ডানাওলা মানুষ – বিনোদ ঘোষাল

ডানা
কৃত: বিনোদ ঘোষাল
গ্রন্থ:

‘গত জানুয়ারিতে এবারের থেকে আরও বেশি ঠান্ডা ছিল, না?’ জিগ্যেস করল অনুষ্কা। নিজের হাতের তালুদুটো খুব করে ঘষে নিয়ে কৃষ্ণেন্দু সিগারেট বার করে ঠোঁটে নিল। দেশলাই জ্বালাতে গিয়ে দু-তিনবার ফসকাল। ঠান্ডায় ওর আঙুলগুলো কাঁপছে তিরতিরContinue Reading

ডানাওলা মানুষ – বিনোদ ঘোষাল

ডানাওলা মানুষ
কৃত: বিনোদ ঘোষাল
গ্রন্থ:

সত্যি কথা বল তো, তুই কি আমাদের মতো জীবন চাস না?’ প্রায় পনেরো বছর পরে চন্দ্রশেখরকে প্রশ্নটা করে ফেলল ভানু। আমরা তখন মানেভঞ্জন থেকে ট্রেক করে চিত্রার দিকে এগোচ্ছি। এই দু-কিলোমিটার পথ অসম্ভব খাড়াই। তারContinue Reading

ডানাওলা মানুষ – বিনোদ ঘোষাল

ডানাকাটা পরি
কৃত: বিনোদ ঘোষাল
গ্রন্থ:

আমি পরি নামাতে পারি। মন্ত্র আছে আমার কাছে। রোজ রাত্রে আমার ডাকে পরি আসে। যাকে চাই সেই-ই আসে। মন্ত্রটা অসংখ্য লাল-নীল কাগজে লেখা। কাগজগুলো সবসময় আমার সঙ্গে রাখি। এক এক পরির এক এক মন্ত্র। যেContinue Reading

ঢাকের বাদ্যি
কৃত: প্রচেত গুপ্ত
গ্রন্থ:

আমাদের ক্লাবের দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলে প্রতিবারই যে লোকটা ঢাক বাজাতে আসত তার নাম নটুরাম নট্ট। বড়রা নটু বলে ডাকত। আমরা বলতুম নটুদা। নটুদা প্রথম কবে আমাদের ক্লাবে ঢাক বাজাতে এসেছিল আমাদের তা মনে নেই। সত্যি কথাContinue Reading

দরদী কিশোর
কৃত: সুকান্ত ভট্টাচার্য
গ্রন্থ:

দোতলার ঘরে পড়ার সময় শতদ্রু আজকাল অন্যমনস্ক হয়ে পড়ে। জানালা দিয়ে সে দেখতে পায় তাদের বাড়ির সামনের বস্তিটার জন্যে যে নতুন কণ্ট্রোলের দোকান হয়েছে, সেখানে নিদারুণ ভীড়, আর চালের জন্যে মারামারি কাটাকাটি। মাঝে মাঝে রক্তপাতContinue Reading

দর্পচূর্ণ
কৃত: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
গ্রন্থ:

দর্পচূর্ণ গল্পটি ১৩২১ বঙ্গাব্দের কার্তিক সংখ্যা “ভারতবর্ষ” পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয় এবং প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় অগ্রহায়ণ, ১৩৩২ বঙ্গাব্দে (১২ই জুলাই, ১৯১৫)। গ্রন্থের নাম “মেজদিদি ও অন্যান্য গল্প”, প্রকাশক ‘গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স’, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা।Continue Reading

দুই সে.মি. দীর্ঘ জিন
কৃত: আইজাক আসিমভঅনিশা দত্ত
গ্রন্থ:

বেশ কয়েক বছর পূর্বে, এক সাহিত্যসভায় জর্জের সঙ্গে আমার দেখা হয়। আর আমি তার মধ্যবয়সী সুগোল মুখের অকপট সরল দৃষ্টি দেখে মোহিত হয়েছিলাম। তিনি এমনই এক ব্যক্তি ছিলেন, যার হাতে নিশ্চিন্তে ওয়ালেট সমর্পণ করে, সাঁতারেContinue Reading

