» » চক্রান্তের মূল নায়করা

বর্ণাকার

রবার্ট ক্লাইভ

ওয়াটস ও স্ক্র্যাফ্‌টন যখন ঘটনাস্থল থেকে ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করার চেষ্টায় ব্যস্ত, তখন ক্লাইভ দূরে অন্তরাল থেকে সবকিছুর তদারকি করছিলেন। সিরাজদ্দৌল্লা কলকাতা থেকে ইংরেজদের তাড়িয়ে দেবার পর যখন মাদ্রাজ থেকে ক্লাইভ ও ওয়াটসনের নেতৃত্বে অভিযাত্রী সৈন্যদলকে বাংলায় পাঠানো হল, তখন ক্লাইভকে শুধু সমর বিষয়েই সিদ্ধান্ত নেবার অধিকার দেওয়া হয়নি, বাংলায় কোম্পানির রাজনৈতিক ব্যাপারেও উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা তাঁকে দেওয়া হয়েছিল। অবশ্য তাঁকে কলকাতার সিলেক্ট কমিটির—যার সদস্য ছিলেন তিনি, গভর্নর ড্রেক, ওয়াটস, ম্যানিংহাম ও রিচার্ড বেচার—সঙ্গে পরামর্শ করে কাজ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে এটাও জানানো হয়েছিল যে প্রয়োজন হলে ওই কমিটিকে অগ্রাহ্য করেও কাজ করার স্বাধীনতা তাঁকে দেওয়া হল।1

ক্লাইভ প্রথমদিকে কোম্পানির একজন সাধারণ কর্মচারীই ছিলেন কিন্তু করমণ্ডলে তাঁর নেতৃত্বে ইংরেজদের গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধবিজয়ের পর তিনি রাতারাতি খ্যাতনামা হয়ে যান। স্ক্র্যাফ্‌টন লিখছেন:2

কর্নেল ক্লাইভ সাধারণ কর্মচারী হয়েও করমন্ডল উপকূলে যুদ্ধ করে বেশ খ্যাতি অর্জন করেন। ওখানে কোম্পানির অবস্থা বেশ সংকটজনক হয়ে পড়েছিল। তিনি আমাদের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী ফরাসিদের বেশ কয়েকবার পরাজিত করে ওখানে কোম্পানিকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেন। সম্প্রতি তিনি অ্যাংগ্রিয়াদের (Angria) বিরুদ্ধে সফল অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং এখন যোগ্যতম ব্যক্তি হিসেবেই বাংলায় কোম্পানির একটা সুরাহা করতে এসেছেন।

আসলে ক্লাইভ কিন্তু মোটেই প্রতিভাসম্পন্ন সেনানায়ক ছিলেন না, যদিও তখনকার ফারসি ইতিহাসে তাঁকে ‘সবিৎ জঙ্গ’ বা ‘সাহসী, যুদ্ধজয়ী’ (‘the brave, tried in battles’) বলে উল্লেখ করা হয়েছে।3 বাংলায় এসে বজবজে রাজা মানিকচাঁদের সঙ্গে তাঁর যে প্রথম সংঘর্ষ হয়, তাতে সমরনায়ক হিসেবে তাঁর বুদ্ধিমত্তা ও কুশলতার তেমন পরিচয় পাওয়া যায়নি। একটু শরীর খারাপ হলেই তিনি সহজে মুষড়ে পড়তেন। তাঁর রোগ রোগ একটা বাতিক ছিল (hypocondriac) এবং সর্বক্ষণই তিনি স্বাস্থ্য নিয়ে দুশ্চিন্তা করতেন। প্রায়ই তিনি নিরাশাগ্রস্ত হয়ে পড়তেন এবং নিজের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলতেন। কিন্তু তাঁর সবচেয়ে বড় গুণ ছিল তিনি খুব তাড়াতাড়ি এ-সব কাটিয়ে উঠতে পারতেন। কিছুদিন আগে তাঁর এক জীবনীকার লিখেছেন:4

ক্লাইভ কিন্তু মোটেই যোদ্ধা ছিলেন না। যুদ্ধ বিষয়ে তাঁর জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাও ছিল খুব সীমিত। তাঁর সমসাময়িক সমরনায়কদের দক্ষতার মান বেশ নিচুই ছিল। তাঁদের তুলনায়ও তাঁকে খুব একটা উন্নতমানের সৈন্যাধ্যক্ষ বলা যায় না। বস্তুতপক্ষে তিনি গেরিলাযুদ্ধে সাফল্য লাভ করেই সুনাম অর্জন করেছিলেন। কিন্তু এ-সব সাফল্য সত্ত্বেও তিনি দক্ষ সেনানায়ক হয়ে উঠতে পারেননি।

