গ্রন্থপরিচয় কলেজ ত্যাগ করার পর শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ভাগলপুর শহরের খঞ্জরপুর পল্লীতে তাঁর প্রতিবেশী বিভূতিভূষণ ভট্টের বাড়িতে একটি সাহিত্যসভার আয়োজন করেছিলেন। এই সময় তিনি বেশ কিছু গল্প-উপন্যাস রচনা করেন, যেগুলি বিভূতিভূষণ ভট্টের বাড়িতে থাকত। শরৎচন্দ্রের বাল্যবন্ধুContinue Reading

বামুনের মেয়ে উপন্যাস শিশির পাবলিশিং হাউস কর্তৃক প্রকাশিত ‘উপন্যাস সিরিজে’র দ্বিতীয় বর্ষের প্রথম উপন্যাস (ক্রমিক নং-১৩) হিসাবে প্রথম প্রকাশিত হয়। প্রকাশকাল—আশ্বিন, ১৩২৭ বঙ্গাব্দ। পরে গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স এই গ্রন্থটি পুনপ্রকাশ করে। বামুনের মেয়ে উপন্যাসেContinue Reading

বাল্য-স্মৃতি গল্পটি ১৩১৯ বঙ্গাব্দের মাঘ সংখ্যা “সাহিত্য” পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয় এবং প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় ভাদ্র, ১৩২৪ বঙ্গাব্দে (১লা সেপ্টেম্বর, ১৯১৭)। গ্রন্থের নাম “কাশীনাথ”, প্রকাশক ‘গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স’, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা। উল্লেখ্য, লেখকের অপর একটি রচনা “বাল্য স্মৃতি” নামে ১৩৪৫ বঙ্গাব্দের আশ্বিন সংখ্যা “ছোটদের মাধুকরী” পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।Continue Reading

বিচার গল্পটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ে অপ্রকাশিত ও পরিত্যাক্ত রচনাবলীর অন্তর্ভূক্ত। লেখকের জীবদ্দশায় বা পরে এটি গ্রন্থভূক্ত হয়নি। পরে শরৎ সাহিত্য-সম্ভার বা রচনাবলীতে গল্পটি প্রকাশিত হয়েছিল।Continue Reading

বিজয়া নাটক প্রথম প্রকাশিত হয় ২৪শে ডিসেম্বর, ১৯৩৪ খৃষ্টাব্দে। ৬ই পৌষ, শনিবার, ১৩৪১ বঙ্গাব্দে ‘ষ্টার রঙ্গমঞ্চে’ নাবনাট্য-মন্দির কর্তৃক সর্বপ্রথম অভিনীত হয়। বিজয়া ‘দত্তা’ উপন্যাসের নাট্যরূপ। দত্তা ১৩২৪ সালের পৌষ থেকে চৈত্র সংখ্যা পর্যন্ত ও ১৩২৫Continue Reading

‘বিন্দুর ছেলে ও অন্যান্য গল্প’ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম গল্প সঙ্কলন। এটি ১৯১৪ সালে প্রকাশিত হয়, প্রকাশক গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স। এই সঙ্কলনে ‘বিন্দুর ছেলে’ ‘রামের সুমতি’ ও ‘পথনির্দেশ’ এই তিনটি গল্প সঙ্কলিত হয়েছিল। অবশ্য পরবর্তীতেContinue Reading

‘বিপ্রদাসে’র প্রথম দশ পরিচ্ছেদ ১৩৩৬ হতে ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত ‘বেণু’ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। পুনারায় ‘বিচিত্রা’ পত্রিকার ১৩৩৯ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন, চৈত্র; ১৩৪০ বঙ্গাব্দের বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়, আশ্বিন, কার্তিক, অগ্রহায়ণ, পৌষ, মাঘ ও ফাল্গুন এবং ১৩৪১Continue Reading

