অগ্নিবীণা-কাজী নজরুল ইসলাম

শাত-ইল-আরব
কৃত: কাজী নজরুল ইসলাম
গ্রন্থ:

শাতিল-আরব! শাতিল আরব!! পূত যুগে যুগে তোমার তীর। শহিদের লোহু, দিলিরের খুন ঢেলেছে যেখানে আরব-বীর। যুঝেছে এখানে তুর্ক-সেনানী, য়ুনানি মিসরি আরবি কেনানি;– লুটেছে এখানে মুক্ত আজাদ বেদুইনদের চাঙ্গা-শির! নাঙ্গা-শির – শমশের হাতে, আঁশু-আঁখে হেথা মূর্তিContinue Reading

ছায়ানট প্রচ্ছদ

শায়ক-বেঁধা পাখী
কৃত: কাজী নজরুল ইসলাম
গ্রন্থ:

রে নীড়-হারা, কচি বুকে শায়ক-বেঁধা পাখী! কেমন করে কোথায় তোরে আড়াল দিয়ে রাখি? কোথায় রে তোর কোথায় ব্যথা বাজে? চোখের জলে অন্ধ আঁখি কিছুই দেখি না যে? ওরে মাণিক! এ অভিমান আমায় নাহি সাজে— তোরContinue Reading

চক্রবাক

শীতের সিন্ধু
কৃত: কাজী নজরুল ইসলাম
গ্রন্থ:

ভুলি নাই পুনঃ তাই আসিয়াছি ফিরে ওগো বন্ধু, ওগো প্রিয়, তব সেই তীরে! কূল-হারা কূলে তব নিমেষের লাগি খেলিতে আসিয়া হায় যে কবি বিবাগী সকলই হারায়ে গেল তব বালুচরে,– ঝিনুক কুড়াতে এসে–গেল আঁখি ভরে তবContinue Reading

দোলন-চাঁপা প্রচ্ছদ

শেষ প্রার্থনা
কৃত: কাজী নজরুল ইসলাম
গ্রন্থ:

আজ চোখের জলে প্রার্থনা মোর শেষ বরষের শেষে    এমনি কাটে আসছে-জনম তোমায় ভালোবেসে।          এমনি আদর, এমনি হেলা          মান-অভিমান এমনি খেলা,          এমনি ব্যথার বিদায়-বেলা                এমনি চুমু হেসে, যেন খণ্ডমিলন পূর্ণ করেContinue Reading

ছায়ানট প্রচ্ছদ

শেষের গান
কৃত: কাজী নজরুল ইসলাম
গ্রন্থ:

আমার বিদায়-রথের চাকার ধ্বনি ঐ গো এবার কানে আসে। পুবের হাওয়া তাই কেঁদে যায় ঝাউয়ের বনে দিঘল শ্বাসে॥ ব্যথায় বিবশ গুলঞ্চ ফুল মালঞ্চে আজ তাই শোকাকুল, মাটির মায়ের কোলের মায়া ওগো আমার প্রাণ উদাসে॥ অঙ্গContinue Reading

পূবের হাওয়া— কাজী নজরুল ইসলাম

শেষের ডাক
কৃত: কাজী নজরুল ইসলাম
গ্রন্থ:

মরণ-রথের চাকার ধ্বনি ঐ রে আমার কানে আসে। পুবের হাওয়া তাই নেমেছে পারুল বনে দীঘল শ্বাসে॥ ব্যথার কুসুম গুলঞ্চ ফুল মালঞ্চে আজ তাই শোকাকুল, গোরস্থানের মাটির বাসে তাই আমার আজ প্রাণ উদাসে॥ অঙ্গ আসে অবশContinue Reading

শোষক মশক
কৃত: অজ্ঞাতনামা লেখক
গ্রন্থ:

চক্রগতি শকুনের নিন্দনীয় কৌশলে বোমারুর মতো নেমে এসে দেহের কোমল ত্বকে শোষনযন্ত্রের তীক্ষ সূচ বিদ্ধ করে মশকেরা। রক্তের আস্বাদনে ক্রুরমতি নির্দয় ব্যাধের অভ্যস্ত স্বভাবে বিজয়ের অভিযানে অব্যাহত গৌরবে ছিদ্রপথে নিত্য আনাগোনা। প্রকৃতিতে মশকেরা সাম্রাজ্যবাদী দস্যুContinue Reading

