বিকেল, সন্ধে দিব্যি কেটে গেল। কী যে ভাল লাগছে এই পরিবেশটা। এই বাড়িটা। এ যেন কৌশিকের কাছে আশীর্বাদ! বুদ্ধ ঠিক একদিনের মধ্যেই ব্যবস্থা করে ফেলেছিল। আসলে এই বাড়ির যে বর্তমান মালিক শুভাশিস মিত্র তার ছেলে অরিন্দম হল বুদ্ধর দাদা সারথির কলেজের বন্ধু। বেশ কিছুবছর আগে অরিন্দম চাকরি পেয়ে ব্যাঙ্গালোরে চলে যায়। শুভাশিস এবং তার স্ত্রীও ছেলের সংগে চলে যান। সেই থেকে এই বাড়িটা একাই পড়ে রয়েছে। বনেদি বড়লোক পরিবার। কেয়ারটেকার বাবলুদা থাকে পরিবার নিয়ে। মাস মাইনের বদলে এই বাড়ির দেখভাল ওই করে।ফ্যামিলি ট্যুর প্যাকেজ

বুদ্ধর সংগে বাবলুদার বেশ ভালই পরিচিতি রয়েছে। ও বন্ধুদের নিয়ে মাঝেমাঝেই এখানে এসে আড্ডা মেরে যায়। বাবলুদার থেকে শুভাশিসবাবুর নামবারটা নিয়ে ওর দাদা সারথিকে দিয়ে ফোন করিয়েছিল বুদ্ধ, যদি কৌশিককে মাসখানেক থাকার জন্য একটা ঘর একটু দেওয়া যায়। যদিও ফোনটা অরিন্দম ধরেনি, তবে শুভাশিসবাবু বুদ্ধর সারথিকে চিনতে পেরেছিলেন এবং কৌশিক সম্পর্কে কিছুটা জানার পর বলেছিলেন, তোর ভাইয়ের বন্ধু যখন আমার কোনও আপত্তি নেই। আমি বাবলুকে বলে দেব। তবে ওই বাড়িতে থাকতে…মানে এমনি কোনও সমস্যা নেই, তবে অনেক ঝোপ জঙ্গল রয়েছে তো, রাতে দরজা জানলা ভালভাবে বন্ধ করে শুতে বলিস, আর এমনি কোনও সমস্যা নেই।

শুভাশিসবাবু যে কিছু একটা বলার ইঙ্গিত দিয়েও চুপ করে যাচ্ছিলেন সেটা খানিক আন্দাজ করেছিল সারথি। খুব গুরুত্ব দেয়নি। ভেবেছিল হয়তো কোনও পারিবারিক সমস্যা। যাইহোক শুভাশিস মিত্র রাজি হওয়ার পর সেই খবর যখন কৌশিকের কাছে পৌঁছল আর বিন্দুমাত্র দেরি করেনি ও। সঙ্গে সঙ্গে নিজের ব্যাগ গিটার ইত্যাদি গুছিয়ে চলে এসেছিল এই বাড়িতে। কৌশিক প্রথমে ভেবেছিল সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত থাকবে, রাতে নিজের বাড়িতেই ফিরে আসবে। কিন্তু এমন সুন্দর একটা বাড়িতে রাতের পরিবেশটা ও মিস করতে চায়নি। তাই বাড়িতে বাবা-মাকে অনেক চেষ্টায় রাজি করিয়ে চলে এসেছে গতকাল। বাবলুদা নেহাতই ভাল মানুষ। বাড়ির তালা খুলে দিয়ে বলেছে চারটে বেডরুম রয়েছে। তোমার যেটা খুশি ব্যবহার করতে পার। বলে একে একে সবকটা ঘরই খুলে দেখিয়েছিল বাবলু। কয়েকটা ঘরে তালা দেওয়া। ওগুলো বন্ধ কেন জিজ্ঞাসা করায় বাবলু বলেছিল কোনওটা স্টোররুম, কোনওটা কিচেন, তাই ওগুলো খোলার দরকার পড়ে না। আর একটা ঘর দেখিয়ে কৌশিক জিজ্ঞাসা করেছিল, আর এটা?

