আজ নলিন-নয়ান মলিন কেন বলো সখী বলো বলো! পড়ল মনে কোন্ পথিকের বিদায়-চাওয়া ছলছল? বলো সখী বলো বলো!! মেঘের পানে চেয়ে চেয়ে বুক ভিজালে চোখের জলে, ওই সুদূরের পথ বেয়ে কি চেনা-পথিক গেছে চলেContinue Reading
নাম-হারা তুই পথিক শিশু এলি অচিন দেশ পারায়ে। কোন নামের আজ পরলি কাঁকন? বাঁধনহারার কোন্ কারা এ? আবার মনের মতন করে কোন নামে বল ডাকব তোরে? পথভোলা তুই এই সে ঘরে >ছিলি ওরে, এলি ওরেContinue Reading
চারিদিকে এই গুণ্ডা এবং বদমায়েসির আখ্ড়া দিয়ে রে অগ্রদূত, চ’লতে কি তুই পারবি আপন প্রাণ বাঁচিয়ে? পারবি যেতে ভেদ ক’রে এই বক্র-পথের চক্রব্যুহ? উঠবি কি তুই পাষাণ ফুঁড়ে বনস্পতি মহীরুহ? আজকে প্রাণের গো-ভাগাড়ে উড়ছে শুধুContinue Reading
হঠাৎ ফাল্গুনী হাওয়া ব্যাধিগ্রস্ত কলির সন্ধ্যায়: নগরে নগররক্ষী পদাতিক পদধ্বনি শুনি; – দুরাগত স্বপ্নের কী দুর্দিন, – মহামারী,অন্তরে বিক্ষোভ – অবসন্ন বিলাসের সংকুচিত প্রাণ। ব্যক্তিত্বের গাত্রদাহ; রন্ধ্রহীন স্বধর্ম বিকাশ অতীতের ভগ্ননীড় এইবার সুপুষ্ট সন্ধ্যায়। বণিকেরContinue Reading
স্বচ্ছ রাত্রি এনেছে প্লাবন, উষ্ণ নিবিড় ধুলিদাপটের মরুচ্ছায়ায় ঘনায় নীল। ক্লান্ত বুকের হৃৎস্পন্দন ক্রমেই ধীর হয়ে আসে তাই শেষ সম্বল তোলো পাঁচিল। ক্ষণভঙ্গুর জীবনের এই নির্বিরোধ হতাশা নিয়েই নিত্য তোমার দাদন শোধ? শ্রান্ত দেহ কীContinue Reading
ও পাড়ার শ্যাম রায় কাছে পেলে কামড়ায় এমনি সে পালোয়ান, একদিন দুপুরে ডেকে বলে গুপুরে ‘এক্ষুনি আলো আন্’ কী বিপদ তা হ’লে আলো তার না হ’লে মার খাব আম’রা? দিলে পরে উত্তর রেগে বলে, ‘দুত্তোর,Continue Reading
সান্ধ্য ভিড় জমে ওঠে রেস্তোরাঁর দুর্লভ আসরে, অর্থনীতি, ইতিহাস, সিনেমার পরিচ্ছন্ন পথে – খুঁজে ফেরে অনন্তের বিলুপ্ত পর্যায়। গন্ধহীন আনন্দের অন্তিম নির্যাস এক কাপ চা-এ আর রঙিন সজ্জায়। সম্প্রতি নীরব হল; বিনিদ্র বাসরে ধূমপান চলেContinue Reading
অনেক উল্কার স্রোত বয়েছিল হঠাৎ প্রত্যুষে, বিনিদ্র তারার বক্ষে পল্লবিত মেঘ ছুঁয়েছিল রশ্মিটুকু প্রথম আবেগে। অকস্মাৎ কম্পমান অশরীরী দিন, রক্তের বাসরঘরে বিবর্ণ মৃত্যুর বীজ ছড়াল আসন্ন রাজপথে। তবু স্বপ্ন নয়: গোধূলীর প্রত্যহ ছায়ায় গোপন স্বাক্ষরContinue Reading
আজ বুঝি চুপি চুপি হলে পলাতক, খুলে গেছে তোমাদের রঙিন নির্মোক। এখানের স্পর্শটুকু নিতান্ত মামুলি, ওখানের খণ্ড খণ্ড ইতিহাসে ভরে ওঠা ঝুলি নিঃশেষ করেছি। তাই আর কোন ঠাঁই পরখের প্রবৃত্তি নাই। অনেক চেয়েছি স্বাদ সকালেContinue Reading
কোন্ সুদূরের চেনা বাঁশীর ডাক শুনেছিস্ ওরে চখা? ওরে আমার পলাতকা! তোর পড়লো মনে কোন্ হারা-ঘর, স্বপন-পারের কোন অলকা? ওরে আমার পলাতকা! তোর জল ভরেচে চপল চোখে, বল কোন হারা-মা ডাকলো তোকে রে?Continue Reading
