» » শরৎ গল্প সমগ্র

বর্ণাকার

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

শরৎ গল্প সমগ্র

শরৎ গল্প সমগ্র – শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত গ্রন্থিত ও অগ্রন্থিত ৩৪ টি কালজয়ী বাংলা গল্পের অনবদ্য সঙ্কলন। পারিবারিক জীবনের গল্পগুলো শরৎচন্দ্রের হাতে গৌরব লাভ করেছে। অভাগীর দুর্দশা, রামের চাঞ্চল্য, লালুর দুরন্তপনা, গফুরের আকুতি, মাতৃসম বৌদির আদর সবই শরৎচন্দ্রের দরদী কলমে জীবন্ত হয়েছে।

বিন্দুর ছেলে গল্পটি ১৩২০ বঙ্গাব্দের বৈশাখ সংখ্যা “যমুনা” পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয় এবং প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় শ্রাবণ, ১৩২১ বঙ্গাব্দে (৩রা জুলাই, ১৯১৪)। গ্রন্থের নাম “বিন্দুর ছেলে ও অন্যান্য গল্প”, প্রকাশক ‘গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স’, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা।
রামের সুমতি গল্পটি ১৩১৯ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন-চৈত্র সংখ্যা “যমুনা” পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয় এবং প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় শ্রাবণ, ১৩২১ বঙ্গাব্দে (৩রা জুলাই, ১৯১৪)। গ্রন্থের নাম “বিন্দুর ছেলে ও অন্যান্য গল্প”, প্রকাশক ‘গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স’, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা।
পথ-নির্দেশ গল্পটি ১৩২০ বঙ্গাব্দের বৈশাখ সংখ্যা “যমুনা” পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয় এবং প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় শ্রাবণ, ১৩২১ বঙ্গাব্দে (৩রা জুলাই, ১৯১৪)। গ্রন্থের নাম “বিন্দুর ছেলে ও অন্যান্য গল্প”, প্রকাশক ‘গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স’, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা।
মেজদিদি গল্পটি ১৩২১ বঙ্গাব্দের ভাদ্র সংখ্যা “ভারতবর্ষ” পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয় এবং প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় অগ্রহায়ণ, ১৩৩২ বঙ্গাব্দে (১২ই জুলাই, ১৯১৫)। গ্রন্থের নাম “মেজদিদি ও অন্যান্য গল্প”, প্রকাশক ‘গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স’, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা।
দর্পচূর্ণ গল্পটি ১৩২১ বঙ্গাব্দের কার্তিক সংখ্যা “ভারতবর্ষ” পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয় এবং প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় অগ্রহায়ণ, ১৩৩২ বঙ্গাব্দে (১২ই জুলাই, ১৯১৫)। গ্রন্থের নাম “মেজদিদি ও অন্যান্য গল্প”, প্রকাশক ‘গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স’, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা।
আঁধারে আলো গল্পটি ১৩২১ বঙ্গাব্দের মাঘ সংখ্যা “ভারতবর্ষ” পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয় এবং প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় অগ্রহায়ণ, ১৩৩২ বঙ্গাব্দে (১২ই জুলাই, ১৯১৫)। গ্রন্থের নাম “মেজদিদি ও অন্যান্য গল্প”, প্রকাশক ‘গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স’, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা।