এটা আমিও জানি না, এমনিই বন্ধ।

অ।

তা বলছি কি ভাই, তুমি তো সারাদিন থেকে রাতে ফিরে যাবে?

তেমনই ইচ্ছে। কিন্তু থাকলে কি কোনও অসুবিধা হবে আপনার?

না না তা কেন? আসলে বুদ্ধ তেমনই বলেছিল।

হুঁ আমিও তেমনই ভেবেছিলাম। কিন্তু বাড়িটা এতই সুন্দর যে আমার সবসময়েই থেকে যেতে ইচ্ছে করছে।

আজ চব্বিশ তারিখ না? হঠাৎই অপ্রাসঙ্গিক একটা প্রশ্ন করেছিল বাবলু।

হ্যাঁ, কেন বলুন তো?

না না মানে…আপনি তাহলে মাসটা শেষ করে সামনের মাস থেকে রাতে থাকতে পার। এমনি এই কয়েকদিন সারাদিন থাকলে।

বুঝলাম না আপনার কথা। সামনের মাস থেকে রাতে…মানে কেন? এই মাসে কী অসুবিধা?

না অসুবিধা আর কি…আসলে…বাবলু কিছুটা একটা যেন লুকোতে চেষ্টা করছে দেখে কৌশিক স্পষ্ট জিজ্ঞাসা করেছিল কোনও রকম সমস্যা থাকলে আমাকে নিশ্চিন্তে বলতে পারেন।

না না দাদা সমস্যা বলতে মানে…আসলে রাতে শোবার মতো ব্যবস্থা কিছু করা হয়নি…আচ্ছা দেখছি। তুমি থাক। শুধু রাতের দিকে জানলা  দরজা বন্ধ করে রাখবে। আর রাতে ওঠার দরকার হলে লাইট জ্বালিয়ে যাবে। আর ভেতরের বাথরুমটা ব্যবহার করবে। বারান্দার ওইপ্রান্তে যেটা রয়েছে সেটা নয় কিন্তু।

বাবলুদা, এত সাবধাবাণী কিসের? কী সমস্যা বলুন না।

না না আসলে দেখছই তো অনেক পুরনো বাড়ি তার ওপর ঝোপ-জঙ্গল তাই সাপখোপ তো রয়েছেই ভামও রয়েছে বেশ কিছু সেইজন্যই…

ওহ তাই বলো। সে ঠিক আছে। আমি ব্যবস্থা করে নেব। নিশ্চিন্ত হয়ে বলেছিল কৌশিক।

তারপর সারাদিন গেল বাড়িটা এক্সপ্লোর করতে। চারিদিক অদ্ভুত এক প্রশান্তি, নৈঃশব্দ যেন সারাদিন জড়িয়ে রয়েছে অলস বাড়িটাকে। যেন সময়ের সঙ্গে না দৌড়ে নিজের মতো থেমে রয়েছে মিত্র ভিলা। কিংবা সময়ই যেন থমকে গিয়েছে এখানে। সময়ের কোনও ব্যস্ততা নেই এই বাড়ির হাওয়ায়, দেওয়ালে, ঘাসে, গাছে, জঙ্গলে।

নিজের মতো গান গেয়ে গিটার বাজানো, বই পড়া, ল্যাপটপে সিনেমা দেখার মধ্যে দিব্বি কেটে গেল দিনটা। বিকেলে বুদ্ধ এসেছিল। ওর সঙ্গে বাড়ির ছাদেও গিয়েছিল কৌশিক। বেশ কিছুক্ষণ গল্পগুজব। সন্ধের পর ফিরে গেল বুদ্ধ। কৌশিক ততক্ষণে ঠিক করে ফেলেছে রাত্রিবাসটাও ও এখানেই করবে। অন্তত আজকের রাতটা থাকবেই। কাল থেকে না হয় বাড়িতে।

