১২০৬ থেকে ১৫২৬ খ্রিষ্টাব্দ অবধি দীর্ঘ ৩২০ বছরের ইতিহাসে শাসক এসেছেন ২৯ জন। এঁদের সকলেই সমান উজ্জ্বল ছিলেন না। এঁদের মধ্যে সর্বাধিক গুণসম্পন্ন ও অসাধারণ যোগ্য শাসক হলেন দু’জন—আলাউদ্দীন খিলজি ও মুহম্মদ বিন তুগলক। অন্যান্যদের মধ্যে অনেকেই এঁদের চেয়ে অনেক বেশিদিন রাজত্ব করেছেন কিন্তু প্রশাসনিক সংস্কারে এঁরা দুজন ছিলেন সর্বাগ্রগণ্য। এঁদের প্রবর্তিত ও সুসংস্কৃত অনেক কিছুই পাক—ভারত—বাংলা উপমহাদেশ আজও ভোগ করছে। এঁদের মধ্যে আর যাঁরা আছেন তাঁদের অনেকেরই কিছু—না—কিছু অবদান নিশ্চয়ই আছে—যেমনটি রয়েছে তাঁদের অখণ্ড উপমহাদেশে সংগঠনের কার্যক্রম। সে ক্ষেত্রে তাঁদের অবদান কম বেশি অবশ্যই স্মরণীয়।

মুসলমানরা এদেশে এসেছিলেন উন্নততর ধর্ম, সংস্কৃতি ও শাসনব্যবস্থা নিয়ে। ইসলামের মহান নবির শিক্ষা ছিল ‘জ্ঞান মুসলমানের হারানো নিধি’ তাকে যেখানেই পাওয়া যায় সেখানেই তা তার গ্রহণ করার অধিকার আছে, এ জন্য মুসলমান জাতি যে জ্ঞান ইসলামের সাথে দ্বন্দ্বপূর্ণ নয়—সে জ্ঞান অমুসলিমদের কাছ থেকে গ্রহণ করতে আপত্তি করেনি। আর এ জন্যই আবির্ভাবের এত অল্পকাল মধ্যেই ইসলাম অতি—দ্রুত দুনিয়া জয় করতে সমর্থ হয়েছিল। এসব বিজয়ের ধারাবাহিকতায় তৎকালীন ভারতও ইসলামি জগতের মধ্যে এসে গিয়েছিল।

এদেশে মুসলমানরা এনেছিলেন উন্নততর ধর্ম, সংস্কৃতি ও সুসংহত শাসনব্যবস্থা। প্রাচীন সমৃদ্ধ দেশ ভারতে তখন কোনো কেন্দ্রীয় শাসন—ব্যবস্থা ছিল না। মুসলমানরা দিল্লি অধিকার করার পর তাঁদের শাসনব্যবস্থা কায়েম করেন কিন্তু এদেশে প্রচলিত কালের সংঘাতে যা টিকতে পারেনি এবং যুগের সাথে যা চলতে পারেনি তার অবসান ঘটিয়েছেন। ভারতে ১২০৬ খ্রিষ্টাব্দে মুসলিম শাসন কায়েম হওয়ার পর নানা উত্থান—পতনের মধ্য দিয়ে ১৫২৬ অবধি ৩২০ বছর কাল অতিক্রান্ত হয়ে যায়। এই সময় কালের মধ্যে ভারতের রাজনৈতিক রঙ্গমঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন বহু ওজস্বী নায়ক। রাষ্ট্রের নয়া—নয়া সংস্কারের মাধ্যমে এদেশে প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে তাঁরা সমৃদ্ধ করে গিয়েছেন। আর এতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই যে, মুসলমানদের শাসন ছিল কল্যাণকর রাষ্ট্র শাসন। দুনিয়ার অন্যান্য সাম্রাজ্যবাদী ঔপনিবেশিক শক্তিগুলোর ন্যায় তাঁরা এদেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করেননি; বরং তাঁরা এ দেশকে নিজেদের মাতৃভূমির মতো দেখেছেন, শাসন করেছেন এবং এদেশের সমাহিত হয়েছেন। রাজনৈতিক ডামাডোল, হানাহানি, খুনোখুনি সে ছিল ‘রাজায় রাজায় যুদ্ধ’। দেশের প্রজা সাধারণ তার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। এভাবেই ভারতে মুসলিম রাজ কায়েম (১২০৬) হওয়ার পর ৩২০ বছর কেটে যায় (১৫২৬)। এবং পরিপূর্ণ রূপে সুলতানি যুগ শেষ হয়ে যায়। এরপরে আসে মোগল যুগ।

