পিলে-পটকা

উটমুখো সে সুঁটকো হাশিম,

পেট যেন ঠিক ভুঁটকো কাছিম!

চুলগুলো সব বাবুই দড়ি –

ঘুসকো জ্বরের কাবুয় পড়ি!

তিন-কোনা ইয়া মস্ত মাথা,

ফ্যাচকা-চোখো; হস্ত? হাঁ তা

ঠিক গরিলা, লোবনে ঢ্যাঙা!

নিটপিটে ঠ্যাং সজনে ঠ্যাঙা!

গাইতি-দেঁতো, উঁচকে কপাল

আঁতকে ওঠেন পুঁচকে গোপাল!

নাক খাঁদা ঠিক চামচিকেটি!

আর হাসি? দাঁত খামচি সেটি!

পাঁচের মতন থুতনো ব্যাঁকা!

রগঢিলে, হুঁ ভূতনো ন্যাকা!

কান দুটো টান – ঠিক সে কুলো!

তোবড়ানো গাল, টিকটা ছুলো!

বগলা প্রমাণ ঘাড়টি সরু,

চেঁচান যেন ষাঁড় কী গোরু!

চলেন গিজাং উরর কোলা ব্যাং,

তালপাতা তাঁর ক্ষুর-ওলা ঠ্যাং!

বদরাগি তায় এক-খেয়ালি

বাস রে! খেঁকি খ্যাঁক-শেয়ালি!

ফ্যাঁচকা-মাতু, ছিঁচকাঁদুনে,

কয় লোকে তাই মিচকা টুনে!

জগন্নাথী ঠুঁটো নুলো,

লোম গায়ে ঠিক খুঁটোগুলো!

ল্যাবেন্ডিসি নড়বড়ে চাল,

তুবড়ি মুখে চড়বড়ে গাল!

গুজুর-ঘুণে, দেড়-পাঁজুরে,

ল্যাডাগ্যাপচার, ন্যাড়-নেজুড়ে!

বসেন সে হাড়-ভাঙা ‘দ’,

চেহারা দেখেই সব মামা ‘থ’!

গিরগিটে তার ক্যাঁকলেসে ঢং

দেখলে কবে, ‘ধেত, এ যে সং!’

খ্যাঙরা-কাটি আঙলাগুলো,

কুঁদিলে শ্রীমুখ বাংলা চুলো!

পেটফুলো ইয়া মস্ত পিলে,

দৈবাতে তায় হস্ত দিলে

জোর চটিতং, বিটকেলে চাঁই!

ইঁট খাবে নাকো সিঁটকেলে ভাই!

নাক বেয়ে তার ঝরচে সিয়ান,

ময়রা যেমন করছে ভিয়ান!

স্বপন দেখেন হালকা নিঁদে –

কুইনাইন আর কালকাসিঁদে!

বদন সদাই তোলো হাঁড়ি,

গুড়ামুড়ি খান ষোলো আড়ি!

ঠোকরে সবাই ন্যাড়া মাথায় –

শিলাবিষ্টি ছেঁড়া ছাতায়!

রাক্ষুসে ভাত গিলতে পারে

বাপ রে, বিড়াল ডিঙতে নারে!

হন না ভুলেও ঘরের বাহির,

কাঁথার ভিতর জ্বরের জাহির!

পড়বে কি আর, দূর ভূত ছাই,

ওষুধ খেতেই ফুরসত নাই!

বুঝলে? যত মোটকা মিলে

বাগাও দেখি পটকা পিলে!

বাজবে পেটে তাল ভটাভট

নাক ধিনাধিন গাল ফটাফট!

ঢাকডুবাডুব ইড়িং-বিড়িং

নাচবে ফড়িং তিড়িং তিড়িং!

চুপসো গালে গাব গুবাগুব

গুপি-যন্তর বাজবে বাঃ খুব!

দিব্যি বসে মারবে মাছি,

কাশবে এবং হাঁচবে হাঁচি!

কিলবিলিয়ে দুটো ঠ্যাং

নড়বে যেমন ঠুঁটো ব্যাং!!