রাতের খাবার বাড়ি থেকে খেয়ে দশটা নাগাদ চলে এল কৌশিক। পুকুরের দিকে জানলা রয়েছে যে ঘরটা সেদিকের বেডরুমটাই নিয়েছে ও। বেশ বড় ঘর। পুরনো দিনের একটা কালচে কাঠের খাট, টেবিল চেয়ার আর একটা আলমারি। আর কিছু নেই। বাবলুদা খাটে সুন্দর করে বিছানা পেতে রেখেছে। মশারি, চাদর, মশা তাড়ানোর ধূপ, দেশলাই, মোমবাতি সবই রেখে গেছে। রাতে এই বাড়ির চারদিক যেন ঘন জঙ্গলের ভেতর যেমন হয় অবিকল তেমনই। নিঝুম, শুধু ঝিঁঝিঁ পোকা আর জোনাকির অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে। বারান্দার লাইটটাও নিভিয়ে দিয়েছে কৌশিক। জানলা দিয়ে পুকুরের ওই পাড়ে বাবলুদার ঘরের আলো দেখা যাচ্ছে। অনেকটা দূর মনে হচ্ছে ওদের ঘরটা যেন পাশের গ্রাম থেকে ভেসে আসা টিমটিমে আলো ভেসে আসছে। এগারোটা পর্যন্ত জেগে ঘরের আলো নিভিয়ে শুয়ে পড়ল কৌশিক। কিছুক্ষণ পর ঘুমিয়েও পড়েছিল আচমকাই ঘুম ভেঙে গেল। কেমন যেন একটা অস্বস্তি হচ্ছে। মনে হচ্ছে বাইরে লম্বা বারান্দাটায় কেউ যেন ছোটাছুটি করছে। প্রথমে ভাবল মনের ভুল। ঘুমোতে চেষ্টা করল কিন্তু ঘুম এল না। নাকের মধ্যে কীসের যেন একটা গন্ধ লাগছে। অচেনা মিষ্টিগন্ধ। বাইরে পায়ের শব্দটা যেন বেশ প্রকট। গন্ধগোকুল নয়তো? খানিকটা বেজির মতো দেখতে এই প্রাণীটি সদলবলে যখন আসে তখন চারপাশে একটা গন্ধ ছড়ায়। খানিকটা পায়েসের চালের মতো গন্ধ। কিন্তু এ তো সেই গন্ধ নয়। হঠাৎই বারান্দার ওইপারে কোনও দরজায় শিকল খোলা ঝনাৎ করে শব্দ হল। শিকল কোন ঘরে রয়েছে মনে করার চেষ্টা করল কৌশিক। বারান্দার পাশে সার সার মোট চারটে ঘর প্রতিটাতেই তালা দেওয়া। একমাত্র শেষপ্রান্তে একটা বাথরুম রয়েছে যেটায় শিকল তোলা ছিল শুধু। কোনও তালা দেওয়া ছিল না। ওই বাথরুমটা বাবলুদা ব্যবহার করতে বারণ করেছিল। কৌশিক যে ঘরে রয়েছে সেই ঘর লাগোয়া একটি বাথরুম রয়েছে।