ডানাওলা মানুষ – বিনোদ ঘোষাল

দুই-পুরুষ
কৃত: বিনোদ ঘোষাল
গ্রন্থ:

ডেস্কের পাশে রাখা ওয়েস্ট পেপার বাস্কেটের মধ্যে বেশ অনেকটা গুটখার পিক ফেলে বিশাল চেহারার লোকটা বলল, ‘ঠিক আছে। আপনি বিমলবাবুর লোক আছেন, তো সওয়াল-জবাবের কোনও বেপার নেই। লেকিন কামকাজ বুঝে নিন।’ ‘হ্যাঁ স্যার…’ আর কিছুContinue Reading

দুর্বোধ্য
কৃত: সুকান্ত ভট্টাচার্য
গ্রন্থ:

সহর ছাড়িয়ে যে-রাস্তাটা রেল-স্টেশনের দিকে চলে গেছে সেই রাস্তার ওপরে একটা তেঁতুল গাছের তলায় লোকটিকে প্রতিদিন একভাবে দেখা যায়—যেমন দেখা যেতে পাঁচ বছর আগেও। কোনো বিপর্যয়ই লোকটিকে স্থানচ্যুত করতে পারে নি যতদূর জানা যায়। এইContinue Reading

ডানাওলা মানুষ – বিনোদ ঘোষাল

দৃষ্টিবদল
কৃত: বিনোদ ঘোষাল
গ্রন্থ:

‘পঃবঃ, স্বর্ণবণিক, 32/5′-4″, বি এ, উত্তর কলকাতায় নিজস্ব বাড়ি, পৈতৃক ব্যবসা, অনূর্ধ্ব সাতাশ-এর জন্য নূন্যতম উ: মা: ফরসা সুন্দরী পাত্রী ব্যতীত পত্রালাপ নিষ্প্রয়োজন। দাবি নাই। বক্স নং…।’ লাল কালি দিয়ে এই অংশটুকু গোল করা রবিবারেরContinue Reading

দেওঘরের স্মৃতি
কৃত: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
গ্রন্থ:

এই গল্পটি ১৩৪৪ বঙ্গাব্দের (১৯৩৭ খৃষ্টাব্দ) আষাঢ় সংখ্যা ‘ভারতবর্ষ’ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়। এরপর এপ্রিল, ১৯৩৮ খৃষ্টাব্দ (বৈশাখ, ১৩৪৫ বঙ্গাব্দ) গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা থেকে প্রকাশিত ‘ছেলেবেলাকার গল্প’ নামক গ্রন্থের সপ্তম ও শেষ গল্প।Continue Reading

দেবতাদের ভয়
কৃত: সুকান্ত ভট্টাচার্য
গ্রন্থ:

[পাত্র-পাত্রী : ইন্দ্র, ব্রহ্মা, নারদ, অগ্নি, বরুণ ও পবন ] ইন্দ্র : কি ব্যাপার? ব্রহ্মা : আমার এত কষ্টের ব্রহ্মাণ্ডটা বোধহয় ছারখার হয়ে গেল। হায়—হায়—হায়! নারদ : মানুষের হাত থেকে স্বর্গের আর নিস্তার নেই মহারাজ,Continue Reading

দেমাক
কৃত: জহির রায়হান
গ্রন্থ:

লোকটাকে দেখলেই গা জ্বালা করে রহমতের। গর্বে মাটিতে যেন পা পড়তে চায় না লোকটার। লম্বা সুঠাম দেহ। দেড় হাত চওড়া বুক। মাংসল হাত দুটো ইস্পাত-কঠিন। বড় বড় চোখ দুটোতে সব সময় রক্ত যেন টগবগ, টগবগContinue Reading

নয়া পত্তন
কৃত: জহির রায়হান
গ্রন্থ:

