বিজয়া » পঞ্চম অঙ্ক
প্রথম দৃশ্য বিজয়ার বসিবার ঘর [পরেশ প্রবেশ করিল। তাহার পরিধানে চওড়া পাড়ের শাড়ী, গায়ে ছিটের জামা, গলায় কোঁচানো চাদর, কিন্তু খালি পা] পরেশ। মা-ঠান, তিনটে-চারটে বেজে গেল পালকি এলো না ত? আমার মা কি বলচেContinue Reading
প্রথম দৃশ্য বিজয়ার বসিবার ঘর [পরেশ প্রবেশ করিল। তাহার পরিধানে চওড়া পাড়ের শাড়ী, গায়ে ছিটের জামা, গলায় কোঁচানো চাদর, কিন্তু খালি পা] পরেশ। মা-ঠান, তিনটে-চারটে বেজে গেল পালকি এলো না ত? আমার মা কি বলচেContinue Reading
‘বিপ্রদাসে’র প্রথম দশ পরিচ্ছেদ ১৩৩৬ হতে ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত ‘বেণু’ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। পুনারায় ‘বিচিত্রা’ পত্রিকার ১৩৩৯ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন, চৈত্র; ১৩৪০ বঙ্গাব্দের বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়, আশ্বিন, কার্তিক, অগ্রহায়ণ, পৌষ, মাঘ ও ফাল্গুন এবং ১৩৪১Continue Reading
ছেলেবেলাকার গল্প গ্রন্থটি প্রথম প্রকাশিত হয় এপ্রিল ১৯৩৮ খৃষ্টাব্দ মুতাবেক বৈশাখ, ১৩৪৫ বঙ্গাব্দে। প্রকাশক এম. সি সরকার এণ্ড সন্স, কলকাতা। গ্রন্থটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর (১৬ই জানুয়ারি, ১৯৩৮ খৃষ্টাব্দ) তিন মাস পরে প্রকাশিত হয়। এই গ্রন্থেContinue Reading
লালু নামে তিনটি গল্পটি লিখেছিলেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। লালু শিরোনামের প্রথম গল্পটি ১৩৪৪ বঙ্গাব্দের (১৯৩৭ খৃষ্টাব্দ) চৈত্র সংখ্যা ‘মৌচাক’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। লালু শিরোনামের দ্বিতীয় গল্পটি ১৩৪৪ বঙ্গাব্দের (১৯৩৭ খৃষ্টাব্দ) কবি নরেন্দ্র দেব ও তাঁর স্ত্রী কবি রাধারাণী দেবী সম্পাদিত পূজা-বার্ষিকী (শারদ সংখ্যা) ‘সোনার কাঠি’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। লালু শিরোনামের তৃতীয় গল্পটির পত্রিকায় প্রকাশনার বিষয়ে কোন তথ্য জানা যায় না। এই তিনটি গল্পকেই আমরা ‘লালু’ শিরোনামে একত্রিত করেছি।Continue Reading
ছেলেধরা গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয় সাহিত্যিক শ্রীব্রজমোহন দাস সম্পাদিত পূজা-বার্ষিকী (শারদ) সংখ্যা ‘ছোটদের আহরিকা’ পত্রিকায় ১৩৪২ বঙ্গাব্দে (১৯৩৫ খৃষ্টাব্দ)। এটি এপ্রিল, ১৯৩৮ খৃষ্টাব্দ (বৈশাখ, ১৩৪৫ বঙ্গাব্দ) গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা থেকে প্রকাশিত ‘ছেলেবেলাকার গল্প’ নামক গ্রন্থের দ্বিতীয় গল্প।Continue Reading
