প্রথম দৃশ্য শান্তিকুঞ্জ [জমিদারের ‘শান্তিকুঞ্জ’ তিন-চারিদিন হইল ভস্মীভূত হইয়াছে। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের বহু চিহ্ন তখনও বিদ্যমান। সবই পুড়িয়াছে, মাত্র ভৃত্যদের খান-দুই ঘর রক্ষা পাইয়াছে। ইহার মধ্যেই জীবানন্দ আশ্রয় লইয়াছেন। সম্মুখের খোলা জানালা দিয়া বারুই নদীর জলContinue Reading
গ্রন্থপরিচয় কলেজ ত্যাগ করার পর শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ভাগলপুর শহরের খঞ্জরপুর পল্লীতে তাঁর প্রতিবেশী বিভূতিভূষণ ভট্টের বাড়িতে একটি সাহিত্যসভার আয়োজন করেছিলেন। এই সময় তিনি বেশ কিছু গল্প-উপন্যাস রচনা করেন, যেগুলি বিভূতিভূষণ ভট্টের বাড়িতে থাকত। শরৎচন্দ্রের বাল্যবন্ধুContinue Reading
গ্রন্থপরিচয় বিরাজবৌ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত একটি জনপ্রিয় উপন্যাস। ভারতবর্ষ পত্রিকায় ১৩২০ বঙ্গাব্দের পৌষ ও মাঘ সংখ্যায় উপন্যাসখানি প্রকাশিত হয়। বিরাজবৌ উক্ত পত্রিকায় প্রকাশিত শরৎচন্দ্রের প্রথম উপন্যাস। ১৩২১ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাসে (২রা মে, ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দ) গুরুদাসContinue Reading
চন্দ্রনাথ একজন উচ্চ বংশীয় ব্রাহ্মণ। সম্প্রতি তার পিতা গত হয়েছে। সে কাশীতে তার পিতার এক পুরনো ভৃত্যের বাড়িতে উঠে। সেখানে তার সরযূর সাথে দেখা হয়। সরযূর মা সুলোচনা সেই ভৃত্যের বাড়িতে কাজ করে। চন্দ্রনাথ সরযূকেContinue Reading
প্রথম দৃশ্য চণ্ডীগড় : গ্রাম্যপথ [বেলা অপরাহ্নপ্রায়। চণ্ডীগড়ের সঙ্কীর্ণ গ্রাম্যপথের ’পরে সন্ধ্যার ধূসর ছায়া নামিয়া আসিতেছে। অদূরে বীজগাঁ’র জমিদারী কাছারিবাটীর ফটকের কিয়দংশ দেখা যাইতেছে। জন-দুই পথিক দ্রুতপদে চলিয়া গেল; তাহাদেরই পিছনে একজন কৃষক মাঠের কর্মContinue Reading
প্রথম দৃশ্য ষোড়শীর কুটীর [সন্ধ্যা এইমাত্র উত্তীর্ণ হইয়াছে। গৃহের অভ্যন্তরে প্রদীপ জ্বলিতেছে। বাহিরে ষোড়শী উপবিষ্ট। এমনি সময়ে নির্মল ও হৈম প্রবেশ করিল। পিছনে ভৃত্য] ষোড়শী। এস, এস, কিন্তু এ কি কাণ্ড! তোমাদের যে আজ দুপুরেরContinue Reading
প্রথম দৃশ্য নাটমন্দির [চণ্ডীর প্রাঙ্গণস্থিত নাটমন্দিরের একাংশ। সময়—অপরাহ্ন। উপস্থিত—শিরোমণি, জনার্দন রায় এবং আরও দুই-চারিজন গ্রামের ভদ্রব্যক্তি] শিরোমণি। (আশীর্বাদের ভঙ্গিতে ডান হাত তুলিয়া জনার্দনের প্রতি) আশীর্বাদ করি দীর্ঘজীবী হও, ভায়া, সংসারে এসে বুদ্ধি ধরেছিলে বটে। জনার্দন।Continue Reading
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত উপন্যাস পল্লী-সমাজের প্রথম নয়টি পরিচ্ছেদ ১৩২২ বঙ্গাব্দের আশ্বিন, অগ্রহায়ণ ও পৌষ সংখ্যা ‘ভারতবর্ষ’ মাসিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এই নয়টি পরিচ্ছেদে উপন্যাসটি শেষ করার কথা ভাবলেও শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় পরে আরো দশটি পরিচ্ছেদ রচনাContinue Reading
প্রথম দৃশ্য [৺যদুনাথ মুখুয্যে মহাশয়ের বাটীর পিছনের দিক। খিড়কির দ্বার খোলা, সম্মুখে অপ্রশস্ত পথ। চারিদিকে আম-কাঁঠালের বাগান এবং অদূরে পুষ্করিণীর বাঁধানো ঘাটের কিয়দংশ দেখা যাইতেছে। সকালবেলায় রমা ও তাহার মাসী স্নানের জন্য বাহির হইয়া আসিলContinue Reading
প্রথম দৃশ্য [তারকেশ্বরের গ্রাম্য পথ। প্রভাতবেলায় এই মাত্র সূর্যোদয় হইয়াছে। রমা নিকটস্থ কোন একটা পুষ্করিণী হইতে স্নান সারিয়া আর্দ্র-বস্ত্রে গৃহে ফিরিতেছিল, রমেশের সহিত তাহার একেবারে মুখোমুখি দেখা হইয়া গেল। একবার সে মাথায় আঁচল টানিয়া দিবারContinue Reading
