মুদ্রা বিভাগ।

১০ রিন—১ ছেন, ১০০ ছেন—১ ইয়েন। “ইয়েন” রৌপ্য মুদ্রা, ইহা ইংরেজী ২ শিলিং ·৫৮২০৭৫ পেন্সের সমান, আমাদের প্রায় ১॥৹ টাকা হইবে। “ছেন” তাম্রমুদ্রা, আমাদের এক পয়সার সমান। “রিন” দুই কড়ার তুল্য হইবে।

ওজন প্রণালী।

৬ কিন—১ কোয়ান, ১৭ কোয়ান—১ পাইকল। ৪ পাইকল—১ কোকু (তরল), ১ কোকু—৪০ গ্যালন। ১ কিন ইংরেজী ·১০৩২ পাইণ্ট, আমাদের প্রায় অর্ধসের হইবে।

জমি মাপিবার প্রণালী।

৬ সাকু—১ কেন, ৬০ কেন—১ চো, ৩৬ চো—১ রাই।

ইংরেজী ·৯৯৪ ফিটে ১ মাকু হইয়া থাকে। ১ চো প্রায় ২৩৫ হস্তের সমান। এক রাই ইংরেজী দুই মাইলের উপর। অর্থাৎ আমাদের এক ক্রোশের কিছু কম হইবে।

ডাক বিভাগ।

১৮৭১ খৃঃ মার্চ্চমাসে জাপানে ইয়ুরােপীয় প্রথায় ডাকঘর স্থাপিত হয়। এই বৎসরেই ডাক-আইন ও টিকিট প্রকাশিত হয়। ১৮৭৫ খৃঃ সেভিং ব্যাঙ্কের প্রথা প্রবর্ত্তিত হয়। ১৮৮৫ অব্দে রিপ্লাই কার্ডের প্রচলন হয়। এক্ষণে জাপানে একটী জেনারেল পােষ্টাফিস ৫০০০টী ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণীর পােষ্টাফিস ও ১৮০০টী টেলিগ্রাফ আফিস আছে। গত পূর্ব্ববর্ষে ডাক বিভাগীয় উচ্চ কর্ম্মচারির সংখ্যা ৩০০ শত, মধ্য কর্ম্মচারির সংখ্যা ১৮০০০ হাজার ও অধস্তন কর্ম্মচারির সংখ্যা ৬৬০০০ হাজার ছিল। এই বৎসরে সমগ্র রাজ্যে ৩৫ কোটী পোষ্টকার্ড ও ১৫ কোটী পত্র ব্যবহৃত হইয়াছিল। ডাক বিভাগে যত টাকা আয় হইয়া থাকে, তাহার শতকরা ৬৮ ভাগ এই বিভাগে ব্যয় নির্দ্দিষ্ট আছে। জাপানে॥৹ আউন্স ওজনের পত্রে ও ২॥ আউন্স ওজনের সংবাদ পত্রে, যথাক্রমে ৩ ছেন ও॥৹ ছেন মাশুল লাগিয়া থাকে। পােষ্টকার্ড ও রিপ্লাই কার্ডের মূল্য যথাক্রমে ১॥ ছেন ও ৩ ছেন মাত্র। বুক প্যাকেট ও নমুনা ডাকের প্রতি ৩৸ আউন্সে ২ ছেন মাশুল দিতে হয়। রেজিষ্ট্রীর জন্য ৭ ছেন ব্যয় হইয়া থাকে। পত্রাদি ব্যারিং হইলে ডবল মাশুল দিতে হয়। জাপানে ১০ ইয়েন মণিঅর্ডার করিতে হইলে ৬ ছেন কমিশন দিতে হয়। টেলিগ্রাফে প্রতি ১৫ কথায় ২০ ছেন ব্যয় হয়।