শিকলের শব্দটা স্পষ্ট। তারপর আবার কী যেন বারান্দার ওই প্রান্ত থেকে লঘু পায়ে হেঁটে এল এইদিকে। এ তো চতুষ্পদ কোনও প্রাণীর পায়ের শব্দ নয়। গা ছমছম করে উঠল কৌশিকের। উঠে বসল। ভেতরে খুব টেনশন হচ্ছে। হঠাৎই মনে হল পায়ের শব্দটা যেন খুব দ্রুত ছাদের  সিড়ি দিয়ে উঠে গেল ওপরে। ছাদে যাওয়ার সিঁড়িটা কৌশিক যে ঘরে শুয়েছে তার লাগোয়া। ওর নিশ্বাস পড়ছে দ্রুত। হ্যাঁ ওই তো ছাদে কেউ দৌড়চ্ছে। ধুপ ধুপ শব্দ হচ্ছে। নাহ এভাবে বসে থাকার কোনও মানে হয় না। কৌশিক কোনওকালেই ভিতু নয়। এমন সব শব্দ হওয়ার পর তার রহস্য ভেদ না করলে ওর ঘুমের দফারফা হয়ে যাবে তাই রহস্য ভেদ করাটা আগে প্রয়োজন। বালিশের পাশে রাখা মোবাইলের টর্চটা জ্বালিয়ে খাট থেকে নেমে ও লাইট জ্বালল। তারপর  দরজা খুলে দরজার ইয়া মোটা খিলটা হাতে নিয়ে বেরিয়ে বারান্দায় আসতেই প্রথমে ওর নাকে ঝাপটা দিল অদ্ভূত মিষ্টি একটা গন্ধ। কেমন যেন মন আনচান করে দেওয়া গন্ধ। কিছুটা কামিনী ফুলের মতো কিন্তু পুরোটা নয়, কিছুটা ছাতিম একেবারে অচেনা গন্ধটা। এ কোন ফুলের গন্ধ? সারাদিনে পাওয়া যায়নি তো! কাল সকালে বাবলুদার কাছে জানতে হবে। কৌশিক একহাতে টর্চ আর অন্যহাতে মোবাইল বাগিয়ে ধীরে ধীরে সিঁড়ি দিয়ে উঠতে থাকল ছাদের দিকে। যত ওপরে উঠতে থাকল ততই সেই গন্ধটা যেন তীব্র…গা সিরসির করতে থাকল কৌশিকের। এই গন্ধ নেহাত ফুলের নয়…কেমন যেন কেমন যেন…ছাদে উঠে টর্চ জালানো মোবাইলটা তুলে ধরে দেখল অন্ধকার মস্ত ছাদে কিছুই নেই। কিন্তু সেই অচেনা গন্ধটা ম ম করছে। বার বার গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠছে কৌশিকের। এ গন্ধ ফুলের নয়…কিছুতেই ফুলের হতে পারে না…এ তীব্র শরীরী গন্ধ। কোনও যুবতী মেয়ের কাঁধে নাক ঠেকালে কি এমন গন্ধ পাওয়া যায়? জানা নেই কৌশিকের কিন্তু আচমকা এমনই ভাবনা ওর মনে এল। গন্ধটা ওকে শিহরিত করছে। ওর পৌরুষকে কেমন উত্তেজিত করে তুলছে অজানা হর্ষে। গায়ে কাঁটা দিল কৌশিকের। সামান্য কেঁপে উঠল। তাড়াতাড়ি ছাদ থেকে নেমে যাওয়ার জন্য পিছন ফিরল, আর তখনই মনে হল পিছনে কেউ যেন দাঁড়িয়ে ওকে দেখছে। এক ঝটকায় ঘাড় ঘুরিয়ে আবার পিছন দিকে তাকাল কৌশিক। নাহ কিছু নেই…। কিন্তু আছে কিছু একটা আছে…

পর পর দুটো দিন। কী যে হয়ে গেল কৌশিকের ও নিজেও জানে না। সারাক্ষণ যেন একটা ঘোর, ক্ষিদে তৃষ্ণা কিছুই নেই, শুধু এক অদ্ভূত অনুভূতি। একটি পুরুষের শরীরে নারীর স্পর্শে যেমন অনুভূতি হয় ঠিক তেমন। আর সেই অনুভূতির কারণ ওই গন্ধটা…সারাদিন ধরে গন্ধটা রয়েছে আর দিনের আলো নিভে গিয়ে রাত যত বাড়তে থাকে গন্ধটা যেন ততই তীব্রতর হয়ে উঠতে থাকে। তখন কেমন যেন পাগল পাগল লাগে কৌশিকের। বালিশটাকে আঁচড়ে কামড়ে ছিঁড়ে ফেলতে ইচ্ছে করে। অথচ কৌশিকের যৌনচেতনা এত তীব্র কখনই নয়। এমনি সুস্থ সাধারণ একটি তরুণের যতটা আগ্রহ এবং অনুভূতি থাকে ওর ততটাই রয়েছে, তার বেশি কিছু নয়, কিন্তু এই দুটো দিন যেন ওকে পুরো বদলে দিল। ড্রাগস নেওয়ার মতো মাথার মধ্যে সারাক্ষণ ঝিম ধরে থাকছে। ওই গন্ধটা ওই অদ্ভূত মিষ্টি অথচ তীব্র গন্ধটা যতবার ওর শ্বাসের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করছে কৌশিক প্রতিবার অনুভব করছে তীব্র শরীরী সুখ। বুঁদ হয়ে যাচ্ছে। মন অস্থির হয়ে যাচ্ছে। কেমন যেন পাগল পাগল। গান, গিটার কিচ্ছু ভাল লাগছে না, কিচ্ছু না। শুধু ইচ্ছে করছে একটি নারীকে আষ্টেপৃষ্টে আঁকড়ে তার মধ্যে মিশে থাকতে। গতকাল রাতেও ঠিক একই ঘটনা। প্রথমে বাথরুমে শব্দ, তারপর বারান্দায় কার হেঁটে যাওয়ার শব্দ তারপর সিঁড়িতে ওঠা আর শেষে ছাদের মধ্যে কখনও হাঁটা, কখনও দৌড়নো। অল্প বয়েসি ছেলে মেয়েরা চলাফেরা করলে যেমন একটা অস্থিরতা থাকে ঠিক তেমনই।