বাংলায় অভিযাত্রী দলের সর্বাধ্যক্ষ নিযুক্ত হওয়ায় ক্লাইভ খুবই পুলকিত হন এবং এই অভিযানের মাধ্যমে অনেক কিছু সম্পন্ন করার উচ্চাভিলাষ তাঁর মনে জাগে। যেদিন তিনি ওই পদে নিযুক্ত হওয়ার খবর পেলেন সেদিনই লন্ডনে সিক্রেট কমিটিকে তিনি লেখেন (১১ অক্টোবর ১৭৫৬): ‘আমি গর্ব করে বলতে পারি শুধু কলকাতা পুনরুদ্ধার করে এই অভিযানের কাজ শেষ হবে না—কোম্পানির জন্য এমন ব্যবস্থা করতে পারব যা আগের চেয়ে শুধু অনেক ভালই হবে না, আগে কোনওদিন যা হয়নি তাই এবার হবে।’5 মাদ্রাজ থেকে যাত্রা করবার আগেই তিনি লেখেন যে ‘সিরাজদ্দৌল্লা একজন দুর্বল নবাব এবং তাঁর দরবারের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যে অধিকাংশ তাঁর প্রতি বিরূপ।’6 দরবারের মধ্যে এই যে অসন্তোষ তাকে কাজে লাগিয়ে, ক্লাইভের ভাষায়, ইংরেজরা ‘রাজনীতির দাবা খেলায় বাজিমাৎ করেছিল’ এবং এভাবেই তারা ষড়যন্ত্র পাকা করে পলাশিতে সিরাজদ্দৌল্লার পতন ঘটিয়েছিল। ক্লাইভ যখন তাঁর পিতাকে লিখছেন, ‘বাংলায় এ-অভিযান সার্থক হলে আমি বিরাট কিছু করতে পারব’, তখন তিনি নিশ্চয়ই কল্পলোকে বাস করছিলেন না।7 এখানে উল্লেখযোগ্য, পঞ্চাশের দশকের প্রথমদিকে কলকাতার ইংরেজ ইঞ্জিনিয়র কর্নেল স্কট বাংলা বিজয়ের পরিকল্পনার যে প্ল্যান তৈরি করেছিলেন, ক্লাইভ ও ওরম দু’জনেই সে সম্বন্ধে সম্পূর্ণ অবহিত ছিলেন এবং এই পাণ্ডুলিপিটি তখন মাদ্রাজেই ছিল, যেখানে তখন ওঁরা দু’জনও ছিলেন। তা ছাড়াও ক্লাইভ যখন ১৭৪৯-৫০-এর শীতকালে কলকাতায় এসেছিলেন, বাংলার অগাধ ঐশ্বর্য তখন তাঁর মনে প্রচণ্ড রকমের দাগ কেটেছিল। তিনি খুব সম্ভবত মনে মনে ভাবছিলেন, আর্কটের যুদ্ধের পর তাঁর ব্যক্তিগত ব্যবসার এক সহযোগী ভবিষ্যৎবাণী করেছিল যে বাংলায় যদি যুদ্ধ লাগে তা হলে ক্লাইভ রাতারাতি খুব বড়লোক হয়ে যাবেন।8 এই পরিপ্রেক্ষিতেই বাংলা বিজয়ের আগে তাঁকে মাদ্রাজ থেকে ডেকে পাঠাতে পারে বলে ক্লাইভের যে উদ্বেগ দেখা গেছে তা সহজে বোধগম্য।

