রাণু সমগ্র
গ্রন্থকথা
রাণুর প্রথম ভাগ, রাণুর দ্বিতীয় ভাগ, রাণুর তৃতীয় ভাগ ও রাণুর কথামালা—বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়ের এই গ্রন্থচতুষ্টয় বাংলা সাহিত্যের একটি সার্থক সৃষ্টি। হাসি, অশ্রু ও অন্তর্দৃষ্টির আশ্চর্য সংমিশ্রণ, কৌতুক রস ও করুণ রসের সঙ্গে সুগভীর জীবনবোধ—এর যে পরিচয় গল্পগুলিতে প্রকাশ পেয়েছে, বাংলা সাহিত্যে তা আর কোথাও পাওয়া যায় বলে মনে পড়ে না। বহু দিন ধরেই এই গ্রন্থগুলির একটি সংকলনের প্রয়োজন অনুভূত হচ্ছিল। “রাণু” অভিধায় গ্রন্থ চারটির একত্র সংকলন সেই প্ৰয়োজন পূর্ণ করারই প্রচেষ্টা। গ্রন্থ চারটি বিভিন্ন ব্যক্তির নামে উৎসর্গীকৃত হয়, যেমন প্রথম খণ্ড লেখকের ‘পিতা-মাতাকে, দ্বিতীয় খণ্ড ‘অগ্রজকে’, তৃতীয় খণ্ড ‘বঙ্গসাহিত্যসেবক ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে’ ও রাণুর কথামালা লেখকের ‘মেজমামাকে’। সঙ্গত কারণে, এই সংকলনেও প্রতিটি গ্রন্থের প্রারম্ভে উৎসর্গপত্র দেওয়া হল। গ্রন্থকার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ডে বিভিন্ন ভূমিকা সংযোজিত করেছিলেন। সেগুলিও এই সংকলনে স্ব-স্ব স্থানে সন্নিবেশিত হয়েছে এবং প্রতিটি খণ্ডের প্রকাশনা বিষয়ক তথ্যাদিও যথাস্থানে সন্নিবেশিত হয়েছে। প্রায় অর্ধশতাব্দী কাল রাণু ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য গল্পের চরিত্রগুলি বাংলা সাহিত্যে বহুল আলোচিত হতে হতে আজ প্রায় পূর্ণ অবয়ব ধারণ করেছে। সুতরাং তার কোনো নূতন পরিচয় অনাবশ্যক।
সূচিপত্র