» বড়দিদি

গ্রন্থপরিচয় কলেজ ত্যাগ করার পর শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ভাগলপুর শহরের খঞ্জরপুর পল্লীতে তাঁর প্রতিবেশী বিভূতিভূষণ ভট্টের বাড়িতে একটি সাহিত্যসভার আয়োজন করেছিলেন। এই সময় তিনি বেশ কিছু গল্প-উপন্যাস রচনা করেন, যেগুলি বিভূতিভূষণ ভট্টের বাড়িতে থাকত। শরৎচন্দ্রের বাল্যবন্ধুContinue Reading

» চন্দ্রনাথ

চন্দ্রনাথ একজন উচ্চ বংশীয় ব্রাহ্মণ। সম্প্রতি তার পিতা গত হয়েছে। সে কাশীতে তার পিতার এক পুরনো ভৃত্যের বাড়িতে উঠে। সেখানে তার সরযূর সাথে দেখা হয়। সরযূর মা সুলোচনা সেই ভৃত্যের বাড়িতে কাজ করে। চন্দ্রনাথ সরযূকেContinue Reading

» বৈকুণ্ঠের উইল

‘বৈকুণ্ঠ মজুমদার ব্যবসায়ী লোক, খুব সৎভাবে পরিশ্রমের মাধ্যমে তাঁর ধ্বংসপ্রায় মুদি দোকানকে বড় আড়তে পরিণত করেন তিনি। বৈকুণ্ঠের দুই ছেলে গোকুল এবং বিনোদ। গোকুল তাঁর প্রথম স্ত্রীর সন্তান, আর দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান হচ্ছে বিনোদ। গোকুলContinue Reading

» দেবদাস

দেবদাস শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত একটি প্রণয়ধর্মী বাংলা উপন্যাস। দেবদাস শরৎচন্দ্রের প্রথমদিককার উপন্যাস। রচনার সমাপ্তিকাল সেপ্টেম্বর ১৯০০, কিন্তু প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় ১৬ই আষাঢ়, ১৩২৪ বঙ্গাব্দ (৩০শে জুন, ১৯১৭ খৃষ্টাব্দ)। উপন্যাসটি নিয়ে শরৎচন্দ্রের দ্বিধা ছিল বলেContinue Reading

» প্রথম অঙ্ক

প্রথম দৃশ্য বিজয়ার বসিবার ঘর বিজয়া। জগদীশ মুখুয্যে কি সত্যিই ছাদ থেকে পড়ে মারা গিয়েছিলেন? বিলাস। তাতে সন্দেহ আছে নাকি? মদমত্ত অবস্থায় উড়তে গিয়েছিলেন। বিজয়া। কি দুঃখের ব্যাপার! বিলাস। দুঃখের কেন? অপঘাত-মৃত্যু ওর হবে নাContinue Reading

» দ্বিতীয় অঙ্ক

প্রথম দৃশ্য বিজয়ার বসিবার ঘর [বিজয়া বাহিরে কাহার প্রতি যেন একদৃষ্টে চাহিয়াছিল—পরে উঠিয়া জানালার কাছে গিয়া তাহাকে ইঙ্গিতে আহ্বান করিতে একটি বালক প্রবেশ করিল—-খালি গা, কোঁচড়ে মুড়ি তখনও চিবানো শেষ হয় নাই] পরেশ। ডাকছিলে কেনContinue Reading

» চতুর্থ অঙ্ক

প্রথম দৃশ্য বিজয়ার বাটী-সংলগ্ন উদ্যানের অপর প্রান্ত [অদূরে সরস্বতী নদীর কিছু কিছু দেখা যাইতেছে, বিজয়া ও কানাই সিং। দয়াল প্রবেশ করিলেন] দয়াল। তোমাকেই খুঁজে বেড়াচ্চি মা। শুনলাম এইদিকেই এসেছো, ভাবলাম বাড়ি যাবার আগে এদিকটা দেখেContinue Reading

» পঞ্চম অঙ্ক

প্রথম দৃশ্য বিজয়ার বসিবার ঘর [পরেশ প্রবেশ করিল। তাহার পরিধানে চওড়া পাড়ের শাড়ী, গায়ে ছিটের জামা, গলায় কোঁচানো চাদর, কিন্তু খালি পা] পরেশ। মা-ঠান, তিনটে-চারটে বেজে গেল পালকি এলো না ত? আমার মা কি বলচেContinue Reading

» বিপ্রদাস

‘বিপ্রদাসে’র প্রথম দশ পরিচ্ছেদ ১৩৩৬ হতে ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত ‘বেণু’ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। পুনারায় ‘বিচিত্রা’ পত্রিকার ১৩৩৯ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন, চৈত্র; ১৩৪০ বঙ্গাব্দের বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়, আশ্বিন, কার্তিক, অগ্রহায়ণ, পৌষ, মাঘ ও ফাল্গুন এবং ১৩৪১Continue Reading

» শুভদা

বাংলা উপন্যাস সাহিত্যে শরৎচন্দ্র এমন একটি নূতন পথ ধরে অগ্রসর হয়েছেন যা বাঙলা কথাসাহিত্যের পরিধিকে প্রসারিত করে দিয়ে তার মধ্যে এনেছে এক অদৃষ্টপূর্ব বৈচিত্র্য। সংবেদনশীল হৃদয়, ব্যাপক জীবনজিজ্ঞাসা, প্রখর পর্যবেক্ষণশক্তি, সংস্কারমুক্ত স্বাধীন মনোভঙ্গি প্রভৃতির গুণেContinue Reading