ভারতে মোগল সাম্রাজ্যের সূচনা ও প্রতিষ্ঠা করেন আমির তাইমুরের চতুর্থ অধঃস্তন জহির—উদ—দিন মুহম্মদ জালাল—উদ—দিন বাবুর।

নাম ও পরিচয়

আল—সুলতান আল—আজম ওয়াল খাকান আল—কুকারাম পাদশাহ (বাদশাহ) গাজী জহির উদ্—দিন মুহম্মদ জালাল উদ—দিন বাবুর, বাদশাহ গাজী যিনি প্রধানত ‘বাবর’ নামে পরিচিত, তিনি ভারতবর্ষে মোগল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা—সম্রাট ছিলেন। যদিও এখানে আমরা তাঁর নামের বানান ও উচ্চারণ বাবুর লিখব। বারবনামার ইংরেজি সংস্করণগুলোতে তাঁর নামের বানান ‘বাবুর’ (Babur ) লেখা হয়। বাংলার বিখ্যাত সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলী বাবরনামা সংক্রান্ত আলোচনায় তাঁর নাম ‘বাবুর’ লিখেছেন। এ বাবদে তাঁর ‘দেশে বিদেশে’ সর্বপ্রকৃষ্ট উদাহরণ। আমরাও এখানে ‘বাবুর’ লিখব, এই গ্রন্থের সর্বত্রই ‘বাবুর’ লেখা হয়েছে।

পারিবারিক প্রতিকৃতি

বাবুরের পিতা ছিলেন উমর শেখ মির্জা। তিনি ছিলেন ফারগানার আমির, যেটি বর্তমানে মধ্য এশিয়ার দেশ উজবেকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত। তিনি পিতার দিক দিয়ে দিগ্বিজয়ী বীর আমির তাইমুর বা তাইমুর লঙের চতুর্থ অধস্তন এবং মায়ের দিক দিয়ে চেঙ্গিস খানের চতুর্দশ অধঃস্তন। তাঁর মায়ের নাম ছিল কুতলুক নিগার খানম। তাইমুরি রাজবংশের এ মহান সন্তান ফারগানা থেকে কাবুল হয়ে রাজনৈতিক বিজয়ের গৌরবময় যাত্রা অক্ষুণ্ণ রেখে ভারতের তৎকালীন আফগান সম্রাট ইব্রাহীম লোদিকে পানিপথের প্রথম যুদ্ধে পরাজিত ও নিহত করে ভারত জয়ী সম্রাট বা মোগল সম্রাট রূপে নিজের এবং তাঁর বংশধরদের স্থান পোক্ত করে দিয়ে যান। বাবুর ভারত—জয়ের পর মাত্র পাঁচ বছর বেঁচে ছিলেন। ৩০ এপ্রিল ১৫২৬ ঈসায়ীতে দিল্লিতে সাম্রাজ্য স্থাপন করেন এবং তাঁর যুগ শেষ হয় ৫ জানুয়ারি ১৫৩১ এ। মাত্র ৪৭ বছরের জীবৎকালে তিনি যে কীর্তি রেখে গেলেন জগতে তার ইতিহাস সোনার হরফে লেখা হয়েছে।

বাবুরের মাতৃভাষা ছিল চুগতাই তুর্কি, যা অধিক ফার্সি মিশ্রিত একটি পৃথক ভাষা। ওই ভাষাতেই রচনা করেন তাঁর জগদ্‌বিখ্যাত আত্মজীবনী ‘তুজুক—ই—বাবরী’ যার ফার্সি নাম ‘বাবরনামা’। তাঁর পৌত্র জালালউদ্দীন মুহম্মদ আকবর বৈরাম খাঁ—র যশস্বী পুত্র আবদুর রহিম খান—ই—খানানকে দিয়ে বইটির ফার্সি অনুবাদ করান। এই ফার্সি অনুবাদ থেকেই পরবর্তীকালে গ্রন্থটি ইংরেজির মাধ্যমে জগতে প্রসিদ্ধি লাভ করে।

বাবুরের ব্যক্তিজীবন ছিল মূলত সামরিক জীবন। আশ্চর্য ক্ষিপ্র গতিতে অতিবাহিত হয়েছে তাঁর জীবন। মাত্র ৪৭ বছরের এই জীবনে তিনি সম্পূর্ণরূপে নিজের প্রচেষ্টা ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে যা করে গিয়েছেন তা বিস্ময়কর। ফারগানা থেকে দীর্ঘ পথ পেরিয়ে এসে দিল্লি অধিকার এই ক্ষিপ্রগতিময় জীবন তাঁর নামকে সার্থক করে। ‘বাবর’ শব্দের অর্থ লিওপার্ড, যা চিতাবাঘ এবং তার ক্ষিপ্রতাকেই নির্দেশ করে। এই জীবন ছিল একদিকে সামরিক জীবন আরেক দিকে ছিল কবি এবং সাহিত্যিকের জীবন। একহাতে অসি তো অন্য হাতে মসি। উভয়ভাবেই সার্থক তাঁর জীবন। এই জীবনের প্রতিকৃতিও বৈচিত্র্যময়, বিশাল, ব্যাপক এবং বৈশিষ্ট্য মণ্ডিত।