কলকাতার নতুন-দা গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয় সাহিত্যিক শ্রীপ্রেমেন্দ্র মিত্র সম্পাদিত বার্ষিকী (বার্ষিক প্রকাশন) ‘গল্পের মণিমালা’ পত্রিকায় ১৩৪৪ বঙ্গাব্দে (১৯৩৭-১৯৩৮ খৃষ্টাব্দ)। এটি এপ্রিল, ১৯৩৮ খৃষ্টাব্দ (বৈশাখ, ১৩৪৫ বঙ্গাব্দ) গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা থেকে প্রকাশিত ‘ছেলেবেলাকার গল্প’ নামক গ্রন্থের তৃতীয় গল্প। এই গল্পটির বিশেষত্ব হলো, এটি লেখকের আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস শ্রীকান্ত, প্রথম পর্বের সপ্তম পরিচ্ছেদের অংশবিশেষ।Continue Reading
‘বছর-পঞ্চাশ পূর্বের একটা দিনের কাহিনী’ গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৩৪৪ বঙ্গাব্দের (১৯৩৫ খৃষ্টাব্দ) আশ্বিন-কার্তিক সংখ্যা ‘পাঠশালা’ নামক ছেলেদের মাসিক পত্রিকায়। এটি এপ্রিল, ১৯৩৮ খৃষ্টাব্দ (বৈশাখ, ১৩৪৫ বঙ্গাব্দ) গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা থেকে প্রকাশিত ‘ছেলেবেলাকার গল্প’ নামক গ্রন্থের পঞ্চম গল্প।Continue Reading
এই গল্পটি ১৩৪৪ বঙ্গাব্দের (১৯৩৭ খৃষ্টাব্দ) আষাঢ় সংখ্যা ‘ভারতবর্ষ’ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়। এরপর এপ্রিল, ১৯৩৮ খৃষ্টাব্দ (বৈশাখ, ১৩৪৫ বঙ্গাব্দ) গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা থেকে প্রকাশিত ‘ছেলেবেলাকার গল্প’ নামক গ্রন্থের সপ্তম ও শেষ গল্প।Continue Reading
বাংলা উপন্যাস সাহিত্যে শরৎচন্দ্র এমন একটি নূতন পথ ধরে অগ্রসর হয়েছেন যা বাঙলা কথাসাহিত্যের পরিধিকে প্রসারিত করে দিয়ে তার মধ্যে এনেছে এক অদৃষ্টপূর্ব বৈচিত্র্য। সংবেদনশীল হৃদয়, ব্যাপক জীবনজিজ্ঞাসা, প্রখর পর্যবেক্ষণশক্তি, সংস্কারমুক্ত স্বাধীন মনোভঙ্গি প্রভৃতির গুণেContinue Reading
প্রথম পরিচ্ছেদ গঙ্গায় আগ্রীব নিমজ্জিতা কৃষ্ণপ্রিয়া ঠাকুরানী চোখ কান রুদ্ধ করিয়া তিনটি ডুব দিয়া পিত্তল-কলসীতে জলপূর্ণ করিতে করিতে বলিলেন, কপাল যখন পোড়ে তখন এমনি করেই পোড়ে। ঘাটে আরো তিন-চারিজন স্ত্রীলোক স্নান করিতেছিল, তাহারা সকলেই অবাকContinue Reading
শেষের পরিচয় শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অসমাপ্ত উপন্যাস। ‘ভারতবর্ষ’ মাসিক পত্রে—১৩৩৯ বঙ্গাব্দের আষাঢ় থেকে আশ্বিন, অগ্রহায়ণ, ফাল্গুন ও চৈত্র; ১৩৪০ বঙ্গাব্দের বৈশাখ, আশ্বিন ও অগ্রহায়ণ; ১৩৪১ বঙ্গাব্দের আষাঢ়, শ্রাবণ, কার্তিক, ফাল্গুন এবং ১৩৪২ বঙ্গাব্দের বৈশাখ সংখ্যায় ‘শেষেরContinue Reading
