☼ প্রচেত গুপ্ত ☼
একটু পরে রোদ উঠবে
ষোল
কমিউনিস্ট পার্টির একজন নেতা-কর্মীর ঘরদোর কেমন হয়? ছন্নছাড়া? অগোছালো?
গল্প, উপন্যাস, সিনেমায় সেরকমই দেখানো হয়। দেওয়ালে বিপ্লবীদের ঝুললাগা ফটো, টেবিলে উপছে পড়া বই, চেয়ারে না-কাচা জামাকাপড় ডাঁই করে রাখা, খাটের ওপর বই, খাতা, লিফলেট, পোস্টার। ঘরের কোণে পতাকা, মেঝেতে চাটাই, চারপাশে ছড়িয়ে আছে মাটির ভাঁড়, বিড়ির টুকরো। ভাবটা এমন যেন, গোছগাছ পরিচ্ছন্নতায় কমিউনিস্ট নেতা-কর্মীদের রুচি নেই অথবা সময় নেই। তারা সর্বদাই ভাবছেন কমিউনে রয়েছি। যে-কোনও সময় লড়াইয়ের জন্য ডাক পড়বে। টেবিলের পাশে দাঁড় করানো বন্দুক, খাটের ওপর রাখা লাল পতাকা, দরজার গায়ে ঝোলানো ওভারকোট আর টুপি নিয়ে ছুটে বেরিয়ে যেতে হবে।সবচেয়ে বেশি বিক্রিত বই অনলাইনে কিনুন
এই ঘটনা যেমন সত্যি, আমার সত্যিও নয়।
কমিউনিস্ট নেতা-কর্মীদের জীবনযাপনের যে ছবি বাঙালি মনে জমা রয়েছে, তা মূলত রুশ বিল্পবের সময় থেকে ধার করা। রুশ সাহিত্য, সিনেমায় এই ধরনের ঘরবাড়ি, কমিউন, গোপন আস্তানা আকছাড় দেখা যেত। সেই দৃশ্যই মনে গেঁথে আছে। আবহমানকাল ধরে গল্পে, উপন্যাসে সেসবই বলা হচ্ছে। চিন, ভিয়েতনাম, কিউবা, চিলির বিপ্লবীদের জীবনচর্চার ছবিও এত জনপ্রিয় নয়। ভিয়েতনামের বিপ্লবীরা কোন ধরনের ঘরে থাকতেন, সে বর্ণনা সহজে পাওয়া যায় না। এর কারণ এক সময় রাশিয়ার প্রচার ক্ষমতা ছিল তীব্র। সে কড়া প্রচারের মধ্যে দিয়ে বাঙালির মনে ‘বিপ্লব থেকে বিপ্লবী’ কর্মকাণ্ডের অনেকটাই দখল করে নিয়েছিল।
শেখর গুপ্ত ড্রইংরুম এই ধারণা ভেঙে দেবে।
তমসাকে বিয়ে করার আগে থেকেই অপরিসর এই ঘরটি পরিপাটি, পরিচ্ছন্ন। খুবই সাধারণ আসবাব। তক্তাপোশের ওপর পাতলা তোষক পেতে ‘ডিভান’ বানানো হয়েছে। ওপরে বেডকভারটি সাধারণ, কিন্তু পরিচ্ছন্ন। টেবিল, চেয়ার, মোড়া, বেতের বুকর্যাকের সঙ্গে আছে দেওয়ালে ঝোলানো তিনটে ফটো। একজন কার্ল মার্কস, অন্য দুজন শেখরের বাবা এবং মা।
শেখরের ড্রইংরুমের বুকর্যাকে লোক দেখানো কোনও বই নেই। সবই রোজ নাড়াঘাঁটা করার বই। পার্টির বই, কাগজপত্র বেশি। নীচের তাকে বেশ কিছু কবিতার বই আছে। শেখর কবিতা পড়তে ভালোবাসে। অর্চিনকে কবিতা পড়ার কথা সে-ই বলেছে।
‘কবিতা পড়তে হবে অর্চিন। যারা সুন্দর, সমঅধিকারের পৃথিবী গড়ার স্বপ্ন দেখে, তাদের কবিতা পড়তে হয়। কবিতা না পড়লে স্বপ্ন দেখা যায় না। আর স্বপ্ন না দেখলে দুঃখী মানুষের মুক্তির জন্য লড়াই করবে কী করে? মনে রাখবে, কবিতা পড়ার ব্যাপারে বাছবিচার রাখতে নেই। কবি কোন দলের সমর্থক, কবি বাজারি পত্রিকায় লেখে না লিটল ম্যাগাজিনে লেখে—এসব ভাবতে নেই। সাহিত্য, শিল্প নিয়ে ভাগাভাগি করতে গিয়ে আমাদের পার্টি একসময় ভুল করেছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জীবনানন্দ দাশকেও আমরা বর্জন করতে গিয়েছিলাম। সেই ভুল আমরা শুধরে