খুকি ও কাঠবেড়ালি

কাঠবেড়ালি! কাঠবেড়ালি! পেয়ারা তুমি খাও? গুড়-মুড়ি খাও? দুধ-ভাত খাও? বাতাবি-নেবু? লাউ? বেড়াল-বাচ্চা? কুকুর-ছানা? তাও— ডাইনি তুমি হোঁৎকা পেটুক, খাও একা পাও যেথায় যেটুক! বাতাবি-নেবু সকলগুলো একলা খেলে ডুবিয়ে নুলো! তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুসContinue Reading

খোকার খুশি

কী যে ছাই ধানাই-পানাই – সারাদিন বাজছে সানাই, এদিকে কারুর গা নাই আজই না মামার বিয়ে! বিবাহ! বাস, কী মজা! সারাদিন মণ্ডা গজা গপাগপ খাও না সোজা দেয়ালে ঠেসান দিয়ে। তবু বর হচ্ছিনে ভাই, বরেরContinue Reading

খাঁদু-দাদু

অ মা! তোমার বাবার নাকে কে মেরেছে ল্যাং? খ্যাঁদা নাকে নাচছে ন্যাদা – নাক ডেঙাডেং ড্যাং! ওঁর নাকটাকে কে করল খ্যাঁদা র‍্যাঁদা বুলিয়ে? চামচিকে-ছা বসে যেন ন্যাজুড় ঝুলিয়ে! বুড়ো গোরুর টিকে যেন শুয়ে কোলা ব্যাং!Continue Reading

দিদির বে-তে খোকা

‘সাত ভাই চম্পা জাগো’– পারুলদি ডাকল, না গো? একী ভাই, কাঁদচ?–মা গো কী যে কয়–আরে দুত্তুর! পারায়ে সপ্ত-সাগর এসেছে সেই চেনা-বর? কাহিনির দেশেতে ঘর তোর সেই রাজপুত্তুর? মনে হয়, মণ্ডা মেঠাই খেয়ে জোর আয়েশ মিটাই!–Continue Reading

মা

যেখানেতে দেখি যাহা মা-এর মতন আহা একটি কথায় এত সুধা মেশা নাই, মায়ের মতন এত আদর সোহাগ সে তো আর কোনোখানে কেহ পাইবে না ভাই। হেরিলে মায়ের মুখ দূরে যায় সব দুখ, মায়ের কোলেতে শুয়েContinue Reading

খোকার বুদ্ধি

চুন করে মুখ প্রাচীর পরে বসে শ্রীযুত খোকা, কেননা তার মা বলেছেন সে এক নিরেট বোকা। ডানপিটে সে খোকা এখন মস্ত একটা বীর, হুংকারে তাঁর হাঁস মুরগির ছানার চক্ষুস্থির! সাত লাঠিতে ফড়িং মারেন এমনই পালোয়ান!Continue Reading

খোকার গপ্‌প বলা

মা ডেকে কন, ‘খোকন-মণি! গপ্‌প তুমি জানো? কও তো দেখি বাপ!’ কাঁথার বাহির হয়ে তখন জোর দিয়ে এক লাফ বললে খোকন, ‘গপপ জানি, জানি আমি গানও!’ বলেই খুদে তানসেন সে তান জুড়ে জোর দিল –Continue Reading

চিঠি

[ছন্দ :- “এই পথটা কা-ট্‌ব পাথর ফেলে মা-র্‌ব”] ছোট্ট বোন্‌টি লক্ষ্মী ভো ‘জটায়ু পক্ষী’! য়্যাব্বড়ো তিন ছত্র পেয়েছি তোর পত্র। দিইনি চিঠি আগে, তাইতে কি বোন্ রাগে? হচ্ছে যে তোর কষ্ট বুঝতেছি খুব পষ্ট। তাইতেContinue Reading

প্রভাতী

ভোর হলো দোর খোলো খুকুমণি ওঠ রে! ওই ডাকে জুঁই-শাখে ফুল-খুকি ছোটরে! খুকুমণি ওঠ রে! রবি মামা দেয় হামা গায়ে রাঙা জামা ঐ, দারোয়ান গায় গান শোন ঐ, ‘রামা হৈ!’ ত্যাজি নীড় করে ভিড় ওড়েContinue Reading

লিচু চোর

বাবুদের তাল-পুকুরে হাবুদের ডাল-কুকুরে সে কি বাস করলে তাড়া, বলি থাম একটু দাড়া। পুকুরের ঐ কাছে না লিচুর এক গাছ আছে না হোথা না আস্তে গিয়ে য়্যাব্বড় কাস্তে নিয়ে গাছে গো যেই চড়েছি ছোট একContinue Reading

হোঁদলকুঁৎকুতের বিজ্ঞাপন

মিচকে-মারা কয় না কথা মনটি বড়ো খুঁতখুঁতে। ‘ছিঁচকাঁদুনে’ ভ্যাবিয়ে ওঠেন একটু ছুঁতেই না ছুঁতে। ড্যাবরা ছেলে ড্যাবড্যাবিয়ে তাকিয়ে থেকে গাল ফুলান, সন্দেশ এবং মিষ্টি খেতে – বাসরে বাস – এক জাম্বুবান! নিম্নমুখো-যষ্টি ছেলে দশটি ছেলেContinue Reading