জাপানের রেলপথ।

জাপানের সর্ব্বপ্রথম রেলপথ ১৮৭২ খৃঃ ১২ই এপ্রেল তারিখে উদ্ঘাটিত হয়। ১৮৭৭ খৃঃ ৬৫ মাইল পথ প্রস্তুত হয়। জাপানের উন্নতিসহকারে রেলপথ ক্রমেই বৃদ্ধি হইয়া বর্ত্তমান সময়ে ৫০০০ মাইলে পরিণত হইয়াছে। পূর্ব্বে গভর্ণমেণ্টের খাসে দুইটী ও ভিন্ন ভিন্ন কোম্পানীর হস্তে ৪১টি রেলপথ ছিল। সম্প্রতি সমস্তই গভর্ণমেণ্টের অধীনে আসিয়াছে। জাপানে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর গাড়ী আছে। ভাড়ার অনুপাত যথাক্রমে ৩ঃ ১′৭৫ঃ ও ১ঃ। দ্বাদশ বর্ষের ন্যূনবয়স্কদিগকে অর্দ্ধ ভাড়া দিতে হয়। চারি বৎসরের কম হইলে কিছুই দিতে হয় না। রিটর্ণ টিকিটে পূর্ণ ভাড়ার শতকরা ২% বাদ পাওয়া যায়। প্রথম শ্রেণীর টিকিটে ১০০ কিন, দ্বিতীয় শ্রেণীর টিকিটে ৬০ কিন ও তৃতীয় শ্রেণীর টিকিটে ৩০ কিন ওজনের ভাড়া লাগে না। যাত্রীদিগকে নিজের সাইকেলের জন্য ভাড়া দিতে হয় না। জাপানি ট্রেণের ১ম ও ২য় শ্রেণীতে একজন করিয়া ভৃত্য অবস্থিতি করে।

জাপান পৃথিবীর নন্দনকানন বলিয়া প্রসিদ্ধ। এইজন্য প্রাচীন ভারতীয়েরা এই দ্বীপের নাম সুদর্শন রাখিয়াছিলেন। জীবন সার্থক ও নয়ন পরিতৃপ্ত করিবার অনেক দৃশ্য এখানে দেখিতে পাওয়া যায়। ইয়াকোহামা বন্দর, হাকোন পর্ব্বতের আশাহৃদ, ফুজিসামা শৃঙ্গ, সীতা পর্ব্বতের রেলপথ, তেনারুনদীর লৌহসেতু, হামানা হৃদ, নাগােয়ার স্বর্ণভবন, ইয়ােরো জলপ্রপাত ইরামানাকা উষ্ণপ্রস্রবণ, কেনরোকু পার্ক, কিয়াটোর বংশকুঞ্জ, মিনাটোগোয়ার তীর্থ প্রভৃতি ভ্রমণকারীমাত্রেরই দ্রষ্টব্য।

****

কলিকাতা হইতে প্রতি সপ্তাহেই আপকার কোম্পানীর অথবা ইন্দোচায়না কোম্পানির ডাক জাহাজ হংকং দ্বীপে গমন করিয়া থাকে। হংকং হইতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় ডাক জাহাজে জাপানে গমন করা যায়। কলিকাতা হইতে হংকং, প্রথম শ্রেণীর ভাড়া ২৫০৲, দ্বিতীয় শ্রেণীর ভাড়া ২০০৲, ডেকের ভাড়া ৪৫৲ টাকা। হংকং হইতে ইয়াকোহামা, ১ম শ্রেণী ২২৭ ৷৹, জাহাজের সম্মুখবর্ত্তী কামরা ৯৮৲ এবং ডেকের ভাড়া ৩৫৲ টাকা মাত্র। ইহা ভিন্ন প্রায় এক মাসের আহারাদি আছে। কলিকাতা, ৯ নং ওলড কোর্ট হাউস স্ট্রীটে টমাস কুক এণ্ড সনের কার্য্যালয়ে টিকিট প্রভৃতি পাওয়া যায়। বােম্বাই বন্দর হইতে ও হংকং হইয়া “প্যাসিফিক মেলে” জাপানে গমন করিতে পারা যায়।