পারিবারিক জীবনে তিনি যেমন দায়িত্বশীল পতি, তেমনি তাঁর ছিল একাধিক পত্নী। তিনি ছিলেন তাঁর সন্তানদের দায়িত্বশীল পিতা এবং বহু সন্তানের জনক। তাঁর সাম্রাজ্যের উত্তরসূরি হন তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র হুমায়ূন। তাঁর স্ত্রী এবং সন্তানদের নাম এখানে তুলে ধরলে তাঁর একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিকৃতি তুলে ধরা সম্ভব হবে।

বাবুর বিরচিত ‘বাবরনামা’ ও তাঁর কন্যা গুলবদন বেগম বিরচিত ‘হুমায়ূননামা’য় বাবুরের নয় স্ত্রী ও সন্তানদের কথা উল্লেখিত হয়েছে। তাঁর নয় স্ত্রী ও তাঁর সন্তানদের নাম—পরিচয় এখানে উল্লেখ করা হচ্ছে:

  1. আয়েশা সুলতানা বেগম : তিনি ছিলেন বাবুরের চাচা আহমদ মির্জার কন্যা। বাবুরের যখন পাঁচ বছর বয়স তখন তাঁর সঙ্গে বাগদান সম্পন্ন হয় এবং খোজন্দে ১৫০০ ঈসায়ী সনে তাঁদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। ১৫০১ ঈসায়ীতে তিনি এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন কিন্তু এক মাসের মধ্যে তাঁর মৃত্যু হয়।
  2. জয়নব সুলতানা বেগম : ইনি সুলতান মাহমুদ মির্জার কন্যা ছিলেন। ১৫০৪ ঈসায়ী সনে তাঁর বিয়ে হয়। এবং দুর্ভাগ্যবশত, দু’বছর পরেই তিনি মারা যান।
  3. মাসুমা সুলতানা বেগম : ইনি সুলতান আহমেদ মির্জার কন্যা ছিলেন। তাঁর মায়ের নাম ছিল হাবিবা সুলতান বেগম আরগুন। ইনি বাবুরের প্রথমা পত্নী আয়েশা সুলতানার সৎ—বোন ছিলেন। এটি ছিল একটি প্রেম—বিবাহ, যা ১৫০৭ সনে সম্পন্ন হয়েছিল। দু’বছর পরে এক পুত্র সন্তান জন্মের সময়ে তিনি মারা যান। তাঁর নামেই বাবুরের এক কন্যার নাম রাখা হয় মাসুমা সুলতানা বেগম।
  4. মাহম বেগম : ইনি খুব উচ্চবংশজাত ছিলেন। তাঁর সম্বন্ধে জানা যায় যে, তিনি খুরাসানের প্রসিদ্ধ সাধক শেখ আবু নসর আহমদ জামের বংশজাত ছিলেন। ১৫০৬ ঈসায়ী সনে হেরাতে বাবুরের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তিনি পাঁচ সন্তানের জননী ছিলেন। বারবুল মির্জা, মেহের জাহাঁ, এশান দৌলত বেগম, ফারুক মির্জা ও হুমায়ূন মির্জা। তাঁদের প্রথম চার সন্তান শৈশবেই মারা যান। বাবুরের পরে দিল্লির বাদশাহ হন হুমায়ূন মির্জা।
  5. গুলরুখ বেগম : এঁর বংশ পরিচয় জানার মতো তথ্য আমাদের হাতে নেই। ১৫০৮ ঈসায়ী সনে বাবুরের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। এর পাঁচ পুত্ৰ সন্তানের মধ্যে কামরান ও আসকারি হুমায়ূনের রাজত্বকাল পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন এবং তাঁর দুর্ভাগ্যের কারণ বনে যান।
  6. দিলদার আগাচাহ : ইনি বাবুরের দ্বিতীয় পত্নী জয়নব বেগমের বোন ছিলেন। ১৫০৯ অথবা এর কিছু পরে বাবুরের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। এর গর্ভে ছয় সন্তান জন্মগ্রহণ করেছিলেন। গুলরুখ, গুলরংগ, গুলচেহেরা, হিন্দাল, গুলবদন ও আলওয়ার। এঁদের মধ্যে দু’জন বিখ্যাত ছিলেন—হিন্দাল মির্জা (১৫১৮—৫১ ঈ.) ও গুলবদন বেগম। ঐতিহাসিক দৃষ্টিতে এঁরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
  7. মুবারিকা বিবি : ইনি শাহ মনসুর ইউসুফজাঈয়ের কন্যা ছিলেন। বাবুর কেহরামে ১৫১৯ ঈসায়ী সনের ৩০ জানুয়ারি এঁর সঙ্গে বৈবাহিক সূত্রে আবদ্ধ হন। এটি ছিল একটি কূটনৈতিক বিবাহ। ইউসুফজাঈ আফগানদের সঙ্গে আত্মীয়তার বন্ধন গড়ে তোলাই ছিল এ বিয়ের উদ্দেশ্য। তাঁর কোনো সন্তান ছিলেন না। কোনো কোনো গ্রন্থে এরকম উল্লেখ আছে যে, সম্ভবত বাবুরের অন্য পত্নীরা তাঁকে এমন কোনো ওষুধ খাইয়ে দিয়েছিলেন, যে জন্য তাঁর কোনো সন্তানাদি হয়নি।
  8. গুলনার আগাচাহ ও
  9. নারগুল আগাচাহ : এঁদের বংশ পরিচয় সম্বন্ধে স্পষ্ট তথ্য ‘হুমায়ূননামা’ ও ‘আকবরনামা’য় মেলে না। সম্ভবত এঁরা দাসী ছিলেন। ইরানের বাদশাহ শাহ তহমাস্প ১৫২৬ খ্রিষ্টাব্দে এঁদের বাবুরকে উপহার স্বরূপ পাঠিয়েছিলেন। প্রথমে এঁরা দাসী থাকলেও পরে রাজভবনের সম্ভ্রান্ত মহিলাদের মধ্যে এঁরা স্থান লাভ করেন। গুলবদনের বর্ণনায় কয়েকটি উৎসব ও পারিবারিক পরামর্শ সভায় এঁদের অংশগ্রহণের কথা জানা যায়। গুলনার হিন্দালের বিবাহোৎসবে উপস্থিত ছিলেন এবং গুলবদন বেগমের সঙ্গে ১৫৭৫ ঈসায়ী সনে হজে গিয়েছিলেন। গুলবদন লিখেছেন, বাবুর তাঁর জীবনের অন্তিম দিনগুলোতে এঁদের প্রতি গভীরভাবে আকৃষ্ট হয়েছিলেন।