ঠ্যাং-ফুলি

হো-হো-হো উররো হো-হো! হো-হো-হো উররো হো-হো উররো হো-হো বাস কী মজা! কে শুয়ে চুপ সে ভুঁয়ে, নারছে হাতে পাশ কী সোজা! হো-বাবা! ঠ্যাং ফুলো যে! হাসে জোর ব্যাংগুলো সে ড্যাং তুলো তার ঠ্যাংটি দেখে! ন্যাংContinue Reading

পিলে-পটকা

উটমুখো সে সুঁটকো হাশিম, পেট যেন ঠিক ভুঁটকো কাছিম! চুলগুলো সব বাবুই দড়ি – ঘুসকো জ্বরের কাবুয় পড়ি! তিন-কোনা ইয়া মস্ত মাথা, ফ্যাচকা-চোখো; হস্ত? হাঁ তা ঠিক গরিলা, লোবনে ঢ্যাঙা! নিটপিটে ঠ্যাং সজনে ঠ্যাঙা! গাইতি-দেঁতো,Continue Reading

মা (বিরজাসুন্দরী দেবী)-র শ্রীচরণারবিন্দে

মা (বিরজাসুন্দরী দেবী)-র শ্রীচরণারবিন্দে সর্বসহা সর্বহারা জননী আমার। তুমি কোনদিন কারো করনি বিচার, কারেও দাওনি দোষ। ব্যথা-বারিধির কূলে ব’সে কাঁদ’ মৌনা কন্যা ধরণীর একাকিনী! যেন কোন্‌ পথ-ভুলে-আসা ভিন্‌-গাঁ’র ভীর” মেয়ে! কেবলি জিজ্ঞাসা করিতেছে আপনারে, ‘Continue Reading

সর্বহারা

১ ব্যথার সাতার-পানি-ঘেরা চোরাবালির চর, ওরে পাগল! কে বেঁধেছিস সেই চরে তোর ঘর? শূন্যে তড়িৎ দেয় ইশারা, হাট তুলে দে সর্বহারা, মেঘ-জননীর অশ্র”ধারা ঝ’রছে মাথার’ পর, দাঁড়িয়ে দূরে ডাকছে মাটি দুলিয়ে তর”-কর॥ ২ কন্যারা তোরContinue Reading

ফরিয়াদ

১ এই ধরণীর ধূলি-মাখা তব অসহায় সন্তান মাগে প্রতিকার, উত্তর দাও, আদি-পিতা ভগবান!- আমার আঁখির দুখ-দীপ নিয়া বেড়াই তোমার সৃষ্টি ব্যাপিয়া, যতটুকু হেরি বিস্ময়ে মরি, ভ’রে ওঠে সারা প্রাণ! এত ভালো তুমি? এত ভালোবাসা? এতContinue Reading

আমার কৈফিয়ৎ

১ বর্তমানের কবি আমি ভাই, ভবিষ্যতের নই ‘নবী’, কবি ও অকবি যাহা বলো মোরে মুখ বুঁজে তাই সই সবি! কেহ বলে, ‘তুমি ভবিষ্যতে যে ঠাঁই পাবে কবি ভবীর সাথে হে! যেমন বেরোয় রবির হাতে সেContinue Reading

গোকুল নাগ

না ফুরাতে শরতের বিদায়-শেফালি, না নিবিতে আশ্বিনের কমল-দীপালি, তুমি শুনেছিলে বন্ধু পাতা-ঝরা গান ফুলে ফুলে হেমন্তের বিদায়-আহবান! অতন্দ্র নয়নে তব লেগেছিল চুম ঝর-ঝর কামিনীর, এল চোখে ঘুম রাত্রিময়ী রহস্যের; ছিন্ন শতদল হ’ল তব পথ-সাথী; হিমানী-সজলContinue Reading

সব্যসাচী

ওরে ভয় নাই আর, দুলিয়া উঠেছে হিমালয়-চাপা প্রাচী, গৌরীশেখরে তুহিন ভেদিয়া জাগিছে সব্যসাচী! দ্বাপর যুগের মৃত্যু ঠেলিয়া জাগে মহাযোগী নয়ন মেলিয়া, মহাভারতের মহাবীর জাগে, বলে ‘আমি আসিয়াছি।’ নব-যৌবন-জলতরঙ্গে নাচে রে প্রাচীন প্রাচী! ২ বিরাট কালেরContinue Reading

দ্বীপান্তরের বন্দিনী

আসে নাই ফিরে ভারত-ভারতী? মা-র কতদিন দ্বীপান্তর? পুণ্য বেদির শূন্যে ধ্বনিল ক্রন্দন—‘দেড় শত বছর।’… সপ্ত সিন্ধু তেরো নদী পার দ্বীপান্তরের আন্দামান, রূপের কমল রূপার কাঠির কঠিন স্পর্শে যেখানে ম্লান, শতদল যেথা শতধা ভিন্ন শস্ত্র-পাণির অস্ত্র-ঘায়,Continue Reading