জাপানীরা যে প্রণালী অবলম্বন করিয়া দৈহিক বলবীর্য্য বৃদ্ধি করে, তাহার নাম “জিউ জুৎসু”। জাপানিভাষায় ইহার অর্থ পেশী বিনষ্টকরা, কিন্তু ইহার দ্বারা পেশী সমূহের পুষ্টিসাধন হয়। অতি দুর্ব্বল ও ক্ষীণকায় ব্যক্তিও ইহার অনুশীলন করিয়া বিপুল বলশালী হইতে পারে। জাপানের সৈনিক ও নাবিকদিগকে এই বিদ্যা শিক্ষা করিতে হয়। ইহাতে সর্ব্বপ্রথমে আহারের প্রতি দৃষ্টি রাখিতে হয়, পরে ফুস্‌ফুস্ ও হৃৎপিণ্ডের উন্নতিসাধন করিতে হয়। শিক্ষার্থীদিগকে অস্থিবিদ্যা ও প্রাণীবিদ্যা আলােচনা করিতে হয় এবং যােগীর ন্যায় সংযত ও শুদ্ধাচারী হইয়া বাস করিতে হয়। চারি বৎসর বিশেষ ধৈর্য্য সহকারে শিক্ষা না করিলে, এই বিদ্যায় সিদ্ধ হওয়া যায় না।

****

জাপানে “হারা-কিরি” অর্থাৎ আত্মহত্যা অত্যন্ত প্রবল। জাপানীরা অতি সামান্য কারণেই নিজের জীবন বিনষ্ট করিয়া ফেলে। তাহাদের বিশ্বাস আত্মহত্যায় ইহকালে যশঃ ও পরকালে স্বর্গলাভ হইয়া থাকে। জাপানের প্রাচীন ধর্ম্মশাস্ত্রে লিখিত আছে যে, মানবমাত্রেরই আত্মজীবন রক্ষা ও বিনষ্ট করিবার অধিকার আছে। বর্ত্তমান রাজবিধানে “হারা-কিরি” গুরুতর অপরাধ বলিয়া উক্ত হইয়াছে।

জাপানের শিমোজ বারুদ পৃথিবীমধ্যে বিখ্যাত। জাপানী অধ্যাপক শিমোজ দীর্ঘকালব্যাপী পরিশ্রম ও পরীক্ষার পরে ইহা প্রস্তুত করেন। তাঁহারই নামানুসারে ইহার নাম শিমােজ বারুদ হইয়াছে। এরূপ অসাধারণ বিস্ফোটন-শক্তিসম্পন্ন বারুদ পৃথিবীর কোন বৈজ্ঞানিক এ পর্য্যন্ত আবিষ্কার করিতে পারেন নাই।

জাপানী অধ্যাপক ওমােরি ভূমিকম্পের গতি ও স্থিতি পরিমাপক যে যন্ত্র প্রস্তুত করিয়াছেন, তাহা পাশ্চাত্য পণ্ডিত মিল্নির যন্ত্রাপেক্ষা বহুপরিমাণে কার্য্যকরী হইয়াছে। সম্প্রতি এই যন্ত্রের সাহায্যে সিমলাশৈল হইতে ২০০০ মাইল দূরবর্ত্তী স্থানের ভূমিকম্প অবগত হওয়া গিয়াছে।

১৮৯৪ অব্দের ২৯শে জুন তারিখে জাপানী অধ্যাপক কিটা সাটো হংকং দ্বীপে উপস্থিত থাকিয়া প্লেগের বীজাণু আবিষ্কার করেন। এক্ষণে পৃথিবীর সর্ব্বস্থানে কিটাসাটোর মতানুসারেই এই ভয়াবহ ব্যাধির নিদানতত্ব স্থিরীকৃত হইতেছে।

চিকিৎসাশাস্ত্রে জাপান অনেক উন্নতি সাধন করিয়াছে। সংপ্রতি জাপানের সুবিখ্যাত চিকিৎসক ডাক্তার শিগা আমাশয় রােগের জীবাণু আবিষ্কার করিয়া পাশ্চাত্য জগতের চিকিৎসকগণকে চমৎকৃত করিয়াছেন। ডাক্তার শিগা আমাশয়গ্রস্ত রােগীর শােণিতে ঐ জীবাণু দেখিতে পাইয়াছেন। আর একজন জাপানী চিকিৎসক পশু পক্ষী প্রভৃতি জীবের অন্ত্র হইতে এক প্রকার রস প্রস্তুত করিয়াছেন, ঐ রস মুমূর্ষু রােগীর শরীরে প্রবেশ করাইয়া দিলে সেই মুমূর্ষুর জীবনীশক্তি কিয়ৎকালের জন্য সতেজ হইয়া উঠে।