ভোরের ট্রেনে গাঁয়ে ফিরে এলেন শনু পণ্ডিত। ন্যুব্জ দেহ, রুক্ষ চুল, মুখময় বার্ধক্যের জ্যামিতিক রেখা। অনেক আশা ভরসা নিয়েই গিয়েছিলেন তিনি। ভেবেছিলেন, কিছু টাকা পয়সা সাহায্য পেলে আবার নতুন করে দাঁড় করাবেন স্কুলটাকে। আবার শুরুContinue Reading

পড়তে বসা
কৃত: প্রচেত গুপ্ত
গ্রন্থ:

মাস্টার মশাইরা বলেন, “অঞ্জনকে দ্যাখ। দেখে শেখ।” সত্যিই শুধু আমরা ক্লাস সেভেনের ছেলেরা শুধু নই, অঞ্জনকে দেখে আমাদের এই পবনপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সব ক্লাসের ছেলেরাই। তাকিয়ে দেখার মতই ছেলে বটে সে। ক্লাস সেভেনের একটা ছেলে যেContinue Reading

পথ-নির্দেশ
কৃত: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
গ্রন্থ:

পথ-নির্দেশ গল্পটি ১৩২০ বঙ্গাব্দের বৈশাখ সংখ্যা “যমুনা” পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয় এবং প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় শ্রাবণ, ১৩২১ বঙ্গাব্দে (৩রা জুলাই, ১৯১৪)। গ্রন্থের নাম “বিন্দুর ছেলে ও অন্যান্য গল্প”, প্রকাশক ‘গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স’, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা।Continue Reading

পরেশ
কৃত: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
গ্রন্থ:

পরেশ গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৩৩২ বঙ্গাব্দের (১৯২৫ খৃষ্টাব্দ) ভাদ্রে সাহিত্যিক শ্রীনলিনীরঞ্জন পণ্ডিত সম্পাদিত পূজাবার্ষিকী (শারদ) সংখ্যা ‘শরতের ফুল’ পত্রিকায়। ফাল্গুন, ১৩৪০ বঙ্গাব্দে (১৮ই মার্চ, ১৯৩৪ খৃষ্টাব্দ) এটি ‘অনুরাধা, সতী ও পরেশ’ নামক গল্পগ্রন্থে সঙ্কলিত হয়ে প্রকাশিত হয়। প্রকাশক, গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা।Continue Reading

পানাপুকুরের রত্ন
কৃত: প্রচেত গুপ্ত
গ্রন্থ:

ভূতোর লজ্জা করছে। খুবই লজ্জা করছে। ফোঁস ফোঁস করে দম ফেলে বিশাল চেহারার ট্রেন ঢুকছে পানাপুকুর রেলস্টেশনে। ভূতো দাঁড়িয়ে আছে দরজার সামনে। দুটো হাত দিয়ে শক্ত করে হাতল ধরা। মুখে লাজুক হাসি। পানাপুকুরের মতো অজContinue Reading

রাণুর প্রথম ভাগ

পৃথ্বীরাজ
কৃত: বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়
গ্রন্থ: »

১ পৃথ্বীরাজ, টিপু সুলতান আর পিণ্ডারী-দস্যুদলের মধ্যে ঘোরতর যুদ্ধ বাধিয়া গিয়াছে। পিণ্ডারীদের দুই-তিনজন আহত হইয়া ধরাশয্যা লইয়াছে, তবু দুর্দ্ধর্ষ দলটা হটিতে চাহে না। টিপু সুলতানের কানের কাছ দিয়া একটি আঁকাবাঁকা আমের ডাল বোঁ করিয়া বাহিরContinue Reading

পোস্টার
কৃত: জহির রায়হান
গ্রন্থ:

দূর থেকেই দেখলেন আমজাদ সাহেব। লাল কালো হরফে লেখা অক্ষরগুলো সকালের সোনালি রোদে কেমন চিকচিক করছে। সাম্রাজ্যবাদ ধ্বংস হোক। বাজারে এক মেছুনীর সাথে ঝগড়া করে মেজাজটা এমনিতেই বিগড়ে ছিলো আমজাদ সাহেবের। তার ওপর সদ্য চুনকামContinue Reading