ক্লাইভ তথা ইংরেজদের বাংলা বিজয়ের পেছনে যে মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল—যা আমরা আগেই বিশদভাবে আলোচনা করেছি—তা হল তাদের ব্যক্তিগত ব্যবসার লাভ লোকসানের খতিয়ান। এ-বিষয়ে এর আগে কখনও দৃষ্টিপাত করা হয়নি। মাদ্রাজ থেকে রওনা হওয়ার আগেই ক্লাইভ তাঁর পিতাকে লেখেন যে ডডিংটন (Doddington) জাহাজ ডুবে যাওয়ার ফলে তাঁর প্রায় তিন হাজার পাউন্ড ক্ষতি হয়েছে (খুব সম্ভবত ব্যক্তিগত ব্যবসায়ে নিয়োজিত) এবং তাঁর ভয় যে বাংলায় তাঁর ক্ষতির পরিমাণ (সিরাজদ্দৌল্লার কলকাতা আক্রমণের ফলে) আরও বেশি হবে।9 এ-সব থেকে স্পষ্ট যে তিনি ব্যক্তিগত বাণিজ্যে লিপ্ত ছিলেন। বস্তুতপক্ষে কলকাতা পুনরুদ্ধার করার ক’দিন আগে, সম্ভবত যখন তিনি তাঁর ব্যক্তিগত ব্যবসার হিসেবপত্র পান, তখন তিনি তাঁর পিতাকে আবার লেখেন যে নবাবের কলকাতা আক্রমণের ফলে তাঁর ক্ষতির পরিমাণ আড়াই হাজার পাউন্ডের কম নয়।10 তা ছাড়া মনে হয় যে বাংলায় অভিযানকে তিনি তাঁর কিছু ব্যক্তিগত উচ্চাভিলাষ পূরণ করার উপায় হিসেবেও দেখেছিলেন। কলকাতা পুনরুদ্ধার ও নবাবের সঙ্গে আলিনগরের চুক্তি সম্পাদন (৯ ফেব্রুয়ারী ১৭৫৭) করার পর তিনি তাঁর পিতাকে লেখেন:11

আমার এই সাফল্যে যেহেতু কোম্পানি খুব বেঁচে গেছে, সেজন্য আমার নিজের স্বার্থ গুছিয়ে নেবার এটাই প্রকৃষ্ট সময়। আমি লর্ড চ্যান্সেলর, আর্চবিশপ, মি. ফক্স (Fox) ও যুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী লর্ড ব্যারিংটনকে আমার দিকটা দেখতে লিখেছি। তা ছাড়াও আমি কোম্পানির ডাইরেক্টর মি. ম্যাবট (Mabbot) , ড্রেক ও পেইন-কেও (Payne) লিখেছি আমার কথাটা মাথায় রাখতে। আমার খুব বাসনা আমাকে ভারতবর্ষের গভর্নর জেনারেলের পদে নিয়োগ করা হোক, যদি এরকম পদ সৃষ্টি করার প্রয়োজন হয়। আমি অবশ্য মি. ম্যাবটকে অনেকটা খোলাখুলি ব্যাপারটা নিয়ে লিখেছি। তবে আপনি এ-বিষয়টা অত্যন্ত গোপনে এবং খুব সাবধানে সম্পন্ন করার চেষ্টা করবেন। কিন্তু ওঁদের মধ্যে কেউ গভর্নর জেনারেল পদের ইঙ্গিত না দিলে আপনি কথাটা উচ্চারণ করবেন না।

ক্লাইভ যে প্রথম থেকেই সিরাজদ্দৌল্লার বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ভূমিকা নেবেন তা মাদ্রাজ কাউন্সিল তাঁকে যে নির্দেশ দিয়েছিল তা থেকেই অনুমান করা যায়। তাতে বলা হয়েছিল, ‘কলমের সঙ্গে অস্ত্রও ব্যবহার করতে হবে’ এবং নবাবের বিরুদ্ধে খুব তাড়াতাড়ি এবং দৃঢ়তার সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করে দিতে হবে।12 সঙ্গে সঙ্গে এটাও মাদ্রাজ থেকে বলে দেওয়া হয়েছিল যে নবাবের কলকাতা আক্রমণের বদলা হিসেবে হুগলি বা অন্য কোনও মুসলিম শহর আক্রমণ করে তা ধ্বংস করতে হবে।13 মনে হয় ক্লাইভের কৌশল ছিল যে কূটনীতি ও আলাপ আলোচনার মাধ্যমে যদি কাজ হয় তো ভাল। তবে সঙ্গে সঙ্গে তিনি বদ্ধপরিকর ছিলেন যে নবাবকে যুদ্ধক্ষেত্রে এমনভাবে পর্যুদস্ত করতে হবে যে আর কোনওদিন তিনি ইংরেজদের এবং তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য আক্রমণ করতে সাহস করবেন না। হয়তো তিনি এটাও ভেবেছিলেন যে একটা কিছু নাটকীয় কাণ্ড করতে পারলে তিনি লন্ডনে কোম্পানির পরিচালকদের সুখ্যাতি অর্জন করতে পারবেন। কিন্তু তাঁর ভবিষ্যতের উচ্চাভিলাষ ও বর্তমান কৌশলের প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন কলকাতার গভর্নর ড্রেক ও ফোর্ট উইলিয়াম কাউন্সিল। মাদ্রাজের গভর্নর পিগটকে তিনি ৮ জানুয়ারি ১৭৫৭-তে লেখেন যে, ‘আমার ওপর যে ক্ষমতা ও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাতে কোম্পানির এখানকার লোকজন খুবই অসন্তুষ্ট মনে হয়। এরা যা বলে তাতে বিন্দুমাত্র বিশ্বাস করবেন না। বিশ্বাস করুন এই লোকগুলি অত্যন্ত বাজে ধরনের এবং এদের মনোবৃত্তি অত্যন্ত জঘন্য। আমার বিরুদ্ধে আপনার মন বিষিয়ে দিতে এরা সবকিছু করতে পারে।….পেরু এবং মেক্সিকোর সব ধনরত্ন দিলেও এদের মধ্যে আমি থাকতে চাই না।’14