কাশীনাথ গল্পটি ১৩১৯ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন-চৈত্র সংখ্যা “সাহিত্য” পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়, সে সময় এর নাম ছিল “বামুন ঠাকুর” এবং প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় ভাদ্র, ১৩২৪ বঙ্গাব্দে (১লা সেপ্টেম্বর, ১৯১৭)। গ্রন্থের নাম “কাশীনাথ”, প্রকাশক ‘গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স’, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা।
আলো ও ছায়া গল্পটি ১৩২০ বঙ্গাব্দের আষাঢ় ও ভাদ্র সংখ্যা “যমুনা” পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয় এবং প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় ভাদ্র, ১৩২৪ বঙ্গাব্দে (১লা সেপ্টেম্বর, ১৯১৭)। গ্রন্থের নাম “কাশীনাথ”, প্রকাশক ‘গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স’, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা।
বোঝা গল্পটি ১৩১৯ বঙ্গাব্দের কার্তিক-পৌষ সংখ্যা “যমুনা” পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয় এবং প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় ভাদ্র, ১৩২৪ বঙ্গাব্দে (১লা সেপ্টেম্বর, ১৯১৭)। গ্রন্থের নাম “কাশীনাথ”, প্রকাশক ‘গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স’, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা।
মন্দির গল্পটি ১৩০৯ বঙ্গাব্দে একটি সাহিত্য স্মরণিকা “কুন্তলীন পুস্তিকামালা”-য় প্রথম প্রকাশিত হয়। গল্পটি ১৩০৯ বঙ্গাব্দে (১৯০৩ খৃষ্টাব্দে) “কুন্তলীন পুরষ্কার” প্রাপ্ত। গল্পটি তাঁর সম্পর্কীয় মাতুল (মামা) ও বাল্যবন্ধু শ্রীসুরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে প্রকাশিত। “বসুমতী” পত্রিকার সম্পাদক দেড়শ’টি গল্পের মধ্যে মন্দির গল্পটিকে শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচনা করেন। গল্পের বিষয়বস্তু হচ্ছে,— অমরনাথ অপর্ণাকে বিবাহ করেও দাম্পত্য জীবনে শান্তিলাভ করতে পারেনি। অপর্ণা পিতৃগৃহে স্থাপিত রাধাকৃষ্ণের চরণে নিজেকে উৎসর্গীকৃত করেছেন অনেক আগে। গল্পটি প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় ভাদ্র, ১৩২৪ বঙ্গাব্দে (১লা সেপ্টেম্বর, ১৯১৭)। গ্রন্থের নাম “কাশীনাথ”, প্রকাশক ‘গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স’, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা।
অনুপমার প্রেম গল্পটি ১৩২০ বঙ্গাব্দের চৈত্র সংখ্যা “সাহিত্য” পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয় এবং প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় ভাদ্র, ১৩২৪ বঙ্গাব্দে (১লা সেপ্টেম্বর, ১৯১৭)। গ্রন্থের নাম “কাশীনাথ”, প্রকাশক ‘গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স’, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা।
বাল্য-স্মৃতি গল্পটি ১৩১৯ বঙ্গাব্দের মাঘ সংখ্যা “সাহিত্য” পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয় এবং প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় ভাদ্র, ১৩২৪ বঙ্গাব্দে (১লা সেপ্টেম্বর, ১৯১৭)। গ্রন্থের নাম “কাশীনাথ”, প্রকাশক ‘গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স’, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা। উল্লেখ্য, লেখকের অপর একটি রচনা “বাল্য স্মৃতি” নামে ১৩৪৫ বঙ্গাব্দের আশ্বিন সংখ্যা “ছোটদের মাধুকরী” পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