শাস্ত্রে ত্রিবিধ দুঃখের কথা আছে। পৃথিবীর যাবতীয় দুঃখকেই হয়ত ঐ তিনটির পর্যায়েই ফেলা যায়, কিন্তু আমার আলোচনা আজ সে নয়। বর্তমান কালে যে তিন প্রকার ভয়ানক দুঃখের মাঝখান দিয়ে জন্মভূমি আমাদের গড়িয়ে চলেছে, সেও তিনContinue Reading
এতদিন এদেশে শিক্ষার ধারা একটা নির্বিঘ্ন নিরুপদ্রব পথে চলে আসছিল। সেটা ভাল কি মন্দ, এ বিষয়ে কারও কোন উদ্বেগ ছিল না। আমার বাবা যা পড়ে গেছেন, তা আমিও পড়ব। এর থেকে তিনি যখন দু’পয়সা করেContinue Reading
মনে হয়, পরাধীন দেশের সব চেয়ে বড় অভিশাপ এই যে, মুক্তিসংগ্রামে বিদেশীয়ের অপেক্ষা দেশের লোকের সঙ্গেই মানুষকে বেশি লড়াই করিতে হয়। এই লড়াইয়ের প্রয়োজন যেদিন শেষ হয়, শৃঙ্খল আপনি খসিয়া পড়ে। কিন্তু প্রয়োজন শেষ হইলContinue Reading
শ্রদ্ধাস্পদ দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ মহাশয়ের শ্রীকরকমলেষু— হে বন্ধু, তোমার স্বদেশবাসী আমরা তোমাকে অভিবাদন করি। মুক্তিপথযাত্রী যত নর-নারী যে যেখানে যত লাঞ্ছনা, যত দুঃখ, যত নির্যাতন ভোগ করিয়াছে, হে প্রিয়, তোমার মধ্যে আজ আমরা তাহাদের সমস্তContinue Reading
আমি বক্তা নই।কিছু বলতে আমি আদপেই পারিনে। ঘরে বসে কাগজ কলম নিয়ে লেখা এক ব্যাপার, আর বাইরে দাঁড়িয়ে বলা আর এক ব্যাপার। আপনারা আমার বই পড়ে সবাই প্রশংসা কচ্ছেন, অথচ কিছুদিন থেকে লেখা আমি একমতContinue Reading
শিষ্য। প্রভু, আত্মা কি? ঈশ্বরই বা কি, এবং কি করিয়াই বা তাহা জানা যায়? গুরু। বৎস, এ বড় কঠিন প্রশ্ন। সকলে জানে না, কিন্তু আমি জানি। বিস্তর সাধনায় তবেই তাঁকে পাওয়া যায়, যেমন আমি পাইয়াছি।Continue Reading
শিশুকাল থেকেই কৃষ্ণনগর নামটি আমার কাছে পরিচিত, এবং সে পরিচয় ঘটেছিল আমার পিতামহীর মুখের নানা বিচিত্র গল্প ও ছড়ার মধ্য দিয়ে। সাহিত্য-রসের সেই মধুর আস্বাদ এই প্রাচীন বয়সেও আমি ভুলি নাই। এই জনপদই যে একদিনContinue Reading
আমি জানি, সাহিত্য-শাখার সভাপতি হবার যোগ্য আমি নই, এবং আমারই মত যাঁরা প্রাচীন, আমারই মত যাঁদের মাথার চুল এবং বুদ্ধি দুই-ই পেকে সাদা হয়ে উঠেছে তাঁদেরও এ বিষয়ে লেশমাত্র সংশয় নেই। কারো মনে ব্যথা দেবারContinue Reading
বিগত আষাঢ় মাসের ‘ভারতবর্ষে’ শ্রীযুক্ত দিলীপকুমার রায় লিখিত ‘সঙ্গীতের সংস্কার’ শীর্ষক একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। ইহার একটি প্রতিবাদমূলক প্রবন্ধ শ্রীযুক্ত প্রমথনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় ভারতবর্ষে ছাপিবার জন্য পাঠান। কিন্তু লেখক কি কারণে জানেন না, তাঁহার দুর্ভাগ্যক্রমেContinue Reading
© All Right Reserved by Eduliture ২০২৫