“গেইসা” জাপানের নৃত্যকারিণী রমণী। এই অপ্সরানিন্দিত সুন্দরী সঙ্গীতবালিকাগণের নৃত্য দর্শন ও গীত শ্রবণ জন্য জাপানীরা বিশেষ আগ্রহ প্রকাশ করিয়া থাকে। ইহাদিগের কমনীয় মুখশ্রী, বিচিত্র বেশবিন্যাস ও অঙ্গভঙ্গিমা প্রভৃতি দর্শন করিলে বোধ হয়, যেন জগতের চক্ষু পরিতৃপ্ত করিবার জন্য গেইসা সুন্দরীর সৃষ্টি হইয়াছে। গেইসাদিগের চরিত্র দূষিত নহে। ইহারা পিতা, মাতা, ভ্রাতা প্রভৃতি অভিভাবকগণের প্রত্যক্ষ শাসনাধীনে থাকিয়া নৃত্যগীতাদি করিয়া থাকে। উপযুক্ত সময়ে বিবাহ হইলে আর কখনও সাধারণ সমক্ষে বহির্গত হইতে বা গীতাভিনয় করিতে পারে না।

জাপানিদিগের ভদ্রতা ও নম্রতা শিক্ষা করিবার বিষয়। তাহারা কথায় কথায় ধন্যবাদ ও নমস্কার করিয়া থাকে। গুরুজনকে আমাদের মত জানু অবনত করিয়া প্রণাম করিয়া থাকে। জাপানে মারামারি অথবা ঝগড়া বিবােধ প্রায় দেখা যায় না। জাপানী ভাষায় কুৎসিত গালাগালির প্রতিশব্দ নাই। বিশেষ রাগের কারণ হইলে লােকে “বাকা” অর্থাৎ বােকা বলিয়া গালি দিয়া থাকে। এখানে গৃহাভ্যন্তরে চর্ম্মপাদুকা লইয়া যাওয়া বিশেষ নিষিদ্ধ, এইজন্য অনেকেই বস্ত্রপাদুকা ব্যবহার করে।

জাপানে “সাতজুমা” অর্থাৎ মল্ল উপাধিধারী একটী প্রসিদ্ধ বংশ আছে। ইহারা কুস্তিগীর পালােয়ান ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তিকে কন্যাদান করা ঘৃণার বিষয় মনে করে। ইহারা পুত্র কন্যার জন্মদিনে একটী বৃক্ষ রােপণ করিয়া থাকে, পরে সন্তানের বিবাহের সময়ে সেই বৃক্ষের কিয়দংশ ছেদন করিয়া কোন একটী গৃহসরঞ্জাম প্রস্তুত করে।

জাপানের ন্যায় বৈদ্যবহুল দেশ সমগ্র পৃথিবীমধ্যে কুত্রাপি দৃষ্ট হয় না। জাপানি-ভাযায় হাতুড়িয়া বৈদ্যের নাম “কুইসা”; ইহাদের প্রস্তুত গণ্ডার বটিকা, মহিষমিশ্রণ, ছাগারিষ্ট, হংসরস প্রভৃতি ঔষধ, সর্দ্দিজ্বর ও বিবিধ জটিল রোগে ব্যবহৃত হইয়া থাকে। জাপানী ভৈষজ্যশাস্ত্রে মৃগনাভিকেই সর্ব্বশ্রেষ্ঠ ঔষধ বলা হইয়াছে।