দেবদাস শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত একটি প্রণয়ধর্মী বাংলা উপন্যাস। দেবদাস শরৎচন্দ্রের প্রথমদিককার উপন্যাস। রচনার সমাপ্তিকাল সেপ্টেম্বর ১৯০০, কিন্তু প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় ১৬ই আষাঢ়, ১৩২৪ বঙ্গাব্দ (৩০শে জুন, ১৯১৭ খৃষ্টাব্দ)। উপন্যাসটি নিয়ে শরৎচন্দ্রের দ্বিধা ছিল বলেContinue Reading
‘অনুরাধা’, ‘সতী’ ও ‘পরেশ’ নামক তিনটি গল্প একত্রে ‘অনুরাধা, সতী ও পরেশ’ নামে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় ৪ঠা চৈত্র ১৩৪০ বঙ্গাব্দ মুতাবেক ১৮ মার্চ ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দে। প্রকাশক হরিদাস চট্টোপাধ্যায়।Continue Reading
অনুরাধা গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৩৪০ বঙ্গাব্দের (১৯৩৩ খৃষ্টাব্দ) চৈত্র সংখ্যা ‘ভারতবর্ষ’ পত্রিকায়। উল্লেখ্য, পূর্ণাঙ্গ গল্প হিসেবে অনুরাধা শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের শেষ গল্প। ফাল্গুন, ১৩৪০ বঙ্গাব্দে (১৮ই মার্চ, ১৯৩৪ খৃষ্টাব্দ) এটি ‘অনুরাধা, সতী ও পরেশ’ নামক গল্পগ্রন্থে সঙ্কলিত হয়ে প্রকাশিত হয়। প্রকাশক, গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা।Continue Reading
সতী গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৩৩৪ বঙ্গাব্দের (১৯২৭ খৃষ্টাব্দ) আষাঢ় সংখ্যা ‘বঙ্গবাণী’ পত্রিকায়। ফাল্গুন, ১৩৪০ বঙ্গাব্দে (১৮ই মার্চ, ১৯৩৪ খৃষ্টাব্দ) এটি ‘অনুরাধা, সতী ও পরেশ’ নামক গল্পগ্রন্থে সঙ্কলিত হয়ে প্রকাশিত হয়। প্রকাশক, গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা।Continue Reading
পরেশ গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৩৩২ বঙ্গাব্দের (১৯২৫ খৃষ্টাব্দ) ভাদ্রে সাহিত্যিক শ্রীনলিনীরঞ্জন পণ্ডিত সম্পাদিত পূজাবার্ষিকী (শারদ) সংখ্যা ‘শরতের ফুল’ পত্রিকায়। ফাল্গুন, ১৩৪০ বঙ্গাব্দে (১৮ই মার্চ, ১৯৩৪ খৃষ্টাব্দ) এটি ‘অনুরাধা, সতী ও পরেশ’ নামক গল্পগ্রন্থে সঙ্কলিত হয়ে প্রকাশিত হয়। প্রকাশক, গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা।Continue Reading
বিজয়া নাটক প্রথম প্রকাশিত হয় ২৪শে ডিসেম্বর, ১৯৩৪ খৃষ্টাব্দে। ৬ই পৌষ, শনিবার, ১৩৪১ বঙ্গাব্দে ‘ষ্টার রঙ্গমঞ্চে’ নাবনাট্য-মন্দির কর্তৃক সর্বপ্রথম অভিনীত হয়। বিজয়া ‘দত্তা’ উপন্যাসের নাট্যরূপ। দত্তা ১৩২৪ সালের পৌষ থেকে চৈত্র সংখ্যা পর্যন্ত ও ১৩২৫Continue Reading
প্রথম দৃশ্য বিজয়ার বসিবার ঘর বিজয়া। জগদীশ মুখুয্যে কি সত্যিই ছাদ থেকে পড়ে মারা গিয়েছিলেন? বিলাস। তাতে সন্দেহ আছে নাকি? মদমত্ত অবস্থায় উড়তে গিয়েছিলেন। বিজয়া। কি দুঃখের ব্যাপার! বিলাস। দুঃখের কেন? অপঘাত-মৃত্যু ওর হবে নাContinue Reading
প্রথম দৃশ্য বিজয়ার বসিবার ঘর [বিজয়া বাহিরে কাহার প্রতি যেন একদৃষ্টে চাহিয়াছিল—পরে উঠিয়া জানালার কাছে গিয়া তাহাকে ইঙ্গিতে আহ্বান করিতে একটি বালক প্রবেশ করিল—-খালি গা, কোঁচড়ে মুড়ি তখনও চিবানো শেষ হয় নাই] পরেশ। ডাকছিলে কেনContinue Reading
প্রথম দৃশ্য বিজয়ার বসিবার ঘর [বিজয়া সুস্থ হইয়াছে, তবে শরীর এখনও দুর্বল। কালীপদর প্রবেশ] কালী। (অশ্রুবিকৃত-স্বরে) মা, এতদিন তোমার অসুখের জন্যেই বলতে পারিনি, কিন্তু এখন আর না বললেই নয়। ছোটবাবু আমাকে জবাব দিয়েছেন। বিজয়া। কেন?Continue Reading
প্রথম দৃশ্য বিজয়ার বাটী-সংলগ্ন উদ্যানের অপর প্রান্ত [অদূরে সরস্বতী নদীর কিছু কিছু দেখা যাইতেছে, বিজয়া ও কানাই সিং। দয়াল প্রবেশ করিলেন] দয়াল। তোমাকেই খুঁজে বেড়াচ্চি মা। শুনলাম এইদিকেই এসেছো, ভাবলাম বাড়ি যাবার আগে এদিকটা দেখেContinue Reading
