ন জুড়ে দিলো সালেহা।
বুড়ো মকবুল বিব্ৰতবোধ করলো। ইতস্তত করে বললো, মন্তু আর আম্বিয়া কই গেছে?
মন্তুকে ঘরে দাওয়াতে বসে থাকতে দেখা গেলো। কিন্তু আম্বিয়াকে পাওয়া গেলো না সেখানে। এই গণ্ডগোলের মধ্যে নীরবে এখান থেকে সরে পড়েছে সে।
ফকিরের মা বললো, ওগো কোনো দোষ নাই।
কী ভেবে বুড়ো মকবুল একেবারে শান্ত হয়ে গেলো। আস্তে করে বললো, তোমরা আর হৈচৈ কইরো না। বিয়ের সময় এইসব ভালা না। যা আইছে তার বিচার আমি করমু। খাঁটি বিচার করমু আমি। বলে দাওয়ার দিকে চলে গেলে সে। তারপর হুকোটা হাতে তুলে নিয়ে আবার বললো, কই তোমরা চুপ কইরা রইলা ক্যান, গীত গাও, হ্যাঁ, গীত গাও।
ছেলে বুড়োরা আবার হৈচৈ করে উঠলো।
ফকিরের মা আবার গান ধরলো।
এক বাটা পান এনে ওদের সামনে নামিয়ে রেখে গেলো আমেনা। বললো, খাও।
কিছুক্ষণের মধ্যে পুরনো আবেশটি ফিরে এলে আবার। ফকিরের মা নাচতে শুরু করলে।
কেমন তোমার মাও ব্যাপারে কেমন তোমার হিয়া।
এত বড় ডাঙ্গর অইছো না করাইছে বিয়া।।
বিয়ের জন্যে কিনে আনা ছাগলটা ঘরের পেছনে বেঁ-বেঁ করে ডাকছে। চোখের কোণজোড়া পানিতে ভিজে উঠেছে ওর।
ভোর রাত পর্যন্ত কেউ ঘুমালো না।
তারপর একজন-দুজন করে যায়-যার ঘরে চলে যেতে লাগলো। মন্তু সবে তার ঝাঁপটা বন্ধ করে দেবে এমন সময় বাইরে ধাক্কা দিলো টুনি। ও কিছু বলার আগে ভেতরে এসে ঢুকলো সে। পান খেয়ে ঠোঁটজোড়া লাল করে এসেছে। মুখে একটা প্ৰসন্ন হাসি, হাতে মেহেদি। সঙ্গে একটা মাটির বাটিতে করে আরো কিছু মেহেদি এনেছে সে।
বাটিটা মাটিতে নামিয়ে রেখে টুনি আস্তে করে বললো, দেহি তোমার হাত দেহি।
মন্তু বললো, ক্যান?
টুনি বললো, তোমারে মেহেদি দিমু।
মন্তু বললো, না।
টুনি বললো, না ক্যান— বলে ওর হাতটা টেনে নিলো সে। মাটিতে বসে ধীরেধীরে ওর হাতে মেহেদি পরিয়ে দিতে লাগলো টুনি। মন্তু কোনো বাধা দিলো না। নীরবে বসে শুধু তাকে লক্ষ করে মৃদু হাসলো।
কিছুক্ষণ পরে টুনি আবার বললো, আমার একডা কথা রাইখবা?
কি?
একডা বিয়া কর।
হুঁ।
দুজনে আবার চুপ করে গেলো ওরা।
ওরা দুহাতের তালুতে সুন্দর করে মেহেদি পরিয়ে দিতে দিতে টুনি আবার বললো, আরেকডা কথা রাইখবা?
কি?
আমার পছন্দ ছাড়া বিয়া কইরবা না।
হুঁ। একবার ওর মুখের দিকে তাকিয়ে চোখ নামিয়ে নিলো মন্তু। টুনি পরক্ষণে ওর হাতটা কোলের ওপরে টেনে নিয়ে ছোট একটা দীৰ্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো, কথা দিলা? বলে অদ্ভুতভাবে ওর দিকে তাকালো টুনি।
মন্তু কী বলবে ভেবে পেলো না। বর-কয়েক ঢোক গিললো সে। তারপর হঠাৎ করে বললো, শাপলা তুলতে যাইবা?
মৃদু হেসে মাথা নাড়ালো টুনি। না!