আজ অনেক বেলা পর্যন্ত শুয়েছিল কৌশিক। চোখে ঘুম এলেই সুন্দর সুন্দর সব স্বপ্ন আসছে, সবই কেমন নেশায় মাতাল করে দেওয়া স্বপ্ন। প্রায় দশটা নাগাদ উঠল বিছানা ছেড়ে। আড়মোড়া ভেঙে বাইরে বেরিয়ে আসতেই দেখল বাবলুদা আসছে এইদিকে। এসে আগেই জিজ্ঞাসা করল তোমার শরীর টরির ঠিক আছে তো?

হ্যাঁ ঠিকই আছে। শান্তস্বরে বলল কৌশিক।

বাবলু যেন ওকে পরখ করছিল। রাতে কি বাইরে বেরিয়েছিলে কাল পরশু?

কেন বলুন তো?

না এমনিই জিজ্ঞাসা করছি।

কৌশিক কিছু গোপন করল না। সরাসরি জিজ্ঞাসা করল হ্যাঁ দুই রাতেই বেরোতে হয়েছিল।

সেকি! আমি বলেছিলাম না রাতে না বেরোতে।

হ্যাঁ, কিন্তু এই বাড়িতে কিছু একটা রয়েছে বাবলু দা। আপনি হয়তো জানেন আমাকে বলছেন না।

না না কিছু নেই…কী আবার থাকবে? তবে ওসব শব্দটব্দ কিছু পেলে বেরোবে না। কয়েকদিন পর ঠিক হয়ে যাবে।

আমি যে শব্দ পেয়েছি সেটা আপনি কী করে জানলেন? আর সেই শব্দ কয়েকদিন পর ঠিক হয়ে যাবে সেটাই বা বললেন কী ভাবে?

এই রে…আমি তো আমি তো…বাবলু কী বলবে ভেবে পেল না।

আচ্ছা বাবলুদা গতপরশু রাত থেকে একটা খুব মিষ্টি গন্ধ পাচ্ছি, মানে কোনও অচেনা ফুলের গন্ধ আমার মনে হয়, বুনো কিন্তু মিষ্টি। কী ফুল বলো তো?

গন্ধ…ও কিছু নয়, এখানে অনেক গাছ রয়েছে হবে কিছু…ও কিছু নয়। বলতে বলতেই হাঁটা দিল বাবলু দা।

ও বাবলুদা। শুনুন।

কী হয়েছে? আমার কথা শুনুন নতুন জায়গা। সুট করতে কদিন সময় লাগবে। মাসের শেষ দুটো দিন নিজের বাড়িতে কাটিয়ে এসো আমার কথা শুনলে ভালই হবে। বলতে বলতে চলে গেল বাবলু।

এই লোকটা কিছু জানে যা গোপন করতে চাইছে প্রথম থেকেই। বার বার ওই মাসের শেষ মাসের শেষ কয়েকদিন এর মানে কী? নাহ বাবলু না বললেও ওকে একাই জানতে হবে।