মামা সমগ্র

গুপ্তধনের সন্ধানে

রাত তখন কটা হবে কে জানে। চারপাশে ছটফট করছে চাঁদের আলো। হু হু করে বাতাস বইছে। দক্ষিণের জানলায় লতিয়ে ওঠা জুঁই গাছ দুলে দুলে উঠছে। বড়মামা বলছেন, ‘ওঠ ওঠ, উঠে পড় শিগগির। ভীষণ ব্যাপার।’ বিছানায়Continue Reading

মামা সমগ্র

একদা এক বাঘের গলায়

এক মেজোমামা আর মাসিমা পেছনের আসনে। আমি সামনে বড়মামার পাশে। গাড়ি চলেছে। বড়মামার হাত বেশ তৈরি হয়ে গেছে। এই সেদিন গাড়ি থেকে ‘এল’ প্লেটটা খোলার অনুমতি মিলেছে। ‘বাঃ তোমার হাত তো বেশ তৈরি হয়ে গেছেContinue Reading

মামা সমগ্র

লঙ্গরখানা

বড়মামা খেতে খেতে বললেন, ‘আমি একটা গাধা।’ মেজোমামার বাঁ হাতে একটা বই, ডান হাতে ঝোলে ডোবান রুটির টুকরো। এইটাই তাঁর অভ্যাস। সামান্য সময়ও নষ্ট করা চলবে না। অগাধ জ্ঞান-সমুদ্র, আয়ু অল্প বহু বিঘ্ন। সব সময়Continue Reading

মামা সমগ্র

মহাপ্রস্থান

এক এখন দু’জনকেই সামলানো দায়। মাসিমা শ্বশুরবাড়িতে। দুই মামার পোয়া বারো। যখন যা প্রাণ চাইছে, তাই করছেন। আজ ভোর চারটেয় ঘুম ভাঙছে, তো কাল দশটায়। রোজ রাত বারোটার আগে কারো খাওয়ার ইচ্ছেই করে না। তারপরContinue Reading

মামা সমগ্র

সব ভালো যার শেষ ভালো

গাড়িটা বেশ আসছিল সাঁই-সাঁই করে। ফুরফুরে বাতাস। পেছনের আসনে বড়মামা, মাসিমা আর আমি। সামনে মেজোমামা। গাড়ি চালাচ্ছেন শরৎকাকা। সাদা রঙের অ্যামবাসাডার। বেশ পালিশটালিশ করা। ভেতরের সিটও খুব সুন্দর। আমরা সকালে দুর্গাপুর থেকে বেরিয়ে শান্তিনিকেতন গিয়েছিলুম।Continue Reading

মামা সমগ্র

সাপে আর নেউলে

এক বেলা তখন ক’টা হবে, সকাল আট কি সাড়ে আট। বলা নেই কওয়া নেই চারজন ষণ্ডামার্কা লোক তরতর করে আমাদের দোতলায় উঠে এল। দক্ষিণের হলঘরের মতো বড় ঘরটায় ঢুকে ফার্নিচার-মার্নিচার যা ছিল সব ধরাধরি করেContinue Reading

মামা সমগ্র

দক্ষযজ্ঞ

এক আগরওয়াল টাইটেল দেখলেই বুঝে নিতে হবে বড়লোক। বিজয় আগরওয়াল বিপুল বড়লোক। ঘাবড়ে দেওয়ার মতো বড়লোক। বড়লোকদের একটা পরিচিত ইতিহাস থাকতেই হবে। প্রথমে তাঁরা বিশ্রী রকমের গরিব অবস্থায় জীবন শুরু করেন। তারপর নানারকমের কাণ্ডকারখানা করেContinue Reading

মামা সমগ্র

আশার আলো

এক আমার বড় আশা। আমি বড় হয়ে বিরাট একটা চাকরি করব। লাখ টাকা মাইনে। নিজের জন্যে বেশি খরচ করব না। সকালে এক গেলাস ছাতুর শরবত খেয়ে কাজে চলে যাব। ফেরার পথে পাড়ার দোকান থেকে রুটি-তরকারিContinue Reading

মামা সমগ্র

হাতপাখা

আগ্নেয়গিরি দীর্ঘকাল বেশ শান্তশিষ্ট। ফুসফুস করে পাতলা পাতলা ধোঁয়া ছাড়ছে, কিম্বা তাও নয়। তারপর বলা নেই কও না নেই হঠাৎ একদিন বিস্ফোরণ। আমার বিখ্যাত বড়মামা, ঠিক সেইরকম। এই একবছর কোনও সমস্যা তৈরি করেননি। মন দিয়েContinue Reading

মামা সমগ্র

মিত্তির বাড়ি

মুখবন্ধ মিত্তিরদের খুব নাম। প্রাচীন, বনেদী পরিবার। পিতামহ তাঁর ইঞ্জিনিয়ারিং দক্ষতার জন্য ইংরেজ আমলে রায়বাহাদুর খেতাব পেয়েছিলেন। পিতামহী ছিলেন বিদুষী, সুন্দরী। জীব, জন্তু, পশু-পক্ষী প্রেমী। নিজের একটি আত্মজীবনী লিখেছিলেন, ‘বঙ্গললনার সংসার পরিক্রমা’। বইটির একটি মাত্রContinue Reading

মামা সমগ্র

চোখ

এক এখনও আছে। এমন পরিবার এখনও আছে। বিরাট যৌথ পরিবার। পরিবার যখন বিশাল বাড়িটাও সেই অনুপাতে বৃহৎ। অতীতে এঁদের পূর্বপুরুষ এই কায়দার গৃহ তৈরি করেছিলেন। কতদিকে যে বিস্তার! এদিক, ওদিক, সেদিক। দালান, উঠান, বাগান। এ-কালেরContinue Reading

মামা সমগ্র

বড়মামার বোমবাজি

এক বড়মামা চিঠিটা তিনবার পড়লেন। যতবার পড়ছেন ততবারই মুখের চেহারা উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হচ্ছে। শেষবার পড়ে যখন আমার দিকে তাকালেন, তখন মুখ একেবারে উজ্জ্বলতম। আমি এখন পণ্ডিতমশাইয়ের কাছে সংস্কৃত শিখছি। হাফইয়ারলি পরীক্ষায় সংস্কৃতে আমি মাত্রContinue Reading