সে যাই হোক, এ-বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে পলাশির ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে ক্লাইভই প্রথমে উদ্যোগ নিয়েছিলেন এবং তিনিই ওয়াটস ও স্ক্র্যাফ্‌টনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন তাঁরা যেন মুর্শিদাবাদ দরবারে নবাবের বিরুদ্ধে একটি ‘দল’ (party) তৈরি করতে লেগে যান। রবার্ট ওরম পরিষ্কার লিখেছেন যে মীরজাফর নবাবের ওপর বিরূপ জানতে পেরে ক্লাইভ ওয়াটসকে মীরজাফরের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে নির্দেশ দেন। বলা বাহুল্য, উদ্দেশ্য ষড়যন্ত্রের ভিত তৈরি করা।15 আবার ক্লাইভই সিলেক্ট কমিটিকে অনুরোধ করেছিলেন যাতে স্ত্র্যাফ্‌টনকে মুর্শিদাবাদে থাকতে অনুমতি দেওয়া হয় কারণ ‘ওখানে প্রয়োজনীয় কাজে তাঁকে দরকার হবে।’ কমিটিও তাতে রাজি হয়ে গেল কারণ তারা বুঝেছিল ‘কাজটা’ হচ্ছে দরবারের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বাজিয়ে দেখা কমিটি তাই ক্লাইভকে জানাল তিনি যেন উপযুক্ত লোক দিয়ে দরবারের বিশিষ্ট অমাত্যদের বাজিয়ে দেখেন, ইংরেজদের সঙ্গে যোগ দিয়ে তারা সিরাজদ্দৌল্লাকে হঠাতে রাজি কি না।16 স্ক্র্যাফ্‌টনও লিখেছেন যে ক্লাইভ ওয়াটসকে নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি যেন একটি ‘দল’ তৈরি করেন, যারা নবাবের বিরুদ্ধে ইংরেজদের সঙ্গে হাত মেলাবে।17 পলাশির ষড়যন্ত্র ও যুদ্ধের পূর্ববর্তী ঘটনাক্রম বিশ্লেষণ করে এ-কথা বলা যায় যে, ক্লাইভ ষড়যন্ত্রের সাফল্যের জন্য যে-কোনও উপায় অবলম্বন করতে প্রস্তুত ছিলেন। অ্যাডমিরাল ওয়াটসন নবাবের অনুমতি ছাড়া চন্দননগর আক্রমণ করতে রাজি ছিলেন না, এমন একটা ধারণা প্রচলিত আছে। এই বাধা দূর করতে ক্লাইভের নির্দেশেই নাকি ওয়াটসনের সই জাল করা হয়েছিল। আবার তাঁর উদ্যোগেই সাদা ও লাল চুক্তির কৌশল অবলম্বন করে উমিচাঁদকে প্রতারিত করা হয়েছিল অথচ এই ক্লাইভই কিছুদিন আগে তাঁর মত ব্যক্ত করে জানিয়েছিলেন যে, চুক্তিতে উমিচাঁদের জন্য বিশেষ প্রাপ্তির ব্যবস্থা থাকা উচিত। সর্বোপরি সিলেক্ট কমিটির চাইতে তিনিই বেশি অস্থির ও অধৈর্য হয়ে পড়েছিলেন যাতে মীরজাফর এবং অন্যান্যরা চক্রান্তে অনড় থাকে এবং শেষ পর্যন্ত ইংরেজদের যেন পরিত্যাগ না করে।18 এটা আমরা পরের অধ্যায়ে বিশদভাবে আলোচনা করব।