» প্রথম অধ্যায়

প্রথম পরিচ্ছেদ গঙ্গায় আগ্রীব নিমজ্জিতা কৃষ্ণপ্রিয়া ঠাকুরানী চোখ কান রুদ্ধ করিয়া তিনটি ডুব দিয়া পিত্তল-কলসীতে জলপূর্ণ করিতে করিতে বলিলেন, কপাল যখন পোড়ে তখন এমনি করেই পোড়ে। ঘাটে আরো তিন-চারিজন স্ত্রীলোক স্নান করিতেছিল, তাহারা সকলেই অবাকContinue Reading

» শেষের পরিচয়

শেষের পরিচয় শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অসমাপ্ত উপন্যাস। ‘ভারতবর্ষ’ মাসিক পত্রে—১৩৩৯ বঙ্গাব্দের আষাঢ় থেকে আশ্বিন, অগ্রহায়ণ, ফাল্গুন ও চৈত্র; ১৩৪০ বঙ্গাব্দের বৈশাখ, আশ্বিন ও অগ্রহায়ণ; ১৩৪১ বঙ্গাব্দের আষাঢ়, শ্রাবণ, কার্তিক, ফাল্গুন এবং ১৩৪২ বঙ্গাব্দের বৈশাখ সংখ্যায় ‘শেষেরContinue Reading

» বাঙলা বইয়ের দুঃখ

কুমার মুনীন্দ্রদেব রায় মহাশয়ের বক্তৃতা শুনে আর কিছু না হোক অন্ততঃ একটি উপকার আমরা পেয়েছি। ইউরোপের নানা গ্রন্থাগার সম্বন্ধে তিনি যা বললেন হয়ত তার অনেক কথাই আমাদের মনে থাকবে না। কিন্তু আজ তাঁর বক্তৃতা শুনেContinue Reading

» ভাগ্য-বিড়ম্বিত লেখক-সম্প্রদায়

সেদিন গুণে দেখলাম—সত্যিকার সাধনা যাঁরা করেন, সাহিত্য যাঁদের শুধু বিলাস নয়, সাহিত্য যাঁদের জীবনের একমাত্র ব্রত, বাঙলাদেশে তাঁরা ক’জনই বা, সংখ্যা আঙুলে গোণা যায়। এই-সব সাহিত্যসেবী অক্লান্ত পরিশ্রম করে অনাহারে অনিদ্রায় দেশের জন্য দশের জন্যContinue Reading

» সাহিত্যের মাত্রা

কল্যাণীয়েষু,—শ্রাবণের [১৩৪০] ‘পরিচয়’ পত্রিকায় শ্রীমান্‌ দিলীপকুমারকে লিখিত রবীন্দ্রনাথের পত্র—সাহিত্যের মাত্রা—সম্বন্ধে তুমি [‘পরিচারক’-সম্পাদক শ্রীঅতুলানন্দ রায়] আমার অভিমত জানতে চেয়েছ। এ চিঠি ব্যক্তিগত হলেও যখন সাধারণ্যে প্রকাশিত হয়েছে, তখন এরূপ অনুরোধ হয়ত করা যায়, কিন্তু অনেক চার-পাতা-জোড়াContinue Reading

» সাহিত্যের আর একটা দিক

কল্যাণীয়া জাহান-আরা। তোমার বার্ষিক পত্রিকায় সামান্য কিছু একটা লিখে দিতে অনুরোধ করেছ। আমার বর্তমান অসুস্থতার মধ্যে হয়ত সামান্যই একটু লেখা চলে। ভাবছিলাম, সাহিত্যের ধর্ম, রূপ, গঠন, সীমানা, এর তত্ত্ব প্রভৃতি নিয়ে মাঝে মাঝে অল্প-বিস্তর আলোচনাContinue Reading

» শেষের পরিচয়ের অপ্রকাশিত অংশ

সারদাকে অপমান করিয়া তাহার ঘর হইতে ফিরিয়া রাখাল বাসায় আসিল। দাসী তখনো বাড়ি যায় নাই, কুকারে রান্নার সমস্ত ব্যবস্থা প্রস্তুত করিয়া তখনো সে অপেক্ষা করিতেছিল। রাখাল বলিল, আজ খাবো না নানী, ক্ষিদে নেই। রান্নার দরকারContinue Reading

» শ্রীকান্তের পরিত্যক্ত অংশ

‘আরে যাঃ—এই ত বটে! মনে মনে প্রায় হাল ছাড়িয়া দিয়াছিলাম, বুঝি বা ইহজন্মে হাতের লেখা আর ছাপার অক্ষরে দেখা ঘটিল না! না, তা কেন? এই যে বেশ পথের সন্ধান মিলিয়াছে। আমি ভ্রমণ-বৃত্তান্ত লিখিব। এ বুদ্ধিContinue Reading

» ৫৭তম জন্মদিনে প্রতিভাষণ

৩১এ ভাদ্র—আমার জন্মদিনের আশীর্বাদ-গ্রহণের আহ্বান আমার স্বদেশের আপনজনদের কাছ থেকে প্রতি বৎসরই আসে, আমি শ্রদ্ধানত শিরে এসে দাঁড়াই; অঞ্জলি ভরে আশীর্বাদ নিয়ে বাড়ি যাই,—সে আমার সারা-বছরের পাথেয়। আবার আসে ৩১এ ভাদ্র ফিরে, আবার আসে আমারContinue Reading

» মাতৃভাষা এবং সাহিত্য

গোড়াতেই বলিয়া রাখা ভাল, এই ক্ষুদ্র প্রবন্ধে আমি যে সাহিত্যের সকল দিক ও বিভাগ লইয়া প্রকাণ্ড একটা কাণ্ড বাধাইয়া দিতে পারিব, আমার এমন কোন মহৎ উদ্দেশ্য বা ভরসা নাই। তবে মাতৃভাষা এবং সাহিত্যের সাধারণ ধর্মContinue Reading