নিয়েছি। আমরাই পারি নিজেদের ভুল সংশোধন করতে। কবিতা পড়বে মন খুলে। পাবলো নেরুদা যেমন পড়তে হবে, শক্তি চট্টোপাধ্যায়ও পড়তে হবে। নতুন নতুন কবিদের লেখা খুঁজে পড়তে হবে। কবিতায় শুধু লড়াই সংগ্রামের কথা লেখা থাকবে, এমনটা ভাবলে চলবে না। কবিতা মনের দুঃখ, যন্ত্রণা, আনন্দ, চাওয়া-পাওয়া, জীবনের জটিলতার কথা বলে। অস্তিত্বের সঙ্কট নিয়ে প্রশ্ন তোলে। কবিতাকে না ছুঁলে নতুন সমাজ গড়া যায় না অর্চিন।’
শেখরদার ঘরে ঢুকে অর্চিন বসেছে তক্তাপোশ ডিভানের ওপর। আজ ডিভানের ওপর তমসা একটা চওড়া বাদামি স্ট্রাইপের চাদর পেতেছে। অর্চিনের হাতে দুটো বই। একটি প্রবন্ধ সংকলন। নাম বামপন্থার ভবিষ্যৎ। সম্পাদক কল্যাণ দাশগুপ্ত। অন্যটি কবিতার বই। নাম জার্নি। কবির নাম তিলোত্তমা বসু। প্রবন্ধের বই শেখরদার। পড়বার পর ফেরত দিতে এনেছে। কবিতার বইটা তাকে দিয়েছে ঋষা। শেখরদা কবিতা পড়তে বললেও অর্চিন এ ব্যাপারে উৎসাহ পায় না। কবিতা মাথায় ঢোকে না। তাও কিছু কিছু চেষ্টা করে এবং ফেল করে। ঋষা একজন বিরাট কবিতাভক্ত মেয়ে। তাদের লিটল ম্যাগাজিন আছে। সে অর্চিনের মুখে শেখরদার কবিতা সম্পর্কিত কথা শুনে খুবই উৎসাহ পেয়েছে। সেও অর্চিনকে কবিতা পড়ানোর চেষ্টা করে। এই বইটা দিতে অর্চিন নাক সিঁটকেছিল।
‘কবিতার বই আমাকে দিচ্ছিস কেন? আমি কবিতার কী বুঝি?’
এর উত্তরে ঋষা ছোটখাটো একটা লেকচার দিয়ে বসে।
‘আহা, পড়েই দেখো না। বুঝতে হবে না। কবিতাগুলো আমার এক দিদির লেখা। তিলোত্তমা বসু। খুব শক্তিশালী কবি। আড়ালে, নির্জনে থেকে লেখালেখি করে। কবিদের যা মানায় আর কী। আজকাল কিছু কিছু কবির সম্পর্কে কত বাজেবাজে কথা শুনি। খারাপ লাগে। নিজেরা কাদা ছোড়াছুড়ি করে। একে অন্যকে হিংসে করে। অন্য কোনও কবির প্রশংসা শুনলে গলা ফোলায়। বলে, নিশ্চয় কোনও স্বার্থ আছে। কয়েকজন আবার নিজের ঢাক পেটাতে চাইলে আর কিছু চায় না। কবিতার মতো পবিত্র একটা বিষয় নিয়ে এমনটা কীভাবে হয় কে জানে? সত্যিকারের কবিরা কখনও আমাকে দেখ, আমাকে দেখ করে না। পাঠকরা তাঁদের খুঁজে দেখে নেয়। হাতে গোনা হিংসুটে, একজিবিশনিস্টদের দল অন্যদের নাম খারাপ করছে। তিলোত্তমাদি আমাদের ম্যাগাজিনে লেখে। আমরাই জোর করে লেখাই। কোনওদিন কাউকে বলে না, আমার লেখা ছাপো। এর মধ্যেই ভালো ভালো সব কবিতা লিখেছে।’
অর্চিন চুপ করে ঋষার লেকচার শোনে। প্রথমে ভেবেছিল, মাঝখানেই থামিয়ে দেবে। তারপর দেখল, ভালোই হয়েছে। কবিদের হালচাল সম্পর্কে খানিকটা জানা গেছে। এই বিষয়টা তার একেবারেই ব্ল্যাঙ্ক ছিল। নির্লিপ্তভাবে বলল, ‘আমাকে কবিতা পড়তে দিয়ে বিরক্ত করিস না। আমার অনেক কাজ আছে।’
ঋষা হেসে বলল, ‘আচ্ছা, পড়তে হবে না। বাড়ি নিয়ে গিয়ে ফেলে দিস।’
