প্রজাদলের প্রবেশ ও কোতোয়াল পলায়নোদ্যত)
জনৈক পথিক
কোথায় সে কন্যা, অপরূপ কান্তি,
যার বাণী আমাদের দিতে পারে শান্তি;
দেশে আজ জাগরণ যার সংগীতে,
আমরা যে উৎসুক তাকে গৃহে নিতে।
(সংকলিতার মৃতদেহের দিকে চেয়ে আর্তনাদ ক’রে)
এ যে মহামহীয়সী, এ যে কল্যাণী
ধূলায় লুটায়ে কেন এর দেহখানি?
ইন্দ্রসেন
(কোতোয়ালকে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে)
ওই দেখ, ভাই সব, ওই অপরাধী
সাবার বিচার হোক ওর প্রতিবাদী—
জনৈক প্রজা
ওরে রে স্পর্ধিত পশু, কী সাহস তোর,
তুই করেছিস আজ অন্যায় ঘোর ;
কল্যাণীকে হেনে আজ তোর আর
পৃথিবীতে বাঁচবার নেই অধিকার।
ইন্দ্রসেন
রাজার ওপরে আর করব না নির্ভর—
আমাদের ভাগ্যের আমরাই ঈশ্বর।
সকলে
চলবে না অন্যায়, খাটবে না ফন্দি,
আমাদের আদালতে আজ তুই বন্দী!!!
(কোতোয়ালকে প্রজারা বন্দী করলো)
যবনিকা