» পালামৌ

ভ্রমণ-নেশার মায়ার খেলা যুগ যুগ ধরেই মানুষের ভেতরে বাস করে এসেছে। পালামৌ গল্পে লেখক সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এমনই এক মায়ার বাঁধনে বাঁধা পড়ার অভিজ্ঞতা শুনিয়েছেন। যদিও এই ভ্রমণকাহিনী যতটা না কাহিনী, তার চেয়ে মানবিক উপাখ্যানের গল্পContinue Reading

» ভূমিকা

উনবিংশ শতাব্দীর শেষার্দ্ধে বঙ্গভারতীর একজন কৃতী অথচ অলস ও অসাবধান সাধক বঙ্কিমাগ্রজ সঞ্জীবচন্দ্রের অন্যতম সার্থক এবং সুসমঞ্জস রচনা “পালামৌ”—বস্তুতঃ আধুনিক কাল পর্য্যন্ত তাঁহার সাহিত্যকীর্ত্তি এই “পালামৌ”কে কেন্দ্র করিয়াই প্রতিষ্ঠিত আছে। এই কারণে সঞ্জীবচন্দ্রের এই রচনাটিইContinue Reading

» প্রথম প্রবন্ধ

বহুকাল হইল আমি একবার পালামৌ প্রদেশে গিয়াছিলাম, প্রত্যাগমন করিলে পর সেই অঞ্চলের বৃত্তান্ত লিখিবার নিমিত্ত দুই এক জন বন্ধুবান্ধব আমাকে পুনঃ পুনঃ অনুরোধ করিতেন, আমি তখন তাঁহাদের উপহাস করিতাম। এক্ষণে আমায় কেহ অনুরোধ করে না,Continue Reading

» দ্বিতীয় প্রবন্ধ

সেকালের হরকরা নামক ইংরেজী পত্রিকায় দেখিতাম, কোন একজন মিলিটারি সাহেব “পেরেড” বৃত্তান্ত, “ব্যাণ্ডের” বাদ্যচর্চ্চা প্রভৃতি নানা কথা পালামৌ হইতে লিখিতেন। আমি তখন ভাবিতাম, পালামৌ প্রবল সহর, সাহেবসমাকীর্ণ সুখের স্থান। তখন জানিতাম না যে, পালামৌ শহরContinue Reading

» তৃতীয় প্রবন্ধ

পূর্ব্বে একবার “লাতেহার” নামক পাহাড়ের উল্লেখ করিয়াছিলাম। সেই পাহাড়ের কথা আবার লিখিতে বসিয়াছি বলিয়া আমার আহ্লাদ হইতেছে। পুরাতন কথা বলিতে বড় সুখ, আবার বিশেষ সুখ এই যে, আমি শ্রোতা পাইয়াছি। তিন চারিটি নিরীহ ভদ্রলোক, বোধContinue Reading

» চতুর্থ প্রবন্ধ

আবার পালামৌর কথা লিখিতে বসিয়াছি; কিন্তু ভাবিতেছি এবার কী লিখি? লিখিবার বিষয় এখন ত কিছুই মনে হয় না, অথচ কিছু না কিছু লিখিতে হইতেছে। বাঘের পরিচয় ত আর ভাল লাগে না; পাহাড় জঙ্গলের কথাও হইয়াContinue Reading

» পঞ্চম প্রবন্ধ

কোলের নৃত্য সম্বন্ধে যৎকিঞ্চিৎ বলা হইয়াছে, এবার তাহাদের বিবাহের পরিচয় দিতে ইচ্ছা হইতেছে। কোলের অনেক শাখা আছে। আমার স্মরণ নাই, বোধ হয় যেন উরাঙ, মুণ্ডা, খেরওয়ার এবং দোসাদ এই চারি জাতি তাহার মধ্যে প্রধান। ইহারContinue Reading

