ভূমিকা গ্রন্থের ভূমিকায় যে সকল কথা বলিবার প্রয়োজন হইয়া থাকে, তাহা সকলই আমি গ্রন্থের মধ্যে বলিয়াছি। যাঁহারা কেবল ভূমিকা দেখিয়াই পুস্তক পাঠ করা না করা স্থির করেন, তাঁহাদিগের এই গ্রন্থ পাঠ করার সম্ভাবনা অল্প। এজন্য ভূমিকায় আমার অধিক কথা বলিবার প্রয়োজন নাই। বিশেষ, গ্রন্থের প্রথম দশ অধ্যায়েই একপ্রকার ভূমিকা মাত্র। আমার কথিত অনুশীলনতত্ত্বের প্রধান কথা যাহা, তাহা একাদশ অধ্যায়ে আছে। অন্য ভূমিকার কোন ফল নাই। এই দশ অধ্যায় নীরস, এবং মধ্যে মধ্যে দুরূহ, এই দোষ স্বীকার করাই আমার এই ভূমিকার উদ্দেশ্য। সপ্তম অধ্যায় বিশেষতঃ নীরস ও দুরূহ। শ্রেণীবিশেষের পাঠক, সপ্তম অধ্যায় পরিত্যাগ করিতে পারেন। প্রধানতঃ, শিক্ষাপ্রাপ্ত পাঠকদিগের জন্যই এই গ্রন্থ লিখিত হইয়াছে, এজন্য সকল কথা সকল স্থানে বিশদ করিয়া বুঝান যায় নাই। এবং সেই জন্য স্থানে স্থানে ইংরাজি ও সংস্কৃতের অনুবাদ দেওয়া যায় নাই। এই গ্রন্থের কিয়দংশ ‘নবজীবনে’ প্রকাশিত হইয়াছিল। তাহারও কিছু কিছু পরিবর্তিত হইয়াছে।
২০১৬-০১-২৪