বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম

সকল প্রশংসা মহান রব্বুল ‘আলামীনের জন্য এবং দরূদ ও সালাম জানাই নাবী মুহাম্মদ ﷺ-এর প্রতি।

যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস আল্লামা নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহ.)-এর ‘মাসীহ দাজ্জালের কিস্‌সা’ পুস্তকটি বাংলা ভাষায় অনুবাদ করতে পেরে সর্বপ্রথম মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানাই। পৃথিবীর বুকে যত ফিতনা ঘটেছে এবং ক়িয়ামাতের পূর্ব পর্যন্ত ঘটবে তার মধ্যে কানা দাজ্জালের ফিতনাই সবচেয়ে ভয়ঙ্কর। তাই সমস্ত নাবী-রাসূলগণ স্বীয় উম্মাতকে দাজ্জাল সম্পর্কে সতর্ক করে গেছেন। কাজেই মুসলিমদের এ বিষয়ে সঠিক ও স্বচ্ছ ধারণা থাকা একান্তই জরুরি। অত্র পুস্তকে আল্লামা নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহ.) প্রথমে দাজ্জাল সম্পর্কে আবূ উমামাহ্ (রা.) বর্ণিত একটি বৃহৎ হাদীস উল্লেখ করেন। অতঃপর তিনি হাদীসের বক্তব্যগুলোকে মোট ৪৯টি অংশে ভাগ করেন এবং প্রতিটি অংশকে এক একটি অনুচ্ছেদ ধারা গণ্য করে তার সমর্থনে অন্যান্য সাহাবায়ি কিরামগণের থেকে যে সব হাদীস বর্ণিত হয়েছে সে সব হাদীস একত্রিত করে তাহক়ীক়ের মাধ্যমে হাদীসগুলোর অবস্থান তুলে ধরেন। পরিশেষ তিনি দাজ্জাল সম্পর্কে বর্ণিত হাদীসসমূহ থেকে যা কিছু সহীহভাবে বর্ণিত হয়েছে তা ধারাবাহিকভাবে উল্লেখ করেন। শায়খ আলবানী যেভাবে তাঁর লিখনীকে সাজিয়েছেন তা সত্যিই বিস্ময়কর। পুস্তকটি পাঠের মাধ্যমে দাজ্জাল সম্পর্কে যেমন সঠিক জ্ঞান অর্জন করা যাবে, অপরদিকে দাজ্জাল সম্পর্কে যে সব ভুল ধারণা ছিল এবং যঈফ ও ভিত্তিহীন বর্ণনা রয়েছে তাও অবগত হওয়া যাবে। এই গবেষণামূলক চমৎকার লিখনীর জন্য আমরা সম্মানিত শায়খের প্রতি কৃতজ্ঞ।

পুস্তক প্রকাশ, অনুবাদ ও প্রুফ সংশোধনে যারা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন এবং উৎসাহ দিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বিশেষ করে দীনী ভাই ঈসা মিঞা, জাহাঙ্গীর আলম, মোহাম্মদ আলী, সাজিদুর রহমান ও মোশারফ হোসেনের প্রতি। আল্লাহ সকলকে উত্তম প্রতিদান দান করুন—আমীন।

পরিশেষে সম্মানিত পাঠকের প্রতি অনুরোধ রইলো, অনুবাদের কাজে কোথাও কোন ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে আমাদেরকে জানাবেন। ইনশাআল্লাহ পরবর্তীতে তা সংশোধন করা হবে।

বিনীত

আহসানুল্লাহ বিন সানাউল্লাহ