সঙ্কট
কৃত: অজ্ঞাতনামা লেখক
গ্রন্থ:

আমি জানতাম, বঞ্চনা ক্ষোভে ব্যাপক ধর্মঘট, বেকারত্বের গণসমস্যা, খাদ্যের সঙ্কট, নব বিপ্লবে আগ্নেয়গিরি ধূমায়িত ষড়যন্ত্রে, কেমন করে তা রুখবে বন্ধু, কোন মহা যাদুমন্ত্রে? এই মহাদেশে কোটি মানুষের কোটি অনটন, দায়, কোন কৌশলে নিমেষে তাদের সমাধানContinue Reading

ফণী মনসা

সত্য-কবি
কৃত: কাজী নজরুল ইসলাম
গ্রন্থ:

অসত্য যত রহিল পড়িয়া, সত্য সে গেল চলে বীরের মতন মরণ-কারারে চরণের তলে দলে। যে-ভোরের তারা অরুণ-রবির উদয়-তোরণ-দোরে ঘোষিল বিজয়-কিরণশঙ্ক-আবার প্রথম ভোরে, রবির ললাট চুম্বিল যার প্রথম রশ্মি-টিকা, বাদলের বায়ে নিভে গেল হায়, দীপ্ত তাহারইContinue Reading

ফণী মনসা

সত্যেন্দ্র-প্রয়াণ
কৃত: কাজী নজরুল ইসলাম
গ্রন্থ:

আজ আষাঢ়-মেঘের কালো কাফনের আড়ালে মু-খানি ঢাকি আহা কে তুমি জননি কার নাম ধরে বারে বারে যাও ডাকি? মাগো কর হানি দ্বারে দ্বারে তুমি কোন হারামণি খুঁজিতে আসিলে ঘুম-সাগরের পারে? ‘কই রে সত্য, সত্যেন কই’Continue Reading

সন্ধ্যা - কাজী নজরুল ইসলাম

সন্ধ্যা
কৃত: কাজী নজরুল ইসলাম
গ্রন্থ:

−সাতশো বছর ধরি পূর্ব-তোরণ-দুয়ারে চাহিয়া জাগিতেছি শর্বরী। লজ্জায় রাঙা ডুবিল যে রবি আমাদের ভীরুতায়, সে মহাপাপের প্রায়শ্চিত্ত করি যুগে যুগে হায়! মোদের রুধিরে রাঙাইয়া তুলি মৃত্যুরে নিশিদিন, শুধিতেছি মোরা পলে পলে ভীরু পিতা-পিতামহ-ঋণ! লক্ষ্মী! ওগোContinue Reading

ফণী মনসা

সব্যসাচী
কৃত: কাজী নজরুল ইসলাম
গ্রন্থ:

ওরে ভয় নাই আর, দুলিয়া উঠেছে হিমালয়-চাপা প্রাচী, গৌরীশেখরে তুহিন ভেদিয়া জাগিছে সব্যসাচী! দ্বাপর যুগের মৃত্যু ঠেলিয়া জাগে মহাযোগী নয়ন মেলিয়া, মহাভারতের মহাবীর জাগে, বলে ‘আমি আসিয়াছি।’ নব-যৌবন-জলতরঙ্গে নাচে রে প্রাচীন প্রাচী! ২ বিরাট কালেরContinue Reading

ঘুম নেই

সব্যসাচী
কৃত: সুকান্ত ভট্টাচার্য
গ্রন্থ:

অভুক্ত শ্বাপদচক্ষু নিঃস্পন্দ আঁধারে জ্বলে রাত্রিদিন। হে বন্ধু, পশ্চাতে ফেলি অন্ধ হিমগিরি অনন্ত বাধক্য তব ফেলুক নিঃশ্বাস; রক্তলিপ্ত যৌবনের অন্তিম পিপাসা নিষ্ঠুর গর্জনে আজ অরণ্য ধোঁয়ায় উঠুক প্রজ্বলি’। সপ্তরথী শোনে নাকো পৃথিবীর শৈশবক্রন্দন, দেখে নাইContinue Reading