গ্রন্থপরিচয় বিরাজবৌ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত একটি জনপ্রিয় উপন্যাস। ভারতবর্ষ পত্রিকায় ১৩২০ বঙ্গাব্দের পৌষ ও মাঘ সংখ্যায় উপন্যাসখানি প্রকাশিত হয়। বিরাজবৌ উক্ত পত্রিকায় প্রকাশিত শরৎচন্দ্রের প্রথম উপন্যাস। ১৩২১ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাসে (২রা মে, ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দ) গুরুদাসContinue Reading

বিলাসী গল্পটি ১৩২৫ বঙ্গাব্দের (১৯১৮ খৃষ্টাব্দ) বৈশাখ সংখ্যা “ভারতী” পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয় এবং প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় মাঘ, ১৩২৬ বঙ্গাব্দে (১৫ই জানুয়ারি, ১৯২০)। গ্রন্থের নাম “ছবি”, প্রকাশক ‘গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স’, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা।Continue Reading

‘বৈকুণ্ঠ মজুমদার ব্যবসায়ী লোক, খুব সৎভাবে পরিশ্রমের মাধ্যমে তাঁর ধ্বংসপ্রায় মুদি দোকানকে বড় আড়তে পরিণত করেন তিনি। বৈকুণ্ঠের দুই ছেলে গোকুল এবং বিনোদ। গোকুল তাঁর প্রথম স্ত্রীর সন্তান, আর দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান হচ্ছে বিনোদ। গোকুলContinue Reading

বোঝা গল্পটি ১৩১৯ বঙ্গাব্দের কার্তিক-পৌষ সংখ্যা “যমুনা” পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয় এবং প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় ভাদ্র, ১৩২৪ বঙ্গাব্দে (১লা সেপ্টেম্বর, ১৯১৭)। গ্রন্থের নাম “কাশীনাথ”, প্রকাশক ‘গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স’, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা।Continue Reading

মন্দির গল্পটি ১৩০৯ বঙ্গাব্দে একটি সাহিত্য স্মরণিকা “কুন্তলীন পুস্তিকামালা”-য় প্রথম প্রকাশিত হয়। গল্পটি ১৩০৯ বঙ্গাব্দে (১৯০৩ খৃষ্টাব্দে) “কুন্তলীন পুরষ্কার” প্রাপ্ত। গল্পটি তাঁর সম্পর্কীয় মাতুল (মামা) ও বাল্যবন্ধু শ্রীসুরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে প্রকাশিত। “বসুমতী” পত্রিকার সম্পাদক দেড়শ’টি গল্পের মধ্যে মন্দির গল্পটিকে শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচনা করেন। গল্পের বিষয়বস্তু হচ্ছে,— অমরনাথ অপর্ণাকে বিবাহ করেও দাম্পত্য জীবনে শান্তিলাভ করতে পারেনি। অপর্ণা পিতৃগৃহে স্থাপিত রাধাকৃষ্ণের চরণে নিজেকে উৎসর্গীকৃত করেছেন অনেক আগে। গল্পটি প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় ভাদ্র, ১৩২৪ বঙ্গাব্দে (১লা সেপ্টেম্বর, ১৯১৭)। গ্রন্থের নাম “কাশীনাথ”, প্রকাশক ‘গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স’, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা।Continue Reading

মহেশ গল্পটি ১৩২৯ বঙ্গাব্দের আশ্বিন সংখ্যা ‘বঙ্গবাণী’ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়। ১৩ই মার্চ, ১৯২৬—চৈত্র, ১৩৩২ বঙ্গাব্দে হরিলক্ষ্মী ও অভাগীর স্বর্গ গল্পের সাথে হরিলক্ষ্মী গল্পগ্রন্থে সঙ্কলিত হয়। প্রকাশক, গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা।Continue Reading