হরিচরণ গল্পটি ১৩২১ বঙ্গাব্দের আষাঢ় সংখ্যা “সাহিত্য” পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয় এবং প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় ভাদ্র, ১৩২৪ বঙ্গাব্দে (১লা সেপ্টেম্বর, ১৯১৭)। গ্রন্থের নাম “কাশীনাথ”, প্রকাশক ‘গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স’, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা।
স্বামী গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৩২৪ বঙ্গাব্দ, শ্রাবণ ও ভাদ্র সংখ্যা ‘নারায়ণ’ মাসিক পত্রে। ফাল্গুন, ১৩২৪ বঙ্গাব্দ (১৮ই ফেব্রুয়ারি, ১৯১৮) প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়, এবং একাদশী বৈরাগী গল্পটি এর সাথে সন্নিবেশিত হয়। প্রকাশক গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স, ২০১, কর্ণওয়ালিশ ষ্ট্রীট, কলকাতা।
একাদশী বৈরাগী গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৩২৪ বঙ্গাব্দের কার্তিক সংখ্যা ‘ভারতবর্ষ’ মাসিক পত্রে। ফাল্গুন, ১৩২৪ বঙ্গাব্দে, ‘স্বামী’ গল্পের সাথে প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। প্রকাশক, গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা।
ছবি গল্পটি ১৩১৬ বঙ্গাব্দে (১৯০৯)¬ সাহিত্যিক ও সমালোচক শ্রীসুরেশচন্দ্র সমাজপতি সম্পাদিত পূজা-বার্ষিকী (একটি শারদ প্রকাশনা) “আগমনী” পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়, এবং প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় মাঘ, ১৩২৬ বঙ্গাব্দে (১৫ই জানুয়ারি, ১৯২০)। গ্রন্থের নাম “ছবি”, প্রকাশক ‘গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স’, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা।
বিলাসী গল্পটি ১৩২৫ বঙ্গাব্দের (১৯১৮ খৃষ্টাব্দ) বৈশাখ সংখ্যা “ভারতী” পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয় এবং প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় মাঘ, ১৩২৬ বঙ্গাব্দে (১৫ই জানুয়ারি, ১৯২০)। গ্রন্থের নাম “ছবি”, প্রকাশক ‘গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স’, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা।
মামলার ফল গল্পটি ১৩২৫ বঙ্গাব্দের (১৯১৮ খৃষ্টাব্দ) আশ্বিন মাসে ঠাকুরবাড়ির জামাতা সাহিত্যিক শ্রীনগেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় সম্পাদিত পূজা-বার্ষিকী শারদ সংখ্যা “পার্বণী” পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয় এবং প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় মাঘ, ১৩২৬ বঙ্গাব্দে (১৫ই জানুয়ারি, ১৯২০)। গ্রন্থের নাম “ছবি”, প্রকাশক ‘গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স’, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা।
হরিলক্ষ্মী ১৩২৯ বঙ্গাব্দের (১৯২২ খৃষ্টাব্দ) শারদ সংখ্যা বসুমতিতে প্রথম প্রকাশিত হয়। ১৩ই মার্চ, ১৯২৬—চৈত্র, ১৩৩২ বঙ্গাব্দে মহেশ ও অভাগীর স্বর্গ গল্পের সাথে হরিলক্ষ্মী গল্পগ্রন্থে সঙ্কলিত হয়। প্রকাশক, গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা। এটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ষষ্ঠ গল্পগ্রন্থ।
