নযরানা
আমার আম্মা মুহ্তারিমা হাজিয়া বাদশাহ বেগম
মরহূমা মাগফূরাকে
যাঁর মুহব্বত, তরবিয়ত ও দু’আর বরকতে আমি
একজন উত্তম খেলোয়াড় এবং যুদ্ধক্ষেত্রের অভিজ্ঞ
অশ্বারোহী থেকে একজন দায়িত্বশীল জেনারেল পদে
বরিত হই এবং ইসলামের প্রতিরক্ষা ইতিহাস ও
ইসলামের সমর-পন্থার উপর একজন লেখক হিসাবে
যাঁর ইচ্ছা ও অভিলাষের আমি প্রতিনিধিত্ব করছি।
— আকবর
শুক্রিয়া
আমি মুফতীয়ে আ‘জম মাওলানা মুহাম্মদ শফী‛, মাওলানা মুহাম্মদ মতীন, খতীব ও নাজিম-ই- ‘আলা এবং মাওলানা নূর মুহাম্মদ সাহেব—নাজিম, দারুল ‘উলুম, করাচী-এর শুকরিয়া আদায় করছি যাঁরা তাঁদের মূল্যবান উপদেশ দ্বারা আমাকে কৃতার্থ করেছেন এবং এ গ্রন্থের উপর পুনরায় চোখ বুলিয়ে আমাকে সাহায্য ও উৎসাহ দান করেছেন। আল্লাহ পাক তাঁদেরকে উত্তম পুরস্কারে ভূষিত করুন।
— আকবর খান
কেন লিখলাম
এই গ্রন্থ প্রণয়নের সবচেয়ে বড় উদ্দেশ্য হ’ল, আপনারা যেন প্রত্যক্ষ করতে পারেন :
ক. এই নওজোয়ান ঐ দেশটিকে কিভাবে এবং কেমন করে জয় করলেন—যেখানে মহাবীর আলেকজাণ্ডারের মত য়ুরোপ ও পারস্য বিজয়ী বীরও টিকে থাকতে পারেন নি।
খ. একজন মুসলিম মুজাহিদ কিভাবে বিগড়ে যাওয়া একটি ফৌজকে প্রশিক্ষণ দান করে সুবিন্যস্ত ও সুসংগঠিত করেন এবং তাকে একটি দুর্ভেদ্য ও অজেয় সেনাবাহিনীতে রূপান্তরিত করেন। হাজ্জাজ বিন য়ূসুফ, যাকে আমাদের ঐতিহাসিকরা নির্দয় ও রক্তপিপাসু হিসাবে স্মরণ করেন, তিনি কি আসলেই সেই ব্যবহার পাবার হকদার ছিলেন? পাশ্চাত্যের দেশগুলো কি প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে তাঁকে অনুকরণ করে নি?
গ. দ্রুতগামী ও বিদ্যুৎগতির অস্ত্রের সাহায্যে চেঙ্গীস খান, আলেকজাণ্ডার, নেপোলিয়ন এবং হিটলার দুনিয়াকে তছনছ করে দিয়েছিলেন, অথচ মুহাম্মাদ বিন কাসিম এই অস্ত্রকেই কত সর্বোত্তম পন্থায় এবং কত নিপুণভাবে ব্যবহার করেছিলেন!
ঘ. প্রতিরক্ষা কৌশল এবং সমরশাস্ত্রের মূলনীতি সম্পর্কে প্রতিটি জাতীয় নেতা ও প্রতিটি মুসলিমকে কেন অবহিত হওয়া দরকার।