সূত্রনির্দেশ ও টীকা

  1. Fort St. George, Select Committee Consultations, 1 Oct. 1756, Hill, II, p. 225; ক্লাইভকে ফোর্ট সেন্ট জর্জ কাউন্সিল, ১৩ অক্টোবর ১৭৫৬, Hill, II, p. 234.
  2. Scrafton, Reflections, p. 62.
  3. সিয়র-উল-মুতাখারিন, ২য় খণ্ড, পৃ. ২১৯; মুজাফ্‌ফরনামা, পৃ. ৭১; রিয়াজ-উস-সলাতিন,পৃ. ৩৭০।
  4. Michael Edwardes, Plassey, p. 84; Mark Bence-Jones, Clive of India, p. 189.
  5. লন্ডনে সিক্রেট কমিটিকে ক্লাইভের চিঠি, ১১ অক্টোবর ১৭৫৬, Hill, I, pp. 232-33.
  6. Ome Mss.,O.V.vol. 6, f. 1500.
  7. পিতাকে লেখা ক্লাইভের চিঠি, ৫ অক্টোবর ১৭৫৬, Hill, I, p. 227.
  8. Powe Collection, Box 20, John Brown to Clive, 27 Feb. 1752, quoted in Mark Bence-Jones, Clive, p. 93.
  9. ক্লাইভ তাঁর পিতাকে, ৫ অক্টোবর ১৭৫৬, Hill, I, p. 227.
  10. পিতাকে লেখা ক্লাইভের চিঠি, ৩ বা ৪ ফেব্রুয়ারি ১৭৫৭, Hill, II, p. 210.
  11. ঐ, ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৭৫৭, Hill, II, p.243.
  12. ফোর্ট উইলিয়ামের সিলেক্ট কমিটিকে লেখা ফোর্ট সেন্ট জর্জের সিলেক্ট কমিটির চিঠি, ১৩ অক্টোবর ১৭৫৬, Hill, I, p.239.
  13. Fort St. George Public Consultations, 29 Sept. 1756, Hill, I, p. 222.
  14. পিগটকে লেখা ক্লাইভের চিঠি, ৮ জানুয়ারি ১৭৫৭, Hill, II, pp. 96-97.
  15. Robert Orme, Military Transactions, vol. II, Sec. I, p. 148.
  16. Select Committee Consultations, 23 April 1757; Orme Mss., India V, ff. 1212-14; Ome Mss. O.V. 170, f. 222.
  17. Scrafton, Reflections, p. 81.
  18. সম্প্রতি কুমকুম চ্যাটার্জী (Merchants, Politics and Society, pp. 103-04, fn. 4). আমার একটি গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য মানতে দ্বিধা প্রকাশ করেছেন। আমি বলতে চেয়েছি যে প্রাক্‌-পলাশি বাংলায় ইংরেজদের সঙ্গে বাংলার ব্যবসায়ী ও বাণিজ্যিক শ্রেণীর কোনও রকমের ‘কোলাবোরেশন’ গড়ে ওঠেনি যাতে করে কেমব্রিজ স্কুলের পলাশি সম্বন্ধে কোলাবোরেশন থিসিস আমি খণ্ডন করতে চেয়েছি। কারণ হিসেবে আমি দেখিয়েছি যে ইংরেজ কোম্পানির সঙ্গে এই ব্যবসায়ীদের স্বার্থ নিবিড়ভাবে জড়িয়ে যাবার প্রশ্নই ওঠে না। কুমকুম বলছেন, যেহেতু আমার বক্তব্যে ইউরোপীয় এবং এশীয় বণিকদের বাণিজ্যের তুলনামূলক যথেষ্ট পরিসংখ্যানের অভাব আছে, তাই আমার বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। তার মত যে সম্পূর্ণ ভ্রান্ত তা আমার বই, From Prosperity to Decline, ৫ম, ৭ম ও ৮ম অধ্যায় এবং এই বইয়ের ৪র্থ অধ্যায় ও আমার Etrafo 24h The Asian Merchants and Companies in Bengal’s Export Trade, Circa, mid-Eighteenth Century’, S. Chaudhury and M. Morineau, eds., Merchants, Companies and Trade: Europe and Asia in Early Modern Era’, পৃ. ৩০০-৩২০, একটু যত্ন করে পড়লেই স্পষ্ট হয়ে যাবে। এগুলিতে যথেষ্ট পরিমাণ পরিসংখ্যান আছে।