একুশ

কলিকাতার দুইজন খ্যাতনামা বিচক্ষণ চিকিৎসক ব্রজবাবুকে বিশেষ ভাবে পরীক্ষান্তে চিকিৎসার সুবন্দোবস্ত করিয়া কলিকাতায় প্রত্যাবর্তন করিয়াছেন। বিমলবাবু আরও কয়েকদিন তাঁহার নিকটে আছেন। ব্লাডপ্রেশার আর একটু কমিলেই ডাক্তারের নির্দেশমত ব্রজবাবুকে কলিকাতায় লইয়া যাওয়া হইবে। মেডিক্যাল কলেজের কাছাকাছিContinue Reading

বাইশ

শীতের সন্ধ্যা। কলিকাতার সরু গলির মধ্যে একখানি একতলা বাড়ির দুয়ার-ভেজানো ঘরে রেণু হ্যারিকেন-লণ্ঠনের সামনে বসিয়া পশমের ছোট টুপি বুনিতেছিল। দুয়ারের বাহির হইতে সারদার অনুচ্চ কণ্ঠ শোনা গেল, দিদি— রেণু সাড়া দিল,—এসো— সারদা দরজা ঠেলিয়া ঘরেContinue Reading

তেইশ

বিমলবাবু সিঙ্গাপুর হইতে কলিকাতায় ফিরিয়াছেন। তারকের পত্রে সবিতার শারীরিক কৃচ্ছ্রসাধনের সংবাদ পাইয়া তাহাকে লিখিয়াছিলেন, “তোমাদের নতুন-মা নিজে যাহা করিয়া তৃপ্তি পান, তাহাতে আমার বাধা দেওয়া সঙ্গত নয়!” তারক এই পত্র পাইয়া একরূপ বাঁচিয়া গেল। কারণContinue Reading

চব্বিশ

বিমলবাবু যখন রাখালের খোঁজ করিতেছিলেন, সে তখন কলিকাতার বাহিরে। রেণু ও ব্রজবাবুকে বৃন্দাবন পৌঁছাইয়া দিতে গিয়াছে। ফিরিয়া আসিয়া বিমলবাবুর সহিত সাক্ষাৎ করিলে বিমলবাবু অভিযোগ করিলেন, একটা দিন অপেক্ষা করলেই আমার সঙ্গে ব্রজবাবুর দেখা হতো। তুমিContinue Reading

পঁচিশ

বৎসর ঘুরিয়া নূতন বৎসর আসিয়াছিল; তাহাও আবার শেষ হইতে চলিল। সংসারের অবস্থা পরিবর্ত্তিত হইয়াছে অনেক। বিমলবাবু শেষবার সিঙ্গাপুরে গিয়া প্রায় দেড় বৎসর আর কলকাতায় ফিরেন নাই। এই বছর দুইয়ের মধ্যে রাখালকে প্রায় বার-সাতেক ছুটিতে হইয়াছেContinue Reading

ছাব্বিশ

তারকের বিবাহ নির্ব্বিঘ্নে ঢুকিয়া গেল। বিমলবাবু কলিকাতায় আসিয়াছেন। সবিতা প্রস্তুত হইয়াছেন বিমলবাবুর সহিত তীর্থভ্রমণে বাহির হইবার জন্য। আগামী কল্য তাঁহারা রওনা হইবেন। পুরাতন দরওয়ান মহাদেও ব্যতীত বিমলবাবু দাসী ও রাঁধুনী সঙ্গে লওয়ার ব্যবস্থা করিয়াছেন। রাখালকেContinue Reading