» ষষ্ঠ প্রবন্ধ

বহু কালের পর পালামৌ সম্বন্ধে দুইটা কথা লিখিতে বসিয়াছি। লিখিবার একটা ওজর আছে। এক সময়ে একজন বধির ব্রাহ্মণ আমাদের প্রতিবাসী ছিলেন, অনবরত গল্প করা তাঁহার রোগ ছিল। যেখানে কেহ একা আছে দেখিতেন, সেইখানে গিয়া গল্পContinue Reading

» নব্য জাপান ও রুষ জাপান যুদ্ধের ইতিহাস

নব্য জাপান ও রুষ জাপান যুদ্ধের ইতিহাস। শ্রীউমাকান্ত হাজারী প্রণীত দ্বিতীয় সংস্করণ। “Japan is indeed the object-lesson of national efficiency, and happy is the nation that learns it.” LORD ROSEBERY সামটা স্বদেশী সমিতি হইতে (সামটাContinue Reading

» প্রথম সংস্করণের ভূমিকা।

আজ এক বৎসর হইল, এসিয়ার পূর্ব্ব প্রান্তে যে ভীষণ সমরানল প্রজ্জ্বলিত হইয়া উঠিয়াছে, তাহার বিস্তৃত বৃত্তান্ত পাঠক মাত্রেই অবগত আছেন। এই লোকভয়ঙ্কর মহাযুদ্ধ কতদিনে সমাপ্ত হইবে, সৌভাগ্যলক্ষ্মী কাহার প্রতি কিরূপে প্রসন্ন হইবেন, তাহা এক্ষণে নিশ্চয়রূপেContinue Reading

» দ্বিতীয় সংস্করণের বিজ্ঞাপন।

প্রথম সংস্করণ দুই হাজার খণ্ড নিঃশেষিত হওয়ায় “নব্য জাপান ও রুষ জাপান যুদ্ধের” দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হইল। প্রথম সংস্করণের যে যে স্থানে ত্রুটী ছিল, এই সংস্করণে তাহা সংস্করণে তাহা সংশােধন করিয়াছি। পণ্ডিতপ্রবর বীরেশ্বর পাঁড়ে, কবিবরContinue Reading

» ভৌগলিক বৃত্তান্ত।

অবস্থান ও বিভাগ। এসিয়ার পূর্ব্বপ্রান্তে প্রশান্ত মহাসাগরবক্ষে কতকগুলি বৃহৎ ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দ্বীপ লইয়া জাপান সাম্রাজ্য সংগঠিত হইয়াছে। তন্মধ্যে নীপন, কিউসিউ, সিকক্, যেশাে, ফরমােসা এই পাঁচটী দ্বীপ সর্ব্বাপেক্ষা প্রধান। এতদ্ভিন্ন কিউরাইল, লুচু, বােনিন প্রভৃতি বহুসংখ্যকContinue Reading

» ঐতিহাসিক বৃত্তান্ত: প্রাচীনযুগ।

ভারতীয় আর্য্যজাতিগণ যে অতি প্রাচীন কাল হইতে ভারতবর্ষ ব্যতীত পৃথিবীর অন্যান্য দেশ ও দ্বীপপুঞ্জাদির কথা সম্যক্‌রূপে অবগত ছিলেন, আর্যজাতি, আর্য্যধর্ম্ম ও আর্য্যাচার যে এক সময়ে পৃথিবী ব্যাপিয়া বিদ্যমান ছিল, তাহার ভূরি ভূরি প্রমাণ অদ্যাপি দেদীপ্যমানContinue Reading

» ঐতিহাসিক বৃত্তান্ত: মধ্যযুগ।

বৌদ্ধধর্ম্ম কোন সময়ে জাপানে প্রবেশ লাভ করিয়াছিল, কোন সময়ে জাপানিগণের রীতিনীতি, আচারব্যবহার বৌদ্ধ ভাবাপন্ন হইয়াছিল তাহা নিশ্চয়রূপে বলিতে পারা যায় না। খৃষ্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দের পূর্ব্বে যে জাপানে বৌদ্ধসভ্যতা প্রচলিত ছিল, তাহার কোন নিদর্শন প্রাপ্ত হওয়াContinue Reading