মামলার ফল গল্পটি ১৩২৫ বঙ্গাব্দের (১৯১৮ খৃষ্টাব্দ) আশ্বিন মাসে ঠাকুরবাড়ির জামাতা সাহিত্যিক শ্রীনগেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় সম্পাদিত পূজা-বার্ষিকী শারদ সংখ্যা “পার্বণী” পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয় এবং প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় মাঘ, ১৩২৬ বঙ্গাব্দে (১৫ই জানুয়ারি, ১৯২০)। গ্রন্থের নাম “ছবি”, প্রকাশক ‘গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স’, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা।Continue Reading

মেজদিদি গল্পটি ১৩২১ বঙ্গাব্দের ভাদ্র সংখ্যা “ভারতবর্ষ” পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয় এবং প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় অগ্রহায়ণ, ১৩৩২ বঙ্গাব্দে (১২ই জুলাই, ১৯১৫)। গ্রন্থের নাম “মেজদিদি ও অন্যান্য গল্প”, প্রকাশক ‘গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স’, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা।Continue Reading

‘মেজদিদি ও অন্যান্য গল্প’ (১৯১৫) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘মেজদিদি’ (১৯১৪), ‘দর্পচূর্ণ’ (১৯১৪) ও ‘আঁধারে আলো (১৯১৪) এই তিনটি গল্পের সংকলন। ‘মেজদিদি’ শরৎচন্দ্রের অন্যতম জনপ্রিয় রচনা। তিনটি রচনাই চলচ্চিত্রায়িত হয়েছে। এই গ্রন্থে নারীর মহত্ত্বের পাশাপাশি ‘স্বামীর কাছে স্ত্রীর অহংকার সাজে না’ এই বক্তব্যও প্রকাশিত।Continue Reading

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত উপন্যাস পল্লী-সমাজের প্রথম নয়টি পরিচ্ছেদ ১৩২২ বঙ্গাব্দের আশ্বিন, অগ্রহায়ণ ও পৌষ সংখ্যা ‘ভারতবর্ষ’ মাসিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এই নয়টি পরিচ্ছেদে উপন্যাসটি শেষ করার কথা ভাবলেও শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় পরে আরো দশটি পরিচ্ছেদ রচনাContinue Reading

রামের সুমতি গল্পটি ১৩১৯ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন-চৈত্র সংখ্যা “যমুনা” পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয় এবং প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় শ্রাবণ, ১৩২১ বঙ্গাব্দে (৩রা জুলাই, ১৯১৪)। গ্রন্থের নাম “বিন্দুর ছেলে ও অন্যান্য গল্প”, প্রকাশক ‘গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স’, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা।Continue Reading

লালু নামে তিনটি গল্পটি লিখেছিলেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। লালু শিরোনামের প্রথম গল্পটি ১৩৪৪ বঙ্গাব্দের (১৯৩৭ খৃষ্টাব্দ) চৈত্র সংখ্যা ‘মৌচাক’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। লালু শিরোনামের দ্বিতীয় গল্পটি ১৩৪৪ বঙ্গাব্দের (১৯৩৭ খৃষ্টাব্দ) কবি নরেন্দ্র দেব ও তাঁর স্ত্রী কবি রাধারাণী দেবী সম্পাদিত পূজা-বার্ষিকী (শারদ সংখ্যা) ‘সোনার কাঠি’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। লালু শিরোনামের তৃতীয় গল্পটির পত্রিকায় প্রকাশনার বিষয়ে কোন তথ্য জানা যায় না। এই তিনটি গল্পকেই আমরা ‘লালু’ শিরোনামে একত্রিত করেছি।Continue Reading

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ৩৪ টি কালজয়ী বাংলা গল্পের অনবদ্য সঙ্কলন। পারিবারিক জীবনের গল্পগুলো শরৎচন্দ্রের হাতে গৌরব লাভ করেছে। অভাগীর দুর্দশা, রামের চাঞ্চল্য, লালুর দুরন্তপনা, গফুরের আকুতি, মাতৃসম বৌদির আদর সবই শরৎচন্দ্রের দরদী কলমে জীবন্ত হয়েছে।Continue Reading