ভাতে হাত রাখল রূপসা। উষ্ণ স্পর্শ। খেতে শুরু করল। খেতে খেতে ও টের পেল প্রথম দিকে ও কোনও খাবারে স্বাদ পাচ্ছিল না, এখন পাচ্ছে। ঠিক হয়ে আসছে মন।
দীপুদা সেই কুড়িটা টাকা সেদিন হাতে গুঁজে না দিলে জীবনটা অন্যরকম হত রূপসার। কেমন হত তা জানা নেই।
খাওয়া শেষ করে উঠে হাত-মুখ ধুয়ে আবার ফোন করল রূপসা এঁটো বাসন নিয়ে যাওয়ার জন্য। তারপর কী করা যায় ভাবতে না ভাবতেই আবার ল্যান্ডফোন বেজে উঠল। ফোনের রিংটোন সেতারের মূর্ছনা। ভারী সুন্দর। রূপসা ফোন রিসিভার তুলে হ্যালো বলল।
ওদিক থেকে এক মহিলা পরিষ্কার বাংলায় বললেন, রূপসা, আপনার খাওয়া হয়ে গেছে?
হ্যাঁ।
তাহলে আপনি এখন বিশ্রাম নিন, ঠিক বিকেল পাঁচটায় তৈরি থাকবেন, আপনার কাছে রথ যাবে। ওতে চলে আসবেন প্লিজ।
আচ্ছা ঠিক আছে।
ফোন রেখে রূপসা ভাবল, কেসটা কী? যাক, সবে তো আসা হল, ধীরে ধীরে বোঝা যাবে কী ব্যাপার। আর সময় নষ্ট না করে, ওই নরম গদিওলা বিছানায় নিজের শরীর ডুবিয়ে দিল রূপসা। আহ! কী শান্তি! কথাটা ভাবতে ভাবতে গভীর ঘুমে ডুবে গেল রূপসা।