» ঐতিহাসিক বৃত্তান্ত: নবযুগ।

বলিতে গেলে, সােগানাধিপত্য অবসানের পর বৎসরে—১৮৬৮ খৃঃ অব্দে—প্রাচীন জাপান নবজীবন প্রাপ্ত হয়। এই বৎসরে “মেইজি” অব্দের প্রবর্ত্তন হয়। এই বৎসরে রাজধানী কিয়াটো নগর হইতে জেডো নগরে স্থানান্তরিত হয়। এই বৎসরেই জেডো নাম পরিবর্ত্তিত হইয়া উহাContinue Reading

» ধর্ম্মপ্রণালী।

আমরা পূর্ব্বেই বলিয়াছি, শিণ্টোধর্ম্ম জাপানের প্রাচীন ধর্ম্ম। এক্ষণে এই ধর্ম্মাবলম্বী লােকদিগকে সিন্‌জু বলে। সূর্য্যসহধর্ম্মিনী অমতেরাশু বা উষাদেবী সিনজুগণের আরাধ্যা দেবী। দেশের নানাস্থানে মিয়াসিয়া নামে সিনজুদিগের ধর্ম্মমন্দির আছে। মন্দিরের পুরােহিতগণ নেগি ও কানিগি নামে অভিহিত হইয়াContinue Reading

» সামাজিক রীতিনীতি।

আচারব্যবহার, বেশভূষা, খাদ্য, কুসংস্কার ও ক্রীড়াকৌতুক প্রভৃতি। সাধারণতঃ জাপানের অধিবাসিগণকে নিম্নলিখিত সাত ভাগে বিভাগ করা যাইতে পারে। ১ম সম্ভ্রান্তবংশ, ২য় যাজক, ৩য় রাজকর্ম্মচারী, ৪র্থ বণিক, ৫ম সৈনিক, ৬ষ্ঠ শিল্পী ও ৭ম শ্রমজীবিগণ। সন্ত্রান্তবংশীয় ব্যক্তিগণ, যাজক-সমাজ,Continue Reading

» জাপানের শিক্ষা-প্রণালী।

সুশিক্ষাই সর্ব্ববিধ উন্নতির মূল। কি সাম্রাজ্যের পরিপুষ্টি, কি বাণিজ্যের বিপুলবিস্তার, কি স্বদেশের শ্রীবৃদ্ধিসাধন, কি জ্ঞানের পরিধি প্রসারণ, ইহার কোন একটিও শিক্ষা নিরপেক্ষ নহে। জাপানবাসীরা গত ত্রিংশতি বৎসর মধ্যে শিক্ষাবিষয়ে যে উন্নতিলাভ করিয়াছে, তাহা পৃথিবীর ইতিহাসেContinue Reading

» জাপানের সাহিত্য ও সংবাদপত্র।

জাপানের সাহিত্যভাণ্ডার পৃথিবীর অন্যান্য সভ্যজাতির সাহিত্যের ন্যায় ঐশ্বর্য্য সম্পদে পরিপুষ্ট নহে। জাপানী সাহিত্যে কালিদাস বা সেক্সপিয়ার দূরের কথা, মিল্টন বা মধুসূদনের ন্যায় কবির পরিচয় পাওয়া যায় না। ঐতিহাসিকেরা অনুমান করেন যে, প্রাচীন জাপান যুদ্ধবিগ্রহ ওContinue Reading

» জাপান সাম্রাজ্যের গঠনপ্রণালী ও রাজনীতি।

সমগ্র জাপান সাম্রাজ্য ৪৫টী “কেন” অর্থাৎ প্রদেশে বিভক্ত। প্রতি প্রদেশে একজন করিয়া “চো” অর্থাৎ শাসনকর্ত্তা অবস্থিতি করেন। প্রতি গ্রামেই গ্রামবাসিগণ কর্ত্তৃক নির্ব্বাচিত ১২ জন প্রধান ব্যক্তি লইয়া এক একটী গ্রাম্যসমিতি আছে। প্রতি গ্রামেই এক জনContinue Reading