মহেশ গল্পটি ১৩২৯ বঙ্গাব্দের আশ্বিন সংখ্যা ‘বঙ্গবাণী’ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়। ১৩ই মার্চ, ১৯২৬—চৈত্র, ১৩৩২ বঙ্গাব্দে হরিলক্ষ্মী ও অভাগীর স্বর্গ গল্পের সাথে হরিলক্ষ্মী গল্পগ্রন্থে সঙ্কলিত হয়। প্রকাশক, গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা।
অভাগীর স্বর্গ গল্পটি ১৩২৯ বঙ্গাব্দের মাঘ সংখ্যা ‘বঙ্গবাণী’ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়। ১৩ই মার্চ, ১৯২৬—চৈত্র, ১৩৩২ বঙ্গাব্দে মহেশ ও অভাগীর স্বর্গ গল্পের সাথে হরিলক্ষ্মী গল্পগ্রন্থে সঙ্কলিত হয়। প্রকাশক, গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা।
অনুরাধা গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৩৪০ বঙ্গাব্দের (১৯৩৩ খৃষ্টাব্দ) চৈত্র সংখ্যা ‘ভারতবর্ষ’ পত্রিকায়। উল্লেখ্য, পূর্ণাঙ্গ গল্প হিসেবে অনুরাধা শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের শেষ গল্প। ফাল্গুন, ১৩৪০ বঙ্গাব্দে (১৮ই মার্চ, ১৯৩৪ খৃষ্টাব্দ) এটি ‘অনুরাধা, সতী ও পরেশ’ নামক গল্পগ্রন্থে সঙ্কলিত হয়ে প্রকাশিত হয়। প্রকাশক, গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা।
সতী গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৩৩৪ বঙ্গাব্দের (১৯২৭ খৃষ্টাব্দ) আষাঢ় সংখ্যা ‘বঙ্গবাণী’ পত্রিকায়। ফাল্গুন, ১৩৪০ বঙ্গাব্দে (১৮ই মার্চ, ১৯৩৪ খৃষ্টাব্দ) এটি ‘অনুরাধা, সতী ও পরেশ’ নামক গল্পগ্রন্থে সঙ্কলিত হয়ে প্রকাশিত হয়। প্রকাশক, গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা।
পরেশ গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৩৩২ বঙ্গাব্দের (১৯২৫ খৃষ্টাব্দ) ভাদ্রে সাহিত্যিক শ্রীনলিনীরঞ্জন পণ্ডিত সম্পাদিত পূজাবার্ষিকী (শারদ) সংখ্যা ‘শরতের ফুল’ পত্রিকায়। ফাল্গুন, ১৩৪০ বঙ্গাব্দে (১৮ই মার্চ, ১৯৩৪ খৃষ্টাব্দ) এটি ‘অনুরাধা, সতী ও পরেশ’ নামক গল্পগ্রন্থে সঙ্কলিত হয়ে প্রকাশিত হয়। প্রকাশক, গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা।
লালু নামে তিনটি গল্পটি লিখেছিলেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। লালু শিরোনামের প্রথম গল্পটি ১৩৪৪ বঙ্গাব্দের (১৯৩৭ খৃষ্টাব্দ) চৈত্র সংখ্যা ‘মৌচাক’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। লালু শিরোনামের দ্বিতীয় গল্পটি ১৩৪৪ বঙ্গাব্দের (১৯৩৭ খৃষ্টাব্দ) কবি নরেন্দ্র দেব ও তাঁর স্ত্রী কবি রাধারাণী দেবী সম্পাদিত পূজা-বার্ষিকী (শারদ সংখ্যা) ‘সোনার কাঠি’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। লালু শিরোনামের তৃতীয় গল্পটির পত্রিকায় প্রকাশনার বিষয়ে কোন তথ্য জানা যায় না। এই তিনটি গল্পকেই আমরা ‘লালু’ শিরোনামে একত্রিত করেছি।
ছেলেধরা গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয় সাহিত্যিক শ্রীব্রজমোহন দাস সম্পাদিত পূজা-বার্ষিকী (শারদ) সংখ্যা ‘ছোটদের আহরিকা’ পত্রিকায় ১৩৪২ বঙ্গাব্দে (১৯৩৫ খৃষ্টাব্দ)। এটি এপ্রিল, ১৯৩৮ খৃষ্টাব্দ (বৈশাখ, ১৩৪৫ বঙ্গাব্দ) গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা থেকে প্রকাশিত ‘ছেলেবেলাকার গল্প’ নামক গ্রন্থের দ্বিতীয় গল্প।