এই নয় পত্নী ছাড়াও ‘তারিখ—এ—শাহরুখ’ গ্রন্থের লেখক নিয়াজ মুহম্মদ খুকন্দি সায়িদা আফাক নামক দশম পত্নীর নামও উল্লেখ করেছেন। বেগা বেগম নামে তাঁর আরো এক স্ত্রী ছিলেন। এই দশের অতিরিক্ত কেউ কেউ বাবুরের আরো পত্নী ও দাসীর কথা অনুমান করেছেন কিন্তু তথ্য দিতে পারেননি।

গুলবদন বেগম বাবুরের ১৯ সন্তানের কথা উল্লেখ করলেও তিনি কেবল ১৮ জনের নাম উল্লেখ করেছেন। তবে, হুমায়ূনের রাজত্বকাল অবধি কেবল তিন সৎ ভাই ও চার সৎ বোন জীবিত ছিলেন।

এখানে বাবুরের সন্তান—সন্ততিদের নাম উল্লেখ করা হচ্ছে :

পুত্রগণ

  1. হুমায়ূন মির্জা
  2. কামরান মির্জা
  3. আসকারি মির্জা
  4. হিন্দাল মির্জা
  5. আহমদ মির্জা
  6. শাহরুখ মির্জা
  7. কিদা মির্জা
  8. বারবুল মির্জা
  9. আলোয়ার মির্জা
  10. ফারুক মির্জা

কন্যাগণ

  1. ফখর—উন—নিসা বেগম
  2. ইশান দৌলত বেগম
  3. মেহের জাহান বেগম
  4. মাসুমা সুলতান বেগম
  5. গুলজার বেগম
  6. গুলরংগ বেগম
  7. গুলবদন বেগম
  8. গুলচেহেরা বেগম
  9. গুলবর্গ বেগম
  10. আলতুন বিশিক

এখানে বাবুরের এগারো স্ত্রী ও কুড়ি সন্তানের নাম দেওয়া গেল। তবে আগেই বলা হয়েছে যে, হুমায়ূনের প্রথম রাজত্বকাল অবধি তাঁর তিন সৎভাই ও চার সৎ বোন জীবিত ছিলেন। তবে হুমায়ূনের দ্বিতীয় দফার রাজত্বকালে এবং দিল্লির সিংহাসন পুনরাধিকার কালে তাঁর সৎ ভাইদের মধ্যেকার কেউ আর বেঁচে ছিলেন না।