দরদ দিয়ে দেখল না কেউ যাদের জীবন যাদের হিয়া, তাদের তরে ঝড়ের রথে আয় রে পাগল দরদিয়া। শূণ্য তোদের ঝোলা-ঝুলি, তারই তোরা দর্প নিয়ে দর্পীদের ওই প্রাসাদ-চূড়ে রক্ত-নিশান যা টাঙিয়ে। মৃত্যু তোদের হাতের মুঠায়, সেইContinue Reading
সাম্যের গান গাই!– যত পাপী তাপী সব মোর বোন, সব হয় মোর ভাই। এ পাপ-মুলুকে পাপ করেনিকো কে আছে পুরুষ-নারী? আমরা ত ছার;–পাপে পঙ্কিল পাপীদের কাণ্ডারি! তেত্রিশ কোটি দেবতার পাপে স্বর্গ সে টলমল, দেবতার পাপ-পথContinue Reading
রেশমি চুড়ির শিঞ্জিনীতে রিমঝিমিয়ে মরমকথা পথের মাঝে চমকে কে গো থমকে যায় ওই শরম-নতা॥ কাঁখচুমা তার কলসি-ঠোঁটে উল্লাসে জল উলসি ওঠে, অঙ্গে নিলাজ পুলক ছোটে বায় যেন হায় নরম লতা॥ অ-চকিতে পথের মাঝে পথ-ভুলানো পরদেশীContinue Reading
সখি! নতুন ঘরে গিয়ে আমায় পড়বে কি আর মনে? সেথা তোমার নতুন পূজা নতুন আযোজনে! প্রথম দেখা তোমায় আমায় যে গৃহ-ছায় যে আঙিনায়, যেথায় প্রতি ধূলি-কণায়, লতাপাতার সনে – Continue Reading
বিহঙ্গের মুক্ত পাখা অসীম আনন্দে মহাসাগরেতে ভাসে, তারপর আদি রঙ মোছে তুলি ব্যর্থ সভ্যতার সর্বনাশে। লৌহের পিঞ্জরে তুচ্ছ পরিমিত পরিধিতে সমর্পিত প্রাণ, কঠিন শৃঙ্খলে বদ্ধ বন্দী পদ, বন্ধ হয় গান; পৃথিবীর সীমারেখা ক্রমে ক্রমে হয়েছেContinue Reading
সকাল-সাঁঝে চেয়ে থাকি পুব-গগনের পানে কেন যে তা তার আঁখি আর আমার আঁখিই জানে। নদীপারের দেশে থাকি এমনি তারও আঁখি-পাখি দিগ্বালিকার পুব-কপোলে চাওয়ার পাখা হানে। চাওয়ায় চাওয়ায় চুমোচুমি রোজ মোদের ওইখানে। মোদের চোখেরContinue Reading
বলতে পার বড়মানুষ মোটর কেন চড়বে? গরীব কেন সেই মোটরের তলায় চাপা পড়বে? বড়মানুষ ভোজের পাতে ফেলে লুচি-মিষ্টি, গরীবরা পায় খোলামকুচি, একি অনাসৃষ্টি? বলতে পার ধনীর বাড়ি তৈরি যারা করছে, কুঁড়েঘরেই তারা কেন মাছির মতোContinue Reading
যূথিকা। এসো, এসো, প্রাণনাথ এসো ; আমার হৃদয়ের ভিতর এসো ; আমার হৃদয় ভরিয়া যাউক। কত কাল ধরিয়া তোমার আশায় ঊর্দ্ধমুখী হইয়া বসিয়া আছি, তা কি তুমি জান না? আমি যখন কলিকা, তখন ঐ বৃহৎContinue Reading
এত দিনে অবেলায়- প্রিয়তম! ধূলি-অন্ধ ঘূর্ণি সম দিবাযামী যবে আমি নেচে ফিরি রুধিরাক্ত মরণ-খেলায়- এত দিনে অ-বেলায় জানিলাম, আমি তোমা জন্মে জন্মে চিনি। পূজারিণী! ঐ কণ্ঠ, ও-কপোত- কাঁদানো রাগিণী, ঐ আঁখি, ঐ মুখ, ঐ ভুরু,Continue Reading
(ঝড় : পূর্ব-তরঙ্গ) আমি ঝড় পশ্চিমের প্রলয়-পথিক– অসহ যৌবন-দাহে লেলিহান-শিখ দারুণ দাবাগ্নি-সম নৃত্য-ছায়ানটে মাতিয়া ছুটিতেছিনু, চলার দাপটে ব্রহ্মাণ্ড ভণ্ডুল করি। অগ্রে সহচরী ঘূর্ণা-হাতছানি দিয়া চলে ঘূর্ণি-পরী গ্রীষ্মের গজল গেয়ে পিলু-বারোয়াঁয় উশীরের তার-বাঁধা প্রান্তর-বীণায়। করতালি-ঠেকা দেয়Continue Reading