কলকাতার নতুন-দা গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয় সাহিত্যিক শ্রীপ্রেমেন্দ্র মিত্র সম্পাদিত বার্ষিকী (বার্ষিক প্রকাশন) ‘গল্পের মণিমালা’ পত্রিকায় ১৩৪৪ বঙ্গাব্দে (১৯৩৭-১৯৩৮ খৃষ্টাব্দ)। এটি এপ্রিল, ১৯৩৮ খৃষ্টাব্দ (বৈশাখ, ১৩৪৫ বঙ্গাব্দ) গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা থেকে প্রকাশিত ‘ছেলেবেলাকার গল্প’ নামক গ্রন্থের তৃতীয় গল্প। এই গল্পটির বিশেষত্ব হলো, এটি লেখকের আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস শ্রীকান্ত, প্রথম পর্বের সপ্তম পরিচ্ছেদের অংশবিশেষ।
‘বছর-পঞ্চাশ পূর্বের একটা দিনের কাহিনী’ গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৩৪৪ বঙ্গাব্দের (১৯৩৫ খৃষ্টাব্দ) আশ্বিন-কার্তিক সংখ্যা ‘পাঠশালা’ নামক ছেলেদের মাসিক পত্রিকায়। এটি এপ্রিল, ১৯৩৮ খৃষ্টাব্দ (বৈশাখ, ১৩৪৫ বঙ্গাব্দ) গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা থেকে প্রকাশিত ‘ছেলেবেলাকার গল্প’ নামক গ্রন্থের পঞ্চম গল্প।
এই গল্পটি ১৩৪৪ বঙ্গাব্দের (১৯৩৭ খৃষ্টাব্দ) আষাঢ় সংখ্যা ‘ভারতবর্ষ’ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়। এরপর এপ্রিল, ১৯৩৮ খৃষ্টাব্দ (বৈশাখ, ১৩৪৫ বঙ্গাব্দ) গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা থেকে প্রকাশিত ‘ছেলেবেলাকার গল্প’ নামক গ্রন্থের সপ্তম ও শেষ গল্প।
কোরেল প্রথম প্রকাশিত হয় ‘দেশ’ পত্রিকার ১৩৮২ বঙ্গাব্দের শারদীয় সংখ্যায়। এটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাল্যরচনা। ১৮৯৩ সালে এই রচনা তিনি আরম্ভ করেন, শেষ করেন ১৯০০ সালে। কিন্তু ‘কোরেল’ থেকে যায় অপ্রকাশিত। ‘কোরেলে’র কাহিনীর পটভূমি ইংলণ্ড। এর পাত্রপাত্রীও ইংরেজ। এরপর তিনি ‘কোরেল’ কাহিনীর অনেক পরিবর্তন করেন। পটভূমি বদলে যায়, পাত্রপাত্রীর নূতন নামকরণ হয়। এর ফলে গল্পেরও একটা নূতন নাম দেন তিনি, সে নাম ‘ছবি’।
বিচার গল্পটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ে অপ্রকাশিত ও পরিত্যাক্ত রচনাবলীর অন্তর্ভূক্ত। লেখকের জীবদ্দশায় বা পরে এটি গ্রন্থভূক্ত হয়নি। পরে শরৎ সাহিত্য-সম্ভার বা রচনাবলীতে গল্পটি প্রকাশিত হয়েছিল।
অন্তর্যামী গল্পটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ে অপ্রকাশিত ও পরিত্যাক্ত রচনাবলীর অন্তর্ভূক্ত। লেখকের জীবদ্দশায় বা পরে এটি গ্রন্থভূক্ত হয়নি। পরে শরৎ সাহিত্য-সম্ভার বা রচনাবলীতে গল্পটি প্রকাশিত হয়েছিল।
জাগরণ ধারাবাহিকভাবে মাসিক বসুমতী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৩০ ও ১৩৩১ বঙ্গাব্দে। প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় ‘শুভ রথযাত্রা, ১৩৬৯ বঙ্গাব্দে। প্রকাশক শ্যামাপদ সরকার, ১১৫, অখিল মিস্ত্রি লেন, কলিকাতা-৭০০০০৯। প্রচ্ছদ এঁকেছিলেন পার্থ প্রতিম বিশ্বাস। মুদ্রক নিরঞ্জন ঘোষ, জয়ন্ত প্রিণ্টার্স, ৯ এ হরিপাল লেন, কলিতাকা-৭০০০০৬।
আগামীকাল শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অসমাপ্ত রচনা। এর প্রথম পরিচ্ছেদ ‘অনাগত’ নামে ১৩৪২ সালের শ্রাবণ সংখ্যা ‘বিচিত্রা’য় প্রথম প্রকাশিত হয়। ঐ বৎসরেই চৈত্র-সংখ্যায় দ্বিতীয় পরিচ্ছেদের সহিত প্রথম পরিচ্ছেদটিও ‘আগামীকাল’ এই পরিবর্তিত নামে পুনঃপ্রকাশিত হয়। সর্বসমেত মাত্র চারটি পরিচ্ছেদ ‘বিচিত্রা’য় প্রকাশিত হয়েছিল। ‘আগামীকাল’ নামটি বিচিত্রি-সম্পাদক শ্রীউপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের দেওয়া। আগামীকাল ‘শরৎচন্দ্রের পুস্তকাকারে অপ্রকাশিত রচনাবলী’র অন্তর্ভূক্ত হয়ে প্রথম প্রকাশিত হয় শ্রাবণ, ১৩৫৮ সালে।