বইটা ঘরে ফেলেই রেখেছিল অর্চিন। একদিন অন্যমনস্ক এবং অবহেলা ভরে পাতা উলটোতে গিয়ে ক’টা কবিতা ভলো লেগে গেল। ঠিক গোটা কবিতা হিসেবে নয়, আলাদা করে শব্দ, বাক্য মনে ধরল। উৎসাহ নিয়ে আরও ক’টা পড়ে ফেলল সে। একসময় বই শেষ করে অর্চিন অবাক হল। সব কথা বুঝতে পারল না, তার পরেও ভালো লাগছে। কবিতা কি তবে এরকমই? সব বোঝা-না-বোঝার জন্যই তাকে ভালো লাগে? কাছের মনে হয়? মনে হয়, এই তো আমার আশ্রয়? এই তো আমার শক্তি? এরপর অর্চিন একটা কাণ্ড করে বসল। তার মতো ছেলের পক্ষে যা অসম্ভব। বইয়ের পাতা খুলে ‘ফেরার ভাড়া’ নামে একটা কবিতা নিজের মনে অস্ফুটে আবৃত্তি করে উঠল—’হতাশার কবিতা থেকে দূরে আমার বাড়ি/ প্রেম ও ঘৃণার কবিতা থেকে ঘুর ঘুরপথ/ একা একা বাড়িতে ফিরছি…।’
বইটা শেখরদাকে পড়াতে এনেছে অর্চিন। তবে শুধু বই দিতে আসেনি ঃ শেখরদাকে তার সিদ্ধান্তের কথা জানাতেও এসেছে। ইতিমধ্যে জানিয়েও ফেলেছে।
শেখর গুপ্ত বইয়ের পাতা ওলটাতে ওলটাতে সহজভাবে বলল, ‘হঠাৎ হোলটাইমার হওয়ার ইচ্ছে হল কেন?’
অর্চিন অবাক হয়ে বলল, ‘হঠাৎ কেন হবে? আমি তো পার্টির স্টুডেন্ট ফ্রন্টে কাজ করছি। এবার পুরোসময় দিতে চাই।’
শেখর বলল, ‘তার জন্য লেখাপড়া ছেড়ে দিতে হবে?’
অর্চিন গোঁ ধরা গলায় বলল, ‘অনেক লেখাপড়া হয়েছে। আমি গ্রামে গিয়ে কাজ করব।’
শেখর হেসে ফেলল। মুখ তুলে বলল, ‘অনেক লেখাপড়া হয়েছে মানে! পড়া শেষ করতে হবে না? ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিটা লাগবে না? তুই তো খুব ভালো রেজাল্ট করা ছেলে। তোর সামনে ব্রাইট ফিউচার।’
অর্চিন রাগ রাগ গলায় বলল, ‘ডিগ্রি দিয়ে আমার কী হবে? আমি তো আর চাকরিবাকরি করব না। রাজনীতি করব। আমি ডিসিশন নিয়ে ফেলেছি শেখরদা। আমি শুধু নিজের ফিউচার নিয়ে ভাবতে শিখিনি। তোমরাই শেখাওনি। অন্যের ফিউচার নিয়েও ভাবতে শিখেছি। মুখে বড় বড় কথা বলব, নিপীড়িত, নির্যাতিত, অসহায় মানুষের জন্য কাঁদব, আর পরীক্ষায় ফার্স্ট হয়ে আসলে নিজের কেরিয়ার গোছাব—এই হিপোক্রেসি আমার ভালো লাগছে না। নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে। তুমি তো জানো, আমি ঘরে বসে বিপ্লব দেখানোকে ঘৃণা করি শেখরদা। মাঠে নেমে কাজ করতে হবে।’
শেখর আবার হাসল। বলল, ‘বাপরে তুই তো খুব উত্তেজিত হয়ে আছিস দেখছি। হল কী তোর? আমিও তোর সঙ্গে একমত। তবে সবটা নয়। এ কথা সত্য, আজকাল খবরের কাগজে, টিভির খবর দেখে রিঅ্যাক্ট করা একটা ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। নিশ্চিন্ত নিরাপদ দূরত্ব থেকে বিপ্লবীয়ানা দেখাও। এটা বাম আন্দোলনের জন্য ক্ষতিকর। মিডিয়া যেখানে রিঅ্যাক্ট করতে বলছে, কেউ কেউ শুধু সেখানেই রিঅ্যাক্ট করছে। ভাবছে, আহা! বিরাট প্রতিবাদী হলাম। মূল ইস্যুর ধারেকাছে যেতে চাইছে না। দেশের মানুষ কত ভয়ঙ্কর অবস্থার মধ্যে আছে, সেসব প্রশ্ন এড়িয়ে যায়। এসব নিয়ে মাথা ঘামালে যে নিজেকে অনেক স্যাকরিফাইস করতে হবে। একসময় পার্টির মধ্যে কেউ কেউ ভেবেছিল, এই ধরনের টিভি, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ প্রচারে