তাইলে চলো, মাছ ধরি গিয়া।
টুনি আরো জোরে মাথা নাড়ালো, না।
না ক্যান? মন্তুর কণ্ঠে ধমকের সুর।
টুনি হেসে বললো, লোকে দেইখা ফেলাইলে কেলেঙ্কারি বাধাইবো। বলে উঠে দাঁড়ালো সে। মন্তুকে কথা বলার কোনো সুযোগ না-দিয়ে পরক্ষণে সেখান থেকে চলে গেলো টুনি।
বিয়ের পরে ক’টা দিন বাড়িটা একেবারে জনশূন্য মনে হলো। ছেলে বুড়ো প্রায় সবাই চলে গেছে হীরনের সঙ্গে তার শ্বশুরবাড়ি। শুধু যায়নি মকবুল আর মন্তু।
মকবুল যায়নি তাঁর অসুখ বলে। প্রায় বিকেলে জ্বর আসছে ওর। সকালে একেবারে ভালো;
মন্তুরও শরীরটা ভালো নেই। বিয়ের দিন, রাতে বৃষ্টিতে ভিজে ঠাণ্ডা লাগিয়েছে সে। বুড়ো মকবুল বলেছে, থাক, তোর গিয়া কাজ নাই। তুই পরে যাইছ।
তাই থেকে গেছে সে।
বাড়ির মেয়েছেলেরা ক’দিন ধরে ঘুমুচ্ছে খুব। বিয়ের সময়ে দু-চোখের পাতা এক করতে পারেনি কেউ, তাই।
বুড়ো মকবুল সাবধান করে দিয়েছে ওদের, অমন করে ঘুমায়ো না তোমরা, চোর আইস সর্বনাশ কইরা দিবো।
আর আইলেই বা কী নিবো। আছেই বা কী। আমেনা শান্তস্বরে জবাব দিয়েছে। ওর মনটা ভালো নেই। একমাত্র মেয়েকে শ্বশুর-বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে শান্তি পাচ্ছে না সে। বড় একা-এক লাগছে। কে জানে স্বামীর বাড়ি গিয়ে কত কষ্টই না সহ্য করছে হীরন।
আজ সকাল থেকে মরাকান্না জুড়েছে ফকিরের মা! মৃত ছেলেটার কথা মনে পড়েছে ওর। বেঁচে থাকলে হয়তো সে এখন বিয়ের বয়সী হতো।
জ্বর নিয়েও বুড়ো মকবুল পুকুরপাড়ে বসে বসে মরিচের গাছগুলোতে পানি দিচ্ছে। ফাতেমা দু-বার এসে ডেকে গেছে। ওকে, আপনের কী অইছে। এইরকম কাজ কইরলে তো দুইদিনে মরবেন আপনে।
কথাটা কানে নেয়নি মকবুল। একমনে পানি ঢালছে সে। মন্তুকে পাঠিয়েছে গাঁয়ের কোবরেজ মশায়ের কাছে। লক্ষণ বলে ঔষধ নিয়ে আসার জন্যে।
উঠোনে টুনিকে ডেকে তার হাতে ঔষুধগুলো দিয়ে দিলো মন্তু। বললো, কবিরাজ মশায় কইছে, এইগুলান ঠিকমতো খাইতে।
টুনি ঔষুধগুলো হাত বাড়িয়ে নিতে নিতে বললো, কী অইবো ওষুধ খাইয়া, বুড়া মরুক। বলেই চারপাশে তাকালো টুনি, কেউ শুনলো কিনা দেখলো। মন্তু কোনো জবাব দিলো না ও-কথার। বেড়ার সঙ্গে ঝুলানো হুঁকো আর কল্কেটা নিয়ে রসুইঘরের দিকে চলে গেল সে।
একটু পরে একবাটি তেঁতুল-মরিচ মেখে এনে মন্তুর সামনে বসলো টুনি। অল্প একটু তেঁতুল মুখে পুরে দিয়ে গভীর তৃপ্তির সঙ্গে তার স্বাদ গ্রহণ করতে করতে টুনি শুধালো, খাইবা?
বাটিটার দিকে একপলক তাকিয়ে নিয়ে মন্তু বললো, না। তারপর একমনে হুঁকো টানতে লাগলো সে।
টুনি বললো, কোবিরাজ কী কইছে?
একরাশ ধোঁয়া ছেড়ে মন্তু জবাব দিলো, কইছে, কিছু না, ভালা অইয়া যাইবো।
ভালো অইয়া যাইবো? চোখজোড়া কপালে তুললো টুনি।
নেড়ি কুকুরটা টুনিকে কিছু খেতে দেখে আশেপাশে ঘোরাফেরা করছিলো। হঠাৎ দাওয়া থেকে পিড়ি তুলে ওর গায়ে ছুড়ে মারলো টুনি। সারাদিন কেবল পিছে পিছে ঘুরে, কোনোহানে গিয়া একটু শান্তি নাই।
পিঁড়ির আঘাতে কেঁউ কেঁউ করে সেখান থেকে পালিয়ে গেলো কুকুরটা।