দোলন-চাঁপা প্রচ্ছদ

সমর্পণ
কৃত: কাজী নজরুল ইসলাম
গ্রন্থ:

   প্রিয়! এবার আমায় সঁপে দিলাম, তোমার চরণ-তলে তুমি শুধু মুখ তুলে চাও, বলুক যে যা বলে। তোমার আঁখি কাজল-কালো অকারণে লাগল ভালো লাগল ভালো, পথিক আমার পথ ভুলাল সেই নয়নের জলে। আজকে বনের পথContinue Reading

সংযুক্তা
কৃত: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
গ্রন্থ:

সংযুক্তা1 ১। স্বপ্ন ১ নিশীথে শুইয়া, রজত পালঙ্কে পুষ্পগন্ধি শির, রাখি রামা অঙ্কে, দেখিয়া স্বপন, শিহরে সশঙ্কে, মহিষীর কোলে, শিহরে রায়। চমকি সুন্দরী, নৃপে জাগাইল, বলে প্রাণনাথ, এ বা কি হইল, লক্ষ যোধ রণে, যেContinue Reading

সর্বহারা
কৃত: কাজী নজরুল ইসলাম
গ্রন্থ:

১ ব্যথার সাতার-পানি-ঘেরা চোরাবালির চর, ওরে পাগল! কে বেঁধেছিস সেই চরে তোর ঘর? শূন্যে তড়িৎ দেয় ইশারা, হাট তুলে দে সর্বহারা, মেঘ-জননীর অশ্র”ধারা ঝ’রছে মাথার’ পর, দাঁড়িয়ে দূরে ডাকছে মাটি দুলিয়ে তর”-কর॥ ২ কন্যারা তোরContinue Reading

সংশোধন
কৃত: অজ্ঞাতনামা লেখক
গ্রন্থ:

দরিদ্রের ব্যর্থ জন্ম বিধাতারই মারাত্মক ভ্রম। মৃত্যুর নিশানা আঁকা সংহারের কালো রথে যম ভ্রম সংশোধনে আসে। কিন্তু তার মাশুলের হার বিধাতারই দপ্তরে নির্বাচিত গণপুরস্কার। দরিদ্রের জন্ম মৃত্যু, মুল্যে তার হয় না তো মাপ, অভিধানে লেখাContinue Reading

পূর্বাভাস - সুকান্ত ভট্টাচার্য

সহসা
কৃত: সুকান্ত ভট্টাচার্য
গ্রন্থ:

আমার গোপন সূর্য হল অস্তগামী এপারে মর্মরধ্বনি শুনি, নিস্পন্দ শবের রাজ্য হতে ক্লান্ত চোখে তাকাল শকুনি। গোধূলি আকাশ ব’লে দিল তোমার মরণ অতি কাছে, তোমার বিশাল পৃথিবীতে এখনো বসন্ত বেঁচে আছে। অদূরে নিবিড় ঝাউবনে যেContinue Reading

চক্রবাক

সাজিয়াছি বর মৃত্যুর উৎসবে
কৃত: কাজী নজরুল ইসলাম
গ্রন্থ:

দেখা দিলে রাঙা মৃত্যুর রূপে এতদিনের কি গো রাণী? মিলন-গোধূলি-লগনে শুনালে চির-বিদায়ের বাণী। যে ধূলিতে ফুল ঝরায় পবন রচিলে সেথায় বাসর-শয়ন, বারেক কপোলে রাখিয়া কপোল, ললাটে কাঁকন হানি, দিলে মোর পরে সকরুণ করে কৃষ্ণ কাফনContinue Reading

দোলন-চাঁপা প্রচ্ছদ

সাধের ভিখারিণী
কৃত: কাজী নজরুল ইসলাম
গ্রন্থ:

তুমি মলিন বাসে থাক যখন, সবার চেয়ে মানায়! তুমি আমার তরে ভিখারিনি, সেই কথা সে জানায়!          জানি প্রিয়ে জানি জানি,          তুমি হতে রাজার রানি,          খাটত দাসী, বাজত বাঁশি              তোমার বালাখানায় তুমিContinue Reading