হরিদাসের গুপ্তকথা

সপ্তম কল্প : এ আবার কে?

যখন চৈতন্যোদয় হলো, তখন আমি দেখলেম, বনমধ্যে একখানি কুটির, সেই কুটিরে পর্ণশয্যায় আমি শুয়ে আছি, আমার মাথার কাছে একটি স্ত্রীলোক উপবিষ্ট। কে এই স্ত্রীলোক? মানুষ যখন স্বপ্ন দেখে, তখন মনে করে, সব যেন ঠিক, স্বপ্নভঙ্গContinue Reading

হরিদাসের গুপ্তকথা

অষ্টম কল্প : ভূতের বাড়ী

একখানা দোতালা বাড়ীর একটি ঘরে আমি শয়ন কোরে আছি; বড় বড় জানালার ফাঁক দিয়ে প্রখর সূর্য-কিরণ সেই ঘরের ভিতর প্রবেশ কোচ্ছে; রৌদ্র আমার গাত্র স্পর্শ কোচ্ছে; রৌদ্রের প্রখরতা দর্শনে অনুভব, বেলা দ্বিতীয় প্রহর। কোথায় এসেছি,Continue Reading

হরিদাসের গুপ্তকথা

নবম কল্প : দারণ কলঙ্ক—কলঙ্কভঞ্জন

সপ্তাহ অতীত। এই সপ্তাহের মধ্যে একরাত্রেও ভূতের নৃত্য, ভূতের হুঙ্কার, ভূতের কুন্দন, ইত্যাকার কোন অদ্ভুত শব্দই শ্রুতিগোচর হয় নাই। কেবল আমার নিজের কথা বোলছি না, বাড়ীর কেহই কিছু শ্রবণ করেন নাই। অষ্টম দিবসে প্রাতঃকালে বড়বাবুContinue Reading

হরিদাসের গুপ্তকথা

প্রথম কল্প : পাটলীপুত্র

যত অল্প সময়ে পৌঁছান যেতে পারে, বিশেষ চেষ্টা কোরে আমরা পাটনা-সহরে পৌঁছিলাম। পাটনার প্রাচীন নাম পাটলীপুত্র। এক সময়ে পাটলীপুত্রের সবিশেষ সমৃদ্ধি ছিল। বুদ্ধাধিকার সময়ে এখানে বৌদ্ধধর্মের বিশেষ আলোচনা হতো। পাটনায় উপস্থিত হয়ে অনেক লোকের মুখেContinue Reading

হরিদাসের গুপ্তকথা

দ্বিতীয় কল্প : হায় হায়! আমি পাগল!

অষ্টাহ অতীত। রাজাবাহাদুরের সঙ্গে নিত্য আমার দেখা হয়, নিত্য তিনি আমারে উৎসাহবাক্যে আশা প্রদান করেন; আশ্রিতের প্রতি আশ্রয়দাতার যেরূপ স্নেহ থাকা সম্ভব, আমার প্রতি রাজা মোহনলাল সেইরূপ স্নেহ প্রদর্শন করেন; তাঁর কপট ব্যবহার জেনে শুনেওContinue Reading