জাপানে যে সমস্ত গল্প ও উপকথা প্রচলিত আছে, সেই সকলের মধ্যে দুই চারিটী গল্পের সহিত এ দেশীয় কোন কোন উপকথার অপূর্ব্ব ঐক্যতা পরিলক্ষিত হইয়া থাকে। উদাহরণ স্বরূপ বিহগবিহগীর (ব্যাগমাবেগমী) উপাখ্যান ও সাতভাই চম্পার কথা বলা যাইতে পারে। জাপানী উপকথায় দেব দানবের সহিত মানুষের বিবাহ, ব্যাঘ্র শৃগালাদির মানুষের রূপ ধারণ, শিয়ালভূত, মন্ত্রবলে মৃতদেহে জীবনসঞ্চারণ প্রভৃতি বহু অনৈসর্গিক কথা শ্রুত হওয়া যায়।

১৮৯৬ খৃঃ ১লা জুন তারিখে জাপান গভর্ণমেণ্ট যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ স্বরূপ চীনের নিকট হইতে ফরমােসা (তৈবান) ও তৎসন্নিহিত ৭৬টী ক্ষুদ্র দ্বীপ গ্রহণ করেন। সেই সময়ে এই দ্বীপের অবস্থা যারপরনাই শােচনীয় ছিল। জাপানের সুশাসনে ফরমোসা এক্ষণে দ্বিতীয় জাপানে পরিণত হইয়াছে। বর্ত্তমান সময়ে এই দ্বীপের লােক সংখ্যা ৩০ লক্ষ ৪০ হাজার হইবে। টেহােকু, ফেলাং, কাগী, হামা প্রভৃতি প্রধান নগরে বহুসংখ্যক বিদ্যালয়, ডাক্তারখানা ও ব্যাঙ্ক প্রভৃতি স্থাপিত আছে। এই দ্বীপে ৫টি রেলপথ আছে, তাহার পরিমাণ ১৫৮ মাইল হইবে। সম্প্রতি ৮২ মাইল প্রস্তুত হইতেছে। এতদ্ভিন্ন ২০০ মাইল পথে ট্রামগাড়ী চলিতেছে। টেলিগ্রাফের দৈর্ঘ্য ২০০০ মাইল হইবে। সমগ্র দ্বীপে ১০৯টী ডাকঘর আছে। এখান হইতে প্রচুর পরিমাণে আফিং, লবণ, কর্পূর, চিনি, চাউল, কাচ, কাগজ ও কয়লা পৃথিবীর নানাস্থানে রপ্তানি হইয়া থাকে। ইহার মধ্যে প্রথম দ্রব্য তিনটীতে গভর্ণমেণ্টের একচেটিয়া আছে। এখানেও জাপানের ন্যায় ডাক্তারের বিনানুমতিতে অহিফেন সেবন করিলে দণ্ডনীয় হইতে হয়।

বর্ত্তমান বর্ষে জাপান গভর্ণমেণ্ট ফরাষীর নিকট হইতে আলাস্কার নিকটবর্তী সেণ্ট পিরি ও অপর একটি ক্ষুদ্রদ্বীপ ক্রয় করিয়া লইয়াছেন। ইহাতে আমেরিকায় জাপানের প্রথম অধিকার স্থাপিত হইল। এইরূপ জনরব যে, ফিলিপাইন ক্রয় সম্বন্ধে মার্কিন রাজ্যের সহিত জাপানীদিগের কথাবার্ত্তা হইতেছিল, কিন্তু উভয় রাজ্যের সহিত গুরুতর মনোমালিন্য ঘটায় সে প্রস্তাব স্থগিত রহিয়াছে।

সূত্রনির্দেশ ও টীকা

  1. জাপানযাত্রা, জাপানের ভাষাশিক্ষা ও তথাকার খরচপত্র সম্পর্কীয় বিবরণাদি মৎপ্রণীত “বঙ্গজাগরণ ও স্বদেশের নানাকথা” পুস্তকে প্রদত্ত হইয়াছে। আমার নিকটে পত্র লিখিলেও উত্তর দেওয়া যায়।
  2. পরম শ্রদ্ধাস্পদ শ্রীযুক্ত দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয়ের বােলপুরস্থ “শান্তি নিকেতনে” উপযুক্ত শিক্ষক কর্ত্তৃক “জিউ যুৎসু” শিক্ষা দেওয়া হইয়া থাকে। আজিকালি পৃথিবীর সর্ব্বত্রই এই বিদ্যার অনুশীলন হইতেছে।