কাজ দেবে। কনফারেন্সে সোশাল নেটওয়ার্ক ব্যবস্থার ওপর জোর দেওয়ার কথা বলাও হয়েছিল। কিন্তু কার্যত সেটা আমাদের পক্ষে গেল না। গভর্নমেন্ট এবং শাসকদলের অনেক দোষ-ত্রুটি আমরা সোশাল নেটওয়ার্ক ব্যবস্থার মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলাম, কিন্তু ভোটের সময় ফল পেলাম না। আর সত্যি কথা বলতে কী, যদি বা পেয়ে থাকি, তাদের বিশ্বাস করা যায় না। এদের বড় একটা অংশ এই সোশাল নেট-ওয়ার্কেই একসময়ে আমাদের তুলোধোনা করেছিল। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে কথা, অপপ্রচারে ফেসবুক ভরিয়ে দিয়েছিল। একবারও যাচাই করেনি। আজ উলটো বলছে। কাল আবার উলটো বলবে। এই ধরনের প্রতিবাদীরা নিজেদের মিথ্যে বিচারকের আসনে বসাতে ভালোবাসে। এরা নিজেদের বাড়ি, পথেঘাটে, কর্মক্ষেত্রে অন্যায় দেখলে চুপ করে থাকে। এদের নিয়ে বেশি মাথা ঘামানো অর্থহীন। তুইও ভাবিস না। যেটুকু নিজে থেকে হচ্ছে হোক।’
অর্চিন বলল, ‘তাহলে তো আমার কথাটাই ঠিক শেখরদা। আমাকে সব ছেড়েছুড়ে পুরোপুরি রাজনীতি করার সুযোগ করে দাও।’
শেখর গুপ্ত দৃঢ় গলায় বলল, ‘না, লেখাপড়া ছাড়লে চলবে না। শিক্ষার সঙ্গে পার্টির যোগ গভীর। পৃথিবীর বড় বড় নেতারা কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ছিলেন। সাম্যবাদী মতাদর্শে আপ্লুত হয়ে তাঁরা আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। মনে রাখতে হবে অর্চিন, আমাদের পার্টিতে লেখাপড়ার বিশেষ প্রয়োজন। ফেসবুক, হোয়াটঅ্যাপ নয়, আমাদের দল দাঁড়িয়ে আছে দলিল, ইস্তেহার, প্যামফ্লেট, মুখপত্র, পত্রপত্রিকার ওপর। লেখাপড়া না শিখলে এসবের দায়িত্ব কারা নেবে? লেখাপড়া করতে হবে না, স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ভাঙো ধরনের কাজ যারা অতীতে করেছে, এখন করছে, ভবিষ্যতে করবে আমরা তাদের বিরুদ্ধে। আমরা দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো কথা বলি না। তোমাকেও বলব না। তুমি লেখাপড়া শেষ করো অর্চিন। যা শুরু করেছ তা শেষ করতে হবে। তারপর অবশ্যই হোলটাইমার হয়ে কাজ করবে। কেউ বাধা দেবে না। বিপ্লব কখন হবে, কবে শোষিত মানুষের মুক্তি ঘটবে, সেসব পরের কথা। দরিদ্র মানুষকে রিলিভ দিতে আমরা রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছিলাম, ওই একই কারণে আবার আমাদের ক্ষমতায় ফিরতে হবে। নিজেদের আখের গোছাতে নয়। তখন আমাদের আরও বেশি বেশি করে শিক্ষিত মানুষের দরকার হবে। পার্টি থেকে বেনো জল বেরিয়ে যাচ্ছে, এবার তাদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে হবে।’
অর্চিন মন খারাপ করে বসে রইল। শেখর গুপ্ত উঠে তার কাঁধে হাত রাখল। হেসে বলল, ‘হতাশার কবিতা থেকে দূরে আমার বাড়ি। তোর এই কবিতার বই-ই তো সেই কথা বলছে। তাই তো? আমাদের জার্নি অনেক দীর্ঘ। ম্যারাথন দৌড়ের মতো। মশাল হাতবদল